× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Israels tourist city is injured in the drone attack on Yemen in Ilat
google_news print-icon

ইসরাইলের পর্যটন নগরী ইলাতে ইয়েমেনের ড্রোন হামলায় আহত ২২

ইসরাইলের-পর্যটন-নগরী-ইলাতে-ইয়েমেনের-ড্রোন-হামলায়-আহত-২২

ইয়েমেনের ড্রোন হামলায় ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন নগরী ইলাতে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে।

বুধবার জানিয়েছে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থার বরাত দিয়ে জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইহুদি নববর্ষ রোশ হাশানাহের দ্বিতীয় দিনে হামলাটি চালানো হলো।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, ড্রোনটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে লোহিত সাগরের উপকূলীয় শহর ইলাতে পতিত হয়। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর।

মাগেন ডেভিড অ্যাডম জরুরি সেবা জানিয়েছে, তাদের দল ২২ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে। এর মধ্যে ২৬ ও ৬০ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত, একজন মাঝারি ও অন্যান্যরা সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত।

পুলিশ জানায়, ড্রোনটি ইলাত শহরের কেন্দ্রে আঘাত করে, যা পর্যটক সমাগমের স্থান হিসেবে পরিচিত। এতে এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি পরে এক বিবৃতিতে জানান, তাদের বাহিনী দক্ষিণ ইসরাইলের দুটি স্থানে দুইটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ইলাতের মেয়র ইলি ল্যাঙ্ক্রি সরকারের প্রতি হুথিদের বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা হামলার আহ্বান জানান।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, হামলার আগে ইলাতজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। শহরটি মিশর ও জর্ডানের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

ইসরাইল ইতোমধ্যেই ইয়েমেনে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। গত মাসে হুথি সরকারের প্রধানসহ আরও ১১ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।

হুথিরা ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলের দিকে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে দাবি করছে যে তারা ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসকে সমর্থন করছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
To get the Nobel Peace Prize would stop Trumps Gaza Battle Macron

নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চাইলে ট্রাম্পকে গাজা যুদ্ধ থামাতে হবে: ম্যাক্রোঁ

নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চাইলে ট্রাম্পকে গাজা যুদ্ধ থামাতে হবে: ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ গত মঙ্গলবার বলেছেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে চান, তবে তাকে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।

নিউইয়র্ক থেকে ফ্রান্সের বিএফএম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, শুধু ট্রাম্পেরই ক্ষমতা আছে ইসরায়েলকে যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দেওয়ার।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘এ বিষয়ে কিছু করার ক্ষমতা একজনের আছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’

মাখোঁ আরও বলেন, ‘আরেকটি কারণে তিনি (ট্রাম্প) আমাদের চেয়ে বেশি করতে পারেন। তা হলো, আমরা এমন কোনো অস্ত্র সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। আমরা এমন কোনো সামগ্রী সরবরাহ করি না, যা গাজায় যুদ্ধ চালানোর সুযোগ করে দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা করে।’

এদিন ট্রাম্প জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় কড়া ভাষায় বক্তৃতা দেন। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, এটি হামাসের জন্য পুরস্কার হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আমাদের অবিলম্বে শান্তি আলোচনা শুরু করতে হবে।’

ট্রাম্পের বক্তৃতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মাখোঁ বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টকে দেখি, যিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছেন। আজ সকালে পডিয়াম থেকে তিনি পুনরায় বলেছেন, ‘আমি শান্তি চাই। আমি সাতটি সংঘাত সমাধান করেছি।’ তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার চান। নোবেল শান্তি পুরস্কার শুধু তখনই সম্ভব, যদি আপনি এই সংঘাত (গাজা যুদ্ধ) বন্ধ করেন।’

কাম্বোডিয়া, ইসরায়েল, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ ট্রাম্পকে এ বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য, যা তার চারজন পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেছেন, ‘যারা জাতিসংঘে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির জন্য একাই তাদের সবার চেয়ে বেশি কাজ করেছেন।’

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘শুধু এই প্রেসিডেন্টই বিশ্বে স্থিতিশীলতার জন্য এত কিছু অর্জন করতে পেরেছেন। কারণ, তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে আবার শক্তিশালী করেছেন।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
UN Void to establish peace Donald Trump

শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ‘অকার্যকর’: ডোনাল্ড ট্রাম্প

* ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা * ইউক্রেন যুদ্ধের ‘প্রধান অর্থদাতা’ চীন-ভারত
শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ‘অকার্যকর’: ডোনাল্ড ট্রাম্প

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের বিতর্ক পর্বে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভাষণে জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। দাবি করেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ অকার্যকর।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে বিতর্ক-পর্ব। এই পর্বের শুরুতে ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। এরপর বক্তব্য রাখেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পর পোডিয়ামে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সবসময় বলেছি - এর এত অসাধারণ, অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এটি তার কাছাকাছিও পৌঁছাচ্ছে না।’

ভাষণে ট্রাম্প নিজেই নিজের প্রশংসা করে বলেন, বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটা সংঘাত থামানোয় তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তার দাবি, তিনি সাতটি যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছেন। যদিও এই মধ্যস্থতার বেশ কয়েকটিতে ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ‘অকার্যকর’ দাবি করে ট্রাম্প বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, এসব ‍যুদ্ধ থামানোয় তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য। তার কথায়, ‘এটা খুবই খারাপ যে জাতিসংঘের পরিবর্তে আমাকে এই কাজগুলো করতে হয়েছে এবং দুঃখের বিষয়, সমস্ত ক্ষেত্রেই জাতিসংঘ এর কোনোটিতেই সাহায্য করার চেষ্টা করেনি।’

ট্রাম্প তার ভাষণের শুরুতেই অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে তিনি একটি ভাঙা লিফট পেয়েছেন। এরপর ভাষণ দেয়ার সময় টেলিপ্রম্পটারকে অকার্যকর দেখতে পান। তার কথায়, ‘জাতিসংঘ থেকে আমি এই দুটি জিনিস পেয়েছি, একটি খারাপ এসক্যালেটর এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।’

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল বলে উল্লেখ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সংঘাতকে আরও উৎসাহিত করতে জাতিসংঘের কিছু সদস্য একতরফাভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে। তা হবে হামাসের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার জন্য অনেক বড় পুরস্কার হবে। ৭ অক্টোবরের ঘটনাসহ ভয়াবহ নৃশংসতাগুলোর জন্য হামাসের পুরস্কার।

সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসার একাধিক দেশের সরকারপ্রধান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে জাতিসংঘ।

সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালামানকে সঙ্গে এক বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ঘোষণা দেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেন, ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা ধরে রাখতে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’

একই বৈঠকে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো ও বেলজিয়ামও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়। এর আগে এই সপ্তাহে কানাডা, ব্রিটেন, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়াও একই ঘোষণা দিয়েছে।

জাতিসংঘের ভাষণে একের পর এক দেশ কর্তৃক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপকে ‘ভুল বার্তা’ আখ্যা ট্রাম্প। তার মতে, এমন পদক্ষেপ কেবল সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ‘প্রধান অর্থদাতা’ ভারত ও চীন। কারণ তারা রাশিয়ার তেল ক্রয় অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি মস্কো থেকে জ্বালানি আমদানি কমাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য ন্যাটো দেশগুলিরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘চীন ও ভারত রাশিয়ার তেল ক্রয় অব্যাহত রেখে চলমান যুদ্ধের প্রধান অর্থদাতা। এই বিষয়টি অমার্জনীয়। পাশাপাশি ন্যাটো দেশগুলিও রাশিয়ান জ্বালানি এবং পণ্য আমাদানি খুব বেশি বন্ধ করেনি। আমি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জানতে পেরেছিলাম এবং আমি খুশি ছিলাম না। তারা নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে। কেউ কখনও এই কথা শুনেছে?’

তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়া শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত না হয়, তাহলে ওয়াশিংটরে কঠোর শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুত হও। আমার বিশ্বাস, এতে খুব দ্রুত রক্তপাত বন্ধ হবে। পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলিকে এই ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এক বছর আগে, আমাদের দেশ গভীর সংকটে ছিল। কিন্তু আজ আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমেরিকা সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি, সীমান্ত, সামরিক বাহিনী, বন্ধুত্ব এবং চেতনায় আশীর্বাদপ্রাপ্ত। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর কর্তন চালু করেছে, যখন শেয়ার বাজার শক্তিশালীভাবে কর্মক্ষম ছিল এবং মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। গত চার মাস ধরে, আমাদের দেশে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের সংখ্যা শূন্য। আমাদের বার্তা খুবই সহজ, আপনি যদি অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, তাহলে আপনাকে জেলে যেতে হবে।’

বিশ্বব্যাপী সংঘাতের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তিনি ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি ইসরায়েল ও ইরান, পাকিস্তান ও ভারত, রুয়ান্ডা ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান, মিশর ও ইথিওপিয়া এবং সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে সংঘাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, অন্য কোনও রাষ্ট্রপতি এর কাছাকাছি কিছু করেননি।

মন্তব্য

গাজা নিয়ে পোস্টের জেরে চাকরিচ্যুত সাংবাদিককে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

গাজা নিয়ে পোস্টের জেরে চাকরিচ্যুত সাংবাদিককে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

গাজায় ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার কারণে চাকরিচ্যুত অস্ট্রেলিয়ার এক সাংবাদিককে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত।

সিডনি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অস্ট্রেলিয়ার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ‘এবিসি’কে আজ বুধবার আদালত এই নির্দেশ দেন।

সাংবাদিক অ্যানটুনেট লাটুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এবিসি’র সঙ্গে পাঁচ দিনের একটি চুক্তিভিত্তিক কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তিন দিনের মাথায় তাকে বরখাস্ত করা হলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেন।

লাটুফের বরখাস্ত হওয়ার কারণ ছিল গাজা যুদ্ধ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর একটি ভিডিও প্রতিবেদন ইনস্টাগ্রামে পুনরায় পোস্ট করা। ভিডিওর সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন— ‘এইচআরডব্লিউ বলছে, তীব্র ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এর আগে ফেডারেল কোর্টের বিচারক ড্যারিল রাংগিয়াহ বলেছিলেন, ‘গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে রাজনৈতিক মতামত পোষণ করার’ কারণেই এবিসি লাটুফের চুক্তি বাতিল করে, যা কর্মসংস্থান আইনের লঙ্ঘন।

রাংগিয়াহ আরো বলেন, এবিসি’র এই লঙ্ঘন লাটুফের জন্য ‘খুবই খারাপ পরিণতি’ বয়ে নিয়ে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষের কাছে চাকরি শুধু আয়ের উৎস নয় বরং এটি তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, পরিচয় ও আত্ম-সম্মানবোধের সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।’

অনেক অস্ট্রেলীয়র কাছে নিরপেক্ষ সংবাদের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এবিসি। আদালত এবিসিকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই সাংবাদিককে ৯৮ হাজার ৯০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। এর আগে চলতি বছর ৪৬ হাজার ১০০ ডলার দেওয়ার রায় হয়েছিল।

রাংগিয়াহ বলেন, এই পরিমাণ অর্থ লাটুফের ওপর হওয়া ক্ষতির জন্য ‘পর্যাপ্ত’। পুরো অর্থ আগামী ২৮ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

লাটুফ বলেন, এবিসি ‘আমার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ২০ লাখ ডলারেরও বেশি খরচ করে ফেলেছে।’

মঙ্গলবার তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘জরিমানার পরিমাণ যাই হোক, আমার কাছে টাকাটা কখনোই মুখ্য ছিল না, এটা সবসময় জবাবদিহি এবং আমাদের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা যে তথ্য দেয় তার সততা নিয়ে ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি এবিসি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সততা ফিরিয়ে আনবে, কারণ আমাদের গণতন্ত্র একটি শক্তিশালী চতুর্থ স্তম্ভের (গণমাধ্যম) ওপর নির্ভরশীল।’

এবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউ মার্কস বলেন, সম্প্রচার সংস্থাটি ‘আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা অব্যাহত রাখবে।’

এবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউ মার্কস বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা এখনো ভাবছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি এবং এ থেকে শিক্ষা ও এর প্রভাব নিয়ে ভেবেছি। আমাদের আরো যত্নশীল হতে হবে।’

এদিকে, গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকটের কারণে ইসরাইল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে। গত মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে অতর্কিত আক্রমণ করে। এরপর ইসরাইল পাল্টা হামলা শুরু করে, যা প্রায় দুই বছর ধরে চলমান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের তদন্তকারীরা অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ সংঘটনের অভিযোগ আনেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Who is not giving the Palestinian state recognizing who is not giving

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে কারা স্বীকৃতি দিচ্ছে, কারা দিচ্ছে না

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে কারা স্বীকৃতি দিচ্ছে, কারা দিচ্ছে না

গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের পর এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নিউইয়র্কে একযোগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টাসহ বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল। ফ্রান্সের স্বীকৃতির মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি চারটি দেশই (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে দেশটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে। তবে ফিলিস্তিন যে ভূখণ্ডকে নিজের দাবি করছে, তার মধ্যে পশ্চিম তীর ইসরায়েলের দখলে রয়েছে এবং গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দেশটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘের প্রায় ৮০ শতাংশ সদস্য রাষ্ট্রই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির হিসেব অনুযায়ী, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৫১টি দেশ এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘে দেওয়া ঘোষণার মাধ্যমে ছয়টি ইউরোপীয় দেশ— ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, অ্যান্ডোরা ও মোনাকো এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে। এর আগের দিন যুক্তরাজ্য ও কানাডা প্রথম জি-৭ দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালও তাদের পথে হাঁটে।

ইতোমধ্যেই রাশিয়া, প্রায় সব আরব দেশ, প্রায় সব আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ এবং ভারত ও চীনসহ এশিয়ার অধিকাংশ রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর প্রয়াত নেতা ইয়াসির আরাফাত যখন একতরফাভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন, তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আলজেরিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। এর পরের কয়েক সপ্তাহ ও মাসে আরও ডজনখানেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

এরপর ২০১০ সালের শেষ দিকে এবং ২০১১ সালের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আরেক দফা ঢেউ ওঠে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি ব্যাপক হামলা শুরু হলে, আরও ১৯টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

কারা স্বীকৃতি দেয়নি

অন্তত ৩৯টি দেশ এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকেই পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে। এশিয়ার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আফ্রিকার ক্যামেরুন, লাতিন আমেরিকার পানামা ও ওশেনিয়ার বেশিরভাগ দেশও এই তালিকায় রয়েছে।

অল্প কিছুদিন আগ পর্যন্ত ইউরোপ ছিল এ বিষয়ে সবচেয়ে বিভক্ত মহাদেশ। ২০১০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত শুধু তুরস্ক ও সাবেক সোভিয়েত ব্লকের দেশগুলো ছাড়া কেউ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি সাবেক পূর্ব ইউরোপের হাঙ্গেরি ও চেক প্রজাতন্ত্র এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।

এক সময় পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ব্যাপারে একমত ছিল। শুধু ২০১৪ সালে সুইডেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু গাজা যুদ্ধ ইউরোপের সেই পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে।

২০২৪ সালে সুইডেনকে অনুসরণ করে নরওয়ে, স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও স্লোভেনিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। আর সম্প্রতি আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এই তালিকায় যুক্ত হলো। তবে ইতালি ও জার্মানি এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করেনি।

স্বীকৃতির মানে কী

ফ্রান্সের এইক্স-মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক রোমেন লে বোয়েফ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘সবচেয়ে জটিল প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এি কে ‘রাজনৈতিক ও আইনি বিষয়ের মাঝামাঝি একটি অবস্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ফ্রান্সের এইক্স-মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক রোমেন লে বোয়েফ বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের সবচেয়ে জটিল প্রশ্নগুলোর একটি।’ তিনি আরও বলেন, এটি ‘রাজনৈতিক ও আইনি বিষয়ের মাঝামাঝি একটি অবস্থান।’

বোয়েফ এএফপি’কে বলেন, কোন দেশ কখন ও কীভাবে স্বীকৃতি দেবে— সেটি পুরোপুরি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট নিবন্ধন অফিসও নেই।

তিনি আরো বলেন, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যেসব ঘোষণাকে স্বীকৃতি হিসেবে ধরে, তা আসলে তাদের নিজস্ব তালিকা। অন্য দেশগুলোও নিজেদের মতো করে জানিয়ে দেয় যে তারা স্বীকৃতি দিয়েছে না-কি দেয়নি। এর জন্য আলাদা করে ব্যাখ্যা দেওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না।

তবে একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন বেশ পরিষ্কার-‘স্বীকৃতি মানে এই নয় যে একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে। আবার স্বীকৃতির অভাব একটি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে আটকেও রাখে না।’

লে বোফ বলেন, স্বীকৃতির রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ দেশ বলছে, ফিলিস্তিন একটি রাষ্ট্র হওয়ার জন্য সব শর্তই পূরণ করে।

ব্রিটিশ-ফরাসি আইনজীবী ও অধ্যাপক ফিলিপ স্যান্ডস আগস্ট মাসে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি পডকাস্টে বলেন, ‘অনেকের কাছে এটি কেবল প্রতীকী মনে হতে পারে। কিন্তু প্রতীকী গুরুত্বেই আসল পরিবর্তন ঘটে। কারণ একবার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইনের চোখে একই পর্যায়ে চলে আসে।’

মন্তব্য

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে যা বললেন মাখোঁ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে যা বললেন মাখোঁ

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। গত সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং হামাসের হাতে এখনো আটক থাকা ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্ত করার সময় এসেছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা থেকে মাত্র কয়েক মুহূর্ত দূরে আছে। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না।’

এ সময় ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা যে হামলা চালান, তার নিন্দা জানিয়ে মাখোঁ বলেন, পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র তৈরির মাধ্যমে ওই এলাকায় শান্তি দেখতে চাই। কোনো কিছুই চলমান যুদ্ধের ন্যায্যতা তৈরি করে না।

এর মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া বিভিন্ন দেশের নাম উল্লেখ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। অস্ট্রেলিয়া, আন্ডোরা, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সান মারিনোসহ কয়েকটি দেশের নাম বলেন তিনি।

মাখোঁ জানান, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন একই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে।

১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে এ নিয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের দেড়শর বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Iran has executed one thousand criminals this year

চলতি বছর এক হাজার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান

চলতি বছর এক হাজার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইরান কমপক্ষে এক হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। এই সংখ্যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে নারী, আফগান নাগরিক এবং বেলুচ, কুর্দি এবং আরব নাগরিকরাও রয়েছেন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইএইচআর আরও জানিয়েছে, ইরানে শুধু গত সপ্তাহেই অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৯ জনেরও বেশি মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

এত মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে সংস্থাটি ইরানি কর্তৃপক্ষতে কারাগারগুলোতে ‘গণহত্যার অভিযান’ চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে।

আইএইচআর তথ্যানুসারে, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া হত্যার অপরাধে ৪৩ শতাংশ, নিরাপত্তা-সম্পর্কিত অভিযোগ যেমন- এফসাদ-ফিল-আরজ (পৃথিবীতে দুর্নীতি) এবং মোহারেবেহ (ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রুতা) জন্য ৩ শতাংশ, ধর্ষণের অপরাধে ৩ শতাংশ এবং বাকি ১ শতাংশের ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এসব মৃত্যুদণ্ডের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের কারাগারে গণহত্যা অভিযান শুরু করেছে, যার মাত্রা গুরুতর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার অভাবে প্রতিদিনই সম্প্রসারিত হচ্ছে। যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায্য বিচারের অধিকার ছাড়াই বন্দিদের ব্যাপক, নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান।’

প্রসঙ্গত, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ ইরান। দেশটিতে হত্যা, ধর্ষণ ও গুপ্তচরবৃত্তির মতো অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং সাধারণত ভোরবেলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump will meet with Muslim leaders discussing Gaza

গাজা নিয়ে আলোচনা, মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প

গাজা নিয়ে আলোচনা, মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প

গাজা নিয়ে আলোচনা করতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গত সোমবার জানান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে বহুপাক্ষিক বৈঠক করবেন ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, বৈঠকে ট্রাম্প গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থার জন্য একটি প্রস্তাবনা দেবেন। এতে জিম্মিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলের প্রত্যাহার এবং হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকবে।

ওয়াশিংটন চাইছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে রাজি হোক যেন ইসরায়েল তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করতে পারে এবং পুনর্গঠন ও অর্থায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

ট্রাম্প জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও ভাষণ দেবেন। এক দিন আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং পর্তুগাল জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি ঐতিহাসিক কূটনৈতিক পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই স্বীকৃতি আসলে চরমপন্থাকে পুরস্কৃত করছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক জাতিসংঘ তদন্ত, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা এটাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, এটি তাদের আত্মরক্ষার অংশ, কারণ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের আক্রমণে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত এবং আরও ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া ও কাতারেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি আসলে হামাসকে পুরস্কার’

বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে আসলে হামাসকে পুরস্কৃত করা বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা সংঘাত বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ আসলে ‘হামাসকে পুরস্কার’ দেওয়ার সমান। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

লেভিট বলেন, ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। তিনি মনে করেন, এটি গাজায় জিম্মিদের মুক্ত করতে কোনো ভূমিকা রাখছে না, যা এখনকার মূল লক্ষ্য। এছাড়া এটি সংঘাত শেষ করতেও কোনো কাজে আসবে না।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প স্পষ্টভাবে মনে করেন এটা হামাসকে পুরস্কার দেওয়া … তার মতে, তার বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর পক্ষ থেকে এসব সিদ্ধান্ত কেবল কথার ফুলঝুরি, কাজের কিছু নয়।

এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ঠিক আগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা ও পর্তুগালের পর ফ্রান্সও পশ্চিমা দেশগুলোর সেই তালিকায় যোগ দিল, যারা সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এই স্বীকৃতিকে ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো যখন গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে