× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
5 percent of Gaza is in Israels occupation of Palestinians in their land
google_news print-icon

গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা

গাজার-৫০-শতাংশ-ইসরায়েলের-দখলে-নিজ-ভূমিতে-পরবাসী-ফিলিস্তিনিরা
ছবি: সংগৃহীত

গত মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরুর পর ক্রমাগতভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত উপত্যকাটির ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলি সেনা ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, গাজা সীমান্তের আশপাশে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, কৃষিজমি এবং অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব এলাকা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সামরিক বাফার জোনের পরিধি দ্বিগুণ করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতের মাধ্যমে বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে চাপ দেওয়ার সাময়িক প্রয়োজনের অজুহাতে হামলা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গাজার ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে ইসরায়েল।

তবে মানবাধিকার গোষ্ঠী ও গাজা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের দখলে থাকা অঞ্চলটির উত্তর-দক্ষিণের ভূমিকে বিভক্ত করা করিডোরটি দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে বলেছেন, হামাস পরাজিত হওয়ার পরও ইসরায়েল গাজায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে এবং ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হবে।

পাঁচ ইসরায়েলি সেনা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে ধ্বংসযজ্ঞ এবং বাফার জোনের ধারাবাহিক সম্প্রসারণ ১৮ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চলমান।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যে দলটি ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তাদের সুরক্ষায় মোতায়েন করা ট্যাংক স্কোয়াডের এক সদস্য বলেন, ‘তারা যা কিছু পেয়েছে, তাই ধ্বংস করেছে। তাদের সামনে যা কিছু কার্যকর মনে করছে, তারা সেখানেও তারা গুলি করেছে ...যাতে (ফিলিস্তিনিদের) ফিরে আসার কিছুই না থাকে। তারা আর ফিরতে পারবে না, কখনই না।’ নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি এবং আরও চার সেনা এপিকে এসব কথা বলেন।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বাফার জোনে থাকা সেনাদের বিবরণ নথিভুক্ত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দখলদারবিরোধী ভেটেরান্স গ্রুপ ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। হাতেগোনা কয়েকজন সেনাদের মধ্যে কয়েকজন এপির সঙ্গে আলাপও করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলটিকে একটি বিশাল পতিতভূমিতে পরিণত করছে বলে জানিয়েছেন।

গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘ব্যাপক, পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী ভবিষ্যতে ওই এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি তৈরি করেছে।’

সৈন্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা তার দেশকে রক্ষার জন্য এবং বিশেষত ৭ অক্টোবরের হামলায় বিধ্বস্ত দক্ষিণাঞ্চলীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা উন্নত করতে কাজ করছে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।

বিভক্ত গাজা

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের মতে, যুদ্ধের প্রথমদিকে ইসরায়েলি সেনারা সীমান্তের নিকটবর্তী গাজার এক কিলোমিটারের বেশি এলাকায় বাস করা ফিলিস্তিনিদের জোর করে সরিয়ে একটি বাফার জোন তৈরি করতে সেখানে থাকা সব স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইসরায়েলি সৈন্যরা ‘নেতজারিম করিডোর’ নামে পরিচিত গাজার একটি বিশাল ভূমিও দখল করেছে। এই করিডোরটি গাজা সিটিসহ উত্তরাঞ্চলকে সংকীর্ণ ও উপকূলীয় উপত্যকাটির বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। গোটা গাজা উপত্যকাটিতে ২০ লাখের বেশি মানুষের আবাসস্থল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশ করা একটি মানচিত্রে দেখা যায়, গত মাসে ইসরায়েল যখন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পুনরায় হামলা শুরু করে, তখন এটি বাফার জোনের আকার দ্বিগুণ করেছে। কিছু জায়গায় এটি গাজার অভ্যন্তরে তিন কিলোমিটার (১.৮ মাইল) পর্যন্ত দখলে নেয়।

বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত গবেষণার অধ্যাপক ইয়াকভ গার্ব বলেন, বাফার জোন এবং নেতজারিম করিডোর উপত্যকাটির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত। এই অধ্যাপক কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূমি ব্যবহারের ধরন পরীক্ষা করে আসছেন।

গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজায় আরেকটি করিডোর তৈরি করতে চায়—যা রাফাহ শহরকে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। গাজায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে। গাজার ওই অঞ্চলে সম্প্রতি পরিকল্পিত হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা।

বাফার জোন ‘কিল জোন’, দাবি সেনাদের

সৈন্যরা বলেছে, বাফার জোনের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। তবে এসব এলাকায় যে ফিলিস্তিনিরা প্রবেশ করেছিলেন, তাদের গুলি করা হয়েছে।

ট্যাংক স্কোয়াডে থাকা ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, একটি সাঁজোয়া বুলডোজার ভূমি সম্প্রসারণ করে একটি ‘কিল জোন’ তৈরি করেছে। ট্যাংকের ৫০০ মিটারের মধ্যে কেউ এলে, তাকে গুলি করা হয়। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

কম্পিত ও ভীত অবস্থায় তিনি বলেন, ‘অনেক সেনা ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ নিতে এ কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ তারা আমাদের হত্যা করেছে। এখন আমরা তাদের হত্যা করতে এসেছি। আমি বুঝতে পারছি যে, আমরা কেবল তাদের হত্যা করছি না, আমরা তাদের স্ত্রী, শিশু, বিড়াল, কুকুরকে হত্যা করছি। ধ্বংস করছি তাদের বাড়িঘর।’

সেনাবাহিনী বলেছে, ‘যতটা সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে’ গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তারা আক্রমণগুলো চালাচ্ছেন।

এদিকে, ২০২৩ সালের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আর পোলিও টিকার অভাবে গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
I am more rigid in Russia than Iran Trump

আমি ইরানের চেয়ে রাশিয়ায় আরও কঠোর: ট্রাম্প

আমি ইরানের চেয়ে রাশিয়ায় আরও কঠোর: ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে গত ৩ জুলাইয়ের টেলিফোন কথোপকথনের কথা স্মরণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি মনে করি ইরানের চেয়ে রাশিয়ায় আমি আরও কঠোর।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরেই কিয়েভে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালায় মস্কো।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। পুতিন নিষেধাজ্ঞাগুলো সামাল দিতে করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউক্রেনের সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমরা নিষেধাজ্ঞাগুলো নিয়ে অনেক কথা বলি। কিন্তু পুতিন বুঝতে পারেন যে, এটি আসতে পারে। তিনি একজন পেশাদার। তিনি এই সম্ভাবনা নিয়ে উত্তেজিত নন।

৩ জুলাই পুতিন এবং ট্রাম্প ফোনে কথা বলেন। এটি ছিল দেড় মাসের মধ্যে তাদের চতুর্থ এবং বছরের শুরু থেকে ষষ্ঠ কথোপকথন। ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ সাংবাদিকদের জানান, রাশিয়ান এবং মার্কিন নেতাদের মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তা প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। দুই নেতা ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি, অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Syrian authorities have removed residents because of the fiery fire

ভয়াবহ দাবানলের কারণে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ

ভয়াবহ দাবানলের কারণে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ

সিরিয়ার উপকূলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে বড় ধরনের দাবানলের কারণে আবাসিক এলাকাগুলো থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় কয়েক দিন ধরে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। দমকল কর্মীরা প্রবল বাতাস এবং তীব্র খরার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন।

দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, লাতাকিয়া প্রদেশের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল কাফি কায়্যাল রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাকে বলেন, কাস্তাল মা’আফ এলাকায় ছড়িয়ে পড়া দাবানল আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছেন।

সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স (যা হোয়াইট হেলমেটস নামেও পরিচিত) জানিয়েছে, ‘উঠে আসা ধোঁয়ার বিস্তার উপকূলীয় পর্বতমালার উত্তরাংশ, হামা শহর ও তার আশপাশ এবং দক্ষিণ ইদলিব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।’

তারা আরও জানায়, ‘লাতাকিয়ার গ্রামীণ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের কারণে অনেক বাগানের ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে।’

নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, কেউ যদি সন্দেহভাজনভাবে আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তার সম্পর্কে যেন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে খরা ও দাবানলের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিরিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়— সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি তীব্র তাপপ্রবাহ, কম বৃষ্টিপাত এবং বড় বড় দাবানলের সম্মুখীন হচ্ছে।

গত জুনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এএফপিকে জানায়, সিরিয়া গত ৬০ বছরে এমন খারাপ জলবায়ু পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।

সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, নজিরবিহীন খরার কারণে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারে।

দেশটি একইসঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ধকলেও বিপর্যস্ত। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসানের পরবর্তী রূপান্তরও এখনো চলমান রয়েছে।

কায়্যাল বলেন, ওই অঞ্চলে আগের যুদ্ধের রেখে যাওয়া মাইন ও অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধারকাজকে ব্যাহত করছে। পাশাপাশি প্রবল বাতাস আগুন ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Niger attacks 3 soldiers injured in the attack

নাইজারে হামলায় ১০ সেনা নিহত, আহত ১৫

নাইজারে হামলায় ১০ সেনা নিহত, আহত ১৫

নাইজারের পশ্চিম সীমান্তের কাছে বুরকিনা ফাসোতে শুক্রবার সন্দেহভাজন জিহাদিদের জোড়া হামলায় ১০ জন সেনা নিহত ও ১৫ সেনা আহত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নাইজারের নিয়ামে থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া ৪১ জন হামলাকারীও নিহত হয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি বর্তমানে সামরিক জান্তা কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

গত এক দশক ধরে আল-কায়েদা ও ইসলামিক জিহাদি সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক জান্তা লড়াই করছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল সালিফু মোদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কয়েক শত হামলাকারী একযোগে গোথেয় বিভাগের বোলাউন্ডজৌঙ্গা ও সামিরায় হামলা চালিয়েছে।

জাতীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় ১০ জন সৈন্য নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, শত্রুপক্ষের ৪১ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

গোথিয়ে বিভাগটি মালি ও বুরকিনা ফাসো সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং দীর্ঘদিন ধরে জিহাদি হামলার জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump will sign the Big Beautiful Bill on the United States Independence Day

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ সই করবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ সই করবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধান অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এ সই করবেন। বিলটিতে রয়েছে বিপুল করছাড়, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি ও অভিবাসী বহিষ্কারে বরাদ্দ—যা তার র‌্যাডিকাল দ্বিতীয় মেয়াদের রূপরেখা স্থাপন করে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, এ উপলক্ষে হোয়াইট হাউজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আতশবাজি, যুদ্ধবিমান প্রদর্শন এবং ইরানে বোমাবর্ষণে অংশ নেওয়া বিমানচালকদের উপস্থিতি থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘যেমনটা প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই চেয়েছেন, এই ঐতিহাসিক বিলটি স্বাধীনতা দিবসে সই করা হবে।’

অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও অংশ নেবেন। তিনি জানান, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ২২ জুন বোমা হামলায় ব্যবহৃত বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান এবং যুদ্ধবিমানগুলো ৪ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।

আইওয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমেরিকা পৃথিবীর ‘হটেস্ট’ দেশ, এটা আমাদের স্বর্ণলী যুগ। এই বিল সইয়ের মাধ্যমে আমি আমার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি।’

বিলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানো, অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালানো এবং করছাড় সম্প্রসারণে ৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে আগামী এক দশকে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঘাটতি বাড়বে এবং গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চালু থাকা মেডিকেইড ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁট করা হবে।

অনুমান করা হচ্ছে, এর ফলে ১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন নাগরিক তাদের স্বাস্থ্যবীমা হারাতে পারেন এবং বহু গ্রামীণ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বিলটি কংগ্রেসে পাস করাতে ট্রাম্পের চাপের মুখে রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন শেষ রাতে দলীয় সমর্থন নিশ্চিত করেন। শেষ পর্যন্ত বিলটি হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২১৮-২১৪ ভোটে পাস হয়।

এমনকি ট্রাম্পের সাবেক ঘনিষ্ঠ সহচর ইলন মাস্কও এ বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন।

ডেমোক্র্যাটরা আশা করছেন বিতর্কিত এই বিলের কারণে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তারা হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পেতে পারে। তাদের মতে, বিলটি ‘নিম্নবিত্ত থেকে ধনীদের কাছে সম্পদ স্থানান্তরের এক নগ্ন উদাহরণ’।

ট্রাম্প অবশ্য এসব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা জিতেছি। আমরা আমেরিকাকে আরও মহান করে তুলেছি।’

মন্তব্য

গাজার সকল জিম্মিকে ফেরানোর অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর

গাজার সকল জিম্মিকে ফেরানোর অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় হামাসের হাতে আটক সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন।

এদিকে, গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) ইসরাইলের চলমান অভিযানে ৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

গাজা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

নেতানিয়াহু জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে তীব্র চাপের মুখে রয়েছেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইসরাইল হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা জিম্মিদের মুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।

নির ওজ কিবুত্স এমন এক ইসরাইলি বসতি, যেখান থেকে ২০২৩ সালের হামাস হামলায় সবচেয়ে বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়, যা যুদ্ধের সূত্রপাত করে। ঐ বসতির উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমার একটি গভীর প্রতিশ্রুতি আছে, সবার আগে আমি আমাদের সব অপহৃতকে ফিরিয়ে আনব, একজনকেও ফেলে রাখব না।’

নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেবেন।

ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান কিনা। জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গাজার মানুষদের নিরাপদ দেখতে চাই, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা নরকের মধ্য দিয়ে গেছে।’

ইসরাইলের নেতারা হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে অটল রয়েছেন, যদিও মঙ্গলবার হামাস জানিয়েছে যে তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে।

এদিকে, ইসরাইল সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় তার সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে। হামাসের বিরুদ্ধে তাদের এই যুদ্ধ ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার প্রায় সকলকেই বাস্তুচ্যুত করেছে।

অনেকেই স্কুল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন, তবে ইসরাইলি হামলায় বারবার এসব স্কুলও আক্রান্ত হয়েছে। সামরিক বাহিনী প্রায়শই দাবি করে যে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার একটি স্কুলে ইসরাইলের হামলায় ১৫ জন মারা গেছেন, যেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি এএফপি’কে জানান, সামরিক হামলা ও গুলিতে গাজায় মোট ৭৩ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জন ছিল যারা মধ্য ও দক্ষিণ গাজার তিনটি স্থানে মানবিক সাহায্যের অপেক্ষায় ছিলেন। উত্তর জাবালিয়ায় ড্রোন হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে।

গাজায় গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতা এবং অনেক এলাকায় পৌঁছানোর অসুবিধার কারণে এএফপি সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির দেওয়া হতাহতের সংখ্যা ও বিবরণ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Phonely with Putin has not progressed on Ukraine in Ukraine Trump

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনালাপে ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পরে তিনি এ কথা বলেন।

অন্যদিকে, ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনে নিজের লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে অনড় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইউক্রেনে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন কিয়েভের জন্য অস্ত্র সরবরাহও সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, এটি বেশ দীর্ঘ ফোনালাপ ছিল। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি, যার মধ্যে ইরান ও ইউক্রেন যুদ্ধও ছিল। কিন্তু আমি ইউক্রেন বিষয়ে সন্তুষ্ট নই।

যুদ্ধ অবসানে চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের ট্রাম্প জবাবে বলেন, ‘না, তাঁর (পুতিনের) সঙ্গে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’

ট্রাম্পের এমন হতাশাজনক মন্তব্য পূর্ববর্তী ফোনালাপগুলোর প্রতিক্রিয়ায় ছিল না। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় গ্রহণের পর পুতিনের সঙ্গে পাঁচবার ফোনালাপ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সবগুলো নিয়েই আশাবাদী সুরে কথা বলেছিলেন তিনি।

তবে সম্প্রতি রুশ নেতার প্রতি ট্রাম্পের হতাশা বেড়েছে। ইরান-ইসরাইল সংকটে মধ্যস্থতার জন্য পুতিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প তাকে ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।

মস্কোয়, ক্রেমলিন জানিয়েছে, ফোনালাপটি প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং পুতিন স্পষ্ট করে বলেন যে রাশিয়া তার লক্ষ্য থেকে সরে আসবে না।

‘আমাদের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়া তার নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো অর্জন করবে। অর্থাৎ, বর্তমান পরিস্থিতির যে মূল সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে,’ সাংবাদিকদের জানান ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।

তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়া এই লক্ষ্যগুলো থেকে কোনোভাবেই সরে আসবে না।’

রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনে তাদের ‘সর্বাধিক লক্ষ্য’ হিসেবে ন্যাটোর সদস্যপদ ত্যাগ এবং কিয়েভের অবস্থান পরিবর্তনের দাবি করে আসছে।

- ডেনমার্কে জেলেনস্কি -

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং রাশিয়া এখন পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

তবুও পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন যে, মস্কো আলোচনার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। উশাকভ জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক ও সমঝোতার ভিত্তিতে সংকটের সমাধান খুঁজছি।

যদিও মাসের পর মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিতে অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

কিয়েভ ও এর পশ্চিমা মিত্রদের অভিযোগ, পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Student Visa application again launched the United States

স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন আবারও চালু করল যুক্তরাষ্ট্র

স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন আবারও চালু করল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা হাজারো শিক্ষার্থীর জন্য আশার আলো জ্বালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের ছাত্র ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। এ উপলক্ষে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র মিগনন হিউস্টন এক কঠোর বার্তা দিয়েছেন—এই ভিসার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। খবর এনডিটিভির।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভিসানীতিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই জাতীয় নিরাপত্তাকে। কোনো শিক্ষার্থী যদি ভিসার অপব্যবহার করে, ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা পড়াশোনার নামে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আসে, তাহলে তা আমরা বরদাশত করব না।

হিউস্টন মনে করিয়ে দেন, ভিসা শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের টিকিট নয়, বরং এটি আচরণ, উদ্দেশ্য ও সৎ প্রয়াসেরও প্রতীক। তিনি বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা করতে আসে, শিখে ফিরে যায়, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার অংশ না হয়। আমরা অন্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একটি গঠনমূলক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চাই।

এই বক্তব্য স্পষ্টতই প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্র এখন শুধু মেধা খুঁজছে না, খুঁজছে নৈতিক দায়বদ্ধতা। মিগনন হিউস্টনের বক্তব্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক। তার কথায়, ভারত শুধু বাণিজ্যিক অংশীদার নয়, এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্তম্ভ। কোয়াড ও সামগ্রিক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ভারতের ভূমিকা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এমন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় যা ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক।

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমার বিশ্বাস, আমরা ভারতের সঙ্গে শিগগির একটি নতুন ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছি। এখন ভারত মার্কিন কোম্পানিকে যথাযথ প্রবেশাধিকার দেয় না। আমি মনে করি তারা তা দেবে, এবং তাতে কম ট্যারিফে ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তি সম্ভব হবে।

এ বক্তব্যে স্পষ্ট, চুক্তি শুধু অর্থনৈতিক নয়—এটি একটি কূটনৈতিক ও কৌশলগত অগ্রগতি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

এনডিটিভি বলছে, একদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে, অন্যদিকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে চলেছে। ভিসা, বাণিজ্য, এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব—সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গতি দ্রুততর এবং বহুমাত্রিক।

মন্তব্য

p
উপরে