× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Interim Government to play key role in establishing peace stability US
google_news print-icon

শান্তি-স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: যুক্তরাষ্ট্র

শান্তি-স্থিতিশীলতা-প্রতিষ্ঠায়-অন্তর্বর্তী-সরকার-গুরুত্বপূর্ণ-ভূমিকা-রাখবে-যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নেবে সেগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে আজ বৃহস্পতিবার যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে, তাকে দেশটির গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সূত্র: ইউএনবি

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নেবে সেগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন মিলার।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছে।’

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সবশেষ ভিডিও বার্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘নিজ দেশের কোনো নাগরিকের বক্তব্য নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে এবং সামনে কী পদক্ষেপ দেখতে চায় তা জানিয়েছে।’

মিলার বলেন, ‘যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, তারা যেন গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কাজ করে সেটি দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্ভব নয়।’

বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলব। আমরাও একটি জঙ্গিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই। সে বিষয়ে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত, যদি তারা জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা নির্মূল করে। শেখ হাসিনা মারা যাননি। আমরাও কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্ভব নয়।’

দলের নেতাকর্মীদের সাহসের সঙ্গে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে (আপনাদের সঙ্গে) আছি।’

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Childrens use of social media is banned in Australia

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। এ বিষয়ে যে আইন হতে যাচ্ছে তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

অ্যালবানিজ মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’

গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Yunus is backed by the US Senate Majority Whip

ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন

ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াশিংটন ডিসিতে সোমবার সিনেটে ফ্লোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে বাসস জানায়, হুইপ সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সিনেটে ফ্লোর নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কয়েক দশক ধরে হয়রানির শিকার হওয়া ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানান।

ডারবিন তার মন্তব্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়া ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির বিকাশে ড. ইউনূসের জীবনব্যাপী কাজ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।

তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের লক্ষ্যে তার প্রথম বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন।

ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি আজ তাকে (ড. ইউনূস) আমার পূর্ণ সমর্থন দিতে যাচ্ছি। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমি ২০ বছর আগেও করেছি এবং আজও করছি। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও তাকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।

‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার ক্ষমতাচ্যুতির কয়েকদিন পর অধ্যাপক ড. ইউনূস নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের শপথ নেন।

ডারবিন বলেন, ‘গত মাসে আমার বিস্ময়ের কথা কল্পনা করুন..., জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হাসিনা অবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যে ছাত্ররা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে তারা দাবি করে যে তাদের দেশের নেতা হবেন কেবলমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই একই অর্থনীতির অধ্যাপক, যার সঙ্গে ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে আমার দেখা হয়েছিল।

’আমি তার সৌভাগ্যের কথা শুনে তাকে (ড. ইউনূস) ফোন করি। তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশের মানুষ এখন এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’

ডারবিন জুলাই মাসে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানির নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশে তিন সহকর্মীর নেতৃত্ব দেন। এতে তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ড. ইউনূসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে এবং তার বিরুদ্ধে আনা সন্দেহজনক অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে ডারবিন ও তার সহকর্মীদের একটি চিঠি পাঠানোর পর এই বিবৃতি দেয়া হয়।

এ গ্রীষ্মের শুরুতেও ডারবিন সিনেট ফ্লোরে এক বক্তব্যে ড. ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ১০০ জনেরও বেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক প্রচারণার নিন্দা জানিয়েছেন।

ডারবিন ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ইউনূসকে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন। পরে ২০১৩ সালে ইউনূসকে এই পদক প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
ড. ইউনূসের প্রতি ১৯৭ বিশ্বনেতার দৃঢ় সমর্থন ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি
ভারতে চুপ থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে: পিটিআইকে ইউনূস
চলতি মাসে ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Junta government naval base in Rakhine under control of Arakan Army

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি ছবি: সংগৃহীত
আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে বিপুল সেনার সমাবেশ ঘটায়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির অবস্থানে হামলা চালানো হয়। তারপরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি।

মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ)। রাখাইনের জাতিগত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেছে।

আরাকান আর্মি বিবৃতিতে বলেছে, এক মাস তুমুল লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থানদের নাগপালি সৈকতের অদূরে নেভি সিল ট্রেনিং সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।

আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ওই ঘাঁটির নাম সেন্ট্রাল নেভাল ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ডিপো (সিএনডিএসডি)। প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নৌ সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিল প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

জান্তা বাহিনীর এই নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ৭ আগস্ট বড় পরিসরে অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। প্রথমে নৌঘাঁটির আশপাশের গ্রামে মোতায়েন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় তারা।

আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে এক হাজার ২০০ জনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল। পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত নৌসেনারাও লড়াইয়ে অংশ নেয়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এত কিছুর পরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি বলে আরাকান আর্মির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

আরাকান আর্মির দাবি, নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত এক মাসের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে তারা।

জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই জোট বড় পরিসরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
রাখাইনে সংঘাত, সীমান্তে ফের জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা
মংডুতে সেনা ক্যাম্পের দখল নিয়ে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
মিয়ানমার থেকে আসা গুলির শব্দে টেকনাফে নির্ঘুম রাত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Harris Trump first debate is Tuesday

হ্যারিস-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক মঙ্গলবার

হ্যারিস-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক মঙ্গলবার কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন মঙ্গলবার। কোলাজ: নিউজবাংলা
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় মঙ্গলবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কী মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এই টেলিভিশন বিতর্ককে নির্বাচনী প্রচারে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এবিসির আয়োজনে মঙ্গলবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায়। হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে এটি প্রথম এবং সম্ভবত শেষ টেলিভিশন বিতর্ক হতে যাচ্ছে।

বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কী মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।

এর আগে জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। এর ধারাবাহিকতায় ডেমোক্র্যাট শিবিরের অভ্যন্তরীণ চাপে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ডেমোক্রেট দলের কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এদিকে লাখ লাখ আমেরিকান সামনের কাতারে থেকেই নির্বাচনি লড়াইয়ে মরিয়া উভয় প্রার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ এই বিতর্ক প্রত্যক্ষ করবেন। এই বিতর্ককে উভয় প্রার্থীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আমেরিকার নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

মঙ্গলবারের টেলিভিশন বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস ভোটের মাঠে প্রবেশের কারণে ৭৮ বছরের ট্রাম্প হয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী।

রুটজার্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশনের এরিন ক্রিস্টি বলেছেন, ‘বয়স বিবেচনায় এমন একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনও মুখোমুখি হননি। তাই এই বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারক।’

হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবারের এ বিতর্কই হতে পারে শেষ বিতর্ক। কারণ এখনও পর্যন্ত উভয়ের কেউই নতুন বিতর্কের বিষয়ে সম্মতি দেননি।

আরও পড়ুন:
জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন কমলা হ্যারিস
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দা
ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত
ট্রাম্প নিরাপদ আছেন: সিক্রেট সার্ভিস
ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা, ঐক্যের ডাক বাইডেনের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Thailands youngest Prime Minister is Thaksins daughter Payatangtarn Shinawatra

থাইল্যান্ডের নবীনতম প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকন্যা পায়তংতার্ন সিনাওয়াত্রা

থাইল্যান্ডের নবীনতম প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকন্যা পায়তংতার্ন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের নবীনতম প্রধানমন্ত্রী পায়তংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: এপি
ফিউ থাই পার্টির নেতা শ্রেথা থাভিসিনের উত্তরসূরি হচ্ছেন পায়তংতার্ন। গত বুধবার সাংবিধানিক আদালত থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পায়তংতার্ন সিনাওয়াত্রার মনোনয়ন অনুমোদন করেছে পার্লামেন্ট।

এর মধ্য দিয়ে দেশটির নবীনতম প্রধানমন্ত্রী হলেন বিলিয়নেয়ার থাকসিন সিনাওয়ার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।

আল জাজিরা শুক্রবার জানায়, ফিউ থাই পার্টির নেতা শ্রেথা থাভিসিনের উত্তরসূরি হচ্ছেন পায়তংতার্ন। গত বুধবার সাংবিধানিক আদালত থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করে।

৩৭ বছর বয়সী পায়তংতার্ন উং ইং নামেই বেশি পরিচিত। বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার পর একই পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হলেন তিনি।

থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনী, রাজাপন্থি প্রভাবশালী ও থাকসিন সিনাওয়াত্রা সমর্থিত দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের সর্বশেষ প্রতিফলন দেখা গেল শ্রেথা থাভিসিনের ক্ষমতাচ্যুতিতে। ২০০১ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন থাকসিন। ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন তিনি।

গত বছর ফিউ থাই পার্টির সরকার গঠনের দিন থাইল্যান্ডে ফেরেন থাকসিন।

ফিউ থাইয়ের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে পায়তংতার্নকে মনোনয়ন দেয়। জোটের অন্য ১০ দল কোনো বিকল্প না দেয়ায় থাকসিনকন্যাই প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হন।

আরও পড়ুন:
স্বেচ্ছানির্বাসনের ১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা
থাইল্যান্ডের নির্বাচনে সেনাদের ভরাডুবি, জয়জয়কার সংস্কারপন্থিদের
ভোট গণনায় এগিয়ে থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে
থাইল্যান্ডে ভোট গ্রহণ চলছে, এগিয়ে থাকসিনের মেয়ে
ভোটের আগে মা হলেন থাই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
India is in turmoil over the rape and murder of a medical student

মেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল ভারত

মেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল ভারত ছবি: সংগৃহীত
মোমবাতি ও পোস্টার হাতে নিয়ে নারীরা কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে মিছিল করেছে। কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন শহরে সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে ভারত জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গসহ দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে কঠোর শাস্তির আহ্বান জানিয়েছে।

মোমবাতি ও পোস্টার হাতে নিয়ে নারীরা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে মিছিল করেছে। কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে গত সপ্তাহে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সহকর্মী চিকিৎসকরা আরও ভাল ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

জুনিয়র ডাক্তাররা নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে বাইরে বসে প্রতিবাদ করায় ভারতের বিভিন্ন শহরে অনেক সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাসেবা স্থগিত রয়েছে।

শুক্রবার ৩১ বছর বয়সী ওই চিকিৎসককে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে যে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত একজন পুলিশ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি এই ক্ষোভের মাধ্যমে অনুভব করতে পারছি যে সমাজে আমাদের মা, কন্যা ও বোনদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এ নিয়ে দেশে ক্ষোভ বিরাজ করছে।’

এই ধর্ষণ ঘটনা ২০১২ সালে নয়াদিল্লির একটি ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সেখানে একদল লোক দিল্লির চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত সেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
ভারি বৃষ্টি: পুনেতে চারজনের মৃত্যু, বন্ধ স্কুল
জম্মু-কাশ্মীরে গোলাগুলিতে মেজরসহ চার ভারতীয় সেনা নিহত
ভারত রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের বন্ধু: কাদের
উত্তর প্রদেশে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১২১
ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নারী-শিশুসহ নিহত ১০৭

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Hilsa export is stopped the price is increasing in India

ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে বাড়ছে দাম

ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে বাড়ছে দাম
শঙ্কর পাল নামে কলকাতার এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশি ইলিশের সরবরাহে আকস্মিক পতন ঘটেছে, তাই দাম বাড়ছে। আমরা এরই মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ রুপিতে বিক্রি করছি, যা অবৈধভাবে আসছে।’

প্রতি বছর মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ‘উপহার’ হিসেবে ভারতে ইলিশ যাওয়াটা ছিল অনেকটাই নিশ্চিত। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চিত্র বদলে গেছে।

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি এখন বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের বাজারে সুস্বাদু এই মাছের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার অবৈধপথে ভারতে কিছু ইলিশ গেলেও সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে ভারতের বাজারে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার জনপ্রিয় মাছের বাজারগুলো চলতি বর্ষায় ‘বেস্ট সেলার’ পদ্মা নদীর ইলিশের সংকটে পড়েছে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। তবে এই মাছটি সীমান্তের অপর পাশে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের মানুষের কাছেও খুব প্রিয়।

এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ইলিশের সিংহভাগই পেয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। দুর্গা পূজা ঘিরে সুস্বাদু এই মাছের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। ইলিশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেই পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়।

শঙ্কর পাল নামে কলকাতার এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশি ইলিশের সরবরাহে আকস্মিক পতন ঘটেছে, তাই দাম বাড়ছে। আমরা এরই মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ রুপিতে বিক্রি করছি, যা অবৈধভাবে আসছে।’

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিখ্যাত ইলিশ কূটনীতির অংশ হিসেবে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে বার্ষিক ইলিশ রপ্তানির সুবিধা দিতেন। ২০১২ সাল থেকে অন্যান্য দেশে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ভারতে মাছ রপ্তানির অনুমতি দিতো হাসিনার সরকার।

এনডিটিভি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পরে ইলিশ সরবরাহের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছে ত্রিপুরা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটি পদ্মার ইলিশের অন্যতম প্রধান ক্রেতা এবং সেখানে সুস্বাদু এই খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আগরতলার মাছ বিক্রেতা তাপস সরকার বলেন, ‘সরবরাহ কমে গেছে। তাই আমাদের দাম বাড়াতে হবে। আজ প্রতি কেজি ইলিশ ১৬০০ রুপিতে কিনেছি। আগে এটি ১৫০০ রুপি, এমনকি ১৪০০ রুপিতেও বিক্রি হতো। শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে আসা অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে।’

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয় ​​সাহাই গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের কারণে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা অনুমান করছি। আমরা প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে আসছিলাম।’

আরও পড়ুন:
বছরে ইলিশ উৎপাদন প্রায় ৬ লাখ টন
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

মন্তব্য

p
উপরে