× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
33 Palestinians freed from Israel in the second phase of the ceasefire
google_news print-icon

ইসরায়েল থেকে মুক্ত ৩৩ ফিলিস্তিনি, হামাস ছাড়ল ১১ জনকে

ইসরায়েল-থেকে-মুক্ত-৩৩-ফিলিস্তিনি-হামাস-ছাড়ল-১১-জনকে--
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক যুবক চুম্বন করছেন তার মাকে। ছবি: এএফপি
আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।

ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুদিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে আরও ৩৩ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি ১১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আগের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয় সোমবার, এর পর নতুন করে মঙ্গল ও বুধবারের জন্য যুদ্ধে বিরতি দিতে সম্মত হয় দু পক্ষ। এরই অংশ হিসেবে ওই জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল থেকে মোট ৩০টি শিশু ও দুজন নারীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আর হামাস ছেড়ে দিয়েছে ১১ জনকে।

এর আগে সোমবার গাজার শাসক দল হামাস বিবৃতিতে জানায়, কাতার ও মিসরের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাসহ নানা তৎপরতায় গত শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। পরে দুদিন বেড়েছে এই চুক্তির মেয়াদ।

ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।

আরও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন
গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চুক্তির কাছাকাছি মিসর কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষ হচ্ছে সোমবার, মেয়াদ বাড়াতে চায় সব পক্ষই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Four countries including Israel Saudi Iran have issued strict warnings on Syrian territory

সিরীয় ভূখণ্ডে ইসরায়েল, সৌদি-ইরানসহ চার দেশের কড়া হুঁশিয়ারি

সিরীয় ভূখণ্ডে ইসরায়েল, সৌদি-ইরানসহ চার দেশের কড়া হুঁশিয়ারি সিরিয়া অভিমুখে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
সিরীয় একটি সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ইতোমধ্যে কাতানা শহরে পৌঁছে গেছে। শহরটি বাফার জোন থেকে কয়েক কিলোমিটার পূর্বে ও দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও কাতার বলেছে- ইসরায়েলের এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।

বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় উপর্যুপরি বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশটির একাধিক সেনা ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামরিক ট্যাংক দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

ইসরায়েলের এই আগ্রাসনকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ। সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও কাতার পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করছে।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গোলান মালভূমি একটি আরব ভূখণ্ড এবং ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ড সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। মুখপাত্র এসমাইল বাঘায়ি সতর্ক করে বলেছেন, এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।

ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ গুরুতর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ড সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের প্রতি স্পষ্ট আঘাত। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েলের দখলদারত্বের নীতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও সহিংসতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।

এদিকে ইসরায়েল দাবি করছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অস্ত্র যাতে অন্য কোনো শত্রুর হাতে না যায় সে লক্ষ্যে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকার নির্ধারিত বাফার জোনের বাইরে সিরীয় ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রবেশ করেনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক কর্মকর্তা বলেছেন, দামেস্ক অভিমুখে ইসরায়েলি ট্যাংকের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সব প্রতিবেদন মিথ্যা। আইডিএফের সৈন্যরা বাফার জোনে অবস্থান করছে।

ইসরায়েল বলেছে, তারা সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাত চায় না। তবে সিরিয়ার সামরিক অস্ত্র যাতে শত্রুর হাতে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে গত তিনদিন ধরে সিরিয়াজুড়ে সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে তারা।

সোমবার রাতে সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দু’শতাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

তবে মঙ্গলবার অন্তত তিনটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা বাফার জোন অতিক্রম করেছে।

সিরীয় একটি সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ইতোমধ্যে কাতানা শহরে পৌঁছে গেছে। এই শহরটি বাফার জোন থেকে কয়েক কিলোমিটার পূর্বে ও দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত।

আরও পড়ুন:
ক্ষমতাচ্যুত বাশারকে জবাবদিহি করতে হবে: বাইডেন
আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি?
সিরিয়ার রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, অজ্ঞাত স্থানে আসাদ
আলেপ্পোর পর হামা বিদ্রোহীদের দখলে, পিছু হটছে সরকারি সেনা
গাজায় গণহত্যা এখনই বন্ধ করতে হবে: অ্যামনেস্টি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bangladesh is elected Vice President of UNHRC

বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত

বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার কাউন্সিলের ব্যুরোতে কাজ করবেন।

বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার জোরদার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়েছে, সোমবার বিকেলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সাংগঠনিক অধিবেশনে ২০২৫ সালের কর্মকাণ্ড নির্ধারণী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার কাউন্সিলের ব্যুরোতে কাজ করবেন।

মানবাধিকার কাউন্সিলের কার্যালয়ে একজন প্রেসিডেন্ট এবং চারজন ভাইস প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন।

ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের (এপিজি) প্রতিনিধিত্বকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্থায় কাজ করার সময় এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

এপিজি সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতা সমর্থন করে এবং কাউন্সিলের বৃহত্তর সদস্যপদ বিবেচনার জন্য মনোনয়ন দেয়।

অবশেষে প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সমাপ্ত হয়, যখন বাংলাদেশ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য কাউন্সিল সদস্যদের সর্বসম্মত সমর্থন অর্জন করে।

২০০৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের এই মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ও বিশ্বাস এবং বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও ক্রমবর্ধমান প্রভাবের স্বীকৃতির আরেকটি উদাহরণ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dr Yunus is in the top ten of Nature magazine

নেচার ম্যাগাজিনের শীর্ষ দশে ড. ইউনূস

নেচার ম্যাগাজিনের শীর্ষ দশে ড. ইউনূস
বিজ্ঞান বিষয়ক ব্রিটিশ সাময়িকী নেচার সোমবার ‘দ্য রেভ্যুলিউশনারি ইকোনমিস্ট হু বিকাম দ্য আনলাইকলি লিডারস অফ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রাখা তালিকাভুক্ত ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

জ্ঞানের নানা শাখায় অবদান বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির তালিকা করেছে প্রভাবশালী বিজ্ঞান বিষয়ক ব্রিটিশ সাময়িকী ‘নেচার’। ২০২৪ সালের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সাময়িকীটি সোমবার ‘দ্য রেভ্যুলিউশনারি ইকোনমিস্ট হু বিকাম দ্য আনলাইকলি লিডারস অফ বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রাখা তালিকাভুক্ত ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভের পর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ছাত্রনেতারা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। নেতৃত্বের কাজটি ড. ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ছয় দশকের কর্মজীবনে দারিদ্র্য বিমোচনে লড়াই করার জন্য ধারণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার কাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমস্যা নির্ধারণ করে তা সমাধানের জন্য গবেষণা করা।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছর ধরে কাজ করা অ্যালেক্স কাউন্টস বলেছেন, ‘তার বয়স আশির কোটায়। তবে তার শারীরিক ও মানসিক শক্তি এখনও অটুট। তিনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ এবং তার যোগাযোগ পদ্ধতিও দুর্দান্ত।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. ইউনূস। এরপর পড়াশুনার জন্য ১৯৬০-এর দশকে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন। তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনীতি ও পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন ইউনূস। দেশ গঠনে নিজের ভূমিকার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রোক্রেডিটের জন্য পরিচিত পেয়েছেন ড. ইউনূস। ওই ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণ ১০০ ডলার বা তার চেয়ে কম। তিনি দেখিয়েছেন ক্ষুদ্রঋণ সমাজের প্রান্তিক মানুষের ভাগ্য বদলে কেমন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক থাকাকালীন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেন ড. ইউনূস। তিনি একটি মডেল তৈরি করেন যেখানে ব্যবসার মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে খুব অল্প পরিমাণ ঋণ দেয়া হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে এই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসার ঘটে। বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে তার এই উদ্ভাবন। তবে এর অনেক সমালোচকও রয়েছে।

তবে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের সংস্কারে নেতৃত্ব দেয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ড. ইউনূস কি ছাত্রদের সংস্কারের দাবি পূরণে সক্ষম হবেন? বিশেষ করে দুর্নীতির অবসান, নাগরিকদের অধিকার, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কি সফল হবেন?

কার্যত সবাই এখন এ প্রশ্নটি করছে। এসবের পাশাপাশি ড. ইউনূস গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারবেন কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে: জরিপ
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার
গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: শফিকুল
নির্বাচনের তারিখ প্রধান উপদেষ্টাই ঘোষণা দেবেন: প্রেস উইং
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ousted Bashar must be held accountable Biden

ক্ষমতাচ্যুত বাশারকে জবাবদিহি করতে হবে: বাইডেন

ক্ষমতাচ্যুত বাশারকে জবাবদিহি করতে হবে: বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সিরীয় সরকারের পতন ন্যায়বিচারের মৌলিক ফল। সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ভোগান্তিতে থাকা জনগণের জন্য এই বিজয় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশ পুনর্গঠনে সিরীয় নাগরিকদের সামনে সুযোগ এসেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

হোয়াইট হাউসে রোববার দেয়া বক্তব্যে জো বাইডেন বাশারের ক্ষমতাচ্যুতিকে সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে সিরীয় নাগরিকদের সামনে ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে। এই কাজে সিরীয় নাগরিকদের সহযোগিতা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।’

সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ওয়াশিংটনকে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর উত্থানের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।

জঙ্গি গ্রুপ ইসলামিক স্টেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী নতুন করে হামলা চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাইডেন বলেন, ‘সিরীয় সরকারের পতন ন্যায়বিচারের মৌলিক ফল। সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ভোগান্তিতে থাকা জনগণের জন্য এই বিজয় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

পালিয়ে মস্কোতে আশ্রয় নেয়া প্রেসিডেন্ট বাশারের পরিণতি কী হওয়া উচিত- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন, ‘বাশার আল আসাদকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’

আরও পড়ুন:
আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি?
সিরিয়ার রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, অজ্ঞাত স্থানে আসাদ
আলেপ্পোর পর হামা বিদ্রোহীদের দখলে, পিছু হটছে সরকারি সেনা
সিরিয়ায় হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
There are only two leaders in the world including me

‘বিশ্বে আমিসহ মাত্র দুজন নেতা আছেন’

‘বিশ্বে আমিসহ মাত্র দুজন নেতা আছেন’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান বলেন, ‘আমি এটা বলছি না যে কারণ তাদের মধ্যে আমিও একজন আছি। ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি, পুতিনের প্রায় কাছাকাছি। অন্যরা চলে গেছেন।’

বর্তমানে বিশ্বে মাত্র দু’জন নেতা আছেন। তাদের একজন আমি নিজে এবং অন্যজন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান এমনটা মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইতার তাস।

এরদোয়ান বলেছেন, ‘আমি এটা বলছি না যে কারণ তাদের মধ্যে আমিও একজন আছি। ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি, পুতিনের প্রায় কাছাকাছি। অন্যরা চলে গেছেন। এবং আমরা চাই আমাদের মধ্যে সংলাপ অব্যাহত থাকবে।

‘রাজনীতিতে সংলাপ অব্যাহত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ধরুন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পদত্যাগের পর জার্মানিতে রাজনীতিও শেষ হয়ে গেছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডারকে আমি খুব সম্মান করতাম। আমাদের প্রতিও তার সম্মানবোধ ছিল ভিন্ন রকমের। সত্যিই তিনি ছিলেন খুব ভালো একজন নেতা। ‘যেমন ধরুন- রমজানের সময় তিনি আমাদের ইফতারির টেবিলে বসে কখনও বিয়ার পান করতেন না। তিনি মুসলমানদের প্রতি খুব সম্মান দেখাতেন।’

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘শ্রোয়েডারের সঙ্গে আমাদের সংলাপ এখনও চলে এবং তিনি মাঝে মাঝে তুরস্ক সফরে এলে তখনও তার সঙ্গে আমাদের সংলাপ বা আলাপ-আলোচনা হয়।’

আরও পড়ুন:
এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় প্রায় সবাই নতুন
এরদোয়ানকে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সমর্থন
ভোটের রাতে সমর্থকদের কী বললেন এরদোয়ান
এগিয়ে এরদোয়ান, আরেক দফা ভোটের সম্ভাবনা
অগ্নিপরীক্ষায় এরদোয়ান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Who is the hero of the fall of Assad?

আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি?

আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি? আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস। বাশার আল-আসাদের দেশ ছেড়ে পালানো, তার টানা দুই যুগের সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এইচটিএসের প্রধান মোহাম্মদ আল-জোলানিকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। আর এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধানের নাম আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।

এইচটিএস রোববার এক বিবৃতিতে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জালিম শাসক বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়েছেন। সিরিয়া এখন মুক্ত। এর মধ্য দিয়ে এক অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটল। আর সূচনা হলো এক নতুন যুগের।

বাশার আল-আসাদের দেশ ছেড়ে পালানো, তার টানা দুই যুগের সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এইচটিএসের প্রধান জোলানিকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘সবচেয়ে কার্যকর’ ভূমিকা পালন করেছে এইচটিএস ও এর প্রধান জোলানি।

এইচটিএস ঘোষিত লক্ষ্যই ছিল বাশার আল-আসাদের স্বৈরাচারী শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। এইচটিএস আজ এই লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দিল।

রোববার বিদ্রোহীরা দামেস্কে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জোলানি রাজধানীতে সব সামরিক বাহিনীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আশপাশে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জোলানির জন্ম একটি সচ্ছল পরিবারে, ১৯৮২ সালে। তিনি রাজধানী দামেস্কের অভিজাত এলাকা মাজেহে বেড়ে ওঠেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বরাবরই মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছেন।

জোলানির প্রকৃত নাম আহমেদ আল-শারা। তিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম পিবিএসকে বলেন যে তার গৃহীত নাম আল-জোলানি, গোলান (জোলান) হাইটসে তার পরিবারের শেকড়ের স্মারক। তিনি জানান, ১৯৬৭ সালে এই অঞ্চলটি ইসরায়েল সংযুক্ত করে নেয়ার পর তার দাদাকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

দামেস্কে থাকাকালে জোলানি ঠিক কী করতেন তা জানা যায়নি। মিডলইস্ট আই নিউজ ওয়েবসাইট জানায়, ২০০১ সালের নাইন-ইলেভেনের পর জোলানি প্রথম জিহাদি চিন্তাধারার দিকে আকৃষ্ট হন। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের পর তিনি যুদ্ধে অংশ নিতে সিরিয়া ত্যাগ করেন।

আবু মুসাব আল-জারকাভির নেতৃত্বে ইরাকে আল-কায়েদায় যোগদান করেন জোলানি। ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাকে পাঁচ বছর আটক রাখা হয়।

গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে বাশার আল-আসাদ সহিংসতার পথ বেছে নেন। এর জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

জোলানি দেশে ফিরে আসেন এবং আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে তিনি ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর আমির আবু বকর আল-বাগদাদির আনুগত্য অস্বীকার করে আল-কায়েদার আইমান আল-জাওয়াহিরির প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন।

এক সময় জোলানির মধ্যে পরিবর্তন আসে। তিনি আল-কায়েদার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ‘বিশ্বব্যাপী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার পথ থেকে সরে আসেন। এমন কিছুর পরিবর্তে সিরিয়া সীমান্তের ভেতরে নিজের গোষ্ঠীর তৎপরতা সীমাবদ্ধ করেন তিনি।

জোলানি ২০১৫ সালের মে মাসে বলেছিলেন যে আইএসের বিপরীতে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা তার নেই। তিনি আরও ঘোষণা করেছিলেন যে আসাদ পরাজিত হলে সংখ্যালঘু আলাভিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক আক্রমণ হবে না।

জোলানির এই পরিবর্তনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তারা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে জোলানির গোষ্ঠীটি বহুজাতিক বা আন্তঃদেশীয় গোষ্ঠীর বদলে একটি জাতীয় গোষ্ঠী হিসেবে আবির্ভূত হয়।

বাশার আল-আসাদ সরকার ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইদলিবের দিকে চলে যায়। সিরিয়ার এ অঞ্চল তখনও বিদ্রোহীদের দখলে। চলতি বছর জোলানি প্রকাশ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি আল-নুসরা বিলুপ্ত করেন। গঠন করেন নতুন সংগঠন জাভাত ফাতেহ আল-শাম।

২০১৭ সালের শুরুর দিকে আলেপ্পো থেকে হাজার হাজার যোদ্ধা ইদলিবে পালিয়ে আসেন। এ সময়ে বিদ্রোহীদের ছোট ছোট অনেক গোষ্ঠী ও নিজের জাভাত ফাতেহ আল-শাম নিয়ে জোলানি গঠন করেন এইচটিএস।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জোলানি বলেছিলেন যে তার আক্রমণের উদ্দেশ্য হলো আসাদকে উৎখাত করা।

জোলানি এখন স্পটলাইটে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার, বিবৃতিও দিচ্ছেন। সিরিয়ায় আগামী দিনগুলোতে কী হতে যাচ্ছে বা হতে পারে তার ইঙ্গিত পেতে জোলানি বক্তব্য শোনার জন্য সারাক্ষণ মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে আছেন সিরীয়রা।

আরও পড়ুন:
সিরিয়ায় সামরিক অ্যাকাডেমিতে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে পুনর্গঠনের অঙ্গীকার চীনের
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, চার সেনা নিহত
আরব লিগে ফিরল সিরিয়া, বক্তব্য দিলেন আসাদ
রকেটের জবাবে সিরিয়ায় গোলা ইসরায়েলের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Zelensky wants deal to end Ukraine war Trump

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি চান জেলেনস্কি: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি চান জেলেনস্কি: ট্রাম্প প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলা মস্কোর সামরিক অভিযান এবং জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শনিবার এলিসি প্রাসাদে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের সঙ্গে এক ত্রিমুখী আলোচনার আয়োজন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে তার দেশের যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহী।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে রোববার উভয় নেতার এক বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। আর এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্যারিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলা মস্কোর সামরিক অভিযান এবং জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শনিবার এলিসি প্রাসাদে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের সঙ্গে এক ত্রিমুখী আলোচনার আয়োজন করেন।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘জেলেনস্কি ও ইউক্রেন একটি চুক্তি করতে এবং যুদ্ধ-উন্মাদনা বন্ধ করতে আগ্রহী।

‘এখানে অকারণে অনেক জীবন নষ্ট হচ্ছে। অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি এটি চলতে থাকে, তবে আরও বড় এবং আরও খারাপ কিছুতে পরিণত হতে পারে। সুতরাং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হওয়া এবং আলোচনা শুরু করা উচিত।’

নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর জেলেনস্কির সঙ্গে এটি ছিল তার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।

আরও পড়ুন:
গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা এলেই পারমাণবিক যুদ্ধ: পুতিন
ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না ন্যাটো

মন্তব্য

p
উপরে