ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ও আটকে পড়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রথমবারের মতো খাবার, পানি ও ওষুধ নিয়ে ট্রাক ঢুকেছে।
মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে শনিবার দুপুরে মানবিক সহায়তার প্রথম ট্রাকটি ঢোকে বলে বিবিসির প্রতিবদেকরা ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন।
গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ওই এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাবারসহ নিত্যপণ্যের অভাবের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও।
এ অবস্থায় কদিন ধরেই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বিভিন্ন দেশসহ নানা মানবাধিকার সংগঠন। এরই প্রতিক্রিয়ায় খাবার, পানি ও ওষধু নিয়ে ২০টি ট্রাক গাজায় ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। তবে জ্বালানি নিয়ে ওই এলাকায় যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে দেশটি।
প্রতিবেদন বলছে, কয়েকটি ট্রাক মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় ঢুকেছে। তবে কতক্ষণ এই সীমান্ত খোলা থাকবে তা স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চালানো ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছে চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের ৪০ শতাংশই শিশু।
গাজায় পানি, খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দু পক্ষেরই বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই যুদ্ধে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।
এরই মধ্যে শনিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজয় না আসা পর্যন্ত গাজায় হামলা চালাবে ইসরায়েল।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের দামেস্ক ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালানোর খবরের মধ্যে দেশটির রাজধানী শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিদ্রোহীরা।
এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় হাফিজ আল-আসাদ ও তার ছেলে বাশার আল-আসাদের অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের শাসনের অবসান হলো।
আল জাজিরা রোববার জানায়, বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানীতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে সড়ক ও চত্বরগুলোতে নেমে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, যোদ্ধারা দামেস্কের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রতিশোধহীন ‘নতুন যুগের’ ঘোষণা দেয়। তাদের পক্ষ থেকে প্রবাসে থাকা সিরীয়দের দেশে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রবাসে সিরিয়ার রাজনৈতিক বিরোধীদের জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা দামেস্ককে ‘আল-আসাদ মুক্ত’ ঘোষণা করে জনগণকে অভিনন্দন জানান।
সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বাড়িতে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে চান।
একই সময়ে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রধান দল হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা মোহামেদ আল-জুলানি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেবাদাতা সংস্থায় হামলা না করতে যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এটি এখনই বন্ধ করতে হবে।
মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের নতুন প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘জেগে ওঠার’ আহ্বান জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, তাদের প্রতিবেদনটি ‘ইসরায়েলি সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের অমানবিকতা এবং গণহত্যা’, গাজা থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ধংসাত্মক ভয়াবহ তথ্য ও স্থল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টির প্রধান অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মাসের পর মাস ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক আচরণ, তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রকাশিত তথ্য দেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই জেগে ওঠা উচিত। কারণ এটা গণহত্যা। অবশ্যই এখনই এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় প্রাণঘাতী অভিযান চালানো শুরু করে। দেশটি হামাসকে চিরতরে নির্মূলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সশস্ত্র শাখা শনিবার উপত্যকায় এক আমেরিকান-ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে।
তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে জিম্মি রয়েছেন।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, ভিডিওতে এডান আলেকজান্ডারকে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ইংরেজিতে এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়হুকে হিব্রু ভাষায় সম্বোধন করতে দেখা যায়। ভিডিওটির তারিখ যাচাই করা যায়নি।
আলেকজান্ডার ৭ অক্টোবর আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বান জানান।
এডানের মা ইয়ায়েল আলেকজান্ডার শনিবার সন্ধ্যায় তেল আবিবে জিম্মিদের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘এই ভিডিও আমাকে বিচলিত করেছে। এটি আমাদের আশার অন্তরালে ইডান ও অন্যান্য জিম্মিরা বাঁচার প্রত্যাশায় কতটা চিৎকার করছে এবং কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে তা দেখায়।’
ভিডিওটির প্রকাশকে ‘নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোর মুখ দেখছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আদ্যপান্ত তুলে ধরেন।
দুই নেতার ঘোষণায় বলা হয়, এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় ভোররাত চারটা থেকে কার্যকর শুরু হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময়ের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান হতে যাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বক্তব্য দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিয়েছে।
তিনি জোরালো কণ্ঠে বলেন, ‘এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে স্থায়ী।’
এক দিনেই তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে ইসরায়েলকে কাঁপিয়ে দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এ হামলা চালানো হলো।
ইসরায়েলের দক্ষিণে ও তেল আবিবের একটি নৌ ঘাঁটিতে রোববার এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়।
অন্যদিকে বৈরুতে ব্যাপক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রোববার ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ। এসব ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত ও অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, প্রথমবারের মতো তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদোদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায়।
পরে সংগঠনটি জানায়, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবের একটি ‘সামরিক স্থাপনায়’ মুহুর্মুহু হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া তেল আবিবের উপকণ্ঠে সেনাবাহিনী গোয়েন্দা ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা।
আল জাজিরা বলেছে, হিজবুল্লাহর হামলায় মালোন শহরের একটি কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেতুলা শহরও ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তেল আবিবের উপকণ্ঠসহ উত্তর-পূর্ব ও মধ্য ইসরায়েলের একাধিক জায়গায় সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। আকাশপথে হামলা হলে এমন সাইরেন বাজানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হিজবুল্লাহর ছোড়া প্রায় ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র লেবানন থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। এর আগে রোববারই ১৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছিল তারা।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, এর মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকতেই ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউআভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। একই সঙ্গে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও।
এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ইইউসহ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের অনেক সংস্থা ও দেশ।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বৃহস্পতিবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়ে ইইউ বলেছে, জোটের সদস্য ২৭টি দেশই আইসিসির আইন মানতে বাধ্য।
ইতালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের দেশে নেতানিয়াহু প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
নেদারল্যান্ডস জানায়, তারা আইসিসির আইন মানতে বাধ্য। একই সুরে বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। এ ছাড়াও যত চুক্তি আছে সব বাতিল করার আহ্বান জানায় দেশটি।
গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের সব কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানায় তুরস্ক।
আইসিসির আইনকে সম্মান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইরাক সব স্বাধীন দেশকে আইসিসির রায় মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাকচ করে দেয়া হয়েছে এ রায়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আইসিসির আর কোনো কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন:গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া এলাকার খুব কাছাকাছি এলাকায় ১৫ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে উপত্যকার শাসক দল হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড বৃহস্পতিবার এমন দাবি করে।
এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তাদের যোদ্ধারা ১৫ সেনার একটি ইসরায়েলি পদাতিক ইউনিটকে খুব কাছ থেকে হত্যা করে।
আলাদা এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া ক্যাম্পের পশ্চিমে সাফাতাউই এলাকার কাছে ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাংক লক্ষ্য করে ট্যান্ডেম শেল হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তারা জাবালিয়া ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ৬০ মিলিমিটার মর্টার শেল ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনা ও যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসব হামলার বিষয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে।
গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য