× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Bidens blind support for Israel State Department official resigns
google_news print-icon

ইসরায়েলকে বাইডেনের ‘অন্ধ সমর্থন’: স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তার পদত্যাগ

ইসরায়েলকে-বাইডেনের-অন্ধ-সমর্থন-স্টেট-ডিপার্টমেন্ট-কর্মকর্তার-পদত্যাগ
ইসরায়েলের তেল আবিবে গিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিত্র রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তার পূর্ণাঙ্গ সমর্থনের কথা জানান। ছবি: পিপল ডটকম
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই কমর্কর্তা বলেন, এক পক্ষের (ইসরায়েল) প্রতি অন্ধ সমর্থন দীর্ঘমেয়াদে উভয় পক্ষের জনগণের জন্য ধ্বংসাত্মক বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে বুধবার রাতে পদত্যাগ করেছেন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে পদত্যাগের কারণ জানান স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অফ পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের অস্ত্র স্থানান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে ১১ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করা জশ পল।

পদত্যাগপত্রে জশ পল লিখেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় পরিসরে ও দ্রুত সময়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছেন।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সমর্থনে ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরি পাঠিয়েছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের পাশাপাশি ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা জানিয়ে এসেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। পাশাপাশি ইহুদি রাষ্ট্রটির যা যা লাগবে, তা দিতে আমেরিকা প্রস্তুত রয়েছে বলে বার্তা দিয়েছেন তারা।

পদত্যাগের চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জশ পল লিখেন, ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা শুধু বীভৎসা নয়, এটি বীভৎসার বীভৎসতা।

তিনি আরও লিখেন, হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও দখলদারিত্বের স্থিতাবস্থা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু তীব্র ভোগান্তিই ডেকে আনবে। এটি দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের অনুকূলে যাবে না।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই কমর্কর্তা আরও বলেন, এক পক্ষের (ইসরায়েল) প্রতি অন্ধ সমর্থন দীর্ঘমেয়াদে উভয় পক্ষের জনগণের জন্য ধ্বংসাত্মক বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

ইসরায়েলের তেল আবিবে গিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিত্র রাষ্ট্রটির প্রতি তার পূর্ণাঙ্গ সমর্থনের কথা জানান। ফিলিস্তিনের জনগণসহ বিভিন্ন মহল মনে করছে, বাইডেনের সমর্থনে হামাস নিধনের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় উৎসাহ পাচ্ছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের পথে বাইডেন
গাজার হাসপাতালে হামলায় নিহত বেড়ে ৫০০
রাশিয়ার প্রস্তাব বাতিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে
ইসরায়েলে যাচ্ছেন জো বাইডেন
শিকাগোতে মুসলিম শিশু নিহত, নেপথ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Warning to travel to the United States is the United Kingdom and Germany

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা যুক্তরাজ্য ও জার্মানির

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা যুক্তরাজ্য ও জার্মানির যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। ছবি: এএফপি
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি বিদেশি দর্শনার্থী আটক ও তাদের নির্বাসনের কারণে দেশটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‌‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ প্রবেশের নিয়ম কঠোরভাবে নির্ধারণ ও প্রয়োগ করে। আপনি যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে গ্রেপ্তার বা আটক হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।’

পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর নাগরিকদের প্রবেশ, ভিসা ও অন্যান্য প্রবেশের শর্তাবলী মেনে চলতে বলেছে।

লন্ডন ও বার্লিন থেকে এএফপি শনিবার এ খবর জানায়।

এদিকে জার্মানি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রাপ্তি দেশটিতে প্রবেশের কোনো নিশ্চয়তা দেয় না। এমন অন্তত তিনটি উদাহরণ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোনো ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবেন কি না, তা চূড়ান্তভাবে নির্ভর করবে দেশটির সীমান্ত কর্তৃপক্ষের ওপর।

চলতি মাসের শুরুতে জেসমনি মুনি নামে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা একজন কানাডীয় অভিনেত্রী মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টাকালে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের সদস্যরা।

ওই অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, আটকের ১২ দিন পর অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় কানাডার ভ্যানকুভারের একটি ফ্লাইটে তাকে উঠিয়ে দেয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, গত মাসে একজন ফরাসি বিজ্ঞানীর ফোনে ট্রাম্পবিরোধী খুদেবার্তা পাওয়ায় তাকেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এ আটকের ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বলেছে, দেশটিতে প্রবেশের নিয়মনীতি কঠোর হতে পারে। কোনো ব্যক্তি নিয়ম ভঙ্গ করলে আটক হতে পারেন।

আরও পড়ুন:
আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বন্দি: মাহমুদ খলিল
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
৪৩ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
‘কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ’ প্রতিষ্ঠার নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
I am a political prisoner in the United States Mahmood Khalil

আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বন্দি: মাহমুদ খলিল

আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বন্দি: মাহমুদ খলিল যুক্তরাষ্ট্রে আটক ফিলিস্তিনি যুবক মাহমুদ খলিল। ছবি: কাউন্টারপাঞ্চ
বিবৃতিতে খলিল বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক বন্দি। লুইজিয়ানার শীতের সকালে ঘুম ভাঙার পর আমার দীর্ঘ দিন কাটে এখানে আটক বহু মানুষদের দেখে, যারা আইনের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেপ্তার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল নিজেকে একজন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে দাবি করেছেন। এ সময় মার্কিন প্রশাসনের অভিবাসীদের এভাবে আটকে রাখার প্রক্রিয়াকে ইসরায়েলের বিচারবহির্ভূত আটক ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন এই ফিলিস্তিনি যুবক।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার আটককেন্দ্র থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন তিনি।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রকাশ্যে দেওয়া এটিই তার প্রথম কোনো বিবৃতি। গত শনিবার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবন থেকে খলিলকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মকর্তারা।

বিবৃতিতে খলিল বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক বন্দি। লুইজিয়ানার শীতের সকালে ঘুম ভাঙার পর আমার দীর্ঘ দিন কাটে এখানে আটক বহু মানুষদের দেখে, যারা আইনের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।’

খলিল বর্তমানে লুইজিয়ানার জেনা শহরে একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে রয়েছেন। সেখানেই তিনি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তাকে এভাবে আটকে রাখার ঘটনাকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বিনা বিচারের বছরের পর বছর ফিলিস্তিনিদের আটকে রেখে নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
৪৩ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
‘কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ’ প্রতিষ্ঠার নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump Putin discussion to stop the Ukraine war on Tuesday

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার কুশল বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি
ট্রাম্প বলেন, ‘দেখি আমরা মঙ্গলবারের মধ্যেই কোনো ঘোষণা দিতে পারি কি না। এদিন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব।’

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তাদের মধ্যে এই আলোচনা হতে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে রবিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের উদ্দেশে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘দেখি আমরা মঙ্গলবারের মধ্যেই কোনো ঘোষণা দিতে পারি কি না। এদিন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব।’

শিগগিরই সংঘাত বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে এ সপ্তাহে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। অনেক কাজ করা হয়েছে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দুই নেতার কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিজের মতো ঢেলে সাজাচ্ছেন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে আলোচনা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের সে পদক্ষেপকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

যদিও ট্রাম্প-পুতিনের সম্প্রীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের উদ্বেগের শেষ নেই। শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন তারা।

বছর তিনেক আগে অভিযানের শুরুতে ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে রাশিয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য ব্যর্থ হলেও প্রতিবেশী দেশটির বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে মস্কো।

যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় এসব ভূমি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রও থাকবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এই সম্পদগুলো ভাগাভাগি হতে পারে।’

ইউরোপের এ যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে বেশ ঘটনাবহুল কয়েকটি দিন পার হয়েছে। শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ৫৭তম দিনে এসে তিনি কেবল আশার কথা শোনাচ্ছেন।

নির্বাচনি প্রচারের সময় বেশ কয়েকবার ট্রাম্পকে এ ঘোষণা দিতে শোনা গেলেও রসিকতা করেই এমনটা বলেছিলেন বলে এখন দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় শুক্রবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি রসিকতা করে এটা বলেছিলেন।

গত ১১ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওয়াশিংটনের দেওয়া এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয় ইউক্রেন। একই প্রস্তাব রাশিয়াকেও দেওয়া হবে বলে বৈঠক শেষে জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেদ্দার বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তার নানা দিক তুলে ধরতে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

তিনি বলেন, ‘পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। তবে বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসব জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন।’

আরও পড়ুন:
ভয়েস অব আমেরিকার কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ ট্রাম্পের
৪৩ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps step in trimming the Voice of American workers

ভয়েস অব আমেরিকার কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ ট্রাম্পের

ভয়েস অব আমেরিকার কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ ট্রাম্পের ভয়েস অব আমেরিকার লোগো। ফাইল ছবি
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়াকে (ইউএসএজিএম) ‌‘অপ্রয়োজনীয়’ ফেডারেল আমলাতন্ত্রের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) পাশাপাশি রেডিও ফ্রি এশিয়া, রেডিও ফ্রি ইউরোপ এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের শত শত কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ইমেল করা হয়েছে এসব কর্মীদের। একই সঙ্গে তাদের প্রেস পাস এবং সরঞ্জাম জমা দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার এ তথ্য জানায় সিনহুয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়াকে (ইউএসএজিএম) ‌‘অপ্রয়োজনীয়’ ফেডারেল আমলাতন্ত্রের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ভয়েস অব আমেরিকার মূল সংস্থা ইউএসএজিএম। সংস্থাটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মী রয়েছে।

কংগ্রেসে পেশ করা সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটির জন্য ২০২৪ সালে ৮৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার বরাদ্দ ছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেডিও ফ্রি ইউরোপ ও রেডিও ফ্রি এশিয়াসহ বেসরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যমের সব চুক্তি বাতিল করেছে সংস্থাটি।

ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিৎজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তার অধীন ১ হাজার ৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহকারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, এই কাটছাঁট নিশ্চিত করবে যে ‘করদাতারা আর উগ্রবাদী প্রচারণার শিকার হবেন না।’

প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সিদ্ধান্তটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ কংগ্রেস প্রেসিডেন্টর হাতে নয়, কংগ্রেসের হাতে সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ট্রাম্পের নিন্দা সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধানদের
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায়, ধারণা ট্রাম্পের
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Trump administration plans for travel ban on citizens of the country

৪৩ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের

৪৩ দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানায়।

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪৩টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা ভাবছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টের আগের মেয়াদের চেয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি বড় হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানায়।

কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এরই মধ্যে ‘লাল’, ‘কমলা’ ও ‘হলুদ’ ক্যাটাগরিতে খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। এতে তিনটি ধাপে ৪৩টি দেশের নাম রয়েছে।

তালিকায় প্রথম ধাপের ১১টি দেশ হলো আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন। এসব দেশের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ ভিসা বাতিল হতে পারে।

দ্বিতীয় ধাপের দেশগুলোর—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান ও তুর্কমেনিস্তান—ওপর আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এসব দেশের পর্যটন ভিসা, শিক্ষার্থী ভিসা, অভিবাসন ভিসায় প্রভাব পড়তে পারে।

অর্থাৎ বিধিনিষেধ আরোপ হলেও এসব দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল করা হবে না। এ ১০ দেশের ধনী ব্যবসায়ীরা ভ্রমণ করতে পারলেও ভ্রমণ কিংবা অভিবাসন ভিসায় সাধারণ নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না।

শেষ গ্রুপে থাকা দেশগেুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে এসব দেশের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।

দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা ও বার্বুডা, বেলারুশ, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, শাদ, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডোমেনিকা, নিরক্ষীয় গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, কঙ্গো, সেন্ট কিট্‌স ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর, তুর্কমেনিস্তান, লাইবেরিয়া, মালি, জিম্বাবুয়ে ও ভানুয়াতু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তালিকা তৈরি করেছেন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছার আগে তালিকায় কিছুটা রদবদল হতে পারে এবং এখনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন মেলেনি।’

এখন খসড়া তালিকা পর্যালোচনা করছে বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক ব্যুরো, বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তার ওই পদক্ষেপ অনেক আইনি লড়াই পেরিয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়।

দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই নির্দেশে ‘নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না’ এমন দেশগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর মধ্যে কোনটির ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনটির ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায়, তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে বলাও হয়েছিল।

এ দফায় ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি গাজা ভূখণ্ড, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কারও’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা পেল ইংরেজি
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ট্রাম্পের নিন্দা সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধানদের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ukraine conflict will agree on the settlement agreement in Russia Asha Trump

ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের

ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বাসস
ফ্লোরিডা যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনের নিকটস্থ জয়েন্ট বেজ অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে বেশ কিছু ভালো খবর পেয়েছি। আমি মনে করি, রাশিয়া আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চলেছে, আমি এটা আশা করি।’

ইউক্রেনের সংঘাত নিষ্পত্তির শর্তাবলীতে রাশিয়া একমত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফ্লোরিডা যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনের নিকটস্থ জয়েন্ট বেজ অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে বেশ কিছু ভালো খবর পেয়েছি। আমি মনে করি, রাশিয়া আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চলেছে, আমি এটা আশা করি।’

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা তাস জানায়, কী খবর পেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে কথোপকথনের বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ইউক্রেন অপেক্ষা করছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং শেষ পর্যন্ত একটি চুক্তি নিয়ে আমি রাশিয়া থেকে বেশ কিছু ভালো অনুভূতি পাচ্ছি।’

এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পুতিন বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে বলেন।

আরও পড়ুন:
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ট্রাম্পের নিন্দা সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধানদের
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায়, ধারণা ট্রাম্পের
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা ব্রাজিলের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Putin will agree on a months ceasefire?

এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?

এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কোলাজ: ইউএনবি
সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মতি দেওয়ার পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সুযোগটি কাজে লাগাবেন, নাকি তা প্রত্যাখ্যান করবেন?

সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানান, শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেনকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

ইউক্রেন প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, যদি রাশিয়াও শান্তির হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এতদিনের চলমান যুদ্ধ বন্ধ হতে খুব বেশি দেরি নেই। কিন্তু রাশিয়া যদি এ প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার রাজি হওয়া না হওয়া বহুমুখী হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি অবধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে এসেছেন, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগ্রহ তার নেই। যদি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতেই হয়, সেটি হতে হবে স্থায়ী সমাধান।

বর্তমানে যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন। রাশিয়ার সেনারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া পুতিন বারংবার বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এ পরিস্থিতিতে পুতিন ট্রাম্পের মন রাখবেন নাকি যুদ্ধ চালিয়ে ইউক্রেনে জয়ের পথেই হাঁটবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

মূলত, ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একান্ত ফোনালাপ এবং এরপর একের পর এক রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকানদের বৈঠকই চলমান যুদ্ধের আশু সুরাহার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন কূটনীতিকরা।

রাশিয়ার পদক্ষেপ এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।

সৌদিতে বৈঠকের পর বেশ কৌশলের সঙ্গে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য জানানো হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বলেই রাশিয়া এমন কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিছু বিশ্লেষক।

রুশ-আমেরিকানদের সাপে-নেউলের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প-পুতিন সখ্য কিন্তু বিশ্ব পাড়ায় মোটেই অজানা নয়। তবে এ সখ্যই সব নয়। এর বাইরে আছে ইউক্রেনের খনিজের প্রতি ট্রাম্পের চোখ আর কিয়েভের ভূমির ওপর পুতিনের লোভ।

শেষ কয়েক দিনের যুদ্ধে ভালোই এগিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরুস্কের বেশির ভাগ এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে।

দর কষাকষিতে কুরুস্ককে নিজেদের হাতে রাখতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তবে দিন দিন তা কঠিন হয়ে উঠছে তার সেনাদের জন্য।

আবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা ত্যাগের মতো ঘটনা এতদিন জেলেনস্কিকে ভালোই ভুগিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তি চুক্তির প্রতি যতদিন না আগ্রহ দেখাবে ইউক্রেন, ততদিন বন্ধ থাকবে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে জেলেনস্কির।

প্রশ্ন হলো পুতিন কেন আপস করবে? বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞার ভারেও নতজানু না হওয়া পুতিন কেন এত সহজে রাজি হবে যুদ্ধবিরতিতে?

এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেশকভের সাক্ষাৎকারে।

পেশকভ জানান, জেদ্দার আলোচনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। এখনই হলফ করে কিছু বলা না গেলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আরেক দফা ফোনালাপের পর রাশিয়া নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।

প্রথমবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনের ভূমি নিয়ে ফয়সালা, কোনোভাবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেওয়ার ওয়াদা এবং পূর্ব-মধ্য ইউরোপে ন্যাটোর হম্বিতম্বি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুতিন জোরালো দাবি তুলেছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান, আবারও পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এপির নিশ্চিত করা এ তথ্য থেকেই চূড়ান্ত দরকষাকষির আভাস পাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার তার বক্তব্যে আভাস দিয়েছেন, এ চুক্তিতে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে। এতদিন ইউক্রেন ছাড় দিতে রাজি না থাকলেও এবার বাধ্য হয়েই আপসের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশটি।

রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিয়া গ্রাশ্চিনেকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাদা চোখে এ চুক্তিতে কারও বিজয় হয়নি মনে হলেও রাশিয়া কৌশলগত বিজয় নিশ্চিত করেই চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে।’

রাশিয়া কৌশলগত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এ কথা উঠে এসেছে মস্কোর সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। বলা হয়েছে, রুশ প্রতিনিধিরা জেদ্দায় না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জন র‍্যাটক্লিফ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রুশ প্রশাসনের সঙ্গে।

ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গত মাসেও রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন এবং আগামীতেও তার রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।

এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো। তা হলো এ পুরো আলোচনায় ইউরোপকে তোয়াক্কাই করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।

ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় এরই মধ্যে দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। ন্যাটো নিয়েও ট্রাম্প খুশি নন। শপথ নিয়েই দাবি জানিয়েছেন ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।

এদিকে ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড আদায় চেষ্টার ইস্যুতেও ইউরোপের সঙ্গে কয়েক দফা মন কষাকষি হয়েছে ট্রাম্পের। সব মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভেঙে রাশিয়ামুখী হওয়াকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কংগ্রেস সদস্য ভালো চোখে না দেখলেও এটাই এখন বাস্তব।

এ বাস্তবতাকে পুঁজি করেই রুশ কূটনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল শ্যারাপ বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে বর্তমানে মস্কোর সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যকার উষ্ণতার বিচার-বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে তা মস্কো মেনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’

শুরুতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের পথ রচিত হলেও পরবর্তী সময়ে হয়তো এ এক মাসের যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করবে এবং তিন বছর ধরে চলা এ সংঘাতের অবসান হবে বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকের।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
সৌদির এক সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের
মুক্তিযুদ্ধে মীমাংসিত বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হলে অগ্রগতি বাধা পাবে: ড. কামাল

মন্তব্য

p
উপরে