× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Trudeau blames India again for killing Sikh leader
google_news print-icon

শিখ নেতা হত্যায় ফের ভারতকে দুষলেন ট্রুডো

শিখ-নেতা-হত্যায়-ফের-ভারতকে-দুষলেন-ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
ট্রুডো বলেন, কানাডার মাটিতে কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার প্রমাণ কানাডার হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টরাই জড়িত বলে ফের মন্তব্য করে তিনি জানিয়েছেন, তবে নিজ্জর হত্যার প্রমাণ কানাডা ফাঁস করবে না।

বিবিসি জানায়, গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, কানাডার মাটিতে কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

বিবিসি জানায়, গত ১৮ জুন কানাডায় খলিস্তানপন্থি আন্দোলনকারী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর খুন হন। তিনি ছিলেন খলিস্তানপন্থি সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কেটিএফের প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান। দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ৪৬ বছরের নিজ্জরকে গুলি করে খুন করেন। শুরু থেকেই কানাডা সরকারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘হাত’ রয়েছে। গত সোমবার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে প্রথম ভারতের এজেন্টদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সরাসরি অভিযোগ তোলেন ট্রু়ডো। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ট্রুডো সরকার। এদিকে, ভারত কানাডার এ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘কানাডা যে অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা মনে করি, তাদের অভিযোগ পক্ষপাতপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘অভিযোগ করার আগে বা পরে কানাডা কোনো তথ্যপ্রমাণ ভারতকে দেয়নি। আমরা বলেছি, কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পেলে দেখব। এখনো কিছু পাইনি। আমাদের তরফ থেকে কানাডাকে কিছু ব্যক্তির ভারতবিরোধী কাজের নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়সহ নানা বিষয়ে কথা বলেছি এবং বলছি। আমরা আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছি।'

শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের। ভারত গত বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে জড়িত ৪৩ জনের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কানাডায় বহু ভারতীয় বাস করেন। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ। তার মধ্যে অন্তত ১৪ লাখ ভারতীয় আছেন। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির সূত্রে ভারত থেকে তারা কানাডায় গেছেন। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়ের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩.৭ শতাংশ। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই শিখ ধর্মাবলম্বী। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ রয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। ভারতে শিখদের অনুপাত কানাডার চেয়ে কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার বিচারে শিখদের সংখ্যা মাত্র ১.৭ শতাংশ। কানাডায় জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গঠনে শিখদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিখরা কানাডার রাজনীতিতেও যথেষ্ট সক্রিয়। কানাডার হাউস অব কমন্সে ১৮ জন শিখ সাংসদ রয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা ভারতের চেয়েও বেশি। তাই ট্রুডো বা কানাডার কোনো রাজনৈতিক দলই শিখদের চটাতে চান না।

আরও পড়ুন:
কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ করল ভারত
শিখ নেতা হত্যা: সম্ভাব্য ভারত সম্পৃক্ততা নিয়ে কাজ করছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের পাল্টা, কানাডার কূটনীতিককে দেশত্যাগের নির্দেশ
শিখ নেতা হত্যায় ‘ভারতের সম্পৃক্ততা’ নিয়ে তদন্ত করবে কানাডা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Security Council to consider call for ceasefire in Gaza

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান বিবেচনা করবে নিরাপত্তা পরিষদ

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান বিবেচনা করবে নিরাপত্তা পরিষদ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের মধ্যে জীবনযাত্রার অবস্থাকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করা সত্ত্বেও সেশনের ফলাফল সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের তীব্র চাপের মধ্যে শুক্রবার গাজা বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়ে বৈঠকে ভোট গ্রহণ করা হবে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের মধ্যে জীবনযাত্রার অবস্থাকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করা সত্ত্বেও সেশনের ফলাফল সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। খবর এএফপির

বুধবার কাউন্সিলের কাছে একটি চিঠিতে, গুতেরেস জাতিসংঘের সনদের আর্টিকেল ৯৯ আহ্বান করার অসাধারণ পদক্ষেপ নেয়, যেখানে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রক্ষণাবেক্ষণের এবং শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে তার মতে এমন যে কোনও বিষয় মহাসচিব কাউন্সিলের নজরে আনতে পারেন। বিগত কয়েক দশক ধরে নিয়োজিত থাকা কোনো মহাসচিব এ জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

গুতেরেস লিখেছেন, ‘ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে, এবং আশ্রয় বা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় আমি আশঙ্কা করছি যে মরিয়া পরিস্থিতির কারণে জনশৃঙ্খলা শিগগিরই সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে, এমনকি সীমিত মানবিক সহায়তাও অসম্ভব হয়ে উঠবে।’

তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় প্রভাব এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে এক বিপর্যয় প্রতিরোধে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান।

কাউন্সিল গুতেরেসের জরুরি আবেদনে মনোযোগ দেবে বলে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক আশা প্রকাশ করেছেন।

ডুজারিক বলেন, বুধবার থেকে জাতিসংঘ প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এবং অন্যান্য বেশ কটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A few men kneeling in their underwear are guarded by Israeli soldiers

অন্তর্বাস খুলে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন পুরুষ, পাহারায় ইসরায়েলি সেনারা

অন্তর্বাস খুলে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন পুরুষ, পাহারায় ইসরায়েলি সেনারা ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া
ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাসের চলা তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে বেশ কিছু পুরুষকে তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় দেখা গেছে।

উপত্যকাটির সুদূর উত্তরে বেইট লাহিয়ায় ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অবশ্য কয়েকজনকে ছেড়েও দেয়া হয়েছে।

বিবিসি ফুটেজ যাচাই করে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং ইসরায়েলি সেনারা তাদের পাহারা দিচ্ছে।

আরেক ভিডিওতে কয়েক ডজন পুরুষকে একটি ফুটপাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের পাহারা দিচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা, সঙ্গে ছিল সাঁজোয়া যান।

অন্য কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন পুরুষকে সামরিক ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এসব বন্দিদের আত্মসমর্পণকারী হামাস যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) সরাসরি ফুটেজ ও ছবিগুলো নিয়ে মন্তব্য করেনি, তবে মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সন্দেহভাজনদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য এসেছে তা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে।

শুক্রবার, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বলেছেন, যে লোকদের উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং শেজাইয়াতে আটক করা হয়েছে ওই এলাকাগুলো হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক দিয়া আল-কাহলুত, কাজ করেন আল-আরাবি আল-জাদেদের সংবাদদাতা হিসেবে।

গাজার অবস্থা জানিয়ে রয়টার্স বলছে, টানা বিমান হামলার পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে এই অভিযান চলছে ব্যাপকভাবে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে।

হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর।

উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।

আরও পড়ুন:
গাজার ২১ হাসপাতালে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা
বুলডোজার নিয়ে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, আশ্রয় খুঁজছে বাসিন্দারা
গাজায় ৭ হাজার শিশুসহ নিহত ১৬২৪৮, আহত ৪৩ হাজার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israeli forces bulldoze residents seeking shelter in southern Gaza

বুলডোজার নিয়ে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, আশ্রয় খুঁজছে বাসিন্দারা

বুলডোজার নিয়ে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, আশ্রয় খুঁজছে বাসিন্দারা
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। গাজার দ্বিতীয় এই বৃহত্তম শহরে বিমান হামলার পর এখন স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তারা।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজার পর এবার দক্ষিণ গাজাতেও চালানো তাণ্ডবে প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এ অঞ্চলের বাসিন্দারা জায়গা খুঁজছেন, তবে তা মিলছে না।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। গাজার দ্বিতীয় এই বৃহত্তম শহরে বিমান হামলার পর এখন স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তারা।

ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবারের রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দুমাস পরে চলমান ভয়াবহ সংঘাত সম্পর্কে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

ফিলিস্তিনের আরেক গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরায়েলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে। তার এক মুখপাত্র বলেছেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।

খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেছেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।

গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে হামাস সরকার জানিয়েছে।

এএফপি বলছে, ইসরায়েলি আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা কিছুদিন আগে উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরায়েলি বোমা।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।

আরও পড়ুন:
গাজায় ৭ হাজার শিশুসহ নিহত ১৬২৪৮, আহত ৪৩ হাজার
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ৬৩ সাংবাদিক নিহত: সিপিজে
দক্ষিণ গাজায় ঢুকে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
17 dead as bus falls into ditch in Philippines

ফিলিপাইনে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯

ফিলিপাইনে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯ ফিলিপাইনে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৭। ছবি: সংগৃহীত
প্রাদেশিক তথ্য দপ্তরের প্রধান জুনলি সায়লো রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ঘটনাস্থলেই ২৫ জন এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে আরও চারজন মারা গেছেন।

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে একটি যাত্রবাহী বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ার ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান রডারিক ট্রেন এএফপিকে বলেন, ‘বাসটি মঙ্গলবার বিকেলে অ্যান্টিক প্রদেশের হ্যামটিক পৌরসভায় যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।’

৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ইলোইলো সিটি থেকে প্রাচীন প্রদেশের সান জোসে দে বুয়েনাভিস্তা যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তার কংক্রিটের বেষ্টনীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে হ্যামটিক শহরের পাশে ১৫ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।

প্রাদেশিক তথ্য দপ্তরের প্রধান জুনলি সায়লো রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ঘটনাস্থলেই ২৫ জন এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে আরও চারজন মারা গেছেন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবিএস-সিবিএন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাসচালক এবং তার সহকারীও রয়েছেন।

প্রাচীন প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে আঞ্চলিক সংবাদপত্র পানায় নিউজ জানিয়েছে, কেনিয়ার এক ব্যক্তিসহ গুরুতর আহত দুই যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ইলোইলো সিটির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জরুরি কর্মীরা জীবিতদের উদ্ধার করছে এবং খাদে পড়ে থাকা লোকজনের লাশ উদ্ধার কাজ চলছে।

গভর্নর রোডোরা কাদিয়াও স্থানীয় বেতার কেন্দ্র ডিজেডআরএইচকে বলেছেন, যাত্রীর মধ্যে চারজন কেনিয়ার নাগরিক ছিল। এদের বেশিরভাগই অ্যান্টিক প্রদেশের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:
পাঁচ মাস পর দেশে ফিরল সেই হানিফের মরদেহ
চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় নানা-নাতনি নিহত
টহল পিকআপে ট্রেনের ধাক্কা, পুলিশ সদস্য নিহত
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
তেঁতুলিয়ায় গাড়ি খাদে পড়ে প্রকৌশলী নিহত, ইউএনওসহ আহত ৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
11 hikers die in Indonesia volcano eruption

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ হাইকারের মৃত্যু

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ হাইকারের মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ হাইকারের মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত
পাদদাং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার সংস্থার প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, ‘সেখানে থাকা ২৬ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়নি। আমরা তাদের মধ্যে ১৪ জনকে খুঁজে পেয়েছি। এদের মধ্যে তিনজনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।’

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ১১ হাইকারের মৃত্যু হয়েছে।

আগ্নেয়গিরিটিতে রোববার এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

সোমবার পাদদাং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে সেখানে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর এএফপির

সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইভস্ম আকাশের প্রায় ৩ হাজার মিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাইভস্ম আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে।

স্থানীয় এবং জাতীয় সংস্থার কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে পর্বতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা সংশোধন করে ৭৫ জনের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু অনুসন্ধান দল সোমবার সকালে অগ্নিমুখের কাছ থেকে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার একদিন পর পাদদাং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার সংস্থার প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, ‘সেখানে থাকা ২৬ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়নি। আমরা তাদের মধ্যে ১৪ জনকে খুঁজে পেয়েছি। এদের মধ্যে তিনজনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘২৬ জনের মধ্যে ১২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া ৪৯ জন পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবিত অবস্থায় তিন ব্যক্তিকে অগ্নিমুখের কাছে পাওয়া যায়। তাদের অবস্থা দুর্বল ছিল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যায় মৃত্যুদণ্ড
স্ত্রীকে হত্যার পর ফেসবুকে লাইভ, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড 
টাঙ্গাইলে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা গোলাপের মৃত্যু
সংঘবদ্ধ পিটুনিতে যুবক নিহত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israeli troops are conducting ground operations in southern Gaza

দক্ষিণ গাজায় ঢুকে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা

দক্ষিণ গাজায় ঢুকে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় ঢুকছে ইসরায়েলি সেনারা। ছবি: সংগৃহীত
আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি বলেছেন, আমরা উত্তর গাজায় জোরালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুদ্ধ করেছি। এখন করছি দক্ষিণ গাজায়।

টানা বিমান হামলার পর এবার ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের সেনারা।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে তিন দিনের বিমান হামলার পর এই অভিযান শুরু হয় বলে সোমবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিওর বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় ‘দৃঢ় ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে’ অভিযানে অংশ নিয়েছে।

আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি বলেছেন, আমরা উত্তর গাজায় জোরালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুদ্ধ করেছি। এখন করছি দক্ষিণ গাজায়।

আইডিএফের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েল গাজায় মুখোমুখি যুদ্ধসহ স্থলপথে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে। তাদের দাবি, গাজা নগরীতে হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পেছনে জড়িত।

টানা হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে শুক্রবার।

উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।

ইসরায়েলি হামলায় সবমিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চলবে।

নেতানিয়াহু বলেন, একটি কঠিন যুদ্ধ আমাদের সামনে।

খান ইউনিস এবং রাফাহ শহর মিশরের সীমান্তে। ভারী বিমান হামলায় ওই এলাকার এখন ভয়াবহ অবস্থা। ইসরায়েল উত্তর গাজায় হামলার পর এখন দক্ষিণের এই শহুরে তাণ্ডব শুরু করেছে।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি ‍শুরু হয়।

এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি। এরই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ফের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন:
এবার দক্ষিণ গাজায় টানা ইসরায়েলি হামলা
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ৬১ সাংবাদিক: সিপিজে
যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
One killed in attack near Eiffel Tower

আইফেল টাওয়ারের কাছে হামলায় একজন নিহত

আইফেল টাওয়ারের কাছে হামলায় একজন নিহত
সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে ২০১৬ সালে আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করার জন্য চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তিনি ফরাসি নিরাপত্তা পরিষেবার ওয়াচ লিস্টে ছিলেন। তার মানসিক অসুস্থতা রয়েছে।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের কাছে পর্যটকদের ওপর হামলায় একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিনের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

দারমানিন সাংবাদিকদের বলেছেন, পুলিশ দ্রুত একটি টেজার স্টানগান ব্যবহার করে ২৬ বছর বয়সী একজন ফরাসি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ২০১৬ সালে আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করার জন্য চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তিনি ফরাসি নিরাপত্তা পরিষেবার ওয়াচ লিস্টে ছিলেন। তার মানসিক অসুস্থতা রয়েছে।

বিবিসি বলছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি পর্যটক দম্পতির কাছে গিয়ে এক জার্মান নাগরিককে ছুরিকাঘাত করেন। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করার আগে তিনি হাতুড়ি দিয়ে আরও দুইজনকে আক্রমণ করেন। আহতদের জরুরি সেবা দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি

মন্তব্য

p
উপরে