নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে পুনর্বহাল করতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াসের দেয়া আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। এমন বাস্তবতায় আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছেন নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানকারী নেতারা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার রাতে আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ওই দিন নাইজারের রাজধানী নিয়ামির একটি স্টেডিয়ামে জড়ো হন অভ্যুত্থানকারী জেনারেলদের পর্ষদ দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য সেফগার্ড অফ দ্য হোমল্যান্ডের (সিএনএসপি) সমর্থক হাজারো মানুষ।
সিএনএসপির মুখপাত্র আমাদু আবদরমান আকাশসীমা বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সামরিক হামলার হুমকিকে।
জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে আবদরমান বলেন, সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি হিসেবে পশ্চিম আফ্রিকার দুটি দেশে আগাম সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি আবদরমান।
গত ২৬ জুলাই নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়, যা পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা অঞ্চলের কোনো দেশে তিন বছরের মধ্যে সপ্তম ক্ষমতা দখলের ঘটনা।
অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে নাইজারের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইকোওয়াস। জোটটি নাইজারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে রোববারের মধ্যে পুনর্বহাল করতে জোটের প্রতিরক্ষাপ্রধানরা সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে ঐকমত্যের পাশাপাশি কখন হামলা করা হবে, সে পরিকল্পনাও করেছেন।
নাইজেরিয়ায় বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চালানো সামরিক ড্রোন হামলায় ভুলবশত ৮৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদুনা রাজ্যের তুদুন বিরি গ্রামে রোববার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুসলমানরা সেখানে ধর্মীয় উৎসবে জড়ো হয়েছিলেন।
কাদুনা গভর্নর উবা সানি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় ভুলে বেসামরিকদের হত্যা করা হয়েছে। এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন।’
ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ৮৫টি মরদেহ এখন পর্যন্ত কবর দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান কাজ চলছে।
এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নাইজেরিয়া দপ্তর ওই এলাকায় তাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের বরাত দিয়ে বলছে, হামলায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন।
অ্যামনেস্টির নাইজেরিয়ার পরিচালক ইসা সানুসি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।
নাইজেরিয়ার উপদ্রুত অঞ্চলে বাসিন্দাদের ওপর ‘ভুল’ বোমা হামলার সবশেষ ঘটনা ছিল এটি। এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার একটি সামরিক বিমান বোর্নো রাজ্যের দাগলুনে বোমা ফেলে ২০ জন বেসামরিককে হত্যা করে ও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আবাসিক এলাকায় এই ধরনের বোমা হামলার অন্তত ১৪টি ঘটনার রেকর্ড রয়েছে।
এ হামলায় নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলতি বছরের জুলাইয়ে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
এক টেলিভিশনে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’
নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনীর চাপ ও জনতার বিক্ষোভের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত ঘোষণা দিলেন।
নাইজারে গত ২৬ জুলাই হওয়া অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দেয়া মাখোঁর কাছে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সামরিক নেতারা। সেনা প্রত্যাহারের কাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের পথে নতুন ধাপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যাতে নাইজারের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।’
আরও পড়ুন:লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনায় প্রলয়ংকরী ঝড় দানিয়েলের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইতি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন আল অ্যারাবিয়াকে তিনি জানান, বন্যা উপদ্রুত জেলা বিবেচনায় মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর স্বজনদের মরিয়া হয়ে খুঁজছেন দারনার প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন। উদ্ধারকারীরা মরদেহ রাখার জন্য আরও বডি ব্যাগ চাইছেন।
দারনার বাসিন্দা মাহমুদ আবদুলকরিম ত্রিপোলিতে সাংবাদিক মৌতাজ আলিকে জানান, বাঁধ ভাঙার পর দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে যথাসময়ে উদ্ধার করতে না পারায় তিনি মা ও ভাইকে হারিয়েছেন।
ত্রিপোলির দেরওয়ানি সম্প্রদায়ের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল থেকে মৌতাজ আলি বলেন, ‘তিনি (আবদুলকরিম মা) স্থান ছাড়তে চাননি…বুঝতে পারেননি পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে।’
আবদুলকরিম জানান, তার মা ও ভাই যতক্ষণে ফ্ল্যাট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তারা রাস্তায় আসার পর বানের জলে ভেসে যান।
গত মঙ্গলবার দারনা ছাড়তে পারা সাংবাদিক মাবরুকা এলমেসমারি আল জাজিরাকে জানান, দারনা শহরে নেই পানি, বিদ্যুৎ কিংবা পেট্রল।
তার ভাষ্য, পুরো শহর ধসে সমতল হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ভূমধ্যসাগরীয় প্রলয়ংকরী ঝড়ে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় লিবিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর দারনায় বহু মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাণহানি ৬ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
ত্রিপোলিতে দেশটির জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সাদেদ্দিন আব্দুল ওয়াকিল জানান, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারের বেশি।
এ দুর্যোগে নিখোঁজ হয়েছেন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ। বন্যায় ভেসে গেছে অনেক ভবন; নিশ্চিহ্ন হয়েছে শহরের এক-চতুর্থাংশ এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা।
এক দশকের বেশি সময়ের সংঘাতে বিভক্ত ও ভঙ্গুর লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর উপকূলে আঘাত হানে ড্যানিয়েল নামের ঝড়।
প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার বাসিন্দার শহর দারনায় বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন রয়টার্সের সংবাদকর্মীরা। সেসব এলাকায় বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি কর্দমাক্ত সড়কে ধ্বংসস্তূপে গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় ওয়াহদা হাসপাতালের পরিচালক মোহামাদ আল-কাবিসি জানান, শহরের একটি অঞ্চলে ১ হাজার ৭০০ এবং অপর অঞ্চলে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের বারান্দায় অনেক মরদেহ দেখেন রয়টার্সের সংবাদকর্মীরা। মরদেহ আসার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন তাদের নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ করছিলেন।
আরও পড়ুন:উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েলে’র কারণে সৃষ্ট বন্যায় হাজারো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে দেরনা শহরেই কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নন পূর্ব লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ। তিনি লিবিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘হাজার হাজার নিখোঁজ ও মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। দেরনার পুরো আশপাশের এলাকা বিলীন হয়ে গেছে, বাসিন্দাদের বাসস্থান পানিতে ভেসে গেছে।’
লিবিয়ার বিশেষজ্ঞ জলেল হারচাউই বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌঁছাতে পারে।’
ঝড় ড্যানিয়েলের কারণে রোববার দেশটির বিভিন্ন জাগায় ভূমিধস ঘটে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধার কাজ চলাকালে সাতজন লিবিয়ান সেনাসদস্য নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলের সব স্কুল ও দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে কারফিউ জারি করেছে।
আরও পড়ুন:মরক্কোতে ছয় দশকের বেশি সময়ের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ছাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রোববারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই ভূমিকম্পের এক দিন পর অ্যাটলাস পর্বত এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে বেঁচে যাওয়া লোকজনকে।
প্রতিবেশীরা এখনও পাহাড়ের ঢালে চাপা পড়া জীবিত লোকজনের খোঁজ করছেন, যেখানে বাড়িগুলো বানানো হয়েছে মাটির তৈরি ইট, পাথর ও কাঠ দিয়ে।
গত শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে মসজিদের মিনার। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পর্যটন নগরী মারাকেশের ঐতিহাসিক প্রাচীন শহরের।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৫৯ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ৬.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মারাকেশের ৭২ কিলোমিটারের মতো দক্ষিণ-পশ্চিমে।
উৎপত্তিস্থলের কাছে আমিজমিজ গ্রামে উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতেই ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করছেন। ওই এলাকায় ধসে যাওয়া স্থাপনাগুলোর কারণে সংকীর্ণ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:মরক্কোর অ্যাটলাস পর্বতমালায় শুক্রবার রাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে ধসে যায় অনেক ভবন। এতে রাতের বেলায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হন বড় বড় শহরের বাসিন্দারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদকৃত তালিকার বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৯ জনে।
এর আগে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, বেশির ভাগ প্রাণহানি হয় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে সবচেয়ে বড় শহর মারাকেশের বাসিন্দারা জানান, ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য প্রাচীন শহরের কিছু ভবন ধসে গেছে।
স্থানীয় টেলিভিশনে মসজিদের মিনার ধসে পড়ার ছবি দেখানো হয়। এ ছাড়া বিধ্বস্ত গাড়িতে ধুলাবালি পড়ে থাকতেও দেখা যায়।
টেলিভিশনে প্রচারিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মরক্কোবাসীকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে আল হাউজ, উয়ারজাজাত, মারাকেশ, আজিলাল, চিচৌয়া ও তারাউদান্ত প্রদেশে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে পাহাড়ি গ্রাম আসনির বাসিন্দা মোনতাসির ইত্রি বলেন, ভূকম্পনে তার এলাকার বেশির ভাগ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং গ্রামের লোকজন হাতে থাকা জিনিসপত্র দিয়ে তাদের উদ্ধারে কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য