× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Flood risk in Delhi
google_news print-icon

দিল্লিতে ফের বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি

দিল্লিতে-ফের-বিপৎসীমার-ওপরে-যমুনার-পানি-
দিল্লিতে যমুনার পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফাইল ছবি
যমুনার পানি রোববার সকালে ২০৫.৮১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বন্যার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

বিপৎসীমা ২০৫.৩৩ এর ওপর দিয়ে আবার প্রবাহিত হলো যমুনার পানি।

এএনআই এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০৬.৩১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। রোববার বিকেল চারটার দিকে এই রেকর্ড করা হয়।

পানির প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বন্যার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

যমুনার পানি রোববার সকালে ২০৫.৮১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানা যায়।

উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের কিছু এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতার পর হরিয়ানার হথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে পানি ছেড়ে দেয়া হয়।

দেশটির রাজস্বমন্ত্রী আতিশি জানিয়েছেন, হথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় পায় দুই লক্ষ কিউসেক পানি যমুনায় গিয়ে পড়েছে। এর ফলে দিল্লি সরকার উচ্চ সতর্কতার অবস্থায় আছে।

দিল্লির পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা ও বন্যার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।

বিভিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধির ঘটনায় নিচু এলাকাগুলো খালি করার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন:
চাঁদের পথে ভারতের মহাকাশযান
প্রেমের টানে ভারতে এসে আইনি ঝামেলায় পাকিস্তানি নারী
দিল্লির ব্যস্ততম সড়ক প্লাবিত, সেনা সাহায্য চাইলেন কেজরিওয়াল  
চাঁদে যেতে প্রস্তুত ভারতের মহাকাশযান
পাসপোর্ট জমা না দিয়েই করা যাবে ভারতীয় ভিসার আবেদন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Indias LoC projects are important to continue Finance Advisor

ভারতের এলওসি প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো চলবে: অর্থ উপদেষ্টা

ভারতের এলওসি প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো চলবে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের চাহিদার আলোকে শুরু করা হয়েছে। যদিও কিছু বিতরণ সমস্যা রয়েছে, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এগুলো অব্যাহত থাকবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং আমরা এগুলো অব্যাহত রাখব।’

উপদেষ্টা এই প্রকল্পগুলো অগুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ার কোনো অবকাশ রাখেননি।

আলোচনাকালে ড. সালেহউদ্দিন ভারতীয় হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।’

ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. সালেহউদ্দিন ভবিষ্যতে সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সহযোগিতা বাড়বে এ প্রত্যাশায় রয়েছি।’

ভারতের বিদ্যমান তিনটি এলওসি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও বিতরণ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ভারতীয় পক্ষ এ বিষয়ে মতামত নিয়েছে।

ভারতকে প্রতিবেশী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, দুই দেশ তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় খুঁজছে।

ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, এগুলো বাংলাদেশের চাহিদার আলোকে শুরু করা হয়েছে। যদিও কিছু বিতরণ সমস্যা রয়েছে, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।’

ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় অর্থায়নের আওতায় নতুন প্রকল্পগুলোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা থেমে থাকব না। ভবিষ্যৎ প্রকল্প, সেগুলোর অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে।’

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে এটি মোকাবিলা করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় হাইকমিশনার তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে উভয় পক্ষেরই যেন সুবিধা হয় এমনভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আরও মানসম্পন্ন রপ্তানিকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা চলছে।

বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং গবেষণাগারের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে থাকে ভারত।

ভারত বাংলাদেশে তাদের কোনো এলওসি প্রকল্প বন্ধ করেনি জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো চলমান এবং বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত বড় উদ্যোগ। ঠিকাদাররা আবার কাজে ফিরবেন।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভার্মা বলেন, 'আমরা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রয়েছি এবং উপদেষ্টার সঙ্গে আমার বৈঠক তার প্রমাণ।’

প্রকল্প বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা হবে।

ভারতীয় অর্থায়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন হাইকমিশনার এবং এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে জোর অঙ্গীকার জানান।

বাংলাদেশ ও ভারত এ পর্যন্ত তিনটি লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তি সই করেছে। প্রথমটি ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের, যা ২০১০ সালের আগস্টে সই হয়। দ্বিতীয়টি দুই বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৬ সালের মার্চে সই হয় এবং তৃতীয়টি সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৭ সালের মার্চে সই হয়।

আরও পড়ুন:
চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত রাখবে জাপান: অর্থ উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, মন্থর হয়ে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
What the adviser said about the possibility of Yunus Modi meeting at the United Nations

জাতিসংঘে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা

জাতিসংঘে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোলাজ: ইউএনবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাব্যতা নিয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যে প্রক্রিয়া আছে, সে অনুযায়ী আমরা এগোব।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যেকোনো বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাব্যতা নিয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে প্রক্রিয়া আছে, সে অনুযায়ী আমরা এগোব।’

তিনি বলেন, ‘এমন নয় যে তারা এক মাস আগে এ ধরনের বৈঠক চাইবে; বরং একটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তারা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নন যে মোদি ইউএনজিএতে (জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন) থাকবেন। আসলে তারা যদি দেখা করতে না চায়, তাহলে কিছু করার নেই।’

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস দাবি করেছিল, চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলের ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিনিধি দলের সদস্য ১০ থেকে ১২ জনের বেশি হবে না।

কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকার বাইরেও আরেকটি তালিকা রয়েছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাচ্ছি।’

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পা রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৯ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন। আর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।

এর আগে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর সামিট অব দ্য ফিউচার অনুষ্ঠিত হবে।

এই সামিটে সব বয়সী নেতা, বিশেষজ্ঞ ও কর্মীরা একত্রিত হবেন। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা কীভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা আরও ভালোভাবে মেটাতে পারে, তা নিয়ে এতে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের প্রতি ১৯৭ বিশ্বনেতার দৃঢ় সমর্থন ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি
ভারতে চুপ থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে: পিটিআইকে ইউনূস
সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ প্রধান উপদেষ্টার  
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
গুম থেকে সুরক্ষা সনদে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকারের দলিল জাতিসংঘে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
6 killed in fresh violence in Manipur

মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় নিহত ৬

মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় নিহত ৬ মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ইউএনবি
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে জিরিবাম জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে শনিবার ঘুমন্ত অবস্থায় এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়। পরে নুংচেপি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়। এর আগে শুক্রবার বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং শহরে বোমা বিস্ফোরণে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

অল ইন্ডিয়া রেডিও শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে জিরিবাম জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে শনিবার ঘুমন্ত অবস্থায় এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়। পরে নুংচেপি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়।

এর আগে শুক্রবার বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং শহরে বোমা বিস্ফোরণে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হন।

বিপুলসংখ্যক মানুষ শুক্রবার রাতে একত্রিত হয়ে মণিপুর রাইফেলসের আলাদা দুটি ব্যাটালিয়ন ঘেরাও করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের চেষ্টা করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় সরকারি বাহিনী।

সুবিধাবঞ্চিত আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর শিক্ষা ও সরকারি চাকরির জন্য যে তফসিলি জনগোষ্ঠীর মর্যাদা দেয়া হয়, সে তালিকায় মেইতেই সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে গত বছরের ৩ মে থেকে মণিপুরে বড় আকারের সহিংসতা শুরু হয়।

সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। বাস্তুচ্যুত হন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সহিংসতার মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি অস্ত্র লুট হয়।

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহে পরাজিত নৌকার প্রার্থীর অর্ধশত সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা লুটপাট
গাইবান্ধায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, অবস্থা গুরুতর
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো মণিপুরীদের রাসলীলা উৎসব
মৌলভীবাজারে মণিপুরী গারো ও খাসিয়াদের উৎসব, চলছে প্রস্তুতি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
BSF killings on the border are brutal Chief Adviser

সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড নির্মমতা: প্রধান উপদেষ্টা

সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড নির্মমতা: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের টহল। ফাইল ছবি
সীমান্ত হত্যার নিন্দা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, হত্যা কোনো সমাধান নয়।

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ডকে নির্মমতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

হত্যা কোনো সমাধান নয় উল্লেখ করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় বাসভবনে ভারতভিত্তিক সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনের চেষ্টা করবে। এটি বছরের পর বছর বিলম্বিত হলে কারও উদ্দেশ্য সাধন হবে না।

সীমান্ত হত্যার নিন্দা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, হত্যা কোনো সমাধান নয়।

তিনি বলেন, ‘কাউকে হত্যা করা কোনো সমাধান নয়। কারণ এটি মোকাবিলা করার আইনি উপায় রয়েছে। এটি পরিচালনা করার জন্য একটি স্থল প্রক্রিয়া এবং আইনি পদ্ধতি থাকতে হবে। এটা একতরফা ব্যাপার।

‘দেশ দখলের জন্য কেউ সীমান্ত অতিক্রম করছে না। যারা গুলি করে হত্যা করছে, তারা শুধুই নির্লজ্জ। এটা উদাসীনতা। এটা বন্ধ করতে হবে।’

দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যা অবশ্যই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সমাধান করতে হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মতো অববাহিকার দেশগুলোর সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে, যা তারা সংরক্ষণ করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘এই ইস্যু (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে এটা কোনো উদ্দেশ্য সাধন করছে না। কতটুকু পানি পাব জেনে যদি খুশি না হয়েও সই করি, তবুও ভালো হয়। এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে সমস্যা সমাধানে যত দ্রুত সম্ভব চাপ দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন সরকার তা অনুসরণ করবে।

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ চান ড. ইউনূস
ড. ইউনূসকে আমিরাত প্রেসিডেন্টের ফোন
নামে-বেনামে ঋণ আত্মসাতের হিসাব হচ্ছে: ইউনূস
ড. ইউনূসকে ফোন এরদোয়ানের, তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
India demands justice in international court for water encroachment
ফেনীতে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’

পানি আগ্রাসনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিচার দাবি

পানি আগ্রাসনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিচার দাবি শুক্রবার ফেনীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনীসহ ১১টি জেলার মানুষ মানসিক, শারীরিক ও আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ বন্যা শুধুই প্রাকৃতিক নয়। ভারত কোনোভাবে এর দায় এড়াতে পারে না।’

পানি আগ্রাসনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বিশিষ্টজনেরা। নদীর বাঁধ কেটে দিয়ে ফেনীসহ দেশের ১১টি জেলাকে বন্যায় ডুবিয়ে দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাবি তুলেছেন তারা।

শুক্রবার ফেনীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘আমরা ফেনীবাসী’র ব্যানারে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।

দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

কর্মসূচি থেকে ‘১১ দফা ফেনী ঘোষণা’তুলে ধরেন দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ফেনী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন।

পানি আগ্রাসনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিচার দাবি

আয়োজক প্লাটফর্ম ‘আমরা ফেনীবাসীর অন্যতম উদ্যোক্তা বুরহান উদ্দিন ফয়সলের সঞ্চালনায় স্ট্রাইক কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ এজাজ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাপা যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, নারী নেত্রী নুর তানজিলা রহমান, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম, দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফ রিজভী, ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ হোসাইন, কবি ও সমাজকর্মী ফজলুল হক, সমাজকর্মী আমের মক্কি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলার সমন্বয়ক আব্দুল আজিজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ইমাম হোসেন, কবি ও সমাজকর্মী আলাউদ্দিন আদর।

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে এসে এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুইয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন আমরা ফেনীবাসী প্লাটফর্মের অন্যতম উদ্যোক্তা কেফায়েত শাকিল। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আরেক উদ্যোক্তা আবদুল্লাহ হাসান।

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এই বন্যা শুধুই প্রাকৃতিক নয়। ভারত কোনোভাবে এর দায় এড়াতে পারে না। এই বন্যায় ফেনীসহ ১১টি জেলার মানুষ মানসিক, শারীরিক ও আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে সব অভিন্ন নদীতে ড্যাম বা বাঁধ অপসারণের দাবি জানান এই বিশেষজ্ঞ।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ভারত চাইলেই যে এক দিনে বাঁধ কেটে বাংলাদেশের মানুষকে বিপদে ফেলে দিতে পারে এবারের বন্যা তার উদাহরণ। বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ৬৮টি বাঁধ দিয়েছে ভারত। প্রতিটির হিসাব ভারতকে দিতে হবে।’

এই পানি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ফাঁরাক্কায় বাঁধ দিতে পারেনি। শেখ মুজিবের শাসনামলে ভারত এই বাঁধ দিতে সক্ষম হয়। ফেনী নদীর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে। এ দেশে দিল্লির আধিপত্যবাদের প্রোডাক্ট ছিলেন শেখ হাসিনা। দেশে উন্নয়নের বয়ান হাসিনার ছিল না, এটি ছিল মোদির শেখানো বুলি। উন্নয়নের নামে নদী ও পরিবেশ ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা।’

মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘ফেনীর মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে জানে। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও ফেনীবাসী হারবে না।’

ভারতকে পানি নিয়ে বৈষম্যহীন আচরণের আহ্বান জানান তিনি।

হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, ‘দেশের এবারের বন্যা যতটা না প্রাকৃতিক তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। পানি আগ্রাসনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিচার করতে হবে।’

সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ভারত শুধু পানি-সন্ত্রাস নয়, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, এ দেশের ভোটাধিকার হরণ ও বাণিজ্য আগ্রাসন চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। আচরণ না পাল্টালে ভারতকে এর মূল্য দিতে হবে।’

‘১১ দফা ফেনী ঘোষণার মধ্যে রয়েছে-

১. আন্তঃসীমান্তীয় সব নদী থেকে ড্যাম/ব্যারেজ বা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তা অপসারণ করতে হবে;

২. এবারের বন্যার জন্য ফেনীর পরশুরামে ভারতের ইচ্ছাকৃত বাঁধ কেটে দেয়া বহুলাংশে দায়ী। এজন্য জাতিসংঘের সহায়তায় ভারতকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে;

৩. মুহুরীর চরে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের কেটে দেয়া সুরক্ষা বাঁধটি অবিলম্বে পুনর্নির্মাণ করতে হবে;

৪. বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে এবং ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে পানি উত্তোলন চলবে না;

৫. বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি নাগরিককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে;

৬. কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রি ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ, প্রণোদনা এবং সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে;

৭. শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে অতিদ্রুত তা মেরামত করতে হবে;

৮. নদীভাঙন রোধে এখনি কার্যকর ব্যবস্থা চাই। মুছাপুর ক্লোজার পুনর্নির্মাণে কালবিলম্ব না করে পদক্ষেপ নিতে হবে;

৯. বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার পেছনে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনেরও দায় আছে। এজন্য দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। এবং বাংলাদেশ সরকারকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে;

১০. উন্নয়নের নামে জলাধারে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। ভরাট করা খাল ও নদীর নাব্য ফিরিয়ে দিতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে;

১১. নদী ও পরিবেশ দূষণ রোধ এবং বনভূমি উজাড় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা চাই।

‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচিতে স্থানীয় কিছু যুব সংগঠন অংশ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার, ইয়ুথ নেট গ্লোবাল ফেনী শাখা, ইকো রেভ্যুলেশন, ফেনী ছাত্র ও যুব সমিতি, লস্করহাট ব্লাড ডোনেট অ্যাসোসিয়েশন, মির্জা ফাউন্ডেশন, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ), প্রয়াস, আমরাই আগামী ও ফেনী ফ্লাড রেসপন্স টিম।

আরও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক ছিল সরকার ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Teesta issue must be resolved Yunus

তিস্তা ইস্যুর সমাধান হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

তিস্তা ইস্যুর সমাধান হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ। ফাইল ছবি
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ড. ইউনূস পিটিআইকে বলেন, ‘এ ইস্যু (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে থাকলে কোনো উদ্দেশ্য সাধন হবে না। আমি কী পরিমাণ পানি পাব সেটা জানার পর খুশি না হয়ে (চুক্তি) সই করাটাও অপেক্ষাকৃত ভালো। এ ইস্যুর সমাধান হতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে মতদ্বৈততা নিরসনের পথ খুঁজবে বলে প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নিজ বাসভবনে ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থাটিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকারের এ অংশটি নিয়ে শুক্রবার খবর প্রকাশ করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এর আগে বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে পিটিআইয়ের কাছে ড. ইউনূসের করা মন্তব্য নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ইউনূস পিটিআইকে বলেন, ‘এ ইস্যু (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে থাকলে কোনো উদ্দেশ্য সাধন হবে না। আমি কী পরিমাণ পানি পাব সেটা জানার পর খুশি না হয়ে (চুক্তি) সই করাটাও অপেক্ষাকৃত ভালো। এ ইস্যুর সমাধান হতে হবে।’

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ২০১১ সালের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি সইয়ের কথা ছিল দুই দেশের, তবে সে সময় পশ্চিমবঙ্গে পানি স্বল্পতার কথা জানিয়ে চুক্তির বিরোধিতা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা সবাই চেয়েছিলাম এই চুক্তি সম্পন্ন করতে। এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল।

‘যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সে জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমাদের এর নিষ্পত্তি করা দরকার।’

আরও পড়ুন:
গঙ্গা চুক্তি নিয়ে মমতার দাবি ঠিক নয়: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিস্তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে ভারতের কারিগরি দল
পারস্পরিক সহযোগিতায় ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
তিস্তায় নৌকাডু‌বিতে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার
তিস্তায় নৌকাডুবি: এখনও নিখোঁজ এক পরিবারের চারজন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Sheikh Hasina must remain silent in India PTIs Yunus

ভারতে চুপ থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে: পিটিআইকে ইউনূস

ভারতে চুপ থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে: পিটিআইকে ইউনূস রাষ্ট্রীয় বাসভবনে পিটিআইকে সাক্ষাৎকারটি দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিটিআই
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ (সরকার) তাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, শর্ত হবে যে, তাকে চুপ থাকতে হবে।’

দুই দেশের মধ্যকার অস্বস্তি রোধে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চুপ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

রাষ্ট্রীয় বাসভবনে পিটিআইকে সাক্ষাৎকারটি দেন প্রধান উপদেষ্টা, যা বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তার বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়।

ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ (সরকার) তাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, শর্ত হবে যে, তাকে চুপ থাকতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ, তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে ইসলামপন্থি হিসেবে চিত্রিত করার পাশাপাশি শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান, এমন বয়ান থেকে নয়া দিল্লিকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।

শেখ হাসিনার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘ভারতে তার (শেখ হাসিনা) অবস্থান নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট নয়। কারণ আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ফেরাতে চাই।

‘তিনি ভারতে আছেন এবং কথাও বলছেন, যেটি সমস্যাজনক। তিনি নীরব থাকলে আমরা এটি (তার ভারতে থাকার বিষয়টি) ভুলে যেতাম। তিনি (শেখ হাসিনা) নিজের জগৎ নিয়ে থাকলে লোকজনও সেটি ভুলে যেত, তবে তিনি ভারতে বসে কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। এটি কেউই পছন্দ করছে না।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ চান ড. ইউনূস
ড. ইউনূসকে আমিরাত প্রেসিডেন্টের ফোন
নামে-বেনামে ঋণ আত্মসাতের হিসাব হচ্ছে: ইউনূস
ড. ইউনূসকে ফোন এরদোয়ানের, তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ
বাংলাদেশ দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মন্তব্য

p
উপরে