গ্রীষ্মকালে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় আসন্ন জুলাই ও আগস্টে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাপান সরকার।
রাজধানী টোকিওসহ আশপাশের আবাসিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চলের জন্য শুক্রবার সরকারের পক্ষে এই আহ্বান জানানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।
তবে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। মে মাসেও সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গত গ্রীষ্মের তুলনায় এই গ্রীষ্মে বেশিরভাগ অঞ্চলে বিদ্যুতের সংকট কিছুটা কমার আভাস দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। তবে বিদ্যুতের ব্যবহার যথাসম্ভব কমানোর নির্দেশনাও দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কর্তৃপক্ষ টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংসকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, বিদ্যুৎ সংরক্ষণের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এই হার ৩ শতাংশের নিচে নামলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়ার পাশাপাশি হতে পারে ব্ল্যাকআউটও।
গত বছরের জুনে দেশটিতে তাপমাত্রা রেকর্ড গড়েছিল প্রায় এক সপ্তাহের জন্য। জনগণকে তখন যথাসম্ভব বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে আহ্বান জানিয়েছিল জাপান সরকার।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথে তিন নারীকে তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তদের কাছে ছুরি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র ছিল।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে চার পুরুষ এক বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে তিন নারীকে তাদের সামনেই ধর্ষণ করেন। অভিযুক্তরা টাকা, গয়নাও নিয়ে যান।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একই রাতে এক দম্পতির বাড়িতে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা ওই বাসা থেকে কিছু টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান।
আলাদা এ দুটি ঘটনায় একই ব্যক্তিদের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করছে পুলিশ।
পানিপথের মাতলাউদা থানার স্টেশন হাউস অফিসার বিজয় বলেন, ‘দুটি ঘটনাই একই গ্রামে ঘটেছে। তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন:শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেয়া সাময়িক বন্ধ রেখেছে ভারত।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত কানাডীয়দের ভারতের ভিসা দেয়া বন্ধ থাকবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি কানাডায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে রয়েছে।
বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিচালনগত কারণে পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা স্থগিত করা হয়েছে।
কানাডায় খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্পৃক্তি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করে অটোয়া। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরার মধ্যেই ভিসা বন্ধের খবরটি এলো।
কানাডার দাবিকে অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভারত।
ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের সময় থেকেই কানাডার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। ওই সম্মেলনের সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর আমেরিকার দেশটিতে ‘ভারতবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত থাকার বিষয়ে জোর উদ্বেগ’ জানান।
গত সোমবার ট্রুডো জানান, তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে থাকা তথ্য কানাডার নাগরিক নিজ্জার হত্যায় ‘ভারত সরকারের এজেন্টদের’ দিকে ইঙ্গিত করে।
এ বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে গরিব বাঁচাতে ধনীদের ওপর করের বোঝা চাপানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জিও নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটি কঠিন, তবে পাকিস্তানকে এটি করতে হবে। আইএমএফের কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পদক্ষেপ নিতে হবে, আমরা পাকিস্তানের জনগণের পাশে আছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, পাকিস্তানের জনগণের স্বার্থে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। আগের কিছু ‘অপূর্ণতা’ মোকাবিলা করে পাকিস্তানকে এই পদক্ষেপ কার্যকর করতে হবে।
জিও নিউজ বলছে, পাকিস্তান আইএমএফের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এরই মধ্যে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাতের পুনর্গঠন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে সংস্কার এবং কর বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে দেশটি।
এ প্রেক্ষাপটে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো জনজীবনকে কঠিন করে তুলেছে। বিদ্যুত এবং পেট্রলের ব্যাপক দামবৃদ্ধি হয়েছে সম্প্রতি। মুদ্রাস্ফীতিও রেকর্ড গড়েছে। কমছে রুপির দাম।
আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘পাকিস্তানের সবাইকে একটি সহজ বার্তা দিন। আমাদের প্রোগ্রামে আমরা যা চাইছি তা হলো, দয়া করে ধনীদের কাছ থেকে আরও কর সংগ্রহ করুন এবং দয়া করে পাকিস্তানের দরিদ্র জনগণকে রক্ষা করুন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের মানুষ আসলে এটিই দেখতে চায়।’
তবে কীভাবে ধনীদের ওপর কর চাপানো যায় বা এর বিস্তারিত উপায় কী তা নিয়ে তিনি কোনো কিছু জানাননি।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০তম প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতির পর আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি এ দেশের অর্থনীতি।
নওয়াজের কাছ থেকে বিপুল বৈদেশিক ঋণের বোঝা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন শহীদ খাকান আব্বাসি। সংকট কাটাতে ব্যর্থ হন তিনিও।
পূর্বসূরিদের রেখে যাওয়া বিপুল ঋণ নিয়ে পাকিস্তানের মসনদে আসেন ইমরান খান। সৌদি আরব এবং চীনের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে কোনোভাবে পাকিস্তানকে টেনে নিচ্ছিলেন ইমরান। তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তিনিও থিতু হতে পারেননি।
ইমরানকে সরিয়ে এরপর ক্ষমতায় আসেন নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার জোর গলায় বলেছেন, ‘পাকিস্তান খেলাপি হবে না।’ তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট তার দাবিকে সমর্থন করছে না।
ডন লিখেছে, পাকিস্তানের ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। বর্তমান অর্থনীতির সবদিক বিবেচনা করে পাকিস্তান ডিফল্টের (দেউলিয়া) খুব কাছাকাছি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। বিদেশি ঋণ কিছুটা এলেও সংকট দূর হচ্ছে না পাকিস্তানের। এ অবস্থায় গত মাসে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আনোয়ারুল হক কাকার।
সংবিধান অনুযায়ী, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নভেম্বরের শুরুর দিকে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:কানাডায় শিখ নেতা হত্যার পেছনে ভারতের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ ওঠার মধ্যেই দুই দেশই দুই দেশের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এ অবস্থায় দেশ দুটির সম্পর্কের আগুনে যেন ঘি ঢালল পাকিস্তান।
ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক থাকা পাকিস্তান বলছে, কানাডা ভারতের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, এ অভিযোগ নিয়ে মোটেও তারা বিস্মিত নয়। এই হত্যার পেছনে ভারতের হাত অবশ্যই থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সাইরাস কাজী। সেখানেই এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বুধবার ওই প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কানাডায় ভারতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পাকিস্তান আর বিস্মিত নয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ তুলেছেন, এতে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আগের দিন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টোও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ‘নিবিড়ভাবে’ কাজ করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন কানাডীয় সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, জুনে ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিংকে গুলি করে হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের সন্ধানে রয়েছে স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
কানাডীয় সরকারের কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি, যার মধ্যে সোমবার জনসমক্ষে আনা বিষয়টিও রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কানাডার কাছে থাকা তথ্যপ্রমাণ ‘যথাসময়ে’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তিনি ভারত সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে কানাডাকে সহায়তার তাগিদ দেন।
ট্রুডোর এ বক্তব্য দ্রুতই নাকচ করে কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় ভারত। এর আগে সোমবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে কানাডা।
শিখ নেতার হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার তদন্তে ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হলো। কানাডায় ভারতীয় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা নিয়ে নাখোশ নয়াদিল্লি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অটোয়া ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ও ট্রুডোর সাবেক পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা রোল্যান্ড প্যারিস বলেন, ‘এই ইস্যু (শিখ নেতা হত্যায় জড়িতদের তদন্ত) সমাধানের আগে দুই সরকারের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ-আলোচনা কঠিন হবে বলে আমি মনে করি।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, কানাডার তদন্তে সমর্থন রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন:
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার ‘লেডি সুপারস্টার’ ও জওয়ান সিনেমার অভিনেত্রী নয়নতারা তার স্বামী নির্মাতা ভিগনেশ শিবানকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইন্সটাগ্রামে বার্তা দিয়েছেন।
সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যম ভিগনেশ শিবানের সঙ্গে তিনটি ছবি পোস্ট করে সোমবার তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনে আসার জন্য ও একে স্বপ্নময় করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’
তিনি স্বামীকে ‘আশীর্বাদ’ উল্লেখ করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘এই বিশেষ দিনে আমি তোমার সম্পর্কে অনেক কিছু লিখতে চাই, কিন্তু যদি শুরু করি তবে আমি মনে করি না যে, অল্প কথায় শেষ করতে পারব। আমাকে ভালোবাসার জন্য আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের সম্পর্কের জন্য, তোমার সম্মানের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমার জীবনে আসার জন্য ও একে স্বপ্নময়, অর্থবহ এবং সুন্দর করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমি হৃদয় থেকে তোমার জীবনের সবকিছুতে মঙ্গল কামনা করি। তোমার প্রতিটি স্বপ্ন সত্য হোক। ঈশ্বর তোমাকে পৃথিবীর সব সুখ দিয়ে আশীর্বাদ করুক। আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
এ বছরের আগস্ট মাসেই ইন্সটাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন অভিনেত্রী নয়নতারা।
‘জওয়ান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে তার। শাহরুখের খানের প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিসের প্রযোজিত এই সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নয়নতারা।
আরও পড়ুন:ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ধানবাদ এলাকায় রোববার মাটি দেবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন নারীর।
এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাড়িতে টয়লেট না থাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান ওই তিন নারী। ওই সময় চারপাশের জমি দেবে তাদের মৃত্যু হয়।
প্রাণ হারানো তিনজন হলেন পার্লা দেবী, ঠান্ডি দেবী ও মান্দাভা দেবী, যারা গন্ডুডিহ কয়লাখনি সংলগ্ন ধোবি কুলহি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
মাটি দেবে ওই তিনজনের মধ্যে একজন তলিয়ে যাওয়ার সময় বাকি দুইজন তাকে সাহায্য করতে যান। পরে তাদেরও প্রাণহানি হয়।
কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (বিসিসিএল) দ্বারা গোন্ডুডিহ খাস কুসুন্দা কোলিয়ারি এলাকাটি পরিচালিত হয়।
রোববার ধানবাদের গন্ডুডিহ কোলিয়ারির পার্শ্ববর্তী হিলটপ হাই-রাইজ আউটসোর্সিং কোম্পানির কাছে একটি বিকট শব্দের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, তারা মহিলাদের বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও বিসিসিএলের খনি উদ্ধারকারি দলকে খবর দিলে তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাতেই এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে। বিসিসিএল কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে তারা জানান, এলাকার ভূমি দেবে যায় জানা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে স্থানীয়দের পুনর্বাসন করেনি।
বর্তমানে অসংখ্য পুলিশ ও উদ্ধারকারি সিআইএসএফ কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন এবং তিন নারীর মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
রাজ্যের ধানবাদ এলাকার সার্কেল অফিসার প্রশান্ত কুমার লায়ক বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান চলছে এবং মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:রেললাইনের ইঁদুর দমন করতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। একটা ইঁদুর ধরতে গড়ে খরচ পড়েছে ৪১ হাজার রুপি।
নর্দার্ন রেলের লক্ষ্ণৌ ডিভিশন এমন খরচ করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিষয়টি ঠিক এমন নয়।
রেল দপ্তরের কাছে তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) চন্দ্রশেখর গৌর নামে এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছিলেন ইঁদুর ধরার খরচের তথ্য।
এরই প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা সব মিলিয়ে ১৬৮টি ইঁদুর ধরেছেন। তাতে তাদের খরচ হয়েছে ৬৯.৫ লাখ রুপি। তার মানে এই হিসাব ধরলে ইঁদুর ধরার খরচ মাথাপিছু ৪১ হাজার রুপি।
তবে ওই ব্যক্তি শুধু লক্ষ্ণৌ ডিভিশন নয়, দিল্লি, আম্বালা, মোরাদাবাদ ফিরোজপুর ডিভিশনের কাছেও জানতে চেয়েছিলেন তথ্য। কিন্তু একমাত্র উত্তর দিয়েছে লক্ষ্ণৌ ডিভিশন।
চন্দ্রশেখর একই সঙ্গেই জানতে চেয়েছিলেন ইঁদুর রেলের কী ক্ষতি করে? সেই ক্ষতির পরিমাণটা ঠিক কত? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য রেল পুরোপুরি দিতে পারেনি। শুধু জানিয়েছে, কত আইটেমের ক্ষতি করে সেটার হিসাব নেই। এটা নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়নি।
আম্বালা ডিভিশন জানিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তারা ইঁদুরের বিরুদ্ধে, পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। তাতে তাদের খরচ হয়েছে ৩৯.৩ লাখ রুপি। কতগুলো ইঁদুর তারা ধরেছে তার হিসাব তারা দেয়নি।
এদিকে লক্ষ্ণৌ ডিভিশন জানিয়েছে, তথ্যের বিকৃতি করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে বলেছে, মেসার্স সেন্ট্রাল ওয়ারহাউসিং কর্পোরেশন, গোমতী নগর, লক্ষ্ণৌ পেস্ট অ্যান্ড রোডেন্ট কন্ট্রোল ওয়ার্ক এই কাজটা করেছে।
এতে বলা হয়, আরশোলা দমন করা, ট্রেনের মধ্যে যাতে ইঁদুর না হয় সেটা খেয়াল রাখা এসব করা হয়। সে কারণে এই কাজ একটা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এটা ঠিক ইঁদুর ধরার বিষয় নয়।
তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরশোলা, ইঁদুর, মশাসহ যাবতীয় বিষয় প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছর ২৩.২ লাখ রুপি খরচ করা হয়। প্রতি বছর ২৫০০০ কোচে এই কাজ করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি কোচে ৯৪ টাকা করে খরচ হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য