যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ডে মঙ্গলবার বন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
একটি হাই স্কুলে পাস করা শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় এ হামলা হয়।
পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হামলাকারীর কাছে চারটি হ্যান্ডগান ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই যুবক ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের ভেতরে একটি থিয়েটারে হুগুনট হাই স্কুলের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়া লোকজনের ভিড়ের মধ্যেই পরিচিত একজনকে গুলি করেন।
রিচমন্ড পুলিশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান রিক এডওয়ার্ডস সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেপ্তারকৃতকে পরিকল্পিত নয় এমন হত্যার দুটি অভিযোগের পাশাপাশি অন্যান্য অভিযোগে অভিযুক্ত করা হতে পারে।
হামলাকারীর আচরণকে ‘ন্যক্কারজনক’ ও ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়েছেন এডওয়ার্ডস।
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল, বিপণি বিতান কিংবা গির্জার মতো জনসমাগমস্থলে বন্দুক হামলা নতুন কিছু নয়। ভার্জিনিয়ার ঘটনাটি নিয়ে দেশটিতে ২০২৩ সালের প্রথম ১৫৭ দিনে বন্দুক সহিংসতার ২৭৯টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ নামের একটি সংস্থা।
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার আর্মি টেকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন কবে নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্রটি পাবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।
রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি, রেলপথ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবারহের পথগুলোতে শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অনেকদিন ধরেই বাইডেন প্রশাসনের কাছে চেয়ে আসছে ইউক্রেন।
যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালেও সরাসরি এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে দেখা যায়নি দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের।
জেলেনস্কির সফরকালে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। গেন্টাগনের এ বিষয়ে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হতে পারে এ রকম গুঞ্জনের পর চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যুদ্ধের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন হিসেবে জানায়।
রাশিয়া আরও জানায়, এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে বলে মনে করবে তারা।
ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনবিসিকে সরাসরি কিছু না বললেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টও কয়েক দিন আগে করা তাদের এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হতে পারে বলে জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আলোচনা হওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে জানা যায়, এটি ৩৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে যেকোন স্থাপনায় গভীর ও শক্তিশালী আঘাত হানতে পারে।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে নয়াদিল্লির এজেন্টদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার তদন্তে ভারত সরকার কানাডার সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এ ঘটনার পর নয়াদিল্লি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, সেগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ তদন্তে কানাডার সঙ্গে ভারতের কাজ করা জরুরি। আমরা জবাবদিহি দেখতে চাই।’
এ বিষয়ে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাই। আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে আমরা তদন্তের গভীরে যেতে পারি।’
বিবিসির বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘কানাডার মাটিতে কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।’
কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সে সম্পর্কে ট্রুডো কোনো তথ্য দেননি, তবে কানাডার সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ওপর আস্থা না থাকলে ট্রুডো প্রকাশ্যে কথা বলতেন না।
শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের।
ভারত গত বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে ৪৩ জন জড়িত বলে তাদের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:চীনকে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অস্তিত্বের জন্য ‘হুমকি’ উল্লেখ করে ভারতীয়-আমেরিকান রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি দাবি করেছেন, বেইজিং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন।
হ্যালিকে উদ্ধৃত করে শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন আমেরিকাকে পরাজিত করার জন্য অর্ধশতাব্দী পার করেছে। কিছু ক্ষেত্রে চীনা সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর সমকক্ষ হয়ে গেছে।
রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা বিবেক রামাস্বামী ওহাইওতে চীন সম্পর্কে বৈদেশিক নীতি নিয়ে আলোচনার দুই দিন পর উল্লিখিত কথা বলেন হ্যালি।
সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পর হ্যালি ও রামাস্বামী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
নিকি হ্যালির অভিযোগ, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাজগুলো বাগিয়ে নিচ্ছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসংক্রান্ত গোপনীয়তাগুলোও নিয়ে গেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। বর্তমানে দেশটি ওষুধ থেকে শুরু করে উন্নত প্রযুক্তি শিল্পের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অল্প সময়ের মধ্যে চীন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে চলে গেছে।
হ্যালি বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশ্য স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিতে তারা অত্যাধুনিক বিশাল সামরিক বাহিনী গড়ে তুলছে, যা এশিয়া ও তার বাইরেও আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন:শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেয়া সাময়িক বন্ধ রেখেছে ভারত।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত কানাডীয়দের ভারতের ভিসা দেয়া বন্ধ থাকবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি কানাডায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে রয়েছে।
বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিচালনগত কারণে পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা স্থগিত করা হয়েছে।
কানাডায় খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্পৃক্তি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করে অটোয়া। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরার মধ্যেই ভিসা বন্ধের খবরটি এলো।
কানাডার দাবিকে অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভারত।
ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের সময় থেকেই কানাডার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। ওই সম্মেলনের সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর আমেরিকার দেশটিতে ‘ভারতবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত থাকার বিষয়ে জোর উদ্বেগ’ জানান।
গত সোমবার ট্রুডো জানান, তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে থাকা তথ্য কানাডার নাগরিক নিজ্জার হত্যায় ‘ভারত সরকারের এজেন্টদের’ দিকে ইঙ্গিত করে।
এ বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে নিজ বাসা থেকে এক দম্পতি, দুই শিশুসন্তান ও তাদের তিনটি পোষা কুকুরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাণ হারানো চারজন হলেন আলবার্তো রোলন, তার স্ত্রী জোরাইদা বার্তোলোমি ও তাদের দুই সন্তান ১০ বছর বয়সী অ্যাড্রিয়েল ও সাত বছর বয়সী দিয়েগো।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মরদেহগুলো উদ্ধার করে রোমিওভিল পুলিশ।
বাসার ভেতরে তিনটি কুকুরও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
রোমিওভিলের ডেপুটি পুলিশ চিফ ক্রিস বার্ন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা বলে পুলিশ মনে করছে না। এ কারণে এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড ধরে নিয়েই তদন্ত করা হবে।’
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
ক্রিস বার্ন বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা ৩৬ ঘণ্টা ব্যয় করে ঘটনাস্থল থেকে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।’
প্রতিবেশীরা সংবাদমাধ্যকে জানায়, ওই পরিবারের কেউ খুব একটা বাইরে বের হতেন না। তাদের সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না।
একজন প্রতিবেশী বলেন, ‘তাদের বাচ্চাদের কখনও বাইরে খেলতে দেখিনি। আমি সত্যিই জানি না কী ঘটেছে। বাড়ির খুব কাছাকাছি এমন একটি ঘটনা খুবই ভয়ংকর।’
আরও পড়ুন:ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ‘নিবিড়ভাবে’ কাজ করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন কানাডীয় সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি এ তথ্য জানান।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার জানান, জুনে ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের সন্ধানে রয়েছে স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
কানাডীয় সরকারের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি, যার মধ্যে গতকাল (সোমবার) জনসমক্ষে আনা বিষয়টিও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কানাডার কাছে থাকা তথ্যপ্রমাণ ‘যথাসময়ে’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডের প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
তিনি ভারত সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে কানাডাকে সহায়তার তাগিদ দেন।
ট্রুডোর এ বক্তব্য দ্রুতই নাকচ করে কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় ভারত। এর আগে সোমবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে কানাডা।
শিখ নেতার হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার তদন্তে ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হলো। কানাডায় ভারতীয় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা নিয়ে নাখোশ নয়াদিল্লি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অটোয়া ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ও ট্রুডোর সাবেক পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা রোল্যান্ড প্যারিস রয়টার্সকে বলেন, ‘এই ইস্যু (শিখ নেতা হত্যায় জড়িতদের তদন্ত) সমাধানের আগে দুই সরকারের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ-আলোচনা কঠিন হবে বলে আমি মনে করি।’
এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, কানাডার তদন্তে সমর্থন রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন:ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ইরান থেকে মুক্ত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিক কাতারের দোহা হয়ে দেশের পথে রওনা হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতির বরাতে মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা রওনা হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানে বন্দি পাঁচজন নিরপরাধ আমেরিকান অবশেষে দেশে ফিরে আসছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তেহরান ছাড়া আমেরিকান পরিবারের দুই সদস্যসহ পাাঁচজনকে নিয়ে বিমান যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। সামরিক বাহিনী তাদের চিকিৎসার প্রস্তাব দেবে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের ৫ জন করে মোট ১০ বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি কাতারের সমঝোতায় একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ অবমুক্ত করা হয়।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রেস টিভি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আটক পাঁচজন ইরানিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন তেহরানে পৌঁছেছেন। বাকিরা ইরানে ফিরছেন না।
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধ করার জন্য একটি চুক্তি প্রত্যাহার করে পুনরায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ওই কর্মসূচির লক্ষ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।
সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দেয় তেহরান। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদের অবমুক্ত করাও কথাও জানানো হয় তাদের পক্ষে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি তখন বলেছিলেন, বন্দি বিনিময় এবং জব্দ করা অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আলাদা ইস্যু।
তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে বলা হয়, ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান। অন্যদিকে একই সংখ্যক ইরানি বন্দিকে মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
এরই অংশ হিসেবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিককে বের করে স্থানীয় হোটেলে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য