ভারতের মণিপুরে রোববার নতুন করে সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
রাজ্যটির সংঘাতপীড়িত এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সোমবারের সফর শুরুর আগে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজ্যজুড়ে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৮০ জনের। গতকালের সহিংসতায় আহত হন ১২ জন।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সহিংসতার জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেন।
এনডিটিভি জানায়, অস্ত্র হাতে থাকা ‘সন্ত্রাসীরা’ সেরু ও সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক দিনে ৪০ ‘সন্ত্রাসীকে’ গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এম-১৬ ও একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল ও স্নাইপার বন্দুক ব্যবহার করছে। তারা অনেক গ্রামে এসে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীসহ অন্য বাহিনীগুলোর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি। আমরা গুলিতে ৪০ জনের মতো সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ইম্ফল উপত্যকার উপকণ্ঠে গত দুই দিনে সহিংস হামলা পরিকল্পিত মনে হচ্ছে।
মণিপুরে আজ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে অমিত শাহর। তিনি সংঘাতে লিপ্ত মৈতেয় ও কুকি উভয় সম্প্রদায়কে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
মণিপুরজুড়ে এপ্রিল থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যটিতে তফসিলি সম্প্রদায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে মৈতেয়রা দাবি জানায়। এর মধ্য দিয়ে করে তারা কোটাসহ বনের জমিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চেয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন এর প্রতিবাদ করলে সহিংসতা শুরু হয়।
দুই সম্প্রদায়ের সহিংসতা প্রতিরোধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ আরোপের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সরকার।
আরও পড়ুন:ভারতের তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার কুনুর এলাকার কাছে পাহাড়ি সড়ক থেকে বাস খাদে পড়ে আট পর্যটক নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কুনুরের হেয়ারপিন বাঁকে রোববার সকাল ১০টার দিকে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ওই বাসে ৫৫ যাত্রী ছিলেন, যারা টেনকাসি ঘুরতে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের সাহায্য করতে তাৎক্ষণিক এগিয়ে আসেন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কুনুর ও মেট্রুপালায়ম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে চালক বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে বাসটি খাড়া বাঁকের নিচে পড়ে যায়।
নীলগিরির পুলিশ সুপার কে প্রভাকর বলেন, ‘তদন্ত চলছে। চালকের দোষ আছে বলে মনে হচ্ছে।’
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে তথ্য জানাতে নীলগিরি জেলা প্রশাসন হটলাইন (১০৭৭) চালু করেছে। এ ছাড়াও ০৪২৩-২৪৫০০৩৪ নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বুলেট ট্রেন চালু করেছে ইন্দোনেশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, দ্রুতগতির এ ট্রেন সেবা দেশেটির বড় দুটি শহরকে সংযুক্ত করেছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ ও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর অর্থায়নে ৭৩০ কোটি ডলারের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। রোববার জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ট্রেনটি।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন কোম্পানি কেসিআইসির তথ্য অনুযায়ী, আটটি বুলেট ট্রেনের সবগুলোতে ওয়াইফাই সেবা ও ইউএবি চার্জিং পয়েন্ট সুবিধা আছে।
ট্রেনগুলো রাজধানী জাকার্তা থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, শিল্প ও সংস্কৃতিকেন্দ্র পশ্চিম জাভার বান্দুং পর্যন্ত চলাচল করবে।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর জাকার্তা থেকে বান্দুং প্ল্যাটফর্মে সপ্তাহ ধরে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে বুলেট ট্রেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দ্রুতগতির এ রেললাইনের নাম দেয়া হয়েছে ‘হুশ’, ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় যার অর্থ সময় সাশ্রয়ী, সন্তোষজনক কার্যক্রম ও নির্ভরযোগ্য সিস্টেমের।
সরাসরি কার্বন নির্গমন ছাড়াই ঘণ্টায় ২১৭ মাইল ছুটে যায় বিদ্যুৎচালিত বুলেট ট্রেন। পূর্ব জাকার্তার হালিম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পশ্চিম বান্দুংয়ের পাদালারাং রেলওয়ে স্টেশনে যেতে ট্রেনটির সময় লাগবে এক ঘণ্টারও কম।
ট্রেনগুলোতে প্রথম, দ্বিতীয় ও ভিআইপি শ্রেণির তিন ধরনের আসন আছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে ২০১৫ সালে বুলেট ট্রেন চুক্তিটি প্রথম সই হয়েছিল। নির্মাণকাজ শুরু হয় পরের বছর থেকে।
আরও পড়ুন:ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের মাস্তুং জেলায় শুক্রবার মসজিদের কাছে জশনে জুলুসে সমবেত হওয়া লোকজনের ওপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত ও ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হামলাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে করছেন।
মাস্তুং জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডিএইচও) আবদুল রাজ্জাক শাহি ডনকে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলা শহরের স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ জাভেদ লেহরি জানান, প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন।
এর আগে শহিদ নওয়াব গউস বকশ রাইসানি মেমোরিয়াল হসপিটালের প্রধান নির্বাহী ডা. সাইদ মিরওয়ানি ডনকে জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণে ৩৪ জন নিহত ও ১৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।
তিনি পরবর্তী সময়ে জানান, তার পরিচালনাধীন হাসপাতালে ২৮টি মরদেহ আনা হয়েছে। অন্যদিকে ২২টি মরদেহ নেয়া হয় মাস্তুং জেলা হাসপাতালে।
মিরওয়ানি আরও জানান, শহিদ নওয়াব গউস বকশ রাইসানি হাসপাতালে অনেককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত ২০ জনের বেশি মানুষকে কুয়েটায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মাস্তুংয়ের সহকারী কমিশনার (এসি) আত্তাহুল মুনিম জানান, বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত ও ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।
তিনি জানান, আলফালাহ সড়কের মদিনা মসজিদের কাছে জশনে জুলুসের জন্য জড়ো হতে থাকা লোকজনের ওপর বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন:ভারতের পাঞ্জাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক ব্যক্তির পেট থেকে ইয়ারফোন, লকেট, স্ক্রুসহ প্রায় ১০০টি ধাতব বস্তু বের করা হয়েছে।
রাজ্যের মোগার একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থতা ও পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন। পরে তাকে পাঞ্জাবের মোগার মেডিসিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ব্যথার কারণ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসক তার পেটে এক্সরে স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেন। এক্সরে রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ে।
রিপোর্টে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির পেটের ভেতরে বেশ কিছু ধাতব বস্তু রয়েছে। এরপর তিন ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা সফলভাবে তার শরীর থেকে জিনিসগুলো বের করন।
পেট থেকে বের করা প্রায় ১০০ জিনিসের মধ্যে ছিল ইয়ারফোন, ওয়াশার, নাট-বোল্ট, তার, রাখি, লকেট, বোতাম, মোড়ক ও সেফটি পিন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজমির কালরা বলেন, ‘এই প্রথম এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। লোকটি দুই বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। শরীর থেকে জিনিসগুলো সরানো হলেও লোকটির অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ধাতব বস্তুগুলো দীর্ঘদিন ধরে তার পেটে ছিল, যা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করেছে।’
অস্ত্রোপচার করা ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি কখন জিনিসগুলো খেয়েছেন, তা কেউ জানে না, তবে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
এর আগে তাকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু কেউই তার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:ভারতের নয়াদিল্লিতে এক যুবককে বেঁধে মারধর করার পর তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পূর্ব দিল্লির সুন্দরনগরী এলাকায় বুধবার এই ঘটনা ঘটে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
নিহতের পরিবার বলছে, 'হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা গণেশের প্রসাদ চুরি করে খাওয়ার অভিযোগে ইসার আহমেদকে বেঁধে বেদম মারধর করা হয়। আর এই নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।’
পুলিশ বলছে, এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। এতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো ব্যাপার নেই।
এদিকে ২৬ বছর বয়সী ইসার আহমেদের মৃত্যতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকে বলেন, 'এটি কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। সংশ্লিষ্টরা দেখতে পান যে যুবকটি আশপাশে ঘুর ঘুর করছেন। তারা তাকে চোর সন্দেহে ধরেন। তারপর তাকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ইসার গণেশের প্রসাদ চুরি করেছেন বা করতে গিয়েছিলেন, এমন কোনো তথ্য আছে কি না- এমন প্রশ্নে পুলিশ বলছে, মামলাটি ‘সন্দেহ বিষয়ক’।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, ইসার এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তখন তাদের সন্দেহ হয়, ইসার গণেশের প্রসাদ চুরি করবেন। সেই সন্দেহের জেরেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, ইসারকে তারা প্রশ্ন করেন, কেন সেখানে ঘোরাফেরা করছেন তিনি।
পুলিশ বলছে, প্রশ্নের সঠিক জবাব ইসার দিতে পারেননি। কারণ তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন।
আরও পড়ুন:গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (জিআইআই) তথা বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক-২০২৩-এ আগের বছরের চেয়ে তিন ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
সূচকে বিশ্বের ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫তম, যা আগের বছরে ছিল ১০২তম।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এ সূচক প্রকাশ করে।
ডব্লিউআইপিও বুধবার ১৬ বারের মতো সূচক প্রকাশ করে। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
সূচক অনুযায়ী করা দেশগুলোর তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ডব্লিউআইপিওর সূচকে ২০২২ সালে ১০২তম অবস্থানে আসার আগে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ১১৬তম অবস্থানে ছিল।
১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে করা সূচকে ৬৭.৬ পয়েন্ট পেয়ে ১৩তম বারের মতো প্রথম স্থান দখল করেছে সুইজারল্যান্ড। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুর।
২০.২ পয়েন্ট নিয়ে ৩৭টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২২তম অবস্থানে রয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।
এ বছরের তালিকায় ভারতের অবস্থান ৪০তম, পাকিস্তানের অবস্থান ৮৮তম ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৯০তম।
মোট ৮০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোর তালিকা করা হয়।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে বিলিয়নেয়ার মুকেশ আম্বানির তিন সন্তানকে কোনো বেতন দেয়া হবে না। শুধু বোর্ড ও কমিটির সভায় যোগদানের জন্য ফি প্রদান করা হবে তাদের।
এনডিটিভির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, আম্বানির দুই যমজ সন্তান আকাশ ও ইশা এবং অনন্ত কোম্পানির অর্জিত লাভের ওপর শুধু সিটিং ফি ও কমিশন পাবেন।
রিলায়েন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও মুকেশ আম্বানিও ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানি থেকে কোনো বেতন নেননি। তার চাচাত ভাই নিখিল ও হিতালসহ অন্যান্য নির্বাহী পরিচালকদের বেতন, ভাতা ও কমিশন দেয়া হয়।
আম্বানির স্ত্রী নীতাকে ২০১৪ সালে কোম্পানির বোর্ডে নিয়োগ দেয়া হয়। কোম্পানির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছয় লাখ রুপি সিটিং ফি ও দুই কোটি রুপি কমিশন অর্জন করেন।
আম্বানির তিন সন্তান আকাশ, ইশা ও অনন্তকে রিলায়েন্সের পরিচালনা পর্ষদে (বিওডি) অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গত মাসে কোম্পানির বার্ষিক শেয়ারহোল্ডারদের সভায় ঘোষণা করেন আম্বানি।
ওই সময় আম্বানি জানান, তিনি আরও পাঁচ বছরের জন্য কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও হিসেবে থাকবেন।
রিলায়েন্স কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে আম্বানির তিন সন্তানকে নিয়োগের জন্য সম্মতি চেয়ে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে বিজ্ঞপ্তিসহ একটি পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বোর্ড বা কমিটির সভাগুলোতে যোগদানের জন্য বা বোর্ড কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেয়া অন্য যেকোনো মিটিং, বোর্ড ও অন্যান্য সভা এবং লভ্যাংশ-সম্পর্কিত কমিশনে তাদের পারিশ্রমিক দেয়া হবে।’
রিলায়েন্সে ইশা আম্বানির সরাসরি ০ দশমিক ১২ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার রয়েছে। আর কোম্পানির ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক মুকেশ আম্বানি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য