ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান বাহিনীর গুলিতে দুই সীমান্তরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি।
স্থানীয় সময় শনিবার সকালে সীমান্তচৌকিতে গোলাগুলির সময় এ প্রাণহানি হয় বলে জানায় দেশটি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তালেবান বাহিনী বিনা উসকানিতে ইরানের ওপর হামলা চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ইরানের দুই সীমান্তরক্ষী নিহত ও দুই বেসামরিক নাগরিক আহত হন।
ইরান পুলিশের উপপ্রধান কাসেই রেজাই শনিবার জানান, আন্তর্জাতিক আইন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের নীতি লঙ্ঘন করে সীমান্তচৌকিতে গুলি শুরু করে তালেবান।
তিনি ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সিকে (আইআরএনএ) বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকাল ১০টার দিকে আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনী সব ধরনের অস্ত্র দিয়ে জাবল সীমান্ত রেজিমেন্টের সাসোলি থানার দিকে গুলি চালাতে থাকে।’
কাসেম রেজাইয়ের ভাষ্য, ইরানের ‘সাহসী’ সীমান্তরক্ষীরা ‘বিনা উসকানিতে’ চালানো এ গুলির সমুচিত জবাব দিয়েছেন।
হামলার পর পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত প্রটোকল অনুযায়ী ইরানের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি টিকা ‘কিউডেঙ্গা’।
প্রাথমিক পর্যায়ে টিকাটি শিশুদের জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম।
এ বিষয়ে জাপানি সংবাদমাধ্যম নিপ্পন ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধী টিকাটি তৈরি করেছে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালস নামের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। তারা এর নাম দিয়েছে ‘কিউডেঙ্গা’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এই টিকা চালু করা হবে। যে শিশুরা তীব্র ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এবং উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে, তাদের ওপর এই টিকার ব্যবহার ফলপ্রসূ হতে পারে।
‘কিউডেঙ্গা’ টিকাটি ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, দুই ডোজের এই কিউডেঙ্গা টিকাটি সেরোটাইপ ২ ভেরিয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। তবে এখানে অন্য তিনটি ধরনের উপাদানও যুক্ত রয়েছে। ডোমিনিকান রিপাবলিক, পানামা এবং ফিলিপাইনে ১ হাজার ৮০০ জন তরুণ-তরুণীর ওপর এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। গবেষণার ফলাফল বলছে, টিকাটি নেয়ার পর ডেঙ্গুর চারটি ধরনের বিরুদ্ধে কমপক্ষে চার বছর সুরক্ষা দেয়।
এরপর এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ২০ হাজারেরও বেশি জনের ওপর আরেকটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখে তাকেদা। এতে দেখা যায়, টিকা গ্রহীতাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার অনেক কম এবং এটি ৬১ শতাংশ পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। সেই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কোনো পরীক্ষায় ঝুঁকির সম্ভাবনাও পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ডেঙ্গুর চারটি ধরনের বিরুদ্ধে উপযোগী টিকা নিয়ে সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিন। টিভি-০০৫ নামের টিকাটি এক ডোজের বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।
আরও পড়ুন:অ্যামাজন নদীর গোলাপী ও ধূসর রঙের ডলফিন একটি বিপন্ন প্রায় প্রজাতি। পৃথিবীতে পাওয়া কয়েকটি স্বাদু পানির ডলফিনের মধ্যে এটি অন্যতম।
গত সপ্তাহে ব্রাজিলের অ্যামাজন নদীর একটি উপনদীতে ১২০টি ডলফিনের মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন, মারাত্মক খরা এবং তীব্র গরমে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণায়ের একটি গবেষণা সংস্থা মামিরাউয়া ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, সোমবার টেফে লেকের আশেপাশে আরও দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের সদস্য মরিয়ম মারমনটেল বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে ১২০টি মৃত ডলফিনের তথ্য নথিভুক্ত করেছি।’
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পানির উচ্চ তাপমাত্রাই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর কারণ। গত সপ্তাহ থেকে টেফে লেক অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে৷
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ওই এলাকার জলাশয়গুলোও হাজার হাজার মাছও মারা গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
অ্যামাজন নদীতে ডলফিন এমন একটি প্রজাতি যা পৃথিবীতে অবশিষ্ট অল্প কিছু মিঠা পানির ডলফিন প্রজাতির মধ্যে পড়ে। বিলুপ্তপ্রায় এ প্রাজাতিটিকে বাঁচাতে জীবিত ডলফিনগুলিকে উদ্ধার করতে পশুচিকিত্সক এবং জলজ স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞদের দল পাঠানো হয়েছে। ব্রাজিলের চিকো মেন্ডেস ইনস্টিটিউট ফর বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ডলফিনগুলো উদ্ধারে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে শুধু খরা ও উচ্চতাপই যে ডলফিনগুলোর মৃত্যুর কারণ, এ বিষয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তারা। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলেও ডলফিনগুলোর মৃত্যু হতে পারে ধারণা তাদের।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে লেক টেফের পানির তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, যা বছরের এই সময়ের গড় তাপমাত্রা থেকে ১০ ডিগ্রি বেশি। পানির তাপমাত্রা কয়েক দিনের জন্য মাঝে কিছুটা কমলেও রোববার তা আবার বেড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। সে সময় লেকে অন্তত ৭০টি মৃত ডলফিন দেখা যায়।
এ ঘটনার জন্য পরিবেশকর্মীরা অস্বাভাবিক গরমের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
মামিরাউয়া ইনস্টিটিউটের ভূ-স্থানিক সমন্বয়কারী আয়ান ফ্লিসম্যান বলেন, ‘খরা অ্যামাজন অঞ্চলের নদী তীরবর্তী সম্প্রদায়গুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। ভাল মানের পর্যাপ্ত পানি থাকায় অনেক সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’
টেফ ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর। তবে এখন নদীগুলো শুকনো থাকায় তার সরকার বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলোকে সরাসরি খাবারও সরবরাহ করতে পারছেন না।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাস দেয় দাতা সংস্থাটি।
সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। যা তার আগের অর্থবছরে ৬ শতাংশ ছিল। শুধু তাই নয় সংস্থাটি বলছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে দাড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
ঢাকা কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের সামনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন, বেড়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতি যার মধ্যে অন্যতম।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ধীরগতি দুশ্চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরোও উঠে এসেছে দক্ষিণ এশীয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে ভারতে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া মালদ্বীপ ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে চলতি অর্থবছরে।
২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, সামনে নির্বাচন ঘিরে কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ সময় প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগ আরও কমে যেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্ব ব্যাংক।
শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যা নিয়ে চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪১ কূটনীতিকতে ফিরিয়ে নিতে কানাডাকে বার্তা পাঠিয়েছে ভারত।
ভারতীয় একটি সূত্রের বরাতে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে এ খবর দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কেউ এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব কূটনীতিকদের চলে যেতে হুমকি দিয়েছে ভারত। ভারত বলেছে, তাদের দেশে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছেন। এই সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।
অবশ্য এ নিয়ে ভারত বা কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এর আগে বলেছিলেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পরিবেশ এবং ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ ছিল। সেখানে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি নয়াদিল্লিকে হতাশ করেছে।
চলতি বছরের জুনে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের নয়াদিল্লির যোগসূত্র থাকতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসে সম্প্রতি।
গত মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জানান, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
এ ঘটনার জেরেই দ্বন্দ্বে জড়ায় ভারত ও কানাডা। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পাশাপাশি এরই মধ্যে দুই দেশই দু দেশের কূটনীতিকতে বহিষ্কার করেছে। বিশ্ব রাজনীতি মোড় নিয়ে নতুন দিকে।
কানাডায় প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ বসবাস করে। তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবের বাইরে অন্য কোনো অঞ্চলে বসবাস করা এটাই শিখদের সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।
শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে অনেক। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের।
জাপানে ১২৫ বছরের মধ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ছিল দেশটির সবচেয়ে উষ্ণ মাস।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার বরাত দিয়ে এনডিটিভির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে সেপ্টেম্বরের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৬ দশমিক ৭৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি ছিল। ১৮৯৮ সালে তাপমাত্রার রেকর্ড সংরক্ষণ শুরুর পর থেকে এটি ছিল দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে সেপ্টেম্বরকে উষ্ণতম মাস রেকর্ড করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানব সভ্যতার ইতিহাসে ২০২৩ সাল উষ্ণতম বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসি আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ মেটিও-ফ্রান্স জানায়, দেশেটিতে সেপ্টেম্বরের গড় তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে, যা ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের রেফারেন্স সময়ের ৩ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।
যুক্তরাজ্যেও ১৮৮৪ সালে তাপমাত্রার রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সেপ্টেম্বর ছিল সবচেয়ে উষ্ণ মাস।
হাইতিতে গ্যাং সহিংসতার লাগাম টানতে নিরাপত্তা মিশন পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্যই স্থানীয় সময় সোমবার এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কেনিয়ার নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী অর্থাৎ এই মিশন যাবে হাইতিতে। গ্যাং সন্ত্রাস দমনে ভূমিকা রাখবে তারা। নেবে নানা পদক্ষেপও।
গ্যাং সহিংসতা আকাশচুম্বী হওয়ায় হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি কয়েক বছর ধরে বারবার আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ করে আসছেন।
দেশটিতে এই সহিংসতায় নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মাঝেমধ্যেই রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া যায়।
এসব গ্যাংয়ের হামলায় হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। রাজধানীর বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন গ্যাং। তাদের নির্মূলে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশটির পুলিশ।
এর আগে হাইতির গ্যাং সন্ত্রাসের লাগাম টানতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও।
ক্যারিবীয় এই দ্বীপদেশটিতে গ্যাং সহিংসতার কারণে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জনস্বাস্থ্যের সংকট প্রকট।
জাতিসংঘের ধারণা, দেশটিতে এখন মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ লাখের বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
গ্যাং সহিংসতা এ দেশের প্রায় দুই লাখ বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং শুধু এই বছরই ৩ হাজার জনকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া মুক্তিপণের জন্য আরও দেড় হাজার জনকে অপহরণ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখা গবেষণার জন্য চিকিৎসায় এ বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই গবেষক।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।
চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেলজয়ী কাতালিন কারিকোর জন্ম ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির সয়নক এলাকায়। তিনি হাঙ্গেরির সিইজড’স ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
১৯৮৫ সালে সিইজডের হাঙ্গেরিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি এবং বেথেসডার ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন এ ব্যক্তি।
১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন কাতালিন কারিকো। ২০১৩ সাল নাগাদ সেখানে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বায়োএনটেক আরএনএ ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২১ সাল থেকে সিইজড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন কাতালিন। একই সঙ্গে তিনি পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবেও কাজ করছেন।
এবার চিকিৎসায় আরেক নোবেলজয়ী ড্রু ওয়েইজম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিকনেস মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা চালান তিনি।
১৯৯৭ সালে পেনসিলভ্যানিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনে গবেষণা দল গড়েন ওয়েইজম্যান। তিনি ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের রবার্টস ফ্যামিলি প্রফেসর এবং পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।
চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য