ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পরিণতি কী হতে চলেছে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি এ অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সামরিকভাবে এ যুদ্ধে জয় পাচ্ছে না রাশিয়া। এমনটা (জয়) হচ্ছে না।’
র্যামস্টেইন গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপের সদস্যভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের সমাপনীতে জেনারেল মিলি সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের সরকার উৎখাতসহ রাশিয়ার প্রকৃত কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো সামরিকভাবে অর্জন করা সম্ভব নয়।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া, যাকে বিশেষ সামরিক অভিযান আখ্যা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধের ইঙ্গিত দেয়নি কোনো পক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ভাষ্য, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে লাখো রুশ সেনা রয়েছে, যে কারণে নিকট ভবিষ্যতে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনর্দখল করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো যুদ্ধ অব্যাহত থাকছে, এটি রক্তক্ষয়ী হতে যাচ্ছে, এটি কঠিন হতে যাচ্ছে।’
টানা দুই রাত ভয়াবহ ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার পর এবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে সোমবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কিয়েভের সিটি মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ নিয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।
কিয়েভের বিমানবন্দর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। লাভিভ ও ওদেশাসহ আরও কিছু এলাকায়ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
কিয়েভে ড্রোন হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। একটি পেট্রোল স্টেশনের কাছে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ বিধ্বস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসে এরই মধ্যে অন্তত ১৫টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার শেরবা বলেছেন, গত কয়েকদিন কিয়েভের বাসিন্দাদের জন্য খুবই কঠিন ছিল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনও। যুদ্ধে প্রায়ই আসছে প্রাণহানির খবর।
পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়াকে এই হামলা বন্ধের অনুরোধ করলেও তাতে সাড়া দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এ ছাড়া কয়েক দফা দুই দেশের বৈঠকেও আসেনি কোনো সমাধান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। বেড়েছে জ্বালানি, খাদ্যপণ্যসহ নানা পণ্যের দাম। ইউক্রেন থেকে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
আরও পড়ুন:
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নিঃস্বার্থ কাজ ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে জনগণ তাকে জয়ী করেছে বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী এরদোয়ানকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় পুতিন এ অভিমত দেন।
বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আপনার নিঃস্বার্থ কাজ, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে আপনার প্রচেষ্টা এবং স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বেছে নেয়ার সহজাত ফল ও পরিষ্কার প্রমাণ হলো নির্বাচনে জয়।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্ককে মজবুত করার পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করছি।’
তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রায় সব ব্যালট বাক্স গণনার পর একে পার্টির প্রধান এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) প্রধান কামাল কিলিচদারোলু পান ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে কিলিচদারোলুর চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি এরদোয়ান। এতে করে ভোট গড়ায় দ্বিতীয় দফায়।
আরও পড়ুন:তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি তথা একে পার্টির প্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে তার ২০ বছরের শাসনকাল আরও পাঁচ বছর বাড়ল।
বহুল আলোচিত এ নির্বাচনে প্রায় সব ব্যালট বাক্স গণনা শেষে এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) প্রধান কামাল কিলিচদারোলু পান ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।
এশিয়া ও ইউরোপ বিস্তৃত দেশটিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির পর অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ কারণে এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জয় নিয়ে শঙ্কা ও সম্ভাবনার আলোচনা ছিল বিশ্বজুড়ে।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে শঙ্কার প্রতিফলনও দেখা গেছে। সে দফায় এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও ৫০ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে।
গতকালের ভোটের আগে এরদোয়ান সমর্থন পান প্রথম দফায় ৫ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়া সিনান ওগানের। এর মধ্য দিয়ে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ব্যালটেও হয়েছে তাই।
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে এরদোয়ানের জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
সামরিক জোট ন্যাটোতে তুরস্কের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী এরদোয়ানকে তাদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।
এক টুইটে বাইডেন লিখেন, ‘ন্যাটো মিত্র হিসেবে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও যৌথ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সানন্দে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ককে ‘মূল্যবান ন্যাটো মিত্র ও সহযোগী’ হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘তুরস্কের জনগণের বেছে নেওয়া সরকারের সঙ্গে আমাদের অব্যাহত যৌথ কাজের বিষয়ে সানন্দ প্রতীক্ষায় আছি।’
তুরস্কে দ্বিতীয় দফা ভোটে ব্যাপক উপস্থিতি এবং দেশটির ‘দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ইতিহাসের’ প্রশংসাও করেন ব্লিঙ্কেন।
আরও পড়ুন:প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট দেবেন তুরস্কের নাগরিকরা।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) শুরু হচ্ছে এ ভোট।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে একে পার্টির প্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কিংবা তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির নেতা কামাল কিলিচদারোলুর কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় দফায়। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা মূলত জাতীয়তাবাদী, রক্ষণশীলদের প্রিয় পাত্র এরদোয়ান আরও ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা পাবেন নাকি তাকে হটিয়ে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কপন্থি কিলিচদারোলু প্রেসিডেন্ট হবেন, তা নির্ধারণ হয়ে যাবে।
প্রথম দফা নির্বাচনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পান ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোলু পান ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। ওই দফায় ৫ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পাওয়া সিনান ওগান সমর্থন দিয়েছেন এরদোয়ানকে।
দ্বিতীয় দফার ভোটে সিনানের সমর্থনে এরদোয়ান নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকবেন, তবে সব নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতি ও তাদের রায়ের ওপর।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় নির্বাচন নিয়ে যে উত্তাপ ছিল, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি অনেক কমে এসেছে। ভোটারদের অনেকে শুরুর দফার মতো আগ্রহ পাচ্ছেন না বলে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন থেকে বেলগরদ অঞ্চলের সীমান্তে দিয়ে প্রবেশ করা ৭০ জনের বেশি হামলাকারীকে হত্যার দাবি করেছে রাশিয়া।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার ইউক্রেন থেকে আসা হামলাকারীদের সঙ্গে রুশ বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার মতো লড়াই হয়। সে লড়াই শেষে পিছু হটেন হামলাকারীরা।
রাশিয়ার ভাষ্য, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ সীমান্ত হামলায় জড়িত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সেনাদের নির্মূলে বিমান ও কামান হামলা চালানো হয়।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ের সময় কামান ও গোলার আঘাতে রাশিয়ার ১৩ নাগরিক আহত হন। উদ্ধারের সময় এক নারীর মৃত্যু হয়। এর বাইরে কোজিঙ্কা গ্রামে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, লড়াইয়ের সময় সীমান্তবর্তী ৯টি গ্রাম খালি করা হয়।
বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বা রিয়া নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সর্বমোট ৭০ জনের বেশি জঙ্গি, চারটি সাঁজোয়া যান ও পাঁচটি পিকআপকে নাশ করা হয়েছে। আজ বেলগরদ অঞ্চলে (সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান) বাতিল করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে হামলাকারীদের ‘ইউক্রেনের নাশকতা ও তথ্য নিতে আসা গ্রুপ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানান, স্থানীয় সেনা, বিমান হামলা ও কামানের মাধ্যমে শত্রুদের বিনাশ করা হয়েছে। বাদবাকি সেনাদের ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের ওপর গোলাবর্ষণ করা হবে।
রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে হামলার দায় স্বীকার করেছে পুতিনবিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজন ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কোর (আরভিসি), তবে এ হামলার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগসাজশ নেই বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন যুদ্ধের বারুদ এবার ছড়াল রাশিয়ার অভ্যন্তরে। রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা বেলগোরদ কেঁপে উঠছে একের পর এক বিস্ফোরণে। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন থেকে একটি সশস্ত্র দল সোমবার সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়ে। রাশিয়ার সেনারা সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এখনও অঞ্চলটিতে সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নিজেদের ভূমিতে তারা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বেলগোরদে হামলাকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। রাশিয়ার দুটি আধাসামরিক বাহিনী সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে।
অঞ্চলটির গভর্নর ভিচেস্লাভ গ্লাদকোভ মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান, অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, তবে কেউ নিহত হননি। রাতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলোর মধ্যে রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির একটি ভবন রয়েছে।
গভর্নর আরও জানান, হামলার পর সীমান্তের গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দারা পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরুর পাশাপাশি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আহ্বান করেন, যাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তারা যেন এখনই বাড়িঘরে ফিরে না আসেন।
বর্তমানে বেলগোরদের পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাকর বলে জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এদিকে বেলগোরদে হামলাকারীদের নির্মূলে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো। সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেনাদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন যা বলছে
ইউক্রেন দাবি করছে, দেশটি নিজেদের ভূখণ্ড শত্রুমুক্ত করতে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। বেলগোরদে হামলায় ইউক্রেনের সেনারা জড়িত নয়।
এ হামলায় রাশিয়ার নাগরিকদের সংগঠন লিবার্টি অব রাশিয়া লেজিওন এবং দি রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস জড়িত।
লিবার্টি অব রাশিয়া লেজিওন ইউক্রেনভিত্তিক মিলিশিয়া বাহিনী। এরা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উৎখাত করতে চায়।
সোমবার এক টুইট বার্তায় সংগঠনটি দাবি করেছে, সীমান্ত শহর কোজিঙ্কা তাদের নিয়ন্ত্রণে। অপরদিকে গ্রেভোরন শহরের কাছাকাছি তাদের অগ্রবর্তী দল পৌঁছে গেছে।
পুতিনের মুখপাত্র ডিমিত্রি পেসকভ বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের সন্ত্রাসী। বাখমুত থেকে নজর ফেরাতে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুত দখলে নেয়ার দাবি করে।
বাখমুতে ওয়াগনার গ্রুপের ধ্বংসযজ্ঞ স্বীকার করলেও অঞ্চলটি রক্ষায় এখনও যুদ্ধ চলছে বলে জানায় কিয়েভ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য