এক দশকের বেশি সময়ের বিচ্ছিন্নতার পর আরব লিগে স্বাগত জানানো হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আরব লিগে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। ওই ঘটনার অনেক বছর পর স্থানীয় সময় শুক্রবার সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় আরব লিগের ৩২তম সম্মেলনে যোগ দেন আসাদ।
সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে বাশার আল-আসাদ বলেন, আরব ভাষাভাষী দেশগুলোতে সংকট তুলে ধরতে সম্মেলন একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’। যদিও সম্মেলনে তার আগমনের প্রতিবাদে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রতিবাদ করেছেন শত শত মানুষ।
সম্মেলনে আগত অতিথিদের উদ্দেশে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মধ্যে সংহতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলে যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিবর্তে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এটি (সিরিয়াকে ফিরিয়ে আনা) আরব তৎপরতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা।’
তিনি আরও বলেন, সিরিয়া সবসময় নিজেদের আরব বিশ্বের অংশ মনে করেছে।
ওই সময় আরব রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানান তিনি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বিষয় দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। নিজেদের বিষয় তারাই সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করতে সক্ষম।’
মধ্য ইসরায়েলে মঙ্গলবার ভোরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
ওই সময় সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলিরা বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।
হামাসের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছানো সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় যখন ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর ও মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়, ঠিক তখনই হুতিরা এ হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে একাধিক বাধা দেওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়ে বলেছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সম্ভবত প্রতিহত করা হয়েছিল’।
ক্ষেপণাস্ত্র বা এর ধ্বংসাবশেষ থেকে কেউ আহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা বিভাগ ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় কিছু লোক আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি আকাশসীমায় ঢোকার আগেই একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয় বলেও জানানো হয়।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণকারী ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ইসরায়েল ও প্রায় ১০০টি বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীরা এখনও সর্বশেষ হামলার দায় স্বীকার করেনি, যা তারা কখনও কখনও কয়েক ঘণ্টা বা দিন পরে করে।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় দুই নারী, তাদের চার সন্তান (এক মাস থেকে ৯ বছর বয়সী) এবং এক অনাগত শিশুসহ ছয়জন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি নিহত হন।
দেইর আল-বালাহর আল আকসা মার্টিয়ারস হাসপাতাল লাশগুলো গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত ও ৮৯ জন আহত হয়েছেন।
এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৫৫০ জনে।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা ‘আনাদোলু’ রোববার এ খবর জানায়।
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় আরও ২৮ জন নিহত হয়। এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৫৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৮৯ জন আহত হয়, তবে অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। কারণ, উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন:সৌদি সরকার গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৯ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যৌথ অভিযানে এসব অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসিক আইন লঙ্ঘন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১১ হাজার ৪০২ জনকে আবাসিক আইন লঙ্ঘন, ৪ হাজার ৭৭৫ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম এবং ৩ হাজার ৩৬৪ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের অভিযোগে ৯৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ইথিওপিয়ান, ৪০ শতাংশ ইয়েমেনি এবং ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক।
এদিকে ১২৯ জনকে সৌদি থেকে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। পরিবহন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কেউ যদি কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশে সহযোগিতা করে এবং কাউকে পরিবহন সুবিধা ও আশ্রয় দেয়, তাহলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি এবং যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
আরও পড়ুন:নতুন বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
স্থানীয় সময় বুধবার গাজার কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
উত্তর গাজার বিচ্ছিন্ন এলাকা জাবালিয়ার একটি বাড়িতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। গেল প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে উপত্যকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাবালিয়া।
এপির খবরে বলা হয়, অক্টোবরের শুরুর দিক থেকে সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এক নারী ও চারটি শিশুসহ জাবালিয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করছে।
আল-আকসা মার্টিয়ারস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরেক ইসরায়েলি হামলায় এক নারী ও এক শিশু নিহত হয়।
একটি শিশুর মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি বলে, ‘আপনারা কী নতুন বছর উদযাপন করছেন? উপভোগ করুন, যখন আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছি।
‘গেল দেড় বছর ধরে আমাদের ওপর দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’
ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, রাতে বুরেইজ এলাকা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা করা হয়েছে। এ হামলার মাধ্যমে সেই জবাব দেয়া হয়েছে।
তৃতীয় হামলাটি চালানো হয় খান ইউনিসে। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
স্থানীয় নাসের হাসপাতাল ও ইউরোপীয় হাসপাতালে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে এক হাজার ২০০ অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ ছাড়া আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহৃতদের মধ্যে প্রায় ১০০ ইসরাইলি এখনও গাজায় বন্দি আছেন ও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার একটি হাসপাতালের পাশে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি টিভি চ্যানেল আল-কুদস টুডের পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত আল আওদা হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহে গিয়েছিলেন তারা। এ সময় তাদের সম্প্রচার গাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে পাঁচ সাংবাদিক নিহত হন।
নিহত সাংবাদিকরা হলেন ফয়সাল আবু আল-কুমসান, আয়মান আল-জাদি, ইব্রাহিম আল-শেখ খলিল, ফাদি হাসসুনা ও মোহাম্মদ আল-লাদা।
আউটলেট নামের প্রতিষ্ঠানের বিবৃতিতে বলা হয়, ’সাংবাদিকতা ও মানবিক দায়িত্ব পালন করার সময় তারা নিহত হয়েছেন।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবৃতিতে বলেছে, নুসেইরাত এলাকায় ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী সেলের একটি গাড়িতে ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার আগে সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার, আকাশে নজরদারি এবং অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তাসহ বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।
নুসেইরাতের হামলা দেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মতে, ইসরায়েলি বিমান থেকে নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র আল-আওদা হাসপাতালের বাইরে পার্ক করা সম্প্রচারের গাড়িতে আঘাত করে। এতে আগুন লেগে ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা নিহত হন।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সিন্ডিকেট গত সপ্তাহে বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রধান অ্যামি পোপ।
তাকে উদ্ধৃত করে জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে পোপ এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে অ্যামি পোপ বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য এসব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
দামেস্কের বাইরে একটি গণকবরে কমপক্ষে এক লাখ মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিরিয়ার একটি অ্যাডভোকেসি সংস্থার প্রধান মুয়াজ মুস্তাফা।
তিনি দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, সিরিয়ার রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল কুতাইফাহ কবরটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার আবিষ্কৃত পাঁচটি গণকবরের একটি।
সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্সের প্রধান মুয়াজ বলেন, একেবারে রক্ষণশীল হিসাব করলেও গণকবরটিতে সমাহিত করা মরদেহ হবে এক লাখ।
মুয়াজ বলেন, সিরিয়াজুড়ে পাঁচটির বেশি গণকবর রয়েছে বলে সুনিশ্চিত তিনি। এসব কবরে সিরীয়দের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সমাহিত করা হয়।
সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্সপ্রধানের এ দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি রয়টার্স।
দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। সে সময় থেকে সিরিয়ার লাখো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বাশার আল-আসাদ ও তার আগে বাবা হাফিজের শাসনামলে কারাগারে একসঙ্গে অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ ব্যাপক আকারে বিচার-বহির্ভূত হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে সিরিয়ার নাগরিক, মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি ক্ষমতা হারানো বাশার বরাবরই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে তার সমালোচকদের চরমপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য