× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
145 killed in Mokha in Myanmar
google_news print-icon

মোখায় মিয়ানমারে ১৪৫ প্রাণহানি

মোখায়-মিয়ানমারে-১৪৫-প্রাণহানি-
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমার। ছবি: সিএনএন
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মৃতের এই তথ্য পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাখাইন। তবে দেশের অন্যান্য অংশে ঝড়ের কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৫ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১১৭ জনই মুসলিম রোহিঙ্গা সদস্য।

শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে বলে ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মৃতের এই তথ্য পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাখাইন। তবে দেশের অন্যান্য অংশে ঝড়ের কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।

এতে আরও বলা হয়েছে, আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগের অসুবিধা এবং স্বাধীন তথ্যপ্রবাহের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতের হিসাব ধীরগতিতে হচ্ছে।

সামরিক সরকার জানায়, অনানুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়ানোর তথ্যটি মিথ্যা।

তবে স্বাধীনভাবে নিশ্চিতকরণের অভাবে হতাহতের এবং ধ্বংসের প্রকৃত পরিমাণ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

দুর্বল হওয়ার আগে মোখা প্রতি ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) বেগে গত রোববার বিকেলে রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে শহরের কাছের স্থলভাগে আঘাত হানে।

এই ঘূর্ণিঝড়টি অন্তত এক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দুর্যোগ। এর ফলে আকস্মিক প্রবল বন্যা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, প্রবল বাতাসে ভবনের ছাদ ভেড়ে পড়া এবং সেলফোন টাওয়ারগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সড়ানো এবং ঘূর্ণিঝড়ে বাস্তুচ্যূতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এখন ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে।

তারা আরও জানিয়েছে, রাখাইন উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে এবং কাচিনেও (রাজ্য) কিছু ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে।

এমআরটিভি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে ১১৭ জন রোহিঙ্গা ছাড়াও চার সেনা এবং ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ঝড় আঘাত হানার আগে কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সত্ত্বেও তারা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে অস্বীকার করাকে তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।

এমআরটিভি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সিটওয়েসহ ১৭টি টাউনশিপের ১৭টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এক লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ রোহিঙ্গার মধ্যে ৬৩ হাজার ৩০২ জনকে সরিয়ে নিয়েছে।

প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সরকারিভাবে সংখ্যালঘু এই গোষ্ঠীর সদস্যদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে, তবে তারা মিয়ানমারে সরকারিভাবে সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃত নয় এবং নাগরিকত্ব ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত।

ঝড়ের কবলে পড়া রোহিঙ্গারা বেশিরভাগই জনাকীর্ণ বাস্তুচ্যুত শিবিরে বসবাস করতেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের একটি নৃশংস ‘বিদ্রোহী বিরোধী অভিযানে’ তাদের বাড়িঘর হারানোর পরে তারা ওই স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছিল। রোববার ঝড়ের তাণ্ডবে নিচু জমিতে তাদের অস্থায়ী বাসস্থানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০১৭ সালে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে পালিয়ে আসে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

ওসিএইচএ-এর প্রতিবেদনে ঝড়ের জন্য মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে যে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিসহ হতাহত এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের এখনও তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।

ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য হেডওয়ে শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক থেইন শোয়ে শুক্রবার বলেছেন, ৩২ শিশু এবং ৪৬ জন নারীসহ ১৫টি ক্যাম্প ও গ্রামের অন্তত ১১৬ জনের লাশ দাফন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ ঝড়ের আগে নিজ বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এ তথ্য সঠিক।

যদিও কর্তৃপক্ষ কিছু খাদ্য ও বাসস্থান সহায়তা দিয়েছে, তকে আরও অনেক সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি দাতাদের কাছ থেকে এখনও সাহায্য আসেনি।

থেইন শোয়ে বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ যদি শিগগিরই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে প্রবেশের অনুমোদন দেয়, তাহলে এখানকার রোহিঙ্গারা দ্রুত সাহায্য পাবে। যদি প্রবেশের অনুমোদন সীমিত হয়, তাহলে এখানকার মানুষদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ওসিএইচএ বলেছে, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার জন্য জ্বালানির সরবরাহ জরুরি।

সংস্থাটি আরও জানায়, কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধের ফলে মিয়ানমারে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ একটি উদ্বেগের বিষয়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের মধ্যে রয়েছে-আশ্রয়, খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা। এছাড়া প্লাবিত এলাকায় জলবাহিত রোগের বিস্তার এবং ল্যান্ডমাইন চলাচলের বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

তারা বলছে, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রাখাইন রাজ্যের মুখপাত্র এবং অ্যাটর্নি-জেনারেল হ্লা থেইন বৃহস্পতিবার বলেছেন, স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য পাঠানোর ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই।

তবে এতথ্যের সত্যতা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

২০০৮ সালে মিয়ানমারে আঘাত হানান ঘূর্ণিঝড় নার্গিস ইরাবতি নদীর ব-দ্বীপের আশেপাশের জনবহুল এলাকাগুলোকে বিধ্বস্ত করে। সেসময় কমপক্ষে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায় এবং কয়েক হাজার বাড়ি এবং অন্যান্য ভবন বিধ্বস্ত হয়।

২০২১ সালে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা সামরিক সরকারের ত্রাণ দেয়া কর্মসূচির ব্যাপক কভারেজ করেছে স্টার মিডিয়া।

ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে রোববারের ঘূর্ণিঝড় থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য আর্থিক বা বস্তুগত সহায়তা ঘোষণা করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেছেন, ত্রাণ সামগ্রী বহনকারী তিনটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে এবং শুক্রবার একটি চতুর্থ জাহাজ পৌঁছানোর কথা ছিল। ইয়াঙ্গুন ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকার দক্ষিণ-পূর্বে এবং এখানে একটি প্রধান আন্তর্জাতিক বন্দর রয়েছে।

জয়শঙ্কর টুইটারে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘জাহাজগুলোতে জরুরি খাদ্য সামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানির পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামাকাপড়, স্যানিটারি ও স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেয়া শুরু
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে সব বিভাগে
১৮ অঞ্চলের নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Train accident in Odisha Passenger train on busy line due to signal mismatch
ভারতীয় রেলের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন

সংকেতের গরমিলে ব্যস্ত লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন করমণ্ডল

সংকেতের গরমিলে ব্যস্ত লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন করমণ্ডল ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন। ছবি: এএনআই
করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মূল লাইন দিয়ে অতিক্রমের অনুমতি দেয়ার পরও তা সরিয়ে নেয়া হয়। কেন এমনটা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

ভারতের কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসকে প্রথমে মূল লাইনে প্রবেশের সংকেত দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর সেই সংকেত তুলে নিলে ট্রেনটি বাড়তি লাইনে প্রবেশ করে।

ফলে সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়।

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার এখানেই সূত্রপাত বলে প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতীয় রেলের চার সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাতে ওই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মূল লাইন দিয়ে অতিক্রমের অনুমতি দেয়ার পরও তা সরিয়ে নেয়া হয়। কেন এমনটা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

সংকেতের ওই গরমিলে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে এর বগি লাইনচ্যুত হয়ে অপর লাইনে গিয়ে পড়ে।

একই সময়ে বিপরীত দিকের মূল লাইন দিয়ে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটির ইঞ্জিন মালবাহী ট্রেনের ওপর গিয়ে পড়ে।

এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় আহত আট শতাধিক যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।

ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) ও ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।

ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:
ভারত কাঁপিয়ে দেয়া যত ট্রেন দুর্ঘটনা
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় কোহলির শোক
ট্রেন দুর্ঘটনা: ওড়িশায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের টিম
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৮, আহত ৯০০

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Odisha train accident Death toll rises to 288 many in critical condition

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত বেড়ে ২৮৮, আশঙ্কাজনক অনেকে

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত বেড়ে ২৮৮, আশঙ্কাজনক অনেকে ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ‍দুর্ঘটনার শিকার হয় তিনটি ট্রেন। ছবি: এএনআই
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় আহত আট শতাধিক যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।

ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) ও ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

শেষ খবর অনুযায়ী আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।

এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।

ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।

ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্টনায়েক রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুন:
নিখোঁজ বাংলাদেশিদের নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা: মমতা
ট্রেন দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ রুপি
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১
ভারত কাঁপিয়ে দেয়া যত ট্রেন দুর্ঘটনা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
There is growing concern about missing Bangladeshis

নিখোঁজ বাংলাদেশিদের নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

নিখোঁজ বাংলাদেশিদের নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ‍দুর্ঘটনার শিকার হয় তিনটি ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত
এখন পর্যন্ত দুই জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কোনো বাংলাদেশির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সে সঙ্গে নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশি।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে আহত ও নিহতের সংখ্যা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে হাওড়াগামী ব্যাঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রেনে ছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন যাত্রীও। দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে কোনো খোঁজ না পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী। তবে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কারো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনগুলোতে ঠিক কয়জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ও তাদের মধ্যে কয়জন আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।

কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, স্থানীয় সাংবাদিকরা হাইকমিশনকে জানিয়েছে যে দুয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছেন। তারা ওড়িশার সরো সরকারি হাসপাতাল ও বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এর মধ্যে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তিন জনের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মারেফত তারিকুল ইসলাম।

কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের একাংশ কলকাতায় ফিরতে শুরু করেছেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাজশাহীর বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী মো. রাসেলুজ্জামানকে সরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে নিয়ে স্থানান্তর করা হয়।

এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সে সঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না একাধিক বাংলাদেশিকে। নিখোঁজদের মধ্যে পাবনার বাসিন্দা আসলাম শেখ, খুলনার বাসিন্দা রুপা বেগম খান এবং ঢাকার বাসিন্দা খালেদ বিন আওকাত ও ৩৫ বছর বয়সী মোক্তার হোসেন রয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর একটি হটলাইন নম্বর (৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩) চালু করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশ থেকে অনেকেই ওই নম্বরে ফোন করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ নিচ্ছেন।

উপ-হাইকমিশন তাদের তালিকা তৈরি করছে। হাইকমিশনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালিকা ধরে তাদের খোঁজ নেবে।

আরও পড়ুন:
এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা: মমতা
ট্রেন দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ রুপি
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
This is the biggest train wreck of the 21st century MAMATA

এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা: মমতা

এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা: মমতা ভারতের ওড়িশার বালেশ্বর এলাকায় শুক্রবার দুর্ঘটনার শিকার হয় তিনটি ট্রেন। ছবি: ওড়িশা টিভি
মমতা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার রুপি।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মমতা এ মন্তব্য করেন বলে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বালেশ্বরে তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৬১ জনের। এ দুর্ঘটনায় আহত হন শত শত যাত্রী।

মমতা বলেন, ‘করমন্ডল সবচেয়ে ভালো এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর একটি। আমি তিনবার রেলমন্ত্রী ছিলাম। সেই জায়গা থেকে দেখেছি, এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এ ধরনের ঘটনাগুলোর ভার অর্পণ করা হয় রেলওয়ের নিরাপত্তা কমিশনের হাতে এবং তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, ট্রেনটিতে সংঘর্ষ প্রতিরোধী কোনো ডিভাইস ছিল না। ট্রেনে এ ধরনের ডিভাইস থাকলে এ ঘটনা ঘটত না…যাদের প্রাণ গেছে, তাদের আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, তবে এ মুহূর্তে আমাদের কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।’

মমতা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার রুপি।

ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।

ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৮, আহত ৯০০
কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৫০
অমিত শাহর সফরের আগে মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৫
বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন মোদির

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The families of West Bengal train accident victims will get Rs 5 lakh

ট্রেন দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ রুপি

ট্রেন দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ রুপি নিজ দপ্তরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: এএনআই
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মমতা এ তথ্য জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।

এএনআই জানায়, ট্রেন দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৬১ জন। আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।

ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।

ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১
ভারত কাঁপিয়ে দেয়া যত ট্রেন দুর্ঘটনা
ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় কোহলির শোক
ট্রেন দুর্ঘটনা: ওড়িশায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের টিম
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Death toll rises to 261 in Odisha train accident

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১ ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ‍দুর্ঘটনার শিকার হয় তিনটি ট্রেন। ছবি: এনডিটিভি
এএনআইয়ের খবরে বলা হয়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬১। আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শত শত যাত্রী।

ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬১। আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।

ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।

ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্টনায়েক রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

ক্ষতিপূরণ

রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রত্যেকের পরিবার পাবে ১০ লাখ রুপি। মারাত্মক আহত ব্যক্তিদের ২ লাখ রুপি এবং সামান্য আহত যাত্রীদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।

দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রণালয় প্রদেয় অর্থের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৫০
অমিত শাহর সফরের আগে মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৫
বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন মোদির
মহারাষ্ট্রে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৭
২০০০ রুপির নোট বদলে নেয়া যাবে যেভাবে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
How many train accidents rocked India

ভারত কাঁপিয়ে দেয়া যত ট্রেন দুর্ঘটনা

ভারত কাঁপিয়ে দেয়া যত ট্রেন দুর্ঘটনা ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হন। ছবি: ওড়িশা টিভি
বিভিন্ন সময়ে ভারতে বড় বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন কিছু দুর্ঘটনার সময় ও তাতে হতাহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩৮ জন নিহত ও প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

ভারতে এমন ট্রেন দুর্ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে বড় বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন কিছু দুর্ঘটনার সময় ও তাতে হতাহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)।

৬ জুন, ১৯৮১

ওই দিন বিহার রাজ্যে সেতু অতিক্রম করার সময় একটি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে বাগমতী নদীতে পড়ে। এতে ৩০০ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।

২০ আগস্ট, ১৯৯৫

ওই দিন উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস নামের ট্রেনের সঙ্গে কালিন্দী এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। এতে ৪০০ জন নিহত হয়।

২ আগস্ট, ১৯৯৯

ওই দিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গাইসাল স্টেশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের সঙ্গে অবাধ আসাম এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৮৫ জন নিহত ও তিন শতাধিক যাত্রী আহত হয়।

২৬ নভেম্বর, ১৯৯৮

ওই দিন পাঞ্জাব রাজ্যের খান্না এলাকায় জম্মু তাওয়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি ধাক্কা খায় ফ্রন্টিয়ার গোল্ডেন টেম্পল মেইলের লাইনচ্যুত তিন বগিতে। এতে ২১২ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।

৯ সেপ্টেম্বর, ২০০২

ওই দিন গয়া ও দেহরি-অন-সোন স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি সেতু থেকে লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসের দুটি বগি। এতে ১৪০ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।

২৮ মে, ২০১০

ওই দিন খেমাসুলি ও সারদিহা স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত হয়ে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় জনেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস। এতে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণহানি হয়।

২০ নভেম্বর, ২০১৬

ওই দিন উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে পুখরায়ন এলাকায় ইন্দোর-রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ১৫২ জন নিহত ও ২৬০ জন আহত হয়।

২৯ অক্টোবর, ২০০৫

ওই দিন অন্ধ্র প্রদেশের বালিগোন্ডা এলাকায় আকস্মিক বন্যায় রেল সেতু ধসে পড়ার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে ডেল্টা ফাস্ট নামের ট্রেন। এতে কমপক্ষে ১১৪ জন নিহত ও দুই শতাধিক যাত্রী আহত হন।

আরও পড়ুন:
অমিত শাহর সফরের আগে মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৫
বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন মোদির
মহারাষ্ট্রে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৭
২০০০ রুপির নোট বদলে নেয়া যাবে যেভাবে
সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

মন্তব্য

p
উপরে