মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নব্বইয়ের দশক থেকে বিশ্বের বড় হ্রদগুলোর অর্ধেকের বেশি শুকিয়ে যাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি সেচকাজে পানির ব্যবহার, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও মানুষের ভোগের কারণে জলাধারগুলো প্রাণ হারাচ্ছে।
ওই গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন বিভিন্ন দেশের একদল গবেষক, যারা জানিয়েছেন, প্রায় তিন দশকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাদু পানির কিছু উৎস (এশিয়া ও ইউরোপে বিস্তৃত হ্রদ কাস্পিয়ান সি এবং দক্ষিণ আমেরিকার হ্রদ টিটিকাকা) বছরে প্রায় ২২ গিগা টন করে পানি হারিয়েছে। নিঃশেষ হয়ে যাওয়া পানির এ পরিমাণ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় জলাধার লেক মিডের আয়তনের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির পানি বিশেষজ্ঞ ফ্যাংফ্যাং ইয়াও গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। গবেষণাটি প্রকাশ হয় ‘সায়েন্স’ নামের জার্নালে।
হ্রদে পানি কমে যাওয়ার বিষয়ে ইয়াও বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা হ্রদগুলোর পানির ৫৬ শতাংশ কমেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও মানুষের ব্যবহারের কারণে। পানি কমার সবচেয়ে বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা।
জলবায়ু বিজ্ঞানীরা সাধারণত মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের শুষ্ক অঞ্চলগুলো আরও শুষ্ক হবে এবং জলমগ্ন এলাকাগুলো আরও সিক্ত হবে, তবে গবেষণায় দেখা যায়, এমনকি শুষ্ক অঞ্চলেও উল্লেখযোগ্য হারে পানি কমেছে।
এ নিয়ে ইয়াও বলেন, বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
ভারতের ইতিহাসে বিরতম ট্রেন দুর্ঘটনা। এটিকে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়তির পরিহাস কাকে বলে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। বাবা-মা কোনোক্রমে রক্ষা পেলেও শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের সন্তানরা। নিজে বেঁচে গেলেও এখন সেসব বাবা-মায়ের সব হারানোর বুক ফাটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে দুর্ঘটনাস্থল ও আশেপাশের হাসপাতালগুলো।
৪০ বছর বয়সী লালজি সাগাই। বর্তমানে তার বড় ছেলের ঠাঁই হয়েছে সরো হাসপাতালের মর্গে। আর ছেলের মরদেহ পেতে হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন মা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা লালজি সাগাই। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা।
পেশায় নিরাপত্তাকর্মী লালজি ভেবেছিলেন তার মতোই কাজ করবে দুই সন্তান। কিন্তু নিয়তির লিখন ছিল ভিন্ন।
চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাধারণ কোচের যাত্রী ছিলেন মা ও দুই ছেলে। শুক্রবারের দুর্ঘটনায় লালজির ছোট ছেলে ইন্দর বেঁচে গেলেও বড় ছেলে সুন্দরের মৃত্যু হয়।
বালেশ্বরের সরোতে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিজের ছেলের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে লালজি সাগাই বলেন, ‘আমরা ৯ জনের একটি দল চেন্নাই যাচ্ছিলাম। সেখানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করি আমি। যেহেতু আমাদের গ্রামে কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই, তাই আমি পরিবারের জন্য অতিরিক্ত আয় নিশ্চিত করতে দুই ছেলেকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু নিয়তি আমাদের জন্য এমন কিছু পরিকল্পনা করেছিল, যা আমি দুঃস্বপ্নেও অনুমান করতে পারিনি।’
সাগাই যখন কথা বলছিলেন, কষ্টে তার গলা বুজে আসছিল। বুকফাঁটা কান্না আটকে মধ্যবয়সী মা বলতে থাকেন, ‘দুর্ঘটনায় আমার বড় ছেলে মারা গিয়েছে। নিজের হাতে ছেলের লাশ সরিয়েছি।’
খরচ যাই হোক, ছেলের মরদেহ নিয়ে গ্রামে ফিরতে চান তিনি।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে আহত ও নিহতের সংখ্যা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে হাওড়াগামী ব্যাঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রেনে ছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন যাত্রীও। দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে কোনো খোঁজ না পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী। তবে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কারো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনগুলোতে ঠিক কয়জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ও তাদের মধ্যে কয়জন আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, স্থানীয় সাংবাদিকরা হাইকমিশনকে জানিয়েছে যে দুয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছেন। তারা ওড়িশার সরো সরকারি হাসপাতাল ও বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর মধ্যে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তিন জনের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মারেফত তারিকুল ইসলাম।
কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের একাংশ কলকাতায় ফিরতে শুরু করেছেন।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাজশাহীর বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী মো. রাসেলুজ্জামানকে সরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে নিয়ে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সে সঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না একাধিক বাংলাদেশিকে। নিখোঁজদের মধ্যে পাবনার বাসিন্দা আসলাম শেখ, খুলনার বাসিন্দা রুপা বেগম খান এবং ঢাকার বাসিন্দা খালেদ বিন আওকাত ও ৩৫ বছর বয়সী মোক্তার হোসেন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর একটি হটলাইন নম্বর (৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩) চালু করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশ থেকে অনেকেই ওই নম্বরে ফোন করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ নিচ্ছেন।
উপ-হাইকমিশন তাদের তালিকা তৈরি করছে। হাইকমিশনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালিকা ধরে তাদের খোঁজ নেবে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দমাতে পশ্চিমা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্র চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। সে সঙ্গে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে ফের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মলদোভায় ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিটির সভায় ইউক্রেনকে ন্যাটো ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি জানান জেলেনস্কি।
পরে নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রস্তাব উঠলে এর পক্ষে ও বিপক্ষে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর নেতারা।
মলদোভার সভায় জেলেনস্কি বলেন, ‘শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী সব দেশগুলোকেই এ দুই জোটে (ন্যাটো ও ইইউ) অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’
কারণ হিসেবে, যেসব দেশ কোনো নিরাপত্তা জোটের সঙ্গে নেই, রাশিয়া তাদের গিলে খেতে চায় বলে মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
এ সময় ক্ষমতাধর দেশগুলোর কাছ থেকে আরও সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো (সহযোগিতা) শুধু মানুষের জীবন রক্ষাই করছে না, আক্ষরিক অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজেও সহায়তা করছে।’
রাশিয়াকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতেই একসময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ মলদোভায় পশ্চিমা দেশগুলো এ সম্মেলন করেছে বলে আল জাজিরার খবরে বলা হয়।
সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উপস্থিত ছিলেন।
তবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি লিথুনিয়ার ভিলনিয়াসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের যোগদানের বিষয়ে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এ সময় ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলেনবার্গ বলেন, ‘ন্যাটোর পরিসর বাড়াতে মস্কোর যে কোনো মাথাব্যাথা নেই, এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত।’
২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত জোটের নেতাদের এমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি যা এ সামরিক জোটে কিয়েভের অন্তর্ভুক্তির গতিকে ত্বরান্বিত করে।
ন্যাটো সদস্যভুক্ত মিত্রদের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছে ইউক্রেন। কিন্তু, এ মুহূর্তে দেশটিকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করলে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো মোড়ল দেশগুলো।
লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস বলেন, ‘১৪ বছর ধরে ন্যাটোর উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছে কিয়েভ। এ সময়ে তারা দুবার আক্রমণের শিকার হয়েছে।
‘ইউক্রেনকে আসলেই ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া যাবে কি না এবং তা করা গেলে ঠিক কিভাবে ও কত সময়ের মধ্যে দেয়া যায়, এ বিষয়ে আমাদের একটি ফলপ্রসু আলোচনা করার সময় এসেছে।’
এ সময় ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিতে তাড়াহুড়া করা হয়ে যাচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে জার্মানি ও লুক্সেমবার্গ।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক বলেন, ‘ন্যাটোর উন্মুক্ত দ্বার নীতি সবসময়ই রয়েছে। কিন্তু যুদ্ধরত কোনো দেশকে এখন জোটে অন্তর্ভুক্ত করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।’
তবে হাঙ্গেরি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি (ন্যাটোতে) নিয়ে আসন্ন সম্মেলনে কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনের অংশ হিসেবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-সানির সঙ্গে চলতি মাসে গোপন বৈঠক করেছেন আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন দল তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হয়বতুল্লাহ আখুনজাদা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা কাটানোর উপায় নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তালেবান নেতৃত্বের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, গত ১২ মে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তালেবানপ্রধান। এর মধ্য দিয়ে বিদেশি কোনো নেতার সঙ্গে প্রথম জ্ঞাত কোনো বৈঠকে অংশ নিলেন আড়ালে থাকতে পছন্দ করা তালেবানপ্রধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, বৈঠকে আলোচ্য বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তালেবানপ্রধান ও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচ্য সব বিষয়াদি সমন্বয় করছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপকে এগিয়ে নেয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি আরও জানায়, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতাকে মেয়েদের লেখাপড়া এবং নারীদের কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:উৎক্ষেপণের পরপরই ‘দুর্ঘটনায়’ বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রে পড়েছে উত্তর কোরিয়ার একটি সামরিক নজরদারি স্যাটেলাইট।
স্থানীয় সময় বুধবার স্যাটেলাইটটির পরীক্ষা চালানো হয় বলে জানায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মহাশূন্যে কার্যকর স্যাটেলাইট নেই উত্তর কোরিয়ার। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সামরিক নজরদারি স্যাটেলাইট নির্মাণকে তার অগ্রাধিকারের শীর্ষে রেখেছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির মহাশূন্য কর্তৃপক্ষ উত্তর ফিওঙ্গান প্রদেশের চোলসান কাউন্টির সোহাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বুধবার সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে ‘চল্লিমা-১’ রকেটে করে ‘মাল্লিগিয়ং-১’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে, তবে উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রকেটটি বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রে নিপতিত হয়।
কেসিএনএর খবরে আরও বলা হয়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময় ধরা পড়া মারাত্মক ত্রুটির বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি নজরে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর। দেশটির জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানান, স্যাটেলাইট পরীক্ষাটি দ্রুতই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং আকাশযানটি অস্বাভাবিক উড্ডয়নের ফলে সমুদ্রে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন:সাউথ কোরিয়ায় সার্বিকভাবে গর্ভধারণের হার কমলেও গত এক দশকে চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের মধ্যে এ হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেটায় উঠে এসেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার প্রকাশিত ডেটার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিউলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০১৩ সালে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭১৭ জন নারী সন্তান জন্ম দেন। ২০২২ সালে এসে সে সংখ্যাটি কমে হয় ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮০।
উল্লিখিত সময়ে চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৩ সালে চল্লিশের ঘরে থাকা ১৩ হাজার ৬৯৭ জন নারী সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। সেটি ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ৬৩৬।
আর্থিক অবস্থার উন্নতিকে চল্লিশের ঘরে গিয়ে সন্তান জন্মদান বাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সাউথ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জরিপ চালিয়ে সাউথ কোরিয়ার বিভিন্ন বয়সী নারীদের গর্ভধারণের বিষয়টি জানতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জরিপের সুবিধার্থে একাধিক সন্তান জন্মদানকেও একটি হিসেবে ধরা হয়েছে।
প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, বিশোর্ধ্ব নারীদের মধ্যে সন্তান জন্মদানের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে। ২০১৩ সালে বিশের ঘরে থাকা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৩১ নারী সন্তানের মা হন। ২০২২ সালে এ সংখ্যাটা কমে হয় ৩৮ হাজার ৬৮৫।
সাউথ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেটা বলছে, দেশটিতে ত্রিশোর্ধ্ব নারীরা ৭৬ শতাংশ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে এ পদে বসছেন তিনি।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়। ভোটের ফল গণনা শেষে এরদোয়ানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর বরাতে জানিয়েছে আল জাজিরা।
৯৭ শতাংশ গণণা শেষে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, এরদোয়ানের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫২ দশমিক ১ শতাংশ আর তার প্রধান বিরোধী কেমাল কিলিচদারওলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে একে পার্টির প্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কিংবা তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির নেতা কেমাল কিলিচদারওলুর কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ভোট গড়ায় দ্বিতীয় দফায়।
রোববারের ভোটের ফলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা মূলত জাতীয়তাবাদী, রক্ষণশীলদের প্রিয় পাত্র ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান আরও ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা পেলেন।
প্রথম দফা নির্বাচনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পান ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারওলু পান ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। ওই দফায় ৫ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পাওয়া সিনান ওগান সমর্থন দিয়েছেন এরদোয়ানকে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় নির্বাচন নিয়ে যে উত্তাপ ছিল, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি অনেক কমে আসে। ভোটারদের অনেকে শুরুর দফার মতো আগ্রহ পাননি বলে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন।
সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দফায় তুরস্কে ভোট দিয়েছেন ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ। ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য