১৬ বছর এক সঙ্গে থেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সানা মারিন ও মার্কোস রাইকোনেন। প্রায় তিন বছর ধরে করলেন সংসারও। এই সংসারে আছে তাদের একটি মেয়ে। এ সব কিছুই অতীত হতে চলছে।
আদালতে ডির্ভোসের আবেদন করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা এবং তার স্বামী সাবেক ফুটবলার ও ব্যবসায়ী মার্কোস রাইকোনেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বুধবার সানা এক পোস্টে বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
তিনি লিখেছেন, আমরা একসঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছি। আমরা ১৯ বছর এক সঙ্গে ছিলাম। আমাদের প্রিয় কন্যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
সানা লিখেছেন, আমরা এখনও সেরা বন্ধু, একে অপরের প্রতি শীতল এবং ভালোবাসাময় বাবা-মা। আমরা পরিবার হিসেবে এবং একে অপরের সঙ্গে এক সঙ্গে সময় কাটাতে থাকব।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্টে বিয়ের ঘোষণা দেন এই দম্পতি। বিয়ের সময় তাদের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ছিল। বিয়ের আগে ১৯ বছর ধরে এক সঙ্গে থাকছিলেন তারা।
২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসে সানা মারিনের নেতৃত্বাধীন মারিনের দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসডিপি)। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
তবে গত এপ্রিলে হওয়া নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে পরাজিত হন সানা। এর পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পাল করছেন তিনি।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নানা কারণেই মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন। এসেছেন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে।
গত বছরের আগস্টে তিনি মাদকাসক্ত কি না তা জানতে ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল তার মূত্রের নমুনা। তবে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
ওই ঘটনার শুরু হয় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও থেকে। ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওতে সানা মারিনকে উদ্দাম নাচতে দেখা যাওয়ায় দেশটিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
ভিডিও ছড়ানোর পর বিরোধীদলীয় নেতা রিক্কা পুররা প্রধানমন্ত্রীর মাদকাসক্তি বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তার ড্রাগ টেস্টের দাবি জানান।
বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালেও বিতর্কের জন্ম দেন। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরও ক্লাবে গিয়ে সে সময় আলোচিত হন তিনি।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে ইরান।
ক্যানসারের উদ্বেগের মধ্যে একটি জটিল অস্ত্রোপচারের পর তাকে তিন সপ্তাহের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ইরানের একটি কারাগার থেকে বুধবার নোবেলজয়ী নার্গিসকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
তেহরানের ফুটেজে দেখা যায়, উন্মুক্ত কালো চুল এবং কাপড় দিয়ে ডান পা ঢাকা অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হচ্ছেন মোহাম্মদী। রাস্তায় নেমে চিৎকার করে বলেন, ‘হ্যালো স্বাধীনতা! নারী, জীবন, স্বাধীনতা! স্বাধীনতা আমাদের অধিকার! স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক!’
মোহাম্মদীর সমর্থকদের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২১ দিনের জন্য মুক্তি পেয়েছেন। পরে আবারও তাকে সাজা ভোগ করতে কারাগারে যেতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নার্গিসের সমর্থকরা তার স্থায়ী মুক্তির আহ্বান জানালেও ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তার চিকিৎসা ছুটির কথা স্বীকার করেনি।
সমর্থকরা যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, ৫২ বছর বয়সী মোহাম্মদীর সঠিকভাবে নিরাময়ের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে কমপক্ষে তিন মাস থাকা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাকে সাজা দেয়া অন্যায় ছিল।
মোহাম্মদী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানোর অভিযোগে ১৩ বছর ৯ মাসের সম্মিলিত কারাদণ্ড ভোগ করছেন। বারবার গ্রেপ্তার ও দীর্ঘায়িত কারাবাস সত্ত্বেও তিনি মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ২০২২ সালের নারী নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকে সমর্থন করেন। মানব ও নারী অধিকারের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার সময় অনেক নারী ইরানে হিজাবের বাধ্যবাধকতা অমান্য করেছিলেন।
কারাবাসের সময় নার্গিস মোহাম্মদীর স্বাস্থ্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে একাধিক হার্ট অ্যাটাক ও জরুরি অস্ত্রোপচারের বিষয়টি জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
চলতি মাসের শুরুতে তার আইনজীবী জানান, ক্যানসার সন্দেহে একটি হাড়ের ক্ষতের কারণে তার সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন:আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। পশ্চিমাবিরোধী এই জোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রা চালু করলে সদস্য দেশগুলোর ওপর শতভাগ কর আরোপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এক্সে এক পোস্টে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ব্রিকস দেশগুলো ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চাই যে, তারা শক্তিশালী ইউএস ডলারের বিপরীতে নতুন মুদ্রা চালু করবে না। অন্যথায় তারা শতভাগ শুল্কের মুখোমুখি হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউএস ডলারের বিপরীতে নতুন মুদ্রা নীতি নিলে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে আমেরিকা থেকে বিদায় জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। চলতি বছর ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া ও মিসর নতুন সদস্য হিসেবে এই জোটে যুক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর জানিয়েছিলেন, ৩৪টি দেশ এই জোটে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগ্রহীদের তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন:বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেনেটে পাস হওয়া এই আইন কার্যকর হলে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা টিকটক, ফেসবুকের মতো প্লাটফর্মগুলো ব্যাবহার করতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার হাউজে বুধবার ১০২-১৩ ভোটে পাস হওয়ার পর সেনেটে বিলটি ৩৪-১৯ ভোটে পাস হয়।
দেশটির হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভোটে পাস হওয়া এই বিলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মানতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট এবং এক্স-এর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৩৩ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
বিলটি সমর্থনকারী দলের মধ্যে আছেন দেশটির লিবারেল পার্টির নেতারাও। দলটির সেনেটর মারিয়া কোভাচিচ বলেছেন, ‘বিলটি সরল ও স্পষ্ট। এটি বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের শনাক্ত ও তাদের অ্যাকাউন্টগুলো নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর আরও অনেক আগেই এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।’
তবে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হলে তা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আইনটির সমালোচকরা। কারণ এই আইন কার্যকর করতে ব্যবহারকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তাদের বয়স ১৬ বছরের উপরে।
বিলটির বিরোধিতা করা কয়েকজন সেনেটর বলেন, এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই সরকারের এমন পদক্ষেপ।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আইনটি পাস করা হলেও অনেক শিশু কল্যাণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক এর পরিণতি নিয়ে চিন্তিত। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা অনেক শিশুকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
তবে প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করবে তার নীতিমালা নিয়ে কাজ করার জন্য এক বছর সময় পাবে। এরপরই কার্যকর করা হবে জরিমানা।
তবে ভিপিএন বা অন্য কোনো মাধ্যমে শিশুরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা শিশুদের জন্য কোনো শাস্তির বিধানও রাখা হয়নি আইনে।
সিঙ্গাপুরে শুক্রবার মাদক পাচারের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
তার এ দণ্ডাদেশ ‘পুনর্বিবেচনা’ করতে তেহরানের পক্ষ থেকে আবেদন করা সত্ত্বেও তা কার্যকর করা হলো।
দেশটিতে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি চতুর্থ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত করার আহ্বান জানালেও দেশটির কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, এটি সিঙ্গাপুরকে এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।
মাসুদ রহিমি মেহেরজাদ একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক। দেশটিতে জন্মগ্রহণ করা মাসুদের মা সিঙ্গাপুরের ও বাবা ইরানের নাগরিক।
২০১৩ সালে মাদক পাচারের দায়ে মাসুদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সিঙ্গাপুরের কঠোর মাদক আইন অনুযায়ী ১৫ গ্রামের ওপর যেকোনো পরিমাণ হেরোইন রাখার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
সিএনবি জানায়, ৩১.১৪ গ্রাম হেরোইন রাখায় সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী মাসুদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:বারানসিতে জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরেই সোচ্চার হিন্দু উগ্রবাদীরা। আদালতেও গড়িয়েছে বিষয়টি। এতে বিতর্কিত নির্দেশনাও দিয়েছে আদালত। এর পরে উত্তর প্রদেশের সন্তুলে জামা মসজিদ নিয়ে একই দাবি তোলার রাজনীতি চলছে। এর জের ধরে সেখানে সংঘর্ষে সম্প্রতি চারজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
সন্তুলে জামা মসজিদের জায়গায় হিন্দু মন্দির ছিল দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। তারপরই আদালত সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। আর শুরু হয়ে বিতর্ক, গোলমাল।
প্রথম দিন জরিপের কাজ চললেও দ্বিতীয় দিনে জরিপ শুরু হওয়ার পর প্রবল ক্ষোভ জানাতে থাকেন স্থানীয় মুসলমানরা। এক পর্যায়ে তা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে পরিণত হয়। এখন সেখানে চলছে পুলিশের কড়া পাহারা। তবে উত্তেজনা থামেনি।
এবার রাজস্থানে আজমির শরিফের দরগা নিয়েও অনুরূপ বিতর্ক তুলতে মামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজমির শরিফের দরগায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন। শুধু মুসলমানরাই নন, সব ধর্মের মানুষ প্রবল বিশ্বাস নিয়ে এখানে আসেন। এখানে রয়েছে ত্রয়োদশ শতাব্দীর সূফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সমাধি। ভারত সরকারের আইনে একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় এই দরগা।
কিন্তু সর্বধর্মের এই মিলনক্ষেত্র নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে। গত বুধবার হিন্দু সেনা নামের একটি সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত স্থানীয় আদালতে মামলা ঠুকেছেন। তার দাবি, শিব মন্দিরের ওপর তৈরি হয়েছে এই দরগা। তাই এটিকে ভগবান শ্রী সংকটমোচন মহাদেব বিরাজমান মন্দির বলে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজমির দরগা কমিটি, ভারত সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে নোটিশ জারি করেছেন দেওয়ানি আদালতের বিচারক মন মোহন চান্ডেল। মামলাটি গ্রহণ করে বিচারক আগামী ২০ ডিসেম্বর শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, দরগা সরিয়ে ফেলারও আর্জি জানানো হয়েছে আদালতের কাছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে দিয়ে জরিপ করার আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী শশী রঞ্জন কুমার সিং আদালতে আবেদনে জানান, দরগার প্রধান ফটকের ছাদের নকশার সঙ্গে হিন্দু মন্দিরের নকশার মিল রয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে মাসাতো কান্ডাকে এডিবির ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে।
ম্যানিলাভিক্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
মাসাতসুগু আসাকাওয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ৫৯ বছর বয়সী কান্ডা বর্তমানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কান্ডা ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০২৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট আসাকাওয়ার ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অসমাপ্ত মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করবেন কান্ডা।
এডিবির বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ব্যাংক অফ ইতালির গভর্নর ফ্যাবিও প্যানেট্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে কান্ডার ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং বহুপাক্ষিক পরিবেশে দক্ষ নেতৃত্ব এডিবিকে জটিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এডিবির বোর্ড অফ গভর্নরস কান্ডার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।’
প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কান্ডা জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আর্থিক খাতের নীতি এবং ম্যাক্রো-রাজস্ব নীতিতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি আর্থিক পরিষেবা সংস্থার ডেপুটি কমিশনার, বাজেট ব্যুরোর উপমহাপরিচালক এবং নীতি পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের উপসহকারী মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি শিক্ষা ও বিজ্ঞান নীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।
বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের (এমডিবি) বিবর্তন, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং ঋণের স্থায়িত্ব এবং স্বচ্ছতার মতো মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কান্ডা জি-৭, জি-২০ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপমন্ত্রী থাকাকালীন জাপান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ১৩তম পুনঃপূরণে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি রেকর্ড অবদান রেখেছিল।
কান্ডা ২০১৬ সাল থেকে ওইসিডি করপোরেট গভর্ন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালে করপোরেট গভর্ন্যান্সের জি২০/ওইসিডি নীতিমালা পর্যালোচনার তত্ত্বাবধান করেন তিনি।
এমডিবিতে কৌশলগত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংকে জাপানের অল্টারনেট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কান্ডা ১৯৮৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের চাপের মুখে অবশেষে লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
লেবানন ও ইসরায়েলি কর্মকতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘টাইমস অফ ইসরায়েল’, ‘প্যান আরব আশারাক-আল-আওসাত’ এবং ‘আল জাজিরা’ পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে সোমবারও হিজবুল্লাহ তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইসরায়েলি বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা এবং দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-ঘাঁটিও। হামলা হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন অবকাঠামোতেও।
এদিকে জেরুসালেম, ওয়াশিংটন ও বৈরুতের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে। তবে তেল আবিব যুদ্ধবিরতির প্রধান প্রধান বিষয়গুলোতে অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ইয়েনেট’ বলেছে, ইসরায়েলের মনোভাব লেবাননকে জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব আমরা পর্যালোচনা করেছি।
স্পিকার নাবিহ বেরির মধ্যস্থতার মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
নাইম কাসেম আরও বলেন, ‘বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে।’
এছাড়া লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিও তারা গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত আমোচ হোচস্টেইন গত সপ্তাহে বৈরুতে জেরুসালেম ও লেবানন সফর করে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই শেষ সুযোগ।
‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। এটাকে পরীক্ষামূলক চুক্তি হিসেবে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য