ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ছেড়েছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এবার সেই পথে হাঁটছে বিশ্বের জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেটিং অ্যাপটি মানবাধিকার ইস্যুতে রাশিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টিন্ডারের কার্যক্রম রাশিয়া থেকে গুঁটিয়ে নেয়া হবে। সোমবার ডেটিং অ্যাপটির স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাচ গ্রুপ এ তথ্য জানায়।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রাশিয়া থেকে আমাদের সব সেবা প্রত্যাহার করা হবে।
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর অনেক পশ্চিমা কোম্পানিই রাশিয়াতে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে বা গুঁটিয়ে নিয়েছে। এ সুযোগে দেশটিতে ব্যবসার সম্প্রসারণ করছে চীন।
সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
টিউলিপ এক্স হ্যান্ডেলে (সাবে টুইটার) তার পদত্যাগের কথা জানান। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রের ছবিও পোস্ট করেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, অভিযোগ পর্যালোচনার পর ব্রিটিশ সরকারের ইনডিপেনডেন্ট এথিকস অ্যাডভাইজর (স্ট্যান্ডার্ডস ওয়াচডগ) স্যার লাউরি ম্যাগনাস নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেননি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টিউলিপকে লেখা স্টারমারের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পাশাপাশি আমি এটাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগের ঘটনা পাননি।’
তিনি মন্ত্রী থাকলে সরকার তার কাজে মনযোগ দিতে পারবেন না এমন কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেন, ‘এ কারণে আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
গত আগস্টে শেখ হাসিনা গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে ৯টি অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তাতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকেরও নাম আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই অভিযোগ তদন্ত করছে।
দুদকের এ তৎপরতা আলোচনায় আসার পর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন। বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম তার সে ছবি ওই সময় ফলাও করে প্রচার করে।
কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইডনকসহ বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতা টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত খবর ও সম্পাদকীয় প্রকাশ হতে থাকে।
এর মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সম্পত্তি টিউলিপের ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এ প্রেক্ষাপটে টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেন।
মন্ত্রীদের আচার-আচরণ, নীতিনৈতিকতা বিষয়ে ম্যাগনাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, পেনশনমন্ত্রী এমা রেনল্ডস টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:জার্মানিতে ক্রিসমাসের মার্কেটে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে দুজনকে হত্যা ও ৬৮ জনকে আহত করেছেন এক সৌদি নাগরিক।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জাক্সেন আনহাল্ট অঙ্গরাজ্যের মাগদেবুর্গের একটি ব্যস্ততম বাজারে এ হামলা হয়।
ওই সময় স্থানীয় লোকজন বড়দিনের জিনিসপত্র কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সামান্য দূরে গাড়ি থামিয়ে ওই সৌদি নাগরিককে আটক করে।
জার্মানির মাগদেবুর্গ থেকে এএফপি এসব তথ্য জানায়।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, মাগদেবুর্গ শহরটি বার্লিন থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। নিহত দুজনের মধ্যে এক শিশুও ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার সময় এলাকার ব্যস্ততম মার্কেটে পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন এক ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন প্রাণ হারান। আহত হন অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।
হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে নামে এবং ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে গাড়ি থামিয়ে হামলাকারীকে আটক করে।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলাকারী সৌদি নাগরিক তালেব (৫০) একজন চিকিৎসক। ২০০৬ সাল থেকে জার্মানির স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মানসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত তিনি। কালো রঙের ‘বিএমডব্লিউ’ গাড়িটিতে তিনি একাই ছিলেন। পুলিশ তাকে পেছনে দুই হাত বেঁধে নিয়ে যায়।
এই হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর, দেশটির স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
হামলার ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
হামলায় ছয়টি বিদেশি দূতাবাস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকালে রাশিয়া দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে কিয়েভে। একের পর এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। কিয়েভের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা গেছে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় কিয়েভে অবস্থিত আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, উত্তর মেসিডোনিয়া, ফিলিস্তিন, পর্তুগাল ও মন্টিনিগ্রোর কূটনৈতিক মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলায় একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ইউক্রেনের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো বলেন, শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের রাজধানীতে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।
তিনি আরও বলেন, সকালের ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যায়।
হামলায় একটি অফিস ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রুশ বাহিনী হাইপারসনিক কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ও ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
কিয়েভের সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে এ হামলা চালানো হয়।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শত্রুবাহিনীর হামলায় আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিয়েভের চারটি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের ধংসাবশেষ পড়ে গাড়ি ও ভবনে আগুন ধরে যায়। সব জায়গাতেই জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করেন।
অবশ্য হামলার আগেই ইউক্রেনের বিমান বাহিনী কিয়েভের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছিল। তারা বলেছিল, উত্তর দিক থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন ও আরও কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে খেরসনে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
রাশিয়া বলেছে, তাদের বাহিনী চলতি সপ্তাহে রোস্তভ অঞ্চলে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব মস্কোর একটি আবাসিক ভবনের কাছে মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণে জ্যেষ্ঠ জেনারেলসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মস্কো থেকে এএফপি জানায়, মস্কোর রিয়াজানস্কি অ্যাভিনিউতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় একটি ফৌজদারি তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আবাসিক ভবনের কাছে বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলমান।
পুলিশের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল আরটি জানায়, নিহত দুজন হলেন উচ্চ পদস্থ রাশিয়ার জেনারেল এবং তার ডেপুটি। পুলিশ সূত্র জানায়, বিল্ডিংয়ের কাছে পার্ক করা একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে রাখা বাড়িতে তৈরি ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
নির্বাচনি প্রচারণাকালে কয়েক দফা হামলা এবং তার প্রশাসনের নিয়োগপ্রাপ্তদের ওপর বোমা হামলার হুমকির পর পুতিন ট্রাম্পকে নিয়ে বেশ চিন্তিত বলে জানিয়েছে তার এক নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
স্কাই ও ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে পুতিন নবনির্বাচিত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে একজন অভিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেন।
কাজাখস্তানে গতকাল একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন এমন মন্তব্য করেন।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুলাইয়ে নির্বাচনি প্রচারকালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে ট্রাম্প আহত হন। আরেকবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের গলফ কোর্স থেকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে অপর এক বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুতিন বলেন, ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনি লড়াইয়ে সম্পূর্ণ বর্বরোচিত এবং অসভ্য আচরণ করা হয়েছিল। আমার মতে তিনি এখনও নিরাপদ নন। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ট্রাম্প বুদ্ধিমান এবং আশা করি তিনি সাবধানে থাকবেন এবং বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউআভ গালান্টের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে শুক্রবার এমন ঘোষণা দেয়া হয়।
আইসিসির ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের অন্যতম যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ সরকার জানায়, ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলব না। ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই সবসময় তা মেনে চলবে।’
এর আগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরও কঠোর ভাষায় এ প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। কারণ, এই আদালত পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।’
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
নেতানিয়াহু ও গালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা নিয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এ দুজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।
দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর অর্থ ব্যয়ের কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি এ জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকারও সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিশ্বকে শান্তিতে রাখতে চাই। যুদ্ধ চাই না; শান্তি চাই।’
নির্বাচনি প্রচারকালে ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন।
এদিকে রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে স্কাই নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বসতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দখলে নেয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডগুলো ছাড় না দেয়া এবং কিয়েভকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত রাখা।
ওই কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কোনো চুক্তি হলে ইউক্রেনে চলমান সম্মুখসারির যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে পারেন পুতিন।
ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলে নেয়া চারটি অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করছে রাশিয়া। ওইসব অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতেও রাজি ক্রেমলিন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য