প্রায় ছয় মাত্রার দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া।
স্থানীয় সময় রোববার সকালে দেশটির কেপুলাওয়ান বাতু এলাকায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে ইউরোপিয়ান মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। আর এর ঘণ্টাখানে কপর আঘাত হানা দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। তাৎক্ষণিকভাবে এ ভূম্পকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইএমএসসি জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৪৩ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৪০ কিলোমিটার গভীরে।
চীনের ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন’ করায় উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর এক অধ্যাপককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন দুই হুয়া ফাউন্ডেশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাজার বিরুদ্ধে চলতি মাসে আপিলে হেরে যান ৫৭ বছর বয়সী রাহিলে দাউত।
শিনজিয়াংয়ে উইঘুরসহ বেশির ভাগ মুসলিম থাকা জাতিগোষ্ঠীর ওপর চীন মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করে, গত কয়েক বছরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১০ লাখের বেশি উইঘুরকে আটকে রেখেছে চীন। বন্দিশালাগুলোকে ‘পুনঃশিক্ষা ক্যাম্প’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
লাখ লাখ উইঘুরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডও দিয়েছে পূর্ব এশিয়ার বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।
দুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন ক্যাম বলেন, অধ্যাপক রাহিলে দাউতের সাজা নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি। এটি উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর জন্য বিশাল ক্ষতি।
এ মানবাধিকারকর্মী রাহিলের দ্রুত মুক্তি ও পরিবারের কাছে তার নিরাপদে ফিরে যাওয়া নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
রাহিলের মেয়ে আকেদা পুলাতি জানান, প্রতিদিনই মাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তিনি।
আকেদাকে উদ্ধৃত করে দুই হুয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমার নির্দোষ মা কারাগারে সারা জীবন কাটাবেন, এমন ভাবনা অবর্ণনীয় কষ্টের। ওহে চীন, দয়া দেখাও এবং আমার নির্দোষ মাকে মুক্তি দাও।’
আরও পড়ুন:তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় যুক্তরাজ্যে সিগারেট নিষিদ্ধ করার চিন্তা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের ধূমপান-বিরোধী পদক্ষেপটি বিবেচনা করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
নিউজিল্যান্ডের ওই আইনে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সবার ওপর তামাক বা তামাকজাত সামগ্রী ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে সুনাক বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপান মুক্ত করা ও দেশে ধূমপায়ীর হার কমানোর লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই জনগণকে উত্সাহিত করার চেষ্টা করছি।
‘এ লক্ষ্য পূরণে আমরা যে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছি, তার মধ্যে রয়েছে- বিনামূল্যের ভেপ কিট প্রদান, গর্ভবতী মহিলাদের ধূমপান ছাড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি ভাউচার স্কিম প্রদান ও বাধ্যতামূলক সিগারেটের প্যাকেটে এর কুফল সম্পর্কে তথ্য দেয়া।’
চলতি বছরের মে মাসে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিনামূল্যে ভেপিং ও ই-সিগারেটের স্যাম্পল বিতরণ বন্ধ করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেসময় এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধূমপানে আসক্তি রোধে দেশটি আইনি ফাঁকফোকর বন্ধের চেষ্টা করছে।
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় গত জুলাই মাসে একবার ব্যবহার করা যায় ২০২৪ সালের মধ্যে এমন ভেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করতে পৃথকভাবে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার প্রমাণ কানাডার হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টরাই জড়িত বলে ফের মন্তব্য করে তিনি জানিয়েছেন, তবে নিজ্জর হত্যার প্রমাণ কানাডা ফাঁস করবে না।
বিবিসি জানায়, গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, কানাডার মাটিতে কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
বিবিসি জানায়, গত ১৮ জুন কানাডায় খলিস্তানপন্থি আন্দোলনকারী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর খুন হন। তিনি ছিলেন খলিস্তানপন্থি সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কেটিএফের প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান। দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ৪৬ বছরের নিজ্জরকে গুলি করে খুন করেন। শুরু থেকেই কানাডা সরকারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘হাত’ রয়েছে। গত সোমবার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে প্রথম ভারতের এজেন্টদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সরাসরি অভিযোগ তোলেন ট্রু়ডো। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ট্রুডো সরকার। এদিকে, ভারত কানাডার এ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘কানাডা যে অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা মনে করি, তাদের অভিযোগ পক্ষপাতপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ করার আগে বা পরে কানাডা কোনো তথ্যপ্রমাণ ভারতকে দেয়নি। আমরা বলেছি, কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পেলে দেখব। এখনো কিছু পাইনি। আমাদের তরফ থেকে কানাডাকে কিছু ব্যক্তির ভারতবিরোধী কাজের নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়সহ নানা বিষয়ে কথা বলেছি এবং বলছি। আমরা আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছি।'
শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের। ভারত গত বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে জড়িত ৪৩ জনের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কানাডায় বহু ভারতীয় বাস করেন। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ। তার মধ্যে অন্তত ১৪ লাখ ভারতীয় আছেন। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির সূত্রে ভারত থেকে তারা কানাডায় গেছেন। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়ের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩.৭ শতাংশ। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই শিখ ধর্মাবলম্বী। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ রয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। ভারতে শিখদের অনুপাত কানাডার চেয়ে কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার বিচারে শিখদের সংখ্যা মাত্র ১.৭ শতাংশ। কানাডায় জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গঠনে শিখদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিখরা কানাডার রাজনীতিতেও যথেষ্ট সক্রিয়। কানাডার হাউস অব কমন্সে ১৮ জন শিখ সাংসদ রয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা ভারতের চেয়েও বেশি। তাই ট্রুডো বা কানাডার কোনো রাজনৈতিক দলই শিখদের চটাতে চান না।
আরও পড়ুন:বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে বিদ্ধস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। এ কর্মকাণ্ডে ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গে চীন একটি কৌশলগত অংশীদারত্বে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
শুক্রবার পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হ্যাংঝুতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে করা বৈঠকে একথা জানান চিনপিং।
মি. আসাদকে চিনপিং বলেন, ‘সিরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল করতে দেশটির জনগণের পাশে থাকতে চায় বন্ধু চীন। এছাড়া ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা পাওয়ায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ব্যাপারেও চীন সিরিয়াকে সহযোগিতা করবে।
‘চীন সিরিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ, একতরফা গুণ্ডামি ও সিরিয়া-বিরোধিতাকে সমর্থন করে না। সেইসঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির পুনর্গঠনে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে।’
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব কূটনীতি থেকে একপ্রকার ‘একঘরে’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তবে এই অচলাবস্থার অবসান এবং নিজ দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়িয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় বর্তমানে এক সফরে চীনে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকে বৈশ্বিক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রাচীন সিল্ক রোড-সংলগ্ন অবকাঠামোগত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমর্থন জানিয়েছে চীন। এ ছাড়া অন্যান্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতেই চীন সিরিয়াকে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চিনপিং বলেন, “চীন আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তি স্থাপন প্রচেষ্টার পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়নেও ইতিবাচক অবদান রাখতে চায়। এ কারণে আমরা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ মাধ্যমে সিরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।”
তবে কূটনীতিকদের সন্দেহ, সিরিয়ার দুর্বল নিরাপত্তা ও ভয়াবহ আর্থিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে চায় চীন। এ কারণেই সিরিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিয়েছে দেশটি।
২০১১ সালে বাশার আল আসাদের ক্ষমতায় থাকাকালে একটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে জড়ায় সিরিয়া। ওই ঘটনায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘটনাটির পর সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। তবে রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে এখনও টিকে রয়েছে আসাদ সরকার।
২০২০ সালে পশ্চিমারা সিরিয়ায় সহযোগিতা বন্ধ রাখতে একটি আইন জারি করে। সিজার আইন নামের ওই আইনটিতে বলা হয়, দেশটিতে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের সকল সম্পদ জব্দ করা হবে।
ফলে সিরিয়াকে চীনের এ ধরনের সমর্থন বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হাইকমিশন লক্ষ্য করেছে যে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আগ্রহীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
দেশটিতে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। খবর বাসসের।
এতে আরও বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ও স্থায়ী ভিসায় কর্মী নেয়ার জন্য ‘টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ সাবক্লাস ৪৮২’ নামে একটি ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ারর সুযোগ রয়েছে। এই ভিসা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত একজন স্পন্সর (নিয়োগকারী) প্রয়োজন হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ট্রেড পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সার্টিফিকেট-৩/৪ অথবা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হয়। স্কিল লেভেল ১ মাত্রার পেশার জন্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। যেকোনো পেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন থেকে চার বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা দরকার হয়।
অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র, বিগত দুই বছরের বেতন বিবরণী, ব্যাংকের হিসাব বিবরণী প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে পাঁচ থেকে ছয় বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে রিকগনিশন অব প্রায়োর লারনিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিদিষ্ট সংখ্যক কলেজ থেকে পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাগত সনদ অর্জন করা যায়। পেশা বিবেচনায় আইইএলটিএসের স্কোর প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬। আইইএলটিএস ছাড়াও অন্যান্য স্বীকৃত পরীক্ষা যেমন টোফেল, পিটিই গ্রহণযোগ্য।
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, বিদেশি কর্মীদের কাজের দক্ষতা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের কয়েকটি পেশার জন্য দক্ষতা যাচাই করানোর প্রয়োজন হয় না। সেগুলো হলো-অটোমোটিভ ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাবিনেট মেকার, কারপেন্টার, কারপেন্টার ও জয়েনার, ডিজেল মোটর মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান (জেনারেল), ইলেকট্রিশিয়ান (স্পেশাল ক্লাস), ফিটার (জেনারেল), ফিটার ও টারনার, ফিটার-ওয়েল্ডার, জয়েনার, মেটাল ফেবরিকেটার, মেটাল মেকানিস্ট (ফার্স্টক্লাস), মোটর মেকানিক (জেনারেল), প্যানেল বিটার, পেস্ট্রিকুক, সিটমেটাল ট্রেড ওয়ার্কার, টুলমেকার, ওয়েল্ডার (ফার্স্টক্লাস)। টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কর্মীদের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
এ ভিসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়ার হোম অফিসের লিংকে।
আরও পড়ুন:চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের নামে মামলা করেছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘গেম অফ থ্রোনস’ (গট) লেখক জর্জ আরআর মার্টিন ও লেখক জন গ্রিশাম।
বিবিসির শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই লেখকের দাবি, সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে চ্যাটজিপিটি লেখকদের মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করেছে।
মার্টিন তার ফ্যান্টাসি উপন্যাস সিরিজ ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে এ উপন্যাস অবলম্বনে ২০১১ সালে এইচবিওতে নির্মাণ হয় গেম অব থ্রোনস শো, যা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো (এলএলএম) অনলাইনে ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রশিক্ষণ দেয়।
মামলায় দাবি করা হয়, চ্যাটজিপিটিকে আরও স্মার্ট করে তুলতে লেখকদের অনুমতি ছাড়াই তাদের বই ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে ওপেনএআই কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা লেখকের মেধাস্বত্বের প্রতি সম্মান জানায় ও বিশ্বাস করে যে, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারাও উপকৃত হবেন।
মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন জোনাথন ফ্রানজেন, জোডি পিকো ও জর্জ সন্ডাজের মতো লেখকরাও।
লেখকদের হয়ে কাজ করা ট্রেড গ্রুপ ‘অথরস গিল্ড’ নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে মামলা করে।
ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অনেক নির্মাতার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করছি। আমরা এআই নিয়ে তাদের উদ্বেগের কারণগুলো বুঝতে এক হয়ে কাজ করছি।’
মামলার বিবরণে পুরো গণমাধ্যম শিল্পে এআই নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, ‘এ ধরনের প্রযুক্তি মানুষের লেখা কনটেন্টের জায়গা করে নিচ্ছে।’
মামলায় ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে ‘বড় ধরনের পরিকল্পিত চুরির’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জাম্বিয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাচীন একটি কাঠের শিল্পকর্ম আবিষ্কার করেছেন যা প্রায় অর্ধ মিলিয়ন (পাঁচ লাখ) বছর পুরানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, জাম্বিয়ার একটি নদীর তীরে পাওয়া ওই শিল্পকর্মটি সাধারণ কাঠামোর কাঠের ওপর তৈরি। দুটি কাঠের লগ দিয়ে জোড়া লাগানো ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে শিল্পীর হাতের কাজ।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অ্যাবেরিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পৃথিবী বিজ্ঞানের অধ্যাপক জিওফ ডুলার বলেন, ‘আধা মিলিয়ন বছর ধরে শিল্পকর্মটি যে স্থানে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। সবচেয়ে অসাধারণ বিষয় এই যে, সেটি এখনও অক্ষত রয়েছে।’
২০১৯ সালে যে দলটি এ শিল্পকর্ম আবিষ্কার করে তার সদস্য ছিলেন অধ্যাপক জিওফ ডুলার।
প্রস্তর যুগের মানুষ যে যাযাবর ছিলেন, সে ধারণাটিকে নতুন আবিষ্কৃত এ শিল্পকর্মটি চ্যালেঞ্জ করছে বলে জানান ডুলার।
এর আগে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন কাঠের শিল্প নিদর্শনটি (চরা এবং শিকারের জন্য কাঠের সরঞ্জাম) প্রায় ৪,০০,০০০ বছর আগের বলে দাবি গবেষকদের। আর সবচেয়ে পুরানো কাঠের শিল্পকর্ম হিসেবে পরিচিত যে শিল্পকর্মটি (পালিশ করা তক্তার পুরানো টুকরো ), তা প্রায় ৭,৮০,০০০ বছর পুরনো বলে দাবি গবেষকদের।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য