সুদানে আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির বরাত দিয়ে আল জাজিরা শুক্রবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এমন বাস্তবতায় সংঘর্ষ শুরুর পর প্রথম বক্তব্যে সুদানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছেন, বেসামরিক লোকজনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সামরিক বাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে আরএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অস্ত্রবিরতিতে প্রস্তুত বাহিনীর যোদ্ধারা। যদিও সুদানের রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা গোলাগুলির আওয়াজ পেয়েছেন।
আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা আলোচনা করবে না বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরএসএফের আত্মসমর্পণ মেনে নেয়া হবে।
সুদানে ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে ২০১৯ সালে পতন হয় প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের। ওই বছরের অক্টোবরে দেশটির ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী।
দেশটিতে সামরিক বাহিনীর হাত থেকে বেসামরিক লোকজনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত পরিকল্পনার মধ্যেই গত শনিবার সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আরএসএফ। এ সংঘর্ষে ব্যাহত হয়েছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলতি বছরের জুলাইয়ে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
এক টেলিভিশনে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’
নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনীর চাপ ও জনতার বিক্ষোভের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত ঘোষণা দিলেন।
নাইজারে গত ২৬ জুলাই হওয়া অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দেয়া মাখোঁর কাছে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সামরিক নেতারা। সেনা প্রত্যাহারের কাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের পথে নতুন ধাপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যাতে নাইজারের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।’
আরও পড়ুন:লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনায় প্রলয়ংকরী ঝড় দানিয়েলের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইতি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন আল অ্যারাবিয়াকে তিনি জানান, বন্যা উপদ্রুত জেলা বিবেচনায় মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর স্বজনদের মরিয়া হয়ে খুঁজছেন দারনার প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন। উদ্ধারকারীরা মরদেহ রাখার জন্য আরও বডি ব্যাগ চাইছেন।
দারনার বাসিন্দা মাহমুদ আবদুলকরিম ত্রিপোলিতে সাংবাদিক মৌতাজ আলিকে জানান, বাঁধ ভাঙার পর দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে যথাসময়ে উদ্ধার করতে না পারায় তিনি মা ও ভাইকে হারিয়েছেন।
ত্রিপোলির দেরওয়ানি সম্প্রদায়ের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল থেকে মৌতাজ আলি বলেন, ‘তিনি (আবদুলকরিম মা) স্থান ছাড়তে চাননি…বুঝতে পারেননি পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে।’
আবদুলকরিম জানান, তার মা ও ভাই যতক্ষণে ফ্ল্যাট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তারা রাস্তায় আসার পর বানের জলে ভেসে যান।
গত মঙ্গলবার দারনা ছাড়তে পারা সাংবাদিক মাবরুকা এলমেসমারি আল জাজিরাকে জানান, দারনা শহরে নেই পানি, বিদ্যুৎ কিংবা পেট্রল।
তার ভাষ্য, পুরো শহর ধসে সমতল হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ভূমধ্যসাগরীয় প্রলয়ংকরী ঝড়ে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় লিবিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর দারনায় বহু মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাণহানি ৬ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
ত্রিপোলিতে দেশটির জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সাদেদ্দিন আব্দুল ওয়াকিল জানান, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারের বেশি।
এ দুর্যোগে নিখোঁজ হয়েছেন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ। বন্যায় ভেসে গেছে অনেক ভবন; নিশ্চিহ্ন হয়েছে শহরের এক-চতুর্থাংশ এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা।
এক দশকের বেশি সময়ের সংঘাতে বিভক্ত ও ভঙ্গুর লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর উপকূলে আঘাত হানে ড্যানিয়েল নামের ঝড়।
প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার বাসিন্দার শহর দারনায় বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন রয়টার্সের সংবাদকর্মীরা। সেসব এলাকায় বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি কর্দমাক্ত সড়কে ধ্বংসস্তূপে গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় ওয়াহদা হাসপাতালের পরিচালক মোহামাদ আল-কাবিসি জানান, শহরের একটি অঞ্চলে ১ হাজার ৭০০ এবং অপর অঞ্চলে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের বারান্দায় অনেক মরদেহ দেখেন রয়টার্সের সংবাদকর্মীরা। মরদেহ আসার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন তাদের নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ করছিলেন।
আরও পড়ুন:উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েলে’র কারণে সৃষ্ট বন্যায় হাজারো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে দেরনা শহরেই কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নন পূর্ব লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ। তিনি লিবিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘হাজার হাজার নিখোঁজ ও মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। দেরনার পুরো আশপাশের এলাকা বিলীন হয়ে গেছে, বাসিন্দাদের বাসস্থান পানিতে ভেসে গেছে।’
লিবিয়ার বিশেষজ্ঞ জলেল হারচাউই বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌঁছাতে পারে।’
ঝড় ড্যানিয়েলের কারণে রোববার দেশটির বিভিন্ন জাগায় ভূমিধস ঘটে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধার কাজ চলাকালে সাতজন লিবিয়ান সেনাসদস্য নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলের সব স্কুল ও দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে কারফিউ জারি করেছে।
আরও পড়ুন:মরক্কোতে ছয় দশকের বেশি সময়ের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ছাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রোববারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই ভূমিকম্পের এক দিন পর অ্যাটলাস পর্বত এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে বেঁচে যাওয়া লোকজনকে।
প্রতিবেশীরা এখনও পাহাড়ের ঢালে চাপা পড়া জীবিত লোকজনের খোঁজ করছেন, যেখানে বাড়িগুলো বানানো হয়েছে মাটির তৈরি ইট, পাথর ও কাঠ দিয়ে।
গত শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে মসজিদের মিনার। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পর্যটন নগরী মারাকেশের ঐতিহাসিক প্রাচীন শহরের।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৫৯ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ৬.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মারাকেশের ৭২ কিলোমিটারের মতো দক্ষিণ-পশ্চিমে।
উৎপত্তিস্থলের কাছে আমিজমিজ গ্রামে উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতেই ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করছেন। ওই এলাকায় ধসে যাওয়া স্থাপনাগুলোর কারণে সংকীর্ণ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:মরক্কোর অ্যাটলাস পর্বতমালায় শুক্রবার রাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে ধসে যায় অনেক ভবন। এতে রাতের বেলায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হন বড় বড় শহরের বাসিন্দারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদকৃত তালিকার বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৯ জনে।
এর আগে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, বেশির ভাগ প্রাণহানি হয় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে সবচেয়ে বড় শহর মারাকেশের বাসিন্দারা জানান, ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য প্রাচীন শহরের কিছু ভবন ধসে গেছে।
স্থানীয় টেলিভিশনে মসজিদের মিনার ধসে পড়ার ছবি দেখানো হয়। এ ছাড়া বিধ্বস্ত গাড়িতে ধুলাবালি পড়ে থাকতেও দেখা যায়।
টেলিভিশনে প্রচারিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মরক্কোবাসীকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে আল হাউজ, উয়ারজাজাত, মারাকেশ, আজিলাল, চিচৌয়া ও তারাউদান্ত প্রদেশে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে পাহাড়ি গ্রাম আসনির বাসিন্দা মোনতাসির ইত্রি বলেন, ভূকম্পনে তার এলাকার বেশির ভাগ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং গ্রামের লোকজন হাতে থাকা জিনিসপত্র দিয়ে তাদের উদ্ধারে কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:মরক্কোজুড়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৯৬ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে উত্তর আফ্রিকার দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে বড় শহরগুলোর বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় রাজধানী রাবাত থেকে শুরু করে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য মারাকেশের আতঙ্কিত বাসিন্দারা বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন সড়ক ও গলিপথে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা হয়, ভূমিকম্পে রাজধানী রাবাত থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে মারাকেশ শহরে ২৭ জন নিহত হন। রাবাত থেকে আরও দক্ষিণে উয়ারজাজাত প্রদেশে প্রাণ গেছে চারজনের।
নাম প্রকাশ না করা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। বেশির ভাগ প্রাণহানি হয় মারাকেশের দক্ষিণে দুর্গম অঞ্চলগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ছিল ১৮ কিলোমিটার।
ইউএসজিএস আরও জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অ্যাটলাস পর্বতমালার জনপ্রিয় স্কি রিসোর্ট উকাইমেদেন থেকে ৫৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে। ভূমিকম্পটি আঘাত হানে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য