যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একটি ডেইরি ফার্মে ভয়াবজ বিস্ফোরণে প্রায় ১৮ হাজার গরু মারা গেছে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এতে বলা হয়, সোমবার রাতে টেক্সাসের ডিমিট শহরের কাছে অবস্থিত সাউথফর্ক ডেইরি ফার্মে বিস্ফোরণ হয় ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
শেরিফের কার্যালয় থেকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, আগুন ও বিস্ফোরণের পর ফার্ম থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে টেক্সাসের এগ্রিকালচার কমিশনার সিড মিলার বলেন, টেক্সাসের ইতিহাসে ফার্মে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তদন্ত ও ঘটনাস্থলের আশপাশ পরিষ্কার করতে কিছু সময় লাগতে পারে।
কি কারণে এ বিস্ফোরণ তা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ডেইরি ফার্মে মিথেন গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
চলতি বছরের জুনে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের নয়াদিল্লির যোগসূত্র থাকতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর কনাডায় শিখ বংশোদ্ভূতরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জানান, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
এ ঘটনার জেরেই কানাডার টরন্টোতে সোমবার প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারী একটি ভারতীয় পতাকা পোড়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি কার্ডবোর্ডের প্রতিকৃতিতে জুতা দিয়ে আঘাত করেন। পরে ওই সময় প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী ভ্যাঙ্কুভার কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হন।
অন্যদিকে অটোয়ায় রাজধানীর ভারতীয় হাইকমিশনারের (দূতাবাস) সামনে ১০০ জনেরও কম লোক জড়ো হন। তারা ওই সময় ‘খালিস্তান’ চিহ্নিত হলুদ পতাকা উড়ান, যা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলকে শিখদের জন্য একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত করার জন্য তাদের সমর্থনকে নির্দেশ করে।
অটোয়ায় বিক্ষোভকারী রেশমা সিং বলিনাস বলেন, ‘আমরা জাস্টিন ট্রুডোর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে কানাডার উচিৎ ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা’
কানাডায় প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ বসবাস করেন। তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবের বাইরে অন্যকোনো অঞ্চলে বসবাস করা এটাই শিখদের সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।
এদিকে শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের।
আরও পড়ুন:গুয়াতেমালায় ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে ও নদীর স্রোতে বাড়িঘর ভেসে যাওয়ায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন প্রায় ১২জন।
গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজাস্টার রিডাকশন এজেন্সির (কনরেড) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার নারাঞ্জো নদীর পানিতে গুয়াতেমালা শহরের একটি সেতুর নিচে থাকা কমপক্ষে ছয়টি বাড়ি ভেসে যায়।
আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর ও উদ্ধারকারী দলগুলো ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। তাকে আংশিকভাবে কাদায় চাপা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এখনও নিখোঁজ ১২জনের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে আটজন শিশু ছিল।
বাসিন্দারা জানান, ভারি বৃষ্টির কারণে নদী সমতল বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূমিধস হয়েছে। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এ জাগায় বসবাস করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
ইসাউ গোঞ্জালেজ নামের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে ও মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে।’
গুয়াতেমালায় বর্ষা মৌসুম চলে মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চলতি বছর সেখানে ভূমিধসে ইতোমধ্যেই অন্তত ২৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার আর্মি টেকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন কবে নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্রটি পাবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।
রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি, রেলপথ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবারহের পথগুলোতে শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অনেকদিন ধরেই বাইডেন প্রশাসনের কাছে চেয়ে আসছে ইউক্রেন।
যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালেও সরাসরি এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে দেখা যায়নি দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের।
জেলেনস্কির সফরকালে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। গেন্টাগনের এ বিষয়ে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হতে পারে এ রকম গুঞ্জনের পর চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যুদ্ধের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন হিসেবে জানায়।
রাশিয়া আরও জানায়, এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে বলে মনে করবে তারা।
ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনবিসিকে সরাসরি কিছু না বললেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টও কয়েক দিন আগে করা তাদের এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হতে পারে বলে জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আলোচনা হওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে জানা যায়, এটি ৩৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে যেকোন স্থাপনায় গভীর ও শক্তিশালী আঘাত হানতে পারে।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে নয়াদিল্লির এজেন্টদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার তদন্তে ভারত সরকার কানাডার সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এ ঘটনার পর নয়াদিল্লি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, সেগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ তদন্তে কানাডার সঙ্গে ভারতের কাজ করা জরুরি। আমরা জবাবদিহি দেখতে চাই।’
এ বিষয়ে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাই। আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে আমরা তদন্তের গভীরে যেতে পারি।’
বিবিসির বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘কানাডার মাটিতে কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।’
কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সে সম্পর্কে ট্রুডো কোনো তথ্য দেননি, তবে কানাডার সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ওপর আস্থা না থাকলে ট্রুডো প্রকাশ্যে কথা বলতেন না।
শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের।
ভারত গত বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে ৪৩ জন জড়িত বলে তাদের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:চীনকে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অস্তিত্বের জন্য ‘হুমকি’ উল্লেখ করে ভারতীয়-আমেরিকান রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি দাবি করেছেন, বেইজিং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন।
হ্যালিকে উদ্ধৃত করে শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন আমেরিকাকে পরাজিত করার জন্য অর্ধশতাব্দী পার করেছে। কিছু ক্ষেত্রে চীনা সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর সমকক্ষ হয়ে গেছে।
রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা বিবেক রামাস্বামী ওহাইওতে চীন সম্পর্কে বৈদেশিক নীতি নিয়ে আলোচনার দুই দিন পর উল্লিখিত কথা বলেন হ্যালি।
সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পর হ্যালি ও রামাস্বামী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
নিকি হ্যালির অভিযোগ, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাজগুলো বাগিয়ে নিচ্ছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসংক্রান্ত গোপনীয়তাগুলোও নিয়ে গেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। বর্তমানে দেশটি ওষুধ থেকে শুরু করে উন্নত প্রযুক্তি শিল্পের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অল্প সময়ের মধ্যে চীন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে চলে গেছে।
হ্যালি বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশ্য স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিতে তারা অত্যাধুনিক বিশাল সামরিক বাহিনী গড়ে তুলছে, যা এশিয়া ও তার বাইরেও আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন:শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেয়া সাময়িক বন্ধ রেখেছে ভারত।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত কানাডীয়দের ভারতের ভিসা দেয়া বন্ধ থাকবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি কানাডায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে রয়েছে।
বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিচালনগত কারণে পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা স্থগিত করা হয়েছে।
কানাডায় খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্পৃক্তি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করে অটোয়া। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরার মধ্যেই ভিসা বন্ধের খবরটি এলো।
কানাডার দাবিকে অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভারত।
ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের সময় থেকেই কানাডার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। ওই সম্মেলনের সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর আমেরিকার দেশটিতে ‘ভারতবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত থাকার বিষয়ে জোর উদ্বেগ’ জানান।
গত সোমবার ট্রুডো জানান, তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে থাকা তথ্য কানাডার নাগরিক নিজ্জার হত্যায় ‘ভারত সরকারের এজেন্টদের’ দিকে ইঙ্গিত করে।
এ বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে নিজ বাসা থেকে এক দম্পতি, দুই শিশুসন্তান ও তাদের তিনটি পোষা কুকুরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাণ হারানো চারজন হলেন আলবার্তো রোলন, তার স্ত্রী জোরাইদা বার্তোলোমি ও তাদের দুই সন্তান ১০ বছর বয়সী অ্যাড্রিয়েল ও সাত বছর বয়সী দিয়েগো।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মরদেহগুলো উদ্ধার করে রোমিওভিল পুলিশ।
বাসার ভেতরে তিনটি কুকুরও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
রোমিওভিলের ডেপুটি পুলিশ চিফ ক্রিস বার্ন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা বলে পুলিশ মনে করছে না। এ কারণে এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড ধরে নিয়েই তদন্ত করা হবে।’
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
ক্রিস বার্ন বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা ৩৬ ঘণ্টা ব্যয় করে ঘটনাস্থল থেকে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।’
প্রতিবেশীরা সংবাদমাধ্যকে জানায়, ওই পরিবারের কেউ খুব একটা বাইরে বের হতেন না। তাদের সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না।
একজন প্রতিবেশী বলেন, ‘তাদের বাচ্চাদের কখনও বাইরে খেলতে দেখিনি। আমি সত্যিই জানি না কী ঘটেছে। বাড়ির খুব কাছাকাছি এমন একটি ঘটনা খুবই ভয়ংকর।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য