× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
4 fire service personnel were killed in the rescue in Karachi
google_news print-icon

করাচিতে উদ্ধারে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪ কর্মী নিহত

করাচিতে-উদ্ধারে-গিয়ে-ফায়ার-সার্ভিসের-৪-কর্মী-নিহত
পুলিশ বলছে, দুটি কারখানায় আগুন লাগলে তা নেভাতে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এক পর্যায়ে ভবন ধসে পড়ে। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের করাচিতে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতের এ ঘটনায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও নিউজ।

পুলিশ বলছে, দুটি কারখানায় আগুন লাগলে তা নেভাতে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এক পর্যায়ে ভবন ধসে পড়ে। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আগুন লাগা দুটি ভবনের একটিতে টাওয়াল উৎপাদন করা হতো। আরেকটি ছিল অটোমোবাইল কারখানা। আহতদের মধ্যে ১১ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, বাকি দুজন সাধারণ জনতা।

করাচি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কর্মকর্তঅ ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, বাণিজ্যিক ভবনে ওই কারখানা ছাড়াও অনেক অফিস ছিল। শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে পুরো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সহকারী কমিশনার ফিরোজাবাদ উমামাহ সোলাঙ্গি জানান, ভবনটি খালি থাকায় ভবনের মধ্যে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
বেলুচিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪
অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকানোর পথ পাচ্ছে না পাকিস্তান
পাকিস্তানে স্বর্ণের ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার রুপি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Malala is overwhelmed and happy to return to Pakistan

পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা

পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা ইসলামি বিশ্বে নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশ্বব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মালালা ইউসুফজাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। ছবি: এএফপি
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে শুক্রবার মালালা বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবান নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে, সে ব্যাপারেও বলব।'

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই শনিবার বলেছেন, তিনি তার জন্মভূমি পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’।

ইসলামি বিশ্বে নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশ্বব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ২০১২ সালে স্কুলছাত্রী মালালাকে পাকিস্তানি তালেবানরা গুলি করে এবং এরপর তিনি বিদেশে চলে যান। বিদেশে যাওয়ার পর মাত্র কয়েকবার তিনি দেশে আসেন।

রাজধানী ইসলামাবাদে সম্মেলনে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত, অভিভূত ও আনন্দিত।’

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন শনিবার সকালে। এতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।

স্থানীয় সময় রোববার ইউসুফজাইয়ের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবান নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে, সে ব্যাপারেও বলব।'

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী খালিদ মকবুল সিদ্দিকী এএফপিকে জানান, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে এ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তালেবান ইসলামাবাদের এ আমন্ত্রণে কোনো সাড়া দেয়নি।

আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়ে ও নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে বাধা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে কঠোরভাবে ইসলামী আইন আরোপ করেছে। জাতিসংঘ একে ‘লিঙ্গ বর্ণবাদ’ বলে অভিহিত করেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান তীব্র শিক্ষা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটিতে দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যের কারণে স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রত্যন্ত সোয়াত উপত্যকার একটি স্কুল বাসে ২০১২ সালে পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিদের হামলার পর ইউসুফজাই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।

পরবর্তী সময়ে তিনি নারী শিক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবক্তা হয়ে ওঠেন। ১৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হন তিনি।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে রাস্তায় বোমা বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ নিহত সাত
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১০ পুলিশ নিহত
পাকিস্তানে বন্দুকধারীর হামলায় ২০ খনি শ্রমিক নিহত
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে বিনিয়োগ করতে চায় পাকিস্তান
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস বাংলাদেশের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Delhi again has no comment on the extradition of Sheikh Hasina

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ফের মন্তব্যহীন দিল্লি

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ফের মন্তব্যহীন দিল্লি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: ইউএনবি
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবে ঢাকা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আবারও মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি।

সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রত্যর্পণের বিষয়ে মন্তব্য করেননি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, এক সপ্তাহ আগে আমি নিশ্চিত করেছিলাম যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে আমাদের কাছে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর বাইরে এ বিষয়ে আমার যোগ করার কিছু নেই।’

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রোববার বলেছিলেন, তারা শুনেছেন যে, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত।

‘আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো তারা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা তাকে (হাসিনা) ফেরত দেবে না। আমরা এমনটাই শুনছি।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবে ঢাকা।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে অবৈধ বসবাস করছেন কমপক্ষে ২৭ হাজার ভারতীয়
চলে গেলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং
ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সরকারের: প্রেস সচিব
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Former Indian Prime Minister Manmohan Singh passed away

চলে গেলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

চলে গেলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ছবি: ইউএনবি
হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়।’

ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই করা ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির স্থপতি হিসেবে পরিচিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন, যার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়।

‘বাড়িতে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। রাত আটটা ছয় মিনিটে তাকে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি এবং রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বয়সজনিত অসুস্থতা নিয়ে সিংয়ের চিকিৎসা চলছিল।’

একজন মৃদুভাষী টেকনোক্র্যাট মনমোহন সিং ১০ বছরের জন্য ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। দুর্দান্ত ব্যক্তিগত সততার মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সোনিয়া গান্ধী ২০০৪ সালে তাকে এ দায়িত্ব পালন করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত সিং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর ফলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে কংগ্রেস পার্টির শোচনীয় পরাজয় হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর মনমোহন সিং সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন।

২০১৪ সালে মনমোহনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে ভারতের অন্যতম ‘বিশিষ্ট নেতা’ বলে অভিহিত করেন, যিনি নম্র উৎস থেকে উঠে এসেছেন এবং বছরের পর বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিতে একটি শক্তিশালী ছাপ রেখে গেছেন।

সোশ্যাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (মনমোহন সিং) মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’

তিনি আইনপ্রণেতা হিসেবে সংসদে মনমোহনের হস্তক্ষেপকে ‘অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন।

আরও পড়ুন:
ভারতকে ‘অসহযোগিতাকারী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতে আটক বাংলাদেশের ৬ জেলেকে বেনাপোলে হস্তান্তর
ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে: রিজওয়ানা
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Indian data on violence against Hindus is misleadingly exaggerated
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস

হিন্দুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে ভারতীয় তথ্য বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত

হিন্দুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে ভারতীয় তথ্য বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস বলেছে, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সহিংসতার যে সংখ্যা উল্লেখ করেছে তা অতিরঞ্জিত, বিভ্রান্তিকর। আইন ও সালিস কেন্দ্রের মতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি।’

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা তথ্য বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস। একইসঙ্গে এ ধরনের অপরাধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে শুক্রবার রাতে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজারসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম আজ (শুক্রবার) জানিয়েছে- হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ২০২২ সালে ৪৭টি, ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালে ২ হাজার ২০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

‘তথ্যটি বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত। স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের মতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি, যাতে ৩৬৮টি বাড়িঘরে হামলা এবং ৮২ জন আহত হয়েছে।’

প্রেস উইং ফ্যাক্টসের পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এসব ঘটনার বেশিরভাগই ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে ঘটেছে, যখন দেশে কোনো সরকার ছিল না। এসব হামলার বেশিরভাগই ঘটেছে রাজনৈতিক কারণে।’

আরও পড়ুন:
উপদেষ্টা মাহফুজের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে যা বলল ভারত
চাতলাপুর দিয়ে ২১ দিন পর ত্রিপুরায় গেল ৭০ টন মাছ
ভারতকে ‘অসহযোগিতাকারী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে: রিজওয়ানা
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
What India said about advisor Mahfuzs Facebook post

উপদেষ্টা মাহফুজের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে যা বলল ভারত

উপদেষ্টা মাহফুজের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে যা বলল ভারত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি; তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তাদের জনসমক্ষে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’

১৯৪৭-পূর্ববর্তী সময়ে অখণ্ড বাংলার মানচিত্র প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে ভারত সরকার।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই প্রতিবাদ জানান।

মাহফুজ আলমের যে পোস্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটি দেয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি ওয়াল থেকে ডিলিট করেছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি; তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। তা ছাড়া আপনি যে পোস্টের কথা বলছেন, তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জেনেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তাদের জনসমক্ষে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’

জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ভারত যখন বার বার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, তখন জনসমক্ষে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা দেখানো দরকার।’

গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন।

১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা পর পোস্টটি ডিলিট করে দেয়া হয়। উপদেষ্টা মাহফুজ বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আরেক প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টেনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্ট। আমরা বলেছি- গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে আমরা সমর্থন করি।

‘আমরা পারস্পরিক আস্থা, সম্মান এবং একে অপরের উদ্বেগ ও স্বার্থের বিষয়ে পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা আরও জোর দিয়েছি, বাংলাদেশের জনগণই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রধান অংশীজন।’

আরও পড়ুন:
দিল্লির সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক বজায় রাখাই ঢাকার লক্ষ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন জানে না সরকার
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেব: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক ছিল সরকার ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি: জয়শঙ্কর

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Body parts found in Kolkata match DNA of girl
সাবেক এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

কলকাতায় উদ্ধার হওয়া দেহাংশ ও মেয়ের ডিএনএ-তে মিল

কলকাতায় উদ্ধার হওয়া দেহাংশ ও মেয়ের ডিএনএ-তে মিল আনোয়ারুল আজিম আনারের সঙ্গে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করা মরদেহ ও আনারের মেয়ের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ-তে মিল পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উদ্ধার করা মরদেহের খণ্ডাংশের সঙ্গে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করা মরদেহ ও আনারের মেয়ের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ-তে মিল পাওয়া গেছে।

আনোয়ারুল আজীম আনার গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসক দেখানোর কথা জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও তাদেরকে জানিয়ে যান তিনি। বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন আনার।

চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আনার তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেয়ার জন্য বলেছিলেন আনার।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার (আনার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২২ মে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে। পরে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয়া হয়েছে।

এই খবরের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। তারা অভিযান চালিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রায় চার কেজি দেহাংশ উদ্ধার করে।

ঘাতকরা সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো টয়লেটে ফ্ল্যাশ করেছিল। এছাড়া শরীরের হাড় কলকাতার ভাঙ্গরের বাগজোলা খালের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় তারা।

কলকাতা পুলিশ বলেছে, ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দেয়ার জন্য আনারের স্ত্রী ইয়াসমিন ফেরদৌস ও ভাই এনামুল হককে ডাকলেও কেবল তার মেয়েই কলকাতায় গিয়েছিলেন।

পরে গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসা থেকে এমপি আনার যাত্রা শুরু করায় ডিবি পুলিশের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। সেই মামলায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হত্যার নির্দেশদাতা ও মামলার প্রধান আসামি আক্তারুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে।

এদিকে মামলায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী শাজী। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। অপরদিকে এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
আনার হত্যা: আসামিরা জবানবন্দি প্রত্যাহার করলেও তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে না
মমতার বৈঠকে এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গ
আনার হত্যা মামলায় ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর রিমান্ডে
আনার হত্যা মামলার আসামি মোস্তাফিজ ও ফয়সাল গ্রেপ্তার
গ্যাস বাবুর ফেলে দেয়া ফোন উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Solve the unsolved problems of 71 Dr Yunus to Shahbaz

একাত্তরের অমীমাংসিত সমস্যা মীমাংসা করুন: শাহবাজকে ড. ইউনূস

একাত্তরের অমীমাংসিত সমস্যা মীমাংসা করুন: শাহবাজকে ড. ইউনূস কায়রোর একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা করেছে। যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে আমি খুশি হবো।’

ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো মীমাংসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সূত্র: বাসস

ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো বার বার আসছে। আসুন, আমরা সামনে এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।’

জবাবে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা করেছে। যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে আমি খুশি হবো।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।

বৈঠকে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হন।

ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য তিনি একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।’

শাহবাজ শরিফ সার্ক পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটি একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাবো। আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই।

‘যদি তা কেবল একটি ফটো সেশনের জন্যও হয়, তবু এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন, ঢাকা এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

শাহবাজ বলেন, ‘প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।’

অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী।

সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফও অধ্যাপক ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

মন্তব্য

p
উপরে