টুইটারের প্রধান ইলন মাস্ককে যুদ্ধাপরাধী বলেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এ জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভালো বন্ধু হিসেবে মানতে নারাজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এ ধনী।
সম্প্রতি টুইটার ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটি জানান মাস্ক।
ঘটনাটির শুরু হয় এনোনিমাস অপারেশনস নামের এক টুইটার ব্যবহারকারীর পোস্ট থেকে। তিনি সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের একটি টুইট বার্তার ছবি স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করেন। যাতে লেখা ছিল, ইউক্রেন নিশ্চিহ্ন হয়েছে যাবে কারণ কারও এর দরকার নেই।
রুশ সাবেক প্রেসিডেন্টের টুইটের এই স্ক্রিনশট পোস্ট করে এনোনিমাস অপারেশনস নামের ওই ব্যবহারকারী মাস্কের কাছে জানতে চান যে, কেন তিনি রুশ নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ব্যবহার করতে দিচ্ছেন?
এর জবাবে মাস্ক বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা করায় পুতিন আমাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং সে আমার ভালো বন্ধু না। সব খবরের মধ্যে কিছু প্রোপাগান্ডা থাকে। মানুষই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক।
এদিকে এনোনিমাস অপারেশনস নামের এক টুইটার ব্যবহারকারীর পোস্ট নিয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীরা। কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেককে স্বাধীনভাবে কথা বলার অনুমতি দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেকেই বলেছেন, সত্যের প্রকৃত রূপ শুধু গণিত ও বাস্তব প্রকৌশল বিজ্ঞানে পাওয়া যায়।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ওপর পোস্টের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেন মাস্ক। তার কোম্পানি স্পেসএক্স ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ২০ হাজার স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট দেয়ায় রুশ টেলিভিশনগুলোতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।
To @elonmusk
— Anonymous Operations (@AnonOpsUnited) April 9, 2023
1. Is this a violation of TOS calling for genocide of #Ukraine
2. How is a terrorist state verified
3. Why did you allow #Russian leaders back on the platform lifting #Twitters regulations against #Putin and #Russian officials
4. Why are you not abiding by sanctions pic.twitter.com/3pIyNBtjWp
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগিরই তার বৈঠক হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।
তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করেন যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আগামী দিনে সৌদি আরবে প্রাথমিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় নির্ধারণ করা হয়নি, তবে খুব শিগগিরই তা হতে পারে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে।
আগামী দিনে সৌদি আরবের রাজধানীতে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় রুবিও একটি উচ্চস্তরের আমেরিকান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে উড্ডয়নের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তার দল রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য’ আলোচনা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তার রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ দলভুক্ত রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, উইটকফ সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন।
পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।’
পুতিন পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটাই ছিল তার কাছে আমার প্রশ্ন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি তিনি চালিয়ে যেতে চান তাহলে আমার জন্য একটা বড় সমস্যা হতো।
‘আমি মনে করি তিনি এটি শেষ করতে চান এবং তারা দ্রুত এটি শেষ করতে চান।জেলেনস্কিও এটি শেষ করতে চান।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রেডিও ক্লাব ক্লুবাদো পারাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা পাল্টা পদক্ষেপের কথা জানান।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সব ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা বহাল থাকবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি ব্রাজিলের আমদানি করা ইস্পাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কর আরোপ করে, তবে আমরা বাণিজ্যিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। আমাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দেব অথবা সেখান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলোর ওপর কর আরোপ করব।’
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করেন। এটি ব্রাজিলের ইস্পাত খাতকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন বলেন, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পণ্যের বাণিজ্য ‘ভারসাম্যপূর্ণ’।
তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য হলো সংলাপ, বোঝাপড়া ও বিকল্প খোঁজার পথ। সেটাই করা হবে।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্যের ভার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ছেড়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন দুই নেতা।
ওই সময় বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জড়িত ছিল। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকও তা প্রমাণ করে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
‘এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন; শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তাই বিষয়টি (বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর দেওয়ার বিষয়) আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই ছেড়ে দেব।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেননি ট্রাম্প। ওই সময় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আকর্ষণীয় বাণিজ্যচুক্তি হতে চলেছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন নীতির প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে দেশটিতে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত ভারতীয় অভিবাসীকে মোদি সরকার ফিরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সৌদি আরবে এ বৈঠক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা আমেরিকান নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েটে প্রেসের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনও সমানভাবে অংশীদার হবে কি না, সে বিষয়ে তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা শান্তি অর্জনের পথে রয়েছি। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান।
‘আমিও শান্তি চাই। আমি কেবল দেখতে চাই, লোকজনের প্রাণহানি হচ্ছে না।’
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনগণ সত্যিকার অর্থে জানেন না। কিন্তু আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনিও এ যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। কাজেই সেটা ভালো এবং আমরা এ যুদ্ধ বন্ধের দিকে যাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব।’
ওই সময় শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান ট্রাম্প। বৈঠকটি সৌদি আরবে হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার মাধ্যমে এ আভাসই দেওয়া হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি চুক্তি পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়েভও যে পরিপূর্ণ একটি অংশীদার হবে বলে মনে করত জো বাইডেন প্রশাসন, সেখান থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।
ইউক্রেনও এ যুদ্ধের সমান অংশীদার হতে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই চমৎকার প্রশ্ন। আমি মনে করি তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’
এ ছাড়া ইউক্রেন যে পশ্চিমাদের সঙ্গে আরও ঘেঁষতে চাইছে, সে প্রত্যাশায় আরেকটি আঘাত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ।
ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্য হওয়া বাস্তবসম্মত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘হেগসেথ যে কথা বলেছেন, সেটিই সত্য বলে আমি মনে করি।’
ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হওয়া অপরিহার্য।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের স্কটসডেল বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি বিমানের সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবতরণের পর একটি লিয়ারজেট ৩৫এ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় অ্যারিজোনার স্কটসডেল মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের র্যাম্পে গালফস্ট্রিম ২০০ বিজনেস জেটকে ধাক্কা দেয় এটি।’
দেশটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি জানায়, বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন, তা তারা এখনও নিশ্চিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় নতুন ধরনের বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন এক দুগ্ধ শ্রমিক।
গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু থেকে এটি নতুন ও ভিন্ন ধরনের ভাইরাস।
দেশটির ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্থানীয় সময় সোমবার এ তথ্য জানান।
ওই ব্যক্তির অসুস্থতাটিকে হালকা বলে মনে করা হয়েছিল। তার শরীরে প্রধান লক্ষণ ছিল চোখের লাল ভাব ও জ্বালা।
এমন অসুস্থতা সাধারণত বেশির ভাগ দুগ্ধবতী গরুর ক্ষেত্রে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হননি, তবে সুস্থ হয়েছেন।
এর আগে হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে আসা এক ডজনেরও বেশি মানুষের শরীরে নতুন এ ধরন দেখা গেছে। তবে এই প্রথম কোনো গরুর মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ল।
নেভাডা অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, নেভাডার পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের চার্চিল কাউন্টির একটি খামারে আক্রান্ত ওই দুগ্ধ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়।
সিডিসির কর্মকর্তারা জানান, এ ব্যক্তি থেকে ভাইরাসটি অন্য কারও মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
সংস্থাটি নিয়মিতই বলছে, ভাইরাসটি সাধারণ মানুষের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ।
বর্তমানে প্রাণী ও কিছু মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু বিজ্ঞানীদের কাছে ‘টাইপ এ এইচ৫এন১’ ইনফ্লুয়েঞ্জা নামে পরিচিত। তবে এটির বিভিন্ন ধরন রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২৩ সালের শেষের দিকে গবাদি পশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বার্ড ফ্লু। পরের বছরের মার্চে বি৩.১৩ নামে পরিচিত একটি সংস্করণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। এটি ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ৯৬২টি গবাদি পশুকে সংক্রামিত করে। আর এসব আক্রান্তের বেশির ভাগই ক্যালিফোর্নিয়ায় হয়েছিল।
ডি১.১ নামে পরিচিত নতুন ধরনের ভাইরাসটি ৩১ জানুয়ারি নেভাডার গবাদি পশুর শরীরে শনাক্ত করা হয়। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগ্রহ করা দুধে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৬৮ জন বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই গরু বা হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।
ট্রাম্পের আভাস, পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। আর এমন কিছু যদি হয়ে থাকে, তাহলে ২০২২ সালের পর কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার প্রথম স্বীকারোক্তি হবে এটি।
গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কিংবা পরে পুতিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছি, ধরা যাক, আমি এটা করেছি...এবং আরও অনেক আলোচনা হবে বলে আমি মনে করছি। এই যুদ্ধ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য