× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Saudi Iran is once again united by the mediation of China
google_news print-icon

চীনের মধ্যস্ততায় ফের এক হচ্ছে সৌদি-ইরান

চীনের-মধ্যস্ততায়-ফের-এক-হচ্ছে-সৌদি-ইরান
চীনে ইরান ও সৌদি কর্মকর্তাদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে উভয় দেশে পুনরায় দূতাবাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের আলোচনায় এই সমঝোতা হয়েছে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে একটি বিবৃতিতে জানায়, তিন দেশের আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে সৌদি আরব ও ইরান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ও ইরানের ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান চীনে একটি বৈঠকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক একটি চুক্তি করেছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে উভয় দেশে পুনরায় দূতাবাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে তেহরান ও রিয়াদ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অতীতে বেশ কয়েক দফা উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন।

ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙে লড়াই করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী।

আরও পড়ুন:
দূর থেকে চুমু খাওয়ার যন্ত্র উদ্ভাবন!
ট্রাম্পকে হত্যার সুযোগ খুঁজছে ইরান
চীনে কয়লা খনি ধসে দুই প্রাণহানি, নিখোঁজ অর্ধশত
সৌদির প্রথম নারী নভোচারী হচ্ছেন রায়ানা
এবার চীনের জলসীমায় উড়ন্ত বস্তু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The clash in Syria leaves a thousand killed in revenge attacks

সিরিয়ায় সংঘর্ষ, প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহত হাজার ছাড়াল

সিরিয়ায় সংঘর্ষ, প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহত হাজার ছাড়াল সিরিয়ার একটি এলাকায় জানাজায় স্থানীয়রা। ছবি: এপি
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ১৪ বছরে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের ঘটনা এটি।

সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগতদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠী এমন তথ্য দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ১৪ বছরে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের ঘটনা এটি।

ব্রিটিশভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ৭৪৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৫ সদস্য ও আসাদসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর ১৪৮ জন নিহত হন। খুব কাছ থেকে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়।

এ ছাড়া লাতাকিয়া শহরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও খাবার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ সংঘাতের শুরু হয়েছে, যা সরকারের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে মাস তিনেক আগে সিরিয়ার কর্তৃত্ব গ্রহণ করে বিদ্রোহীরা।

সরকার জানিয়েছে, আসাদ বাহিনীর অবশিষ্টাংশের হামলার জবাব দিচ্ছে তারা। আর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত হামলার ঘটনাকে দায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে তিনজন নিহত, একজন আহত
বাগেরহাটে মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে আহত ২০
সিরিয়ার পুনর্গঠনে বিশ্বকে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জাতিসংঘের
ইজতেমা মাঠে নিহত ৪, খুনিদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিরিয়ার গণকবরে কমপক্ষে ১ লাখ মরদেহ সমাহিত করার দাবি

মন্তব্য

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত গাজার বিভিন্ন স্থাপনা। ছবি: এএফপি
নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের মতে, ইসরায়েল ও হামাস আলোচনার অচলাবস্থায় রয়েছে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীতে তাৎক্ষণিকভাবে তারা একমত হতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে উইটকফ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় রবিবার জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাস ও এপ্রিলের মাঝামাঝি ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব ‘পাসওভার’ ছুটির দিন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতের ঠিক পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, রমজানে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইসরাইল, যা মার্চের শেষের দিকে শেষ হবে এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আট দিনের ইহুদি পাসওভার পালন করা হবে।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে। এর পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সায় থাকার কথা জানানো হলো।

এই চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্দেশ্য ছিল গাজায় এখনও থাকা কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া এবং যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের পথ প্রশস্ত করা।

নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের মতে, ইসরায়েল ও হামাস আলোচনার অচলাবস্থায় রয়েছে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীতে তাৎক্ষণিকভাবে তারা একমত হতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে উইটকফ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

আরও পড়ুন:
অশ্রু, আলিঙ্গনে বরণ মুক্ত ৯০ ফিলিস্তিনিকে
১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর রোববার: কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের
আমার প্রশাসন চাপ না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতো না: ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israel suspends the release of Palestinian prisoners

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল পশ্চিম তীরের রামাল্লায় শনিবার ফিলিস্তিনি বন্দিদের গ্রহণ করার অপেক্ষায় তাদের স্বজনরা। ছবি: এপি
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লজ্জাজনক অনুষ্ঠান ছাড়াই পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শনিবারের নির্ধারিত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আরও জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় চলমান ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করেছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ইসরায়েল এ ঘোষণা দেয়।

এর আগে শনিবার হামাস ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল প্রায় ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হয়েছিল। তিন ধাপের চুক্তির প্রথম ধাপে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও জীবিত জিম্মিদের মধ্যে এ ছয়জনই ছিল শেষ দল।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লজ্জাজনক অনুষ্ঠান ছাড়াই পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শনিবারের নির্ধারিত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করে এমন লজ্জাজনক (জিম্মি মুক্তি) অনুষ্ঠান এবং প্রচারণার উদ্দেশ্যে জিম্মিদের নিন্দনীয় ব্যবহারসহ বারবার (চুক্তি) লঙ্ঘন করেছে হামাস।’

হামাস ও ইসরায়েল উভয়ের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য বন্দিদের ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।

হামাস মঞ্চে জিম্মিদের ওঠায়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের পরিহিত ব্রেসলেট ও টি-শার্টে অবমাননাকর লেখা সংযুক্ত করে এবং অসম্মানজনক ভঙ্গিতে তাদের ছবি তোলে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি তথ্য অনুযায়ী, মোট ৬৩ জন জিম্মি গাজায় রয়ে গেছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন নেতানিয়াহু
উত্তর গাজায় ফিরল ২ লাখ ফিলিস্তিনি
যুদ্ধ শুরুর পর ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ হামাসের
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ২ শতাধিক মরদেহ উদ্ধার
অশ্রু, আলিঙ্গনে বরণ মুক্ত ৯০ ফিলিস্তিনিকে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Netanyahu will start discussing the second phase of ceasefire in Gaza

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি
নেতানিয়াহু রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলেছেন এবং ওয়াশিংটনে তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ দফা জিম্মি-বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

নেতানিয়াহু রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলেছেন এবং ওয়াশিংটনে তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারী ও প্রতিনিধিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ৪২ দিনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা আগামী মাসে শেষ হবে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, উইটকফ প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের সঙ্গেও কথা বলবেন।

প্রথম পর্যায়ে হামাস শনিবার ইসরায়েলি হেফাজত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

জিম্মি ওফের কালদেরন ও ইয়ার্ডেন বিবাসকে হামাস যোদ্ধারা মঞ্চে কুচকাওয়াজ করে দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে। আমেরিকান-ইসরায়েলি কিথ সিগেলকে উত্তরে গাজা শহরের বন্দরে একই ধরনের অনুষ্ঠান করে মুক্তি দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী পরে নিশ্চিত করেছে যে, তিনজনই ইসরায়েলে ফিরে এসেছেন।

ইসরায়েলি প্রচার গোষ্ঠী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম তাদের মুক্তিকে ‘অন্ধকারে আলোর রশ্মি’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে জিম্মিদের আটক রাখার পর গাজার যোদ্ধারা ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুসারে তাদের মুক্তি দিতে শুরু করেন।

হামাস ও তার মিত্র ইসলামিক জিহাদ এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে। শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।

গত শনিবার ১৮৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের একজন মিসরীয়। বাকি সবাই ফিলিস্তিনি।

হামাস সূত্র জানায়, আগামী শনিবার পঞ্চম জিম্মি-বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।

ছয় সপ্তাহের এ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি প্রায় এক হাজার ৯০০ জনকে মুক্তি দেওয়া, যাদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনি।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর রোববার: কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের
আমার প্রশাসন চাপ না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতো না: ট্রাম্প
গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনে দরকার হাজার কোটি ডলার: ডব্লিউএইচও
গাজায় সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ ইসরায়েল: হামাস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
North Gaza returned to 2 million Palestinians

উত্তর গাজায় ফিরল ২ লাখ ফিলিস্তিনি

উত্তর গাজায় ফিরল ২ লাখ ফিলিস্তিনি অসংখ্য ফিলিস্তিনি কোলে সন্তান, কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে উত্তর দিকে হেঁটে রওনা হন। ছবি: এএফপি
ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, অসংখ্য ফিলিস্তিনি কোলে সন্তান, কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে উত্তর দিকে হেঁটে রওনা হয়েছেন। কিন্তু যারা গাড়িতে রওনা হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন চেক পোস্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

ইসরায়েল নেটজারিম করিডোরের মধ্য দিয়ে রুট খুলে দেওয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টায় দুই লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরেছেন।

তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রিয়জনদের কাছে ফিরলেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, অসংখ্য ফিলিস্তিনি কোলে সন্তান, কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে উত্তর দিকে হেঁটে রওনা হয়েছেন। কিন্তু যারা গাড়িতে রওনা হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন চেক পোস্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

গাজার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ক্রসিং খোলার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ২ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ হেঁটে হেঁটে উত্তর গাজায় ফিরেছেন।

পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে এএফপি জানায়, ফিরে এসে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাননি। তারপরও ফিরে আসার আনন্দ ছিল চোখেমুখে।

কাঁধে বেশ কয়েকটি ব্যাগ ঝুলিয়ে উত্তর গাজায় ফেরা আহমেদ নামের এক বাস্তুচ্যুত তরুণ বলেন, ‘আমরা আমাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে চাই। আমি আমার মা এবং বাবাকে দেখতে চাই। আমরা ১৫ মাস ধরে তাদের দেখিনি।’

আহমেদ আরও বলেন, ‘আমি দেড় বছর ধরে আমার পরিবারের সাথে দেখা করিনি। আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি।

‌‘আমরা ক্লান্ত। আমরা গাজায় যেতে চাই। আমরা আর কোথাও যেতে চাই না।’

গত ২৫ জানুয়ারি ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফিরে আসার কথা ছিল, কিন্তু ইসরায়েলি জিম্মি আরবেল ইয়াহুদকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তারা আটকে পড়েন।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ফিলিস্তিনিদের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট এবং সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট পার হতে হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ দেড় বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু।

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

আরও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের
আমার প্রশাসন চাপ না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতো না: ট্রাম্প
গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনে দরকার হাজার কোটি ডলার: ডব্লিউএইচও
গাজায় সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ ইসরায়েল: হামাস
গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুতি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ukraine Russia War will stop at a Saudi decision Trump

সৌদির এক সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প

সৌদির এক সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য শহর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফোরামের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। ছবি: ডব্লিউইএফ
ট্রাম্প বলেন, সৌদি আরব ও তেল রপ্তানিকারী অন্য দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তা হলেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এক নিমেষে বন্ধ করতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। দেশটির এক সিদ্ধান্তেই ‘সঙ্গে সঙ্গে’ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এমনটাই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এতদিন কেন সেটা ঘটল না, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সৌদি আরবের কী করা উচিত, সেটাও বলে দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, সৌদি আরব ও তেল রপ্তানিকারী অন্য দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তা হলেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।

আল জাজিরার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য শহর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভা চলছে। সেখানেই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফোরামের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, তেল রপ্তানিকারী দেশগুলো যে এখনও তেলের দাম কমায়নি, তাতে তিনি বিস্মিত।

তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল সৌদিসহ অন্যদের।

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সদস্যদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘সৌদি ও ওপেকের সবাইকে আমি বলব, তেলের দাম কমান। আপনাদের এটা করতেই হবে।

‘সত্যি কথা বলতে, এখনও যে এটা করা হয়নি, তাতে আমি অবাক। তেলের দাম কমলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘খনিজ তেলের দাম এখন অনেক বেশি। তাই যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে আপনাদের তেলের দাম কমাতে হবে।

‘যা হচ্ছে, তার জন্য ওই দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী। এত মানুষ মারা যাচ্ছে! তেলের দাম কমার পর আমি সুদের হারও কমাতে বলব।’

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর প্রায় তিন বছর ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী এ সংঘাত।

দীর্ঘ এ সময়ে দুই পক্ষের পাল্টা হামলায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।

ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলে আসছেন ট্রাম্প।

তিনি প্রায়ই বলতেন, ক্ষমতায় থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধান করে ফেলতেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। বৈঠকের আয়োজন চলছে।

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ করেন ট্রাম্প। এরপর অবিলম্বে এ সংঘাতের সমাধান দাবি করেন তিনি।

শুধু তাই নয়, যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলেও হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের
মাতারবাড়ীকে আঞ্চলিক মেগা বন্দরে রূপান্তরে আগ্রহী সৌদির কোম্পানি
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত
যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি
ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন: ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Hamas recruited 10000 to 15000 fighters after the start of the war

যুদ্ধ শুরুর পর ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ হামাসের

যুদ্ধ শুরুর পর ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ হামাসের হামাসের দুই সশস্ত্র যোদ্ধা। ছবি: ইউএনবি
গত ১৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, গাজায় যতজন যোদ্ধা হারিয়েছে হামাস, ততজনই তারা নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে। এটি একটি চিরস্থায়ী বিদ্রোহ ও যুদ্ধেরই প্রস্তুতি।’

ইসরায়েলের সঙ্গে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে এমন খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের জন্য ক্রমাগত হুমকি হিসেবেই থেকে যাচ্ছে ইরান-সমর্থিত হামাস।

যুদ্ধে একই পরিমাণ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে আভাস দিয়েছেন গোয়েন্দারা।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে যায় হামাস ও ইসরায়েল। এর আগে ১৫ মাসের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত হয় গাজা উপত্যকা। পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

খবরে বলা হয়, হামাসে যোগ দেওয়া নতুন সদস্যরা বয়সে তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। তাদের এখন শুধু নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের অফিসে যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।

গত ১৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, গাজায় যতজন যোদ্ধা হারিয়েছে হামাস, ততজনই তারা নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে। এটি একটি চিরস্থায়ী বিদ্রোহ ও যুদ্ধেরই প্রস্তুতি।’

এ বিষয়ে তার কাছ থেকে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গাজা যুদ্ধে প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হন।’

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েল।

গেল বছরের জুলাইয়ে হামাসের সামারিক শাখার প্রধান আবু ওবায়দা বলেন, ‘তারা কয়েক হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিতে সক্ষম।’

এবারের যুদ্ধে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও গাজা উপত্যকায় গভীরভাবে নিজের অবস্থান জারি রেখেছে সংগঠনটি।

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে হামাস সেখানে নিরাপত্তা কার্যক্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। পাশাপাশি নাগরিকদের মৌলিক সেবাগুলোও তারা পুনর্বহাল করতে সক্ষম হয়।

গাজা যুদ্ধে কতজন হামাস যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন, আমেরিকান কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের ভাষ্য, ফিলিস্তিনি এ প্রতিরোধ বাহিনীর ব্যাপক শক্তি ক্ষয় হয়েছে। সম্ভবত কয়েক হাজার যোদ্ধা খুইয়েছে তারা।

ইসরায়েলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অতর্কিত হামলা চালান হামাস যোদ্ধারা। এতে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এ ছাড়াও ২৫০ ইসরায়েলিকে তারা জিম্মি করেছিল।

পরবর্তী সময়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুন:
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ২ শতাধিক মরদেহ উদ্ধার
অশ্রু, আলিঙ্গনে বরণ মুক্ত ৯০ ফিলিস্তিনিকে
১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর রোববার: কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের

মন্তব্য

p
উপরে