ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, দেশটির শহর, নগর, জনপদ ও সড়কের মুসলিম নাম বদলানো হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।
নামবদল কমিশন গঠনের বিষয়ে এক জনস্বার্থ মামলা সোমবার খারিজ করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
ঐতিহাসিক শহর, নগর, জনপদ ও সড়কের নাম বদলানো শুরু হয়েছে ভারতে। এ পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি নাম বদল কমিশন গড়ার আরজি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি এম ভি নাগরত্নের বেঞ্চ জানায়, এই ইস্যু এমন কিছু ব্যাপার সামনে আনবে যাতে দেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।
আদালত বলে, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এ ছাড়া হিন্দু কোনো ধর্মবিশেষ নয়। এটা এক জীবনধারা। এই ধর্মে গোঁড়ামির স্থান নেই। বিচারপতিরা বলেন, দেশের ইতিহাস যেন কোনোভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বোঝা না হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের বিখ্যাত ‘মোগল গার্ডেন’–এর নাম বদলে করা হয়েছে ‘অমৃত উদ্যান’। কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ শহরের নাম বদলে ‘প্রয়াগরাজ’ রাখা হয়েছে। মোগলসরাই জংশনের নাম পাল্টে হয়েছে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায়’। চলতি মহারাষ্ট্রের দুই ঐতিহাসিক শহর ঔরঙ্গাবাদ ও ওসমানাবাদের নাম বদলে যথাক্রমে ‘ছত্রপতি শম্ভাজিনগর’ ও ‘ধারাশিব’ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে ১০ জুন পর্যন্ত।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ইন্টারনেট সেবা বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যজুড়ে শান্তি ফেরাতে মোতায়েন হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারের মতো সদস্য।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বলা হয়, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয় ৩ জুন। ১০ তারিখ পর্যন্ত এই সেবা বন্ধ থাকবে।
এদিকে মণিপুরে পরিদর্শনে গিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিবাদমান পক্ষগুলোকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। তিনি যাওয়ার আগেই অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে সেখানে ৩০ কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, শান্তি ফেরানোর জন্য চিরুনিতল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তার জেরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। সেনা সদস্যদের অভিযান অব্যাহত আছে।
মেইতে জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত আদালতের এক আদেশের বিরোধিতা করে গত ৩ মে রাজ্যটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তা শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নেয়।
মণিপুরে মেইতে জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে তারা আদিবাসী হিসেবে তালিকাভু্ক্ত নয়। এ কারণে রাজ্যের আইন অনুযায়ী তারা পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দার সুবিধা ভোগ করতে পারছে না।
কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। বহু মানুষ ঘরছাড়া।
আরও পড়ুন:
ভারতের বিহার রাজ্যের ভাগলপুরে রোববার সন্ধ্যায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে চার লেনের নির্মাণাধীন একটি সেতু।
এ নিয়ে এক বছরের মধ্যে দুইবার রাজ্যে সেতু ধসে পড়ার ঘটনা ঘটল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেতু ধসে পড়ার দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন কেউ কেউ। এ ঘটনায় প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
সেতুতে ধসের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভাগলপুর জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার সেন বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি খবর পেয়েছি নির্মাণাধীন আগুয়ানী-সুলতানগঞ্জ সেতুর চার থেকে পাঁচটি পিলার ধসে পড়েছে। প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’
সেতু ধসে পড়ার ঘটনাটিকে সামনে এনে বিহার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সম্রাট চৌধুরী অভিযোগ করেন, নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকারে অবাধে দুর্নীতি চলছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিহারের বেগুসরাই জেলায় সেতু ধসে বুরহি গন্দক নদীতে পড়ে। সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত না হওয়ায় ওই দুর্ঘটনায় কারও প্রাণ যায়নি।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর শনিবার ঘটনাস্থল বাহাঙ্গা বাজার স্টেশনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতে দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৮ জন নিহত ও এক হাজার এক শর বেশি যাত্রী আহত হন।
মোদি বলেন, ‘এটি বেদনাদায়ক ঘটনা। আহতদের চিকিৎসার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করবে সরকার। এটি মারাত্মক ঘটনা।
‘সব দিক থেকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।’
ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে বালেশ্বরের বাহাঙ্গা বাজারে বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজে করে যান মোদি। তিনি বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে আহত যাত্রীদের দেখে আসেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণু ও শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মোদি। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:ভারতের কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসকে প্রথমে মূল লাইনে প্রবেশের সংকেত দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর সেই সংকেত তুলে নিলে ট্রেনটি বাড়তি লাইনে প্রবেশ করে।
ফলে সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়।
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার এখানেই সূত্রপাত বলে প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতীয় রেলের চার সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাতে ওই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মূল লাইন দিয়ে অতিক্রমের অনুমতি দেয়ার পরও তা সরিয়ে নেয়া হয়। কেন এমনটা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
সংকেতের ওই গরমিলে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে এর বগি লাইনচ্যুত হয়ে অপর লাইনে গিয়ে পড়ে।
একই সময়ে বিপরীত দিকের মূল লাইন দিয়ে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটির ইঞ্জিন মালবাহী ট্রেনের ওপর গিয়ে পড়ে।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত আট শতাধিক যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) ও ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত আট শতাধিক যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) ও ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
শেষ খবর অনুযায়ী আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্টনায়েক রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা স্টেশনের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে আহত ও নিহতের সংখ্যা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে হাওড়াগামী ব্যাঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুর সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রেনে ছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন যাত্রীও। দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে কোনো খোঁজ না পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী। তবে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কারো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনগুলোতে ঠিক কয়জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ও তাদের মধ্যে কয়জন আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, স্থানীয় সাংবাদিকরা হাইকমিশনকে জানিয়েছে যে দুয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছেন। তারা ওড়িশার সরো সরকারি হাসপাতাল ও বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর মধ্যে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তিন জনের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মারেফত তারিকুল ইসলাম।
কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের একাংশ কলকাতায় ফিরতে শুরু করেছেন।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাজশাহীর বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী মো. রাসেলুজ্জামানকে সরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে নিয়ে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সে সঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না একাধিক বাংলাদেশিকে। নিখোঁজদের মধ্যে পাবনার বাসিন্দা আসলাম শেখ, খুলনার বাসিন্দা রুপা বেগম খান এবং ঢাকার বাসিন্দা খালেদ বিন আওকাত ও ৩৫ বছর বয়সী মোক্তার হোসেন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর একটি হটলাইন নম্বর (৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩) চালু করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশ থেকে অনেকেই ওই নম্বরে ফোন করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ নিচ্ছেন।
উপ-হাইকমিশন তাদের তালিকা তৈরি করছে। হাইকমিশনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালিকা ধরে তাদের খোঁজ নেবে।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মমতা এ মন্তব্য করেন বলে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বালেশ্বরে তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৬১ জনের। এ দুর্ঘটনায় আহত হন শত শত যাত্রী।
মমতা বলেন, ‘করমন্ডল সবচেয়ে ভালো এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর একটি। আমি তিনবার রেলমন্ত্রী ছিলাম। সেই জায়গা থেকে দেখেছি, এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এ ধরনের ঘটনাগুলোর ভার অর্পণ করা হয় রেলওয়ের নিরাপত্তা কমিশনের হাতে এবং তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, ট্রেনটিতে সংঘর্ষ প্রতিরোধী কোনো ডিভাইস ছিল না। ট্রেনে এ ধরনের ডিভাইস থাকলে এ ঘটনা ঘটত না…যাদের প্রাণ গেছে, তাদের আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, তবে এ মুহূর্তে আমাদের কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।’
মমতা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার রুপি।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য