তুরস্কে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির মধ্যাঞ্চলে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য আনাতোলিয়া অঞ্চলের নিগদে প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে । ইউরোপিয়ান-মেডিটারিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানায়, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূমি থেকে সাত কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে বোর জেলায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে যেখানে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল, সেখান থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে রোব জেলাটি অবস্থিত।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে টুইটারে লেখেন, ‘এ মুহূর্তে খারাপ কোনো খবর নেই। আল্লাহ আমাদের সব ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন।’
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দুই দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাতায় প্রদেশে আবার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
আরও পড়ুন:Niğde’nin Bor ilçesinde meydana gelen depremden etkilenen tüm vatandaşlarımıza geçmiş olsun.
— Fuat Oktay (@fuatoktay) February 25, 2023
Ekiplerimiz sahada, hasar tespit çalışmaları devam ediyor. Şu an için olumsuz bir durum bulunmamaktadır.
Allah ülkemizi ve milletimizi her türlü afetten korusun.
হিজাব পরেই মুসলিম নারী খেলোয়াড়রা বিশ্বের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া আসর অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
আগামী বছরের জুলাইয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক আসরে নিজ দেশের খেলোয়াড়দের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ফ্রান্স। স্বাগতিক দেশের এ সিদ্ধান্তের পরের দিন অলিম্পিক কমিটি এর বিপরীত সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি কাসতেরা গত রোববার ধর্মনিরপেক্ষতার কারণ দেখিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে ফ্রান্সের নারী মুসলিম খেলোয়াড়দের হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে যুক্তি দেখান।
যদিও অলিম্পিক কমিটির একজন মুখপাত্র মন্ত্রীর এ মন্তব্যকে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘অলিম্পিক ভিলেজে শুধু অলিম্পিক কমিটির নিয়মই চলবে। আর আমরা হিজাবসহ প্রত্যেক ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
যেকোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা তার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়মেই চলে বলে জানান তিনি।
ফ্রান্সের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘যদিও এ আইনটি শুধু ফ্রান্সের নারী খেলোয়ারদের জন্য করা হয়েছিল, তবে এখানে সবাইকে একইভাবে সুযোগ দিতে হবে।’
৩২টি ভিন্ন ইভেন্টে প্রায় ১০ হাজার খেলোয়াড় অলিম্পিক আসরে অংশ নেবেন, যেখানে তারা পারস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময় করবেন বলে জানান এ মুখপাত্র।
ফ্রান্সের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
এদিকে হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে ফ্রান্সের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির মুসলিমদের সংগঠন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা পক্ষগুলো। তাদের ভাষ্য, ফ্রান্স প্রশাসন এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বের পাশাপাশি তাদের হেনস্তার সুযোগ করে দিচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে ফ্রান্সের নতুন এ হিজাববিরোধী আইনটি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।
ইউরোপে ফ্রান্সেই সংখ্যালঘু হিসেবে সর্বোচ্চ মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। যদিও প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানা আইন জারি করে চলেছে।
ফ্রান্সে ইসলামি মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ইতোপূর্বে মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন মাখোঁ। এ ছাড়াও মাঁখোর আমলে মহানবীকে (সা.) নিয়ে সাময়িকীতে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশ ও ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আরবসহ মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ ও পণ্য বর্জনের ঘটনা ঘটেছিল।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলতি বছরের জুলাইয়ে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
এক টেলিভিশনে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’
নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনীর চাপ ও জনতার বিক্ষোভের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত ঘোষণা দিলেন।
নাইজারে গত ২৬ জুলাই হওয়া অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দেয়া মাখোঁর কাছে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সামরিক নেতারা। সেনা প্রত্যাহারের কাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের পথে নতুন ধাপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যাতে নাইজারের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই কৃষ্ণ সাগর হয়ে মিশরের পথে যাত্রা করল গমবাহী একটি বড় জাহাজ।
১৭ হাজার ৬০০ টন গম নিয়ে এই জাহাজটি মিশরের উদ্দেশে ওডেসার চোরনোমর্স্কে বন্দর ছেড়েছে বলে ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুব্রাকভ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি নতুন রুট দিয়ে কয়েকটি কার্গো জাহাজ ইউক্রেনে পৌঁছায়। এরপর ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশস্য বহন করে রওনা হতে শুরু করে এই জাহাজগুলো। চলতি সপ্তাহে এর আগে আরও একটি জাহাজ ৩ হাজার গম নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে।
যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চুক্তির চেষ্টা ব্যর্থ ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা না পাওয়ার মধ্যেই কিছুদিন আগে অস্থায়ী মানবিক করিডোর গড়ে তোলে ইউক্রেন।
এরপর প্রথম বারের মতো কোনো বেসামরিক জাহাজ ইউক্রেনে পৌঁছায়। নতুন যে রুটে খাদ্যশস্য বহন করা হচ্ছে, এ রুট দিয়ে এর আগে শুধু ইউক্রেনের জাহাজই যাতায়াত করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আসা দুই জাহাজ নিয়ে জানান, আফ্রিকা এবং আরোয়াট মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ পালাউয়ের পতাকা উড়িয়ে যাত্রা করেছে এসব জাহাজ। এতে ইউক্রেন, তুরস্ক, আজারবাইজান এবং মিশরের জনবল রয়েছেন।
ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানির সুবিধা দেয়- এমন একটি জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তি রাশিয়া ত্যাগ করার পর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সামুদ্রিক করিডোর ঘোষণা করে নতুন এই রুটের কথা জানান।
অবশ্য মস্কো বলছে, যে চুক্তির আওতায় খাদ্য ও সার রপ্তানির হওয়ার কথা তা মানা হয়নি। বরং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ করছে।
এর পর পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে আসা বেসামরিক জাহাজগুলোকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করার হুমকি দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওডেসায় অবস্থান করা জাহাজে হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেন সূর্যমুখী তেল, বার্লি, ভুট্টা এবং গমের মতো ফসলের বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী। এ দেশ থেকে এসব খাদ্যপণ্য রপ্তানির পথ বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়েই।
বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তে অবস্থান নেয়ার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। ওই সময় রাশিয়ার নৌবাহিনী কৃষ্ণ সাগর বন্দরগুলো অবরোধ করলে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে যায়।
এতে বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়ে যায় এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশগুলোতে ঘাটতি দেখা দেয়। এসব দেশ ছাড়া অনেক দেশই এ নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ভাড়াটে সেনাগোষ্ঠী ওয়াগনারের সদস্যদের অনেকেই ইউক্রেন থেকে যুদ্ধ করে রাশিয়া ফিরে আসছেন, তবে তারা দেশে চাকরি নিয়ে সংকটে পড়েছেন।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গিয়ে চাকরি না পেয়ে এই যোদ্ধারা বেশ হতাশায় ভুগছেন বলে সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়াগনারের ভাড়াটে যোদ্ধারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন সম্প্রতি। তারা বলছেন, কাউকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে, কাউকে বা দাড়োয়ানের দায়িত্ব পালন করতেও বাধ্য করা হচ্ছে।
অনেক নিয়োগকর্তা ওয়াগনারের সাবেক সদস্যদের সাক্ষাৎ দিতে পর্যন্ত চান না বলে জানান তারা। অবশ্য তাদের এরই মধ্যে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।
নিউজউইক জানিয়েছে, নৃশংস ভাড়াটে গোষ্ঠীর জন্য নিয়োগ করা অনেক যোদ্ধা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এসব সদস্য হত্যাসহ গুরুতর অপরাধের জন্য জেলে ছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী কোনঠাসা, তখন ওয়াগনার সেনাদের ভূমিকায় বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া।
তবে এক পর্যায়ে অস্ত্র সরবরাহ এবং যুদ্ধের নীতি-কৌশল নিয়ে ওয়াগনার প্রধানের সঙ্গে রাশিয়ার শীর্ষ কমান্ডারদের মতবিরোধ দেখা দেয়।
এ অবস্থায় গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে মস্কো থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
এ দুর্ঘটনার পেছনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমের পুতিনের দিকে অভিযোগের তীর উঠলেও তা নিয়ে কিছু বলেননি পুতিন। তিনি শুধু বলেছেন, ‘প্রিগোজিন মেধাবী মানুষ ছিলেন। তবে দুর্ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন তিনি।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাজ্যের বেরি শহরের রাস্তায় একটি গোলাপি রঙের কবুতরের দেখা মিলেছে।
বিবিসির সোমবারের প্রতিবেদনে জনানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) চলতি মাসের ৯ তারিখে কবুতরটির ছবি পোস্ট করে একজন লিখেন, ‘কেউ কী এ গোলাপি কবুতরটি দেখেছেন? বলতে পারেন এটির বং গোলাপি কেন?’
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ জানায়, তাদের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও শহরের কেন্দ্রে টহলরত অবস্থায় ‘বিরল গোলাপি কবুতরটি’ দেখতে পেয়েছিলেন।
এদিকে পাখিটিকে রং করা হয়েছে কি না, এটি কোনো কিছুতে পড়েছে নাকি স্বাভাবিকভাবেই গোলাপি হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
৪৩ বছর বয়সী সামান্থা ব্রাউন বলেন, ‘সবাই ভাবছে এটি গোলাপি কেন? আমার মনে হয় এটা রং করা হয়েছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে জেন্ডার রিভিল পার্টির জন্য উজ্জ্বল গোলাপি রং করা একটি গোলাপি কবুতর উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যেই কৃষ্ণ সাগর হয়ে নতুন রুট দিয়ে দুটি কার্গো জাহাজ ইউক্রেনে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার ওডেসার চোরনোমর্স্কে পৌঁছা এই দুই জাহাজ বিশ্ববাজারে ২০ হাজার টন গম পরিবহন করে নিয়ে যাবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চুক্তির চেষ্টা ব্যর্থ ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা না পাওয়ার মধ্যেই প্রথম বারের মতো কোনো বেসামরিক জাহাজ ইউক্রেনে পৌঁছাল।
নতুন যে রুটে খাদ্যশস্য বহন করা হচ্ছে, এ রুট দিয়ে এর আগে শুধু ইউক্রেনের জাহাজই যাতায়াত করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুব্রাকভ বলেছেন, জাহাজ দুটি আফ্রিকা এবং আরোয়াট মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ পালাউয়ের পতাকা উড়িয়ে যাত্রা করেছে। এতে ইউক্রেন, তুরস্ক, আজারবাইজান এবং মিশরের জনবল রয়েছেন।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজগুলো মিশর ও ইসরায়েলে গম পৌঁছে দেবে।
ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানির সুবিধা দেয়- এমন একটি জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তি রাশিয়া ত্যাগ করার পর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সামুদ্রিক করিডোর ঘোষণা করে নতুন এই রুটের কথা জানান।
অবশ্য মস্কো বলছে, যে চুক্তির আওতায় খাদ্য ও সার রপ্তানির হওয়ার কথা তা মানা হয়নি। বরং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ করছে।
এর পর পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে আসা বেসামরিক জাহাজগুলোকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করার হুমকি দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওডেসায় অবস্থান করা জাহাজে হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেন সূর্যমুখী তেল, বার্লি, ভুট্টা এবং গমের মতো ফসলের বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী। এ দেশ থেকে এসব খাদ্যপণ্য রপ্তানির পথ বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়েই।
বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তে অবস্থান নেয়ার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। ওই সময় রাশিয়ার নৌবাহিনী কৃষ্ণ সাগর বন্দরগুলো অবরোধ করলে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে যায়।
এতে বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়ে যায় এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশগুলোতে ঘাটতি দেখা দেয়। এসব দেশ ছাড়া অনেক দেশই এ নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার একেবারে পূর্ব প্রান্তের একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্রে বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাক্ষাতের পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের স্যাটেলাইট কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কিমের সঙ্গে কথা বলবে মস্কো।
উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার অস্ত্র ও গোলা আমদানির বিষয়ে দুই নেতা কোনো আলোচনা করবেন কি না, সে বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘সব বিষয়ে’ কথা হবে।
ওয়াশিংটন ও মিত্ররা মনে করছেন, পুতিন ও কিমের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা।
রাশিয়ার একেবারে পূর্ব প্রান্তের আমুর অঞ্চলে আধুনিক মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র ভোস্তোকনি কসমোড্রোমে কিমকে স্বাগত জানিয়ে ৪০ সেকেন্ড ধরে করমর্দন করে পুতিন বলেন, ‘আপনাকে দেখে আমি আনন্দিত। এটি আমাদের নতুন কসমোড্রোম (মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র)।’
দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলা কিম সফরের আমন্ত্রণ ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান।
পশ্চিমা দুনিয়া থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে থাকা দুই দেশের দুই নেতার বৈঠক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। তাদের সন্দেহ অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বেচাকেনায় সম্মত হতে পারেন দুই নেতা।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলা দিতে পারেন কিম, তবে মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ ধরনের অভিপ্রায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য