ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে ২৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বাগযুদ্ধ চলছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে। এ যুদ্ধ শুরুর জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দুই নেতা একে অপরকে দুষছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রুশ পার্লামেন্ট দেয়া ভাষণে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর বিষয়ে পুতিন ভাষণে বলেন, ইউক্রেন ও ডনবাস একটি মিথ্যার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আবারও বলছি, তারা যুদ্ধ শুরু করেছে। আমরা আমাদের সেনাদের দিয়ে তা থামানোর চেষ্টা করছি।
এর জবাবে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে দেয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই ইউক্রেন যুদ্ধ বেছে নিয়েছেন। আর তিনিই এটি সহজে শেষ করতে পারেন।
ইউক্রেনে রাশিয়া কখনোই জয় পাবে না মন্তব্য করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া হবে।
ইউক্রেনের জন্য সামনে আরও কঠিন দিন আসছে বলে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, সামনে আরও কঠিন এবং অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা ইউক্রেনীয়দের জন্য আসছে। তবে এর পরও এ যুদ্ধে কিয়েভই জয়ী হবে।
এদিকে পুতিন তার ভাষণে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
পরমাণু অস্ত্র সীমিত রাখতে ২০১০ সালে প্রাগে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এর মেয়াদ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ব্যাপক প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে বাইডেন এ মন্তব্য করেন।
ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে বালেশ্বরের বাহাঙ্গা বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার শিকার হয় তিনটি ট্রেন। ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৮ জন নিহত ও ১ হাজার এক শর বেশি যাত্রী আহত হন।
বাইডেন বলেন, ‘ভারতে প্রাণঘাতী ট্রেনের সংঘর্ষের বেদনায়ক খবর শুনে (ফার্স্ট লেডি) জিল ও আমি অত্যন্ত ব্যথিত। স্বজন হারানো লোকজন ও ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হওয়া অনেকের জন্য আমাদের প্রার্থনা।’
ওড়িশায় শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনার পর থেকে শোক জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমির এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সমাবর্তনে এক গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে করমর্দনের পর নিজ আসনে ফিরে যাওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাকে উঠতে সাহায্য করেন। দাঁড়িয়ে বাইডেন একটি বস্তুর দিকে ইঙ্গিত করেন। বস্তুটি দৃশ্যত বালুভর্তি কালো রঙের একটি পোটলা।
ঘটনার পরপরই হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর বেন লাবল্ট টুইট করে জানান, বাইডেন ভালো আছেন। করমর্দনের সময় মঞ্চে একটি বালুর পোটলা ছিল।
অনুষ্ঠান শেষে কলোরাডো থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে আরেকটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার শিকার হন বাইডেন। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানের দরজায় ধাক্কা খান তিনি।
দুটি ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ লনে হাঁটার সময় আহত মনে হয়নি বাইডেনকে। তিনি সাংবাদিকদের বালুর পোটলায় হোঁচট খাওয়ার কথা জানান।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাইডেন শারীরিকভাবে ফিট। তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন।
আরও পড়ুন:মেক্সিকোয় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির উত্তরাঞ্চলের নুয়েভো লিওন ও তামাউলিপাসের মধ্যবর্তী একটি মহাসড়কে সোমবার ওই ঘটনা ঘটে।
নুয়েভো লিওন পাবলিক সিকিউরিটি সেক্রেটারি গেরার্দো পালাসিওস বলেন, ‘তিনটি সাঁজোয়া ট্রাক লক্ষ করে একটি সন্ত্রাসী দল গুলি ছুড়ে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাল্টা গুলিতে সন্দেহভাজন ১০ জন নিহত হন। আহত হন চার কর্মকর্তা।’
২০০৬ সালে মেক্সিকোর সরকার বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে।
ওই অভিযানে দেশটিতে ৩ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আনুমানিক এক লাখ নিখোঁজের তথ্য দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।
কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যালিফ্যাক্সে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। নগরীর উত্তর-পশ্চিমে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
এএফপির প্রতিবেদনের বরাতে বাসস জানায়, স্থানীয় টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে সেখানকার ঘরবাড়ি ও সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়ি দাবানলে পুড়ে যেতে দেখা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে রোববার রাতে অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে শহরটির অন্যান্য বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি তাৎক্ষণিক ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবারও উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত বরাবর আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।
টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে দাবানলের ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা যায়, তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
হ্যালিফ্যাক্সের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেন, ‘এ নগরীর ৪ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা একটি ‘নজিরবিহীন’ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন কোনো এলাকার লোকজনকে আর সরিয়ে নেইনি। আশা করছি, সম্ভবত সেখানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তারপরও এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’
এদিকে চলতি সপ্তাহে সেখানে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এতে দাবানল অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি তথা একে পার্টির প্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে তার ২০ বছরের শাসনকাল আরও পাঁচ বছর বাড়ল।
বহুল আলোচিত এ নির্বাচনে প্রায় সব ব্যালট বাক্স গণনা শেষে এরদোয়ান পান ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) প্রধান কামাল কিলিচদারোলু পান ৪৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট।
এশিয়া ও ইউরোপ বিস্তৃত দেশটিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির পর অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ কারণে এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জয় নিয়ে শঙ্কা ও সম্ভাবনার আলোচনা ছিল বিশ্বজুড়ে।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে শঙ্কার প্রতিফলনও দেখা গেছে। সে দফায় এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও ৫০ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে।
গতকালের ভোটের আগে এরদোয়ান সমর্থন পান প্রথম দফায় ৫ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়া সিনান ওগানের। এর মধ্য দিয়ে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ব্যালটেও হয়েছে তাই।
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে এরদোয়ানের জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
সামরিক জোট ন্যাটোতে তুরস্কের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী এরদোয়ানকে তাদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।
এক টুইটে বাইডেন লিখেন, ‘ন্যাটো মিত্র হিসেবে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও যৌথ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সানন্দে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ককে ‘মূল্যবান ন্যাটো মিত্র ও সহযোগী’ হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘তুরস্কের জনগণের বেছে নেওয়া সরকারের সঙ্গে আমাদের অব্যাহত যৌথ কাজের বিষয়ে সানন্দ প্রতীক্ষায় আছি।’
তুরস্কে দ্বিতীয় দফা ভোটে ব্যাপক উপস্থিতি এবং দেশটির ‘দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ইতিহাসের’ প্রশংসাও করেন ব্লিঙ্কেন।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির মাহদিয়া শহরের মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রাবাসে সোমবার মধ্যরাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধারকাজে দেরি হয়।
প্রাথমিক তদন্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন লাগানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ, তবে এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
ওই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে রাজধানী জর্জটাউনে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দেশটির রাষ্ট্রপতি শিশুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা বড় বিপর্যয়, ভয়ংকর, দুঃখজনক। রাজধানীর প্রধান দুটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আহত শিশুদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোবেসন বেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসাসেবা তদারক করছেন।
দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশে ভেনেজুয়েলা ও সুরিনামের মাঝের দেশ গায়ানা।
আরও পড়ুন:মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
রোববার সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় ক্লাবের খেলা চলাকালে সমর্থকরা স্টেডিয়ামে তাড়াহুড়ো করে প্রবেশের চেষ্টা করলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর খেলা স্থগিত করে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে স্টেডিয়াম খালি করা হয়।
স্থানীয় এফসি আলিয়াঞ্জা ও ক্লাব দেপোর্তিভো এফএএসের মধ্যে কাসকাটলান স্টেডিয়ামে খেলাটি চলছিল।
দেশটির ন্যাশনাল সিভিল পুলিশের (পিএনসি) আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের ভেতরে সমর্থকরা হাঁসফাঁস হয়ে ছুটোছুটি করছেন। তাদের জার্সির রং সাদা ও নীল। স্টেডিয়ামের বাইরে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো, প্রাথমিক চিকিৎসাকর্মীরা আহতদের স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।
আল জাজিরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানায়, পুরো স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য দুটি ফটক খোলা ছিল। বিপুল সংখ্যক দর্শক একসঙ্গে প্রবেশের জন্য বাইরে থেকে ধাক্কা দিলে ওই ঘটনা ঘটে।
খেলা দেখতে আসা সান্দ্রা আগুয়েটা বলেন, ‘ফটকের কাছে অসংখ্য মানুষ ছিল। বায়ু চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে আমরা নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো আলাবি বলেন, ‘অন্তত ৯০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থা স্থিতিশীল।’
রাষ্ট্রপতি নায়িব বুকেলে বলেন, ‘সবাইকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হবে। দল, ম্যানেজার, স্টেডিয়াম, টিকিট অফিস, লীগ, ফেডারেশন যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তাকে শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য