যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা থেকে শুক্রবার গাড়ি আকৃতির অশনাক্তকৃত বস্তু ভূপাতিত করার এক দিন পর কানাডার আকাশ থেকে বেলানাকার বস্তু নামিয়ে আনার খবর জানিয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বস্তুটি দেশটির ‘আকাশসীমা লঙ্ঘন’ করেছিল। উত্তর-পশ্চিম কানাডার ইউকন এলাকায় একে গুলি করে নামিয়ে আনা হয়।
ট্রুডো জানান, বস্তুটিকে খুঁজে পেতে তড়িঘড়ি করছিল কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজগুলো, যাকে ধ্বংস করে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ যুদ্ধবিমান।
গত সপ্তাহে এ নিয়ে উত্তর আমেরিকার আকাশসীমায় থাকা তিনটি বস্তু ধ্বংস করল যুক্তরাষ্ট্র।
উড়তে উড়তে সাউথ ক্যারোলিনার সমুদ্রসীমায় আসা চীনের নজরদারি বেলুনকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। স্থানীয় সময় শুক্রবার আলাস্কার আকাশসীমায় গাড়ি আকৃতির একটি অশনাক্তকৃত বস্তু ধ্বংস করে আমেরিকা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো শনিবার জানান, তিনি আকাশসীমা থেকে বস্তুটিকে ভূপাতিত করার আদেশ দেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
তিনি টুইটে লেখেন, ‘কানাডার বাহিনী এখন বস্তুটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার ও এগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।’
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির মাহদিয়া শহরের মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রাবাসে সোমবার মধ্যরাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধারকাজে দেরি হয়।
প্রাথমিক তদন্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন লাগানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ, তবে এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
ওই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে রাজধানী জর্জটাউনে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দেশটির রাষ্ট্রপতি শিশুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা বড় বিপর্যয়, ভয়ংকর, দুঃখজনক। রাজধানীর প্রধান দুটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আহত শিশুদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোবেসন বেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসাসেবা তদারক করছেন।
দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশে ভেনেজুয়েলা ও সুরিনামের মাঝের দেশ গায়ানা।
আরও পড়ুন:মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
রোববার সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় ক্লাবের খেলা চলাকালে সমর্থকরা স্টেডিয়ামে তাড়াহুড়ো করে প্রবেশের চেষ্টা করলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর খেলা স্থগিত করে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে স্টেডিয়াম খালি করা হয়।
স্থানীয় এফসি আলিয়াঞ্জা ও ক্লাব দেপোর্তিভো এফএএসের মধ্যে কাসকাটলান স্টেডিয়ামে খেলাটি চলছিল।
দেশটির ন্যাশনাল সিভিল পুলিশের (পিএনসি) আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের ভেতরে সমর্থকরা হাঁসফাঁস হয়ে ছুটোছুটি করছেন। তাদের জার্সির রং সাদা ও নীল। স্টেডিয়ামের বাইরে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো, প্রাথমিক চিকিৎসাকর্মীরা আহতদের স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।
আল জাজিরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানায়, পুরো স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য দুটি ফটক খোলা ছিল। বিপুল সংখ্যক দর্শক একসঙ্গে প্রবেশের জন্য বাইরে থেকে ধাক্কা দিলে ওই ঘটনা ঘটে।
খেলা দেখতে আসা সান্দ্রা আগুয়েটা বলেন, ‘ফটকের কাছে অসংখ্য মানুষ ছিল। বায়ু চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে আমরা নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো আলাবি বলেন, ‘অন্তত ৯০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থা স্থিতিশীল।’
রাষ্ট্রপতি নায়িব বুকেলে বলেন, ‘সবাইকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হবে। দল, ম্যানেজার, স্টেডিয়াম, টিকিট অফিস, লীগ, ফেডারেশন যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তাকে শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন:রাশিয়ার শতাধিক কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জবাবে ৫০০ আমেরিকানের ওপর একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাশিয়া যে ৫০০ জনের ওপর দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাইডেন প্রশাসনের নিয়মিত আরোপিত রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে…রুশ ফেডারেশনে ৫০০ আমেরিকানের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।’
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
ইউক্রেনে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে দিতে শুক্রবার শতাধিক রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ‘ওয়াশিংটনের অনেক আগেই বোঝা উচিত ছিল, প্রতিটি শত্রুতামূলক পদক্ষেপের জবাব দেয়া হবে।’
রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় পড়া ৫০০ জনের মধ্যে টিভি উপস্থাপক স্টিফেন কোলবার্ট, জিমি কিমেল ও সেট মায়ার্স রয়েছেন। এ ছাড়া সিএনএনের উপস্থাপক এরিন বার্নেট ও এমএসএনবিসির উপস্থাপক র্যাচেল ম্যাডো ও জো স্ক্যারবোরোও তালিকায় আছেন।
রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন আমেরিকার সিনেটর, কংগ্রেস সদস্যরাও।
আরও পড়ুন:কলম্বিয়ায় আমাজনে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ঘন অরণ্য থেকে আদিবাসী চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের একজনের বয়স ১১ বছর।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো স্থানীয় সময় বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
পেত্রো টুইটারে লিখেন, সামরিক বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে শিশুদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১ মে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী নিহত হন, যাদের মধ্যে পাইলট ও শিশুদের মা রয়েছেন। ওই দুর্ঘটনার শিকার শিশুদের উদ্ধারে সার্চ ডগসহ ১০০ সেনাকে মোতায়েন করা হয়।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কিছু জানায়নি কলম্বিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকারীদের ভাষ্য, বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে ১১ মাস, চার বছর, ৯ বছর ও ১৩ বছর বয়সী শিশুরা জঙ্গলে ঘুরছিল বলে মনে করছেন তারা।
ওই শিশুদের কোন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিংবা তারা কীভাবে জঙ্গলে বেঁচে ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা জোট কোয়াডের সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে সিডনিতে ওই চার দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
সব গোছগাছ শেষে মঙ্গলবার হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসবেন না বলে জানান।
এর একদিন পরই বুধবার আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া সম্মেলন বাতিলের ঘোষণা দেয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ্যান্থনি আলবানিসকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, জো বাইডেন ওয়াশিংটনে ‘ঋণ সংকট’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে তার এশিয়া সফর বাতিল করেছেন। বাইডেনের পাপুয়া নিউগিনিতেও সফরের কথা ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ্যান্থনি আলবানিস বলেন, ’২৪ মে বাইডেনের না আসার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী অংশ নিতে প্রস্তুত ছিলেন। বাইডেনের সফর বাতিলের অর্থ হলো, চারজনের তিনজন এলেও তুমি সম্মেলনটির আয়োজন করতে পারবে না।’
তবে অস্ট্রেলিয়ায় কোয়াডের সম্মেলন না হলেও চার নেতার বৈঠক হবে। জাপানের হিরোশিমায় জি-৭-এর সম্মেলনের ফাঁকে কোয়াড নেতাদের আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে।
এ্যান্থনি আলবানিস বলেন, ‘কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই এর আলোচনা শীর্ষ পর্যায়ে হোক।’
কোয়াড ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার একটি অনানুষ্ঠানিক জোট। অঞ্চলটিতে চীনের উত্থান ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে কোয়াডকে বিবেচনা করে দেশটি।
আরও পড়ুন:রুশ ভাষায় ভিডিও প্রকাশ করে রাশিয়ার নাগরিকদের অনলাইনে নিরাপদ পন্থায় যোগাযোগের তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)।
ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পশ্চিমা গোয়েন্দা তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, রুশ ভাষায় সিআইএর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেয়া বার্তায় বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, বিজ্ঞানী এবং রাশিয়ার অর্থনীতি ও নেতৃত্ব সম্পর্কে জানা লোকজনের কথা শুনতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ভিডিওতে রুশদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সম্ভবত আপনার আশপাশের লোকজন সত্যটা শুনতে চায় না। আমরা চাই।’
সিআইএর ডিভিওর বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এতে নজর দেননি তিনি।
তার ভাষ্য, রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যথাযথভাবে অনলাইনে নজরদারি করছে।
পেসকভ আরও বলেন, ‘আমরা সবাই খুব ভালো করে জানি, সিআইএসহ অন্য পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমাদের দেশের গণ্ডির মধ্যে তাদের তৎপরতা সীমিত করছে না।’
রাশিয়ার নাগরিকদের কেউ কেউ ভিডিওটি সিআইএর কি না, তা নিয়ে সন্দিহান। তারা মনে করছেন, এটি রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির ‘উসকানি’।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে ১৮ বছর বয়সী তরুণের গুলিতে তিনজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে দুজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
সোমবার অঙ্গরাজ্যটির ফারমিংটন শহরে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বরাতে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাস্থলে হামলাকারীকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে হামলাকারী নিহত হন।
হামলাকারী তিনটি বন্দুক ব্যবহার করে আক্রমণ করেন। এর মধ্যে এআর-১৫ ক্যাটাগরির একটি বন্দুক ছিল।
পুলিশ প্রধান স্টিভ হেবে জানান, বন্দুকধারী তরুণ কমপক্ষে ছয়টি বাড়ি ও তিনটি গাড়িতে গুলি ছুড়ে। এ ছাড়া ওই তরুণ আশপাশের এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে যায়। এ সময় বন্দুকধারীকে নিরস্ত্র করতে পাল্টা গুলি ছাড়া উপায় ছিল না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
নিউ মেক্সিকোর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহরটিতে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষের বাস।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার কারণ জানতে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থ্যা তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য