পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পারভেজ মোশাররফের মৃত্যু হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সী এ সেনাশাসকের মৃত্যু হয় বলে পাকিস্তানভিত্তিক জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মোশাররফের পরিবার রোববার তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুবাইয়ের আমেরিকান হসপিটালে চিকিৎসা চলছিল মোশাররফের।
ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের দিল্লিতে ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট জন্ম হয় পারভেজ মোশাররফের। পাকিস্তানের কাকুলে দেশটির মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে ১৯৬১ সালের ১৯ এপ্রিল কমিশন পান তিনি।
কমিশনপ্রাপ্তির পর স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপে যোগ দেন মোশাররফ। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৯৮ সালে সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদে উন্নীত হন পারভেজ মোশাররফ। ওই বছর তিনি চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরের বছরের ১২ অক্টোবর সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার দখল নেন এ জেনারেল।
পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। ২০০২ সালে গণভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হয়ে ২০০৮ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
নাইন-ইলেভেনের পর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গী বানাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন মোশাররফ।
২০০৪ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের ১৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সেনাশাসিত সরকারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন:ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবিচ্ছিন্ন, স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত।
দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘বহুমুখী ও ব্যাপক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিষয় বা এজেন্ডা নিয়ে বসে থাকতে পারি না। অনেক আন্তঃনির্ভরশীলতা রয়েছে এবং পারস্পরিক স্বার্থে আমরা এটি গড়ে তুলতে চাই।’
এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন প্রণয় ভার্মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তাকে (ভারতীয় হাইকমিশনার) আসতে বলা হয়েছে।’
এরপর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ মন্ত্রণালয়ের আশপাশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদী বক্তব্য’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত বলেছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই সংখ্যালঘুদের রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চরমপন্থী বক্তব্য, সহিংসতা ও উসকানির ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনাকে শুধু গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না।’
‘আমরা আবারও বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জয়সওয়াল বলেন, ‘ভারত সরকার বিষয়টি বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে।
‘বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুব স্পষ্ট করে বিরোধিতা করেছি। আমরা বাংলাদেশের কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করেছি যে, সংখ্যালঘুদের রক্ষা ও তাদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে এবং তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে হবে।’
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, ‘এ বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। আমরা ইসকনকে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত সংস্থা হিসেবে দেখছি। সংস্থাটির সমাজসেবায় ব্যাপক কর্মকাণ্ডের নজির রয়েছে।’
ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা ও প্রত্যাশা করি যে ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করে এই প্রক্রিয়াগুলো ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছভাবে মোকাবিলা করা হবে।’
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও তার স্ত্রী বুশরা বিবিসহ পিটিআইয়ের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর নামে নতুন করে আটটি মামলা করা হয়েছে।
ইমরানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে ২৬ নভেম্বর ইসলামাবাদে বড় ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেছে পিটিআই।
কারাবন্দি ইমরানের ডাকা চূড়ান্ত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় বাদী হয়ে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার এসব মামলা করে পুলিশ।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শাহজাদ টাউন, সিহালা, খান্না, শামস কলোনি, নুন, নিলোরসহ বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো করা হয়।
আসামির তালিকায় দলের স্থানীয় নেতারা ছাড়াও কয়েক হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর হামলা, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন, অপহরণ এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর ইমরানের সমর্থকরা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেন।
নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। পরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয় পিটিআই।
আরও পড়ুন:কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রথমবারের মতো ভারতে লোকসভার সদস্য হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে শপথ নিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধীর এই নাতনি এবারই প্রথম লোকসভার সদস্য হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
ভারতের বার্তা সংস্থা এনডিটিভি’র উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
স্পিকার ওম বিড়লা ও অন্যান্য এমপির উপস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কা লোকসভায় শপথবাক্য পাঠ করেন। প্রিয়াঙ্কার শপথ গ্রহণের বিশেষ মুহূর্তে লোকসভার গ্যালারিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে ভাই রাহুল গান্ধী ও স্বামী রবার্ট ভদ্র উপস্থিত ছিলেন।
প্রিয়াঙ্কার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে গান্ধী পরিবারের তিনজন সদস্য এমপি হলেন। ভাই রাহুল গান্ধীর ছেড়ে দেয়া আসন থেকে উপ-নির্বাচনে জয়ী হন তিনি।
রাহুল দুটি আসনে জয়ী হন। রাহুল ওয়েনাদ ও উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে ওয়েনাদের আসনটি ছেড়ে দিলে সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কা উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন।
প্রিয়াঙ্কার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা, সিপিআইয়ের সত্যান মোকেরি ও বিজেপির নভ্যা হরিদাস ছিলেন প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী।
‘ডেকান হেরাল্ডের’ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা নির্বাচনে চার লাখ ১০ হাজার ৯৩১ ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হন। গত সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ভোটারের উপস্থিতি ৯ শতাংশ কম হওয়া সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কার প্রাপ্ত ভোটের হার ৬৫ শতাংশ।
বারানসিতে জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরেই সোচ্চার হিন্দু উগ্রবাদীরা। আদালতেও গড়িয়েছে বিষয়টি। এতে বিতর্কিত নির্দেশনাও দিয়েছে আদালত। এর পরে উত্তর প্রদেশের সন্তুলে জামা মসজিদ নিয়ে একই দাবি তোলার রাজনীতি চলছে। এর জের ধরে সেখানে সংঘর্ষে সম্প্রতি চারজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
সন্তুলে জামা মসজিদের জায়গায় হিন্দু মন্দির ছিল দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। তারপরই আদালত সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। আর শুরু হয়ে বিতর্ক, গোলমাল।
প্রথম দিন জরিপের কাজ চললেও দ্বিতীয় দিনে জরিপ শুরু হওয়ার পর প্রবল ক্ষোভ জানাতে থাকেন স্থানীয় মুসলমানরা। এক পর্যায়ে তা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে পরিণত হয়। এখন সেখানে চলছে পুলিশের কড়া পাহারা। তবে উত্তেজনা থামেনি।
এবার রাজস্থানে আজমির শরিফের দরগা নিয়েও অনুরূপ বিতর্ক তুলতে মামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজমির শরিফের দরগায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন। শুধু মুসলমানরাই নন, সব ধর্মের মানুষ প্রবল বিশ্বাস নিয়ে এখানে আসেন। এখানে রয়েছে ত্রয়োদশ শতাব্দীর সূফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সমাধি। ভারত সরকারের আইনে একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় এই দরগা।
কিন্তু সর্বধর্মের এই মিলনক্ষেত্র নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে। গত বুধবার হিন্দু সেনা নামের একটি সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত স্থানীয় আদালতে মামলা ঠুকেছেন। তার দাবি, শিব মন্দিরের ওপর তৈরি হয়েছে এই দরগা। তাই এটিকে ভগবান শ্রী সংকটমোচন মহাদেব বিরাজমান মন্দির বলে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজমির দরগা কমিটি, ভারত সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে নোটিশ জারি করেছেন দেওয়ানি আদালতের বিচারক মন মোহন চান্ডেল। মামলাটি গ্রহণ করে বিচারক আগামী ২০ ডিসেম্বর শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, দরগা সরিয়ে ফেলারও আর্জি জানানো হয়েছে আদালতের কাছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে দিয়ে জরিপ করার আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী শশী রঞ্জন কুমার সিং আদালতে আবেদনে জানান, দরগার প্রধান ফটকের ছাদের নকশার সঙ্গে হিন্দু মন্দিরের নকশার মিল রয়েছে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের খুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে।
হাসপাতাল প্রশাসন মিডিয়াকে এ খবর জানায়।
ইসলামাবাদ থেকে সিনহুয়া জানায়, গত বৃহস্পতিবার শিয়া মুসলমানদের বহনকারী যাত্রীবাহী কোচের একটি বহরের ওপর পারাচিনার এলাকায় অতর্কিত হামলা চালালে বিপুলসংখ্যক মানুষ হতাহত হন।
এই হামলা একপর্যায়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নিলে পরবর্তী সময়ে একাধিক প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
প্রাদেশিক সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় সম্প্রদায় সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে, কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশ।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এদিকে স্লুইস গেটগুলো খুলে দেয়। আবার ওখানে যখন পানির স্বল্পতা থাকে তখন গেটগুলো বন্ধ করে দেয়।
‘তারা ইচ্ছেমতো এটা করছে। আর সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে হচ্ছে। গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নেমে যাচ্ছে। আমরা আর কত সহ্য করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো করছি সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। শুধু ফারাক্কা নয়; অভিন্ন আরও যে ৫৪টি নদী আছে, সেগুলো থেকে যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করব।’
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য