× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Adani is not even among the top five richest people in the world
google_news print-icon

বিশ্বের শীর্ষ ধনীর পাঁচেও নেই আদানি

বিশ্বের-শীর্ষ-ধনীর-পাঁচেও-নেই-আদানি
এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। ছবি: ফোর্বস
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম নামের আমেরিকান প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি’র অভিযোগ আনার পর তিন দিন ধরে দরপতনে কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতের আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে ধোঁকাবাজির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ অব্যাহতভাবে কমছে। তিনি ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী থেকে সপ্তমস্থানে নেমে গেছেন।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম নামের ওই প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি’র অভিযোগ আনার পর তিন দিন ধরে দরপতনে কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে।

ফোর্বস জানায়, আদানির সম্পদের মূল্য কমে বর্তমান দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৯ হাজার কোটি ডলারে। তিন দিনের ব্যবধানে তার ২২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ কমেছে।

তবে এখনও এ সম্পদ নিয়ে এখন ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী আদানি রয়েছেন। এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হলেন মুকেশ আম্বানি, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। আম্বানি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন। বর্তমানে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট

গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে বড় বন্দর পরিচালনাকারী ও তাপ কয়লা উৎপাদন কোম্পানি। এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ, পণ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আবাসন ব্যবসায়ও বিনিয়োগ রয়েছে তারা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে কয়েক ঘণ্টায় ২ লাখ কোটি রুপি উধাও আদানির
ভারতের আদানি এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The price of gold fell

কমল স্বর্ণের দাম

কমল স্বর্ণের দাম
বুধবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা (১১.৪৪৬ গ্রাম) ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মানের সোনা ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  

দুই দিন আগে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭০০ টাকা বাড়িয়েছিল দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস; ছুঁয়েছিল প্রায় লাখ টাকা। মঙ্গলবার তা থেকে মাত্র ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।

বুধবার থেকে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ (১১.৪৪৬ গ্রাম) ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

দুই দিন আগে গত শনিবার এই সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাজুস। যা রোববার থেকে কার্যকর হয়। তার আগে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা ভরিতে বিক্রি হয়েছিল এই মানের স্বর্ণ।

অন্যান্য মানের সোনার দরও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বুধবার থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকায় বিক্রি হবে।

এর আগে গত শনিবার ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ দামে সোনা কেনাবেচা হয়েছে। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৭ হাজার ৩০১ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অবশ্য ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকায় নামিয়ে এনেছিল বাজুস।

শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা দরে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামও ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫২ ডলার ১৮ সেন্ট। ১৮ মার্চ রাতে যখন দেশে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়, তখন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৯২ ডলার।

এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The government will sell milk eggs and meat at low prices during fasting

রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে সরকার

রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে সরকার মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে মাছ-মাংস, দুধ-ডিম বিক্রি হচ্ছে। ফাইল ছবি
রাজধানীর ২০টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রথম রোজা থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৪০, খাসির মাংস ৯৪০ ও ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং প্রতি লিটার দুধ ৮০ ও এক ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

পবিত্র রমজান মাসে ঢাকায় ২০টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

২৩ মার্চ বিকেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রথম রোজা থেকে ২৮ রোজা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গরুর মাংস ৬৪০, খাসির মাংস ৯৪০ ও ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। আর প্রতি লিটার দুধ ৮০ ও এক ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজে প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন-সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এই ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বসিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর এবং রামপুরায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
6 thousand kg mother hilsa seized

৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ

৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ সিদ্ধিরগঞ্জে মঙ্গলবার ভোরে কোস্টগার্ডের জব্দ করা ইলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
কোস্টগার্ডের পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শামস্ সাদেকীন নির্ণয়ের নেতৃত্বে মঙ্গলবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তল্লাশি করে ৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভয়াশ্রম থেকে অবৈধভাবে আহরণ করা ৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার ভোরে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পরে জব্দ করা এসব ইলিশ গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান জানান, জাটকা নিধন রোধে দুই মাসব্যাপী অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা রক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালাকালে মৎস্য আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ রয়েছে।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকা থেকে আহরণ করা বিপুল ইলিশ ঢাকায় আসবে। পরে কোস্টগার্ডের পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শামস্ সাদেকীন নির্ণয়ের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তল্লাশি করে ৬ হাজার কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। তবে এসব ইলিশের মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন। অভিযান শেষে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bangladesh Uzbekistan Business Summit is starting in Tashkent

তাসখন্দে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট

তাসখন্দে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জানলিস্ট ফোরামের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি ’ আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় দেশ উজবেকিস্তান। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি পোশাক খাতের কাচামালসহ তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জনশক্তি রপ্তানিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে।

এই সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জানলিস্ট ফোরামের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত উজবেকিস্তানের সম্মানিয় কনস্যুলার ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টার (বিটিসি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আব্দীন, তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টার (বিটিসি) সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা এ সামিটের আয়োজন করছে। তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে আগামী ২৬ ও ২৭ মে এ সামিট হবে। এ সামিটের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্নদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো।

সংবাদ সম্মেলনে আরোও জানানো হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোষাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা, মানব সম্পদ ইত্যাদি পণ্য ও সেবার ভাল বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। এছাড়াও উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ একইসঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য উজবেকিস্তান হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। দেশটি বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হবে।

মো. তাহের শাহ বলেন, উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কেনেন তখন তারা দেখেন ট্যাগ লাগানো থাকে মেইড ইন বাংলাদেশ। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি ওই দেশের সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। মাত্র ২ টাকা ইউনিতে বিদ্যুত, গ্যাস প্রায় ফ্রি, এছাড়া জায়গাও দিচ্ছে। এসব সুবিধা নিচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এর সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। এমন সময় এ ধরণের সামিট ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সহযোগতিা করবে বলে তিনি জানান।

বিটিসির প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে করে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। এ খরচ কমাতে এখন দিল্লি হয়ে যেতে হয়।তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য অন্যদিকে উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, পোশাক ও বস্ত্র খাতের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আর দেশটি থেকে মূলত সুতা ও বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন:
‘বিজনেস সামিট বড় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে’
সরকার জ্বালানি খাতে আর ভর্তুকি দেবে না
দেশের উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Vidya Sinha Mim at Asian Paints Outlet

এশিয়ান পেইন্টসের আউটলেটে বিদ্যা সিনহা মিম

এশিয়ান পেইন্টসের আউটলেটে বিদ্যা সিনহা মিম এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ডিলারদের পুরস্কার তুলে দেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম। ছবি: নিউজবাংলা
দেশজুড়ে দেড়মাস ধরে চলা এশিয়ান পেইন্টসের নির্ধারিত মোট ২৭১ জন ডিলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করেন।

সম্প্রতি এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ডিলারদের নিয়ে আয়োজন করেছে একটি ভিন্নধর্মী ডিসপ্লে কনটেস্ট প্রতিযোগিতা ‘রঙ স্টার সিজন- ২’। প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে বিজয়ী ডিলারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম।

দেশজুড়ে দেড়মাস ধরে চলা এশিয়ান পেইন্টসের নির্ধারিত মোট ২৭১ জন ডিলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করেন।

এতে বিজয়ী মেহেদী কালার ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড হার্ডওয়্যার পায় ১ লাখ টাকা ও রঙ স্টার ট্রফি।

বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান পেইন্টসের হেড অব সেলস অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন শাহেদ মোহাম্মদ ইউসুফ ও হেড অব মার্কেটিং নাজমুল হুদা নাঈম।

এই ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা দেশজুড়ে ডিলারদের তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করতে উৎসাহিত করেছে। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ কেবলমাত্র পণ্যের প্রচার নয়, ডিলারদের সহায়তা করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিযোগিতা সেই প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A call for concerted efforts to ensure water security

পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান

পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান বিশ্ব পানি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রেডিসন ব্লু-চট্টগ্রাম বে ভিউতে অনুষ্ঠিত 'এক্সিলারেটিং চেঞ্জ: ডিসেন্ট্রালাইজিং দ্য কনভারসেশন অন ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক। ছবি: নিউজবাংলা
বক্তারা বলেন, পানি সংকটে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। গত ৪০ বছরে এখানকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটার নিচে নেমে গেছে। কালুরঘাট শিল্প এলাকাতে তীব্র পানি ঘাটতির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিল্পকারখানা ও স্থানীয়রা। তাই পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।

দেশে দ্রুত ও অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের পানি। এ অবস্থায় পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিল্পমালিকদের এলায়েন্স গঠন এবং ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সমীক্ষা পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্পগ্রুপগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকরা।

বিশ্ব পানি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রেডিসন ব্লু-চট্টগ্রাম বে ভিউতে অনুষ্ঠিত 'এক্সিলারেটিং চেঞ্জ: ডিসেন্ট্রালাইজিং দ্য কনভারসেশন অন ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ আহবান জানান। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে শনিবার এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, পানি সংকটে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। গত ৪০ বছরে এখানকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটার নিচে নেমে গেছে। কালুরঘাট শিল্প এলাকাতে তীব্র পানি ঘাটতির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিল্পকারখানা ও স্থানীয়রা। তাই পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বক্তারা পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিল্পগ্রুপগুলোর মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি এবং শিল্পের বাইরে চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বৈঠকে কালুরঘাট শিল্প এলাকার শীর্ষ স্টেকহোল্ডাররা জানান, তারা ইতোমধ্যেই পানি ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম ব্যবস্থা অনুশীলন শুরু করছেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, যেখানে চট্টগ্রাম ও কালুরঘাটের ভারী শিল্প এলাকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন সূচক ফলাফল এবং সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।

প্রবন্ধে বলা হয়, চট্টগ্রামে শিল্প দূষণ বাড়ছে, যা ভূপৃষ্ঠের পানির উৎসের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। ড. তানভীর আহমেদ পরিবেশ অধিদপ্তরকে পানির উৎসগুলো সংরক্ষণে শিল্পগ্রুপগুলোর উপর নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, 'সবাই একটি কমন ইন্টারেস্টের দিকে যাচ্ছি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি একটি এলায়েন্স গঠন করে একটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারে, তবে ভবিষ্যতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে সহজ হবে। এজন্য শিল্পখাত, গৃহস্থালীতে ভূগর্ভস্থ ও উপরিস্থ পানি ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এসেসমেন্টর প্রয়োজন রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'কমবেশি সবাই ব্যাংকে টাকা রাখেন, যেন সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত হয়। কিন্তু পানির মত গুরুত্ব সম্পদ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়ার কথা মাথায় রাখছিনা।'

এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে কী পরিবর্তন হচ্ছে তা জানার তাগিদ দিয়ে হাসিন জাহান বলেন, 'প্রথমে আমাদের মাটির নিচের পানির কোয়ালিটি ও কোয়ানটিটির অবস্থা জানতে হবে। জানতে হবে এটার বিপর্যয় কখন হতে পারে। আরেকটি হচ্ছে, সার্ফেস ওয়াটারকে মনিটর করা। পানির অবস্থা বুঝে আমাদের অ্যাকশনে যেতে হবে। পজেটিভ বিষয় হলো শিল্পমালিকরা অনুভব করছেন, এটা নিয়ে সংলাপ হওয়া দরকার বলে মনে করছেন।'

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, 'পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য পানি অপরিহার্য এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া একটি মৌলিক মানবাধিকার। পৃথিবীতে দুই বিলিয়নের বেশি মানুষ পানি নিয়ে সমস্যা পোহাচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।'

তিনি বলেন, ‌‌‌‌'দেশে শিল্প ও গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা অতিরিক্ত উত্তোলনের কারণে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। উপরন্তু ভূপৃষ্ঠের পানির উৎসগুলো শিল্প এবং কৃষি বর্জ্য দ্বারা দূষিত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের অভাব এবং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। শিল্প, কৃষি, মৎস্য সম্পদ এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও পানি সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।'

কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) চেয়ারম্যান এবং এফআইসিসিআই-এর পরিচালক জাহাঙ্গীর সাদাত বলেন, 'শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্রুত রূপান্তর ঘটছে। যা অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরী করছে। শিল্প কারখানাগুলো ভূগর্ভস্থ পানির উপর অনেক বেশি নির্ভশীল হয়ে পড়েছে, যা আগামীতে ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়বে। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও পানির ওপর নির্ভরশীল বেশ কিছু শিল্পকারখানা রয়েছে। যে কারণে গত ৪০ বছরে শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটার পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। প্রতি বছর ২ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৬৫ মিটার পর্যন্ত পানির স্তর নেমে গেছে।'

তিনি বলেন, 'নগরীর কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলে ১৩৪ হেক্টর জমিতে ১৩৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্রমবর্ধমানভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এই শিল্পাঞ্চলে পানির চাহিদা তীব্র হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ বের করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাষ করি এই সভা শিল্প মালিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং শিল্পাঞ্চলে পানির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করবে।'

আরও পড়ুন:
দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষায় প্রতিযোগিতা আইন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি
রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস
টিভিতে জাতীয় পুরস্কার চালু নিয়ে কথা চলছে: তথ্যমন্ত্রী
জনবল নিচ্ছে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ
হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশ-বেত শিল্প, দুর্দিনে শিল্পীরা  

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Reserves are increasing in remittances ahead of Ramadan

রমজান সামনে রেখে রেমিট্যান্সে গতি, বাড়ছে রিজার্ভ

রমজান সামনে রেখে রেমিট্যান্সে গতি, বাড়ছে রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘প্রতি বছরই রোজা ও দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স বাড়ে। রোজা সামনে রেখে প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের বাড়তি প্রয়োজন মেটাতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। আশা করছি এই ইতিবাচক ধারা রোজার ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এরপর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের শেষ মাস জুনেও রেমিট্যান্স বাড়বে।’

ঈদ ও রমজানসহ বিভিন্ন পার্বণ সামনে রেখে বরাবরই রেমিট্যান্সে বাড়তি প্রবাহ তৈরি হয়। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। রমজান মাস সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্স। পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। চলতি মার্চ মাসের ১৭ দিনেই ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন তারা।

ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা দেয়া হচ্ছে। সে হিসাবে এই ১৭ দিনে ১২ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৭৩৩ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) আট মাস ১৭ দিনে ১ হাজার ৫১৮ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি।

রেমিট্যান্স প্রবাহে বাড়তি গতি আসায় স্ফীত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ‌ও। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২৩ মার্চ (চাঁদ দেখাসাপেক্ষে)। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে আগামী দিনগুলোতে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে আশা করা যায়।

দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্সের প্রবাহ টানা তিন মাস বাড়ার পর ফেব্রুয়ারিতে হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগের তিন মাসে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ, ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ও ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রতিদিন এসেছিল ৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

মার্চ মাসে এই সূচকে ফের গতি ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিট্যান্স প্রবাহের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, এই মাসের প্রথম ১৭ দিনে ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ডলারের যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ১৫ কোটি ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এই গতিতে রেমিট্যান্স এলে মাস শেষে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাংকাররা।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স।

২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম ছিল।

চলতি অর্থবছরটা বেশ উল্লম্ফনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়। প্রথম মাস জুলাইয়ে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এক ধাক্কায় তা নেমে আসে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে। অক্টোবরে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে।

রেমিট্যান্সে নিম্নগতি থেমে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয় নভেম্বরে। এই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর ডিসেম্বরে আসে ১৭০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ১৯৬ কোটি ডলার। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তা আবার ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারে নেমে যায়।

ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘প্রতি বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে অন্যান্য মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স কিছুটা কম আসে। কারণ ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে শেষ হয়।’

বর্তমানে রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই রোজা ও দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স বাড়ে; এবারও তাই হচ্ছে। দুই-তিন দিন পর রোজা শুরু হবে। রোজা সামনে রেখে প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের বাড়তি প্রয়োজন মেটাতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

‘এই ইতিবাচক ধারা রোজার ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। এরপর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চলতি অর্থবছরের শেষ মাস জুনেও রেমিট্যান্স বাড়বে।’

ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বেশি টাকা পাওয়ার জন্য মাঝে কয়েক মাস প্রবাসীরা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠিয়েছেন। এর ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডির বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

বাড়ছে রিজার্ভ

রোববার দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ায় গত কয়েক দিনে তা কিছুটা বেড়ে ৩১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রাজশাহী-রংপুরের রেমিট্যান্স পাঠানো গ্রাহকদের পুরষ্কৃত করল রুপালী ব্যাংক
রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও নিম্নগতি
৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স ফেব্রুয়ারিতে
জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স
২০ দিনে ১৪ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

p
উপরে