ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় এক ফুল ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১০০ কোটি রুপি মূল্যের ১৫ হাজারের প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করেছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টির সদস্যরা।
জেলার দেগঙ্গায় অভিযান চালিয়ে শনিবার এসব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দেগঙ্গার চন্দ্রকেতুগড়েই ছিল মৌর্য এবং কুষাণ সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান প্রত্নতাত্ত্বিক এসব জিনিসপত্র নিজের সংগ্রহে রেখেছিলেন বলেই বেশ কিছুদিন আগে জানতে পারেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টির সদস্যরা।
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জেনারেল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সদস্যরা করে প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রীগুলো উদ্ধার করেন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জেনারেল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টি বিপ্লব রায় বলেন, 'কৌশলে আসাদুজ্জামানের গোডাউনে ঢুকে ১৫ হাজারেরও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয় । যার মধ্যে ১৫টির মতো সামগ্রীর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের বেঙ্গলি সার্টিফিকেট রয়েছে। বাকিগুলোর কোনো সার্টিফিকেট নেই । এর মূল্য ১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে । যেগুলোর সার্টিফিকেট নেই, সেগুলোর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।'
বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের কোম্পানি আদানি পাওয়ার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া থাকায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দুটি প্লান্ট থেকে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে তা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের উপাত্ত এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার আরও এক ধাপ কমিয়ে তা ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।’
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদে একটি চুক্তি করে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর একেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট।
শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতেই ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি গ্রুপ। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে আদানি পাওয়ার।
কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে সরবরাহ ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির কেন্দ্র থেকে।
বাংলাদেশ বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে বলে জানিয়েছেন বিপিডিবি’র কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আদানি পাওয়ার ৭ নভেম্বর বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা প্রত্যাহার করার পরও তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস করেছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেয়া হয়নি। তবে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, আদানি পাওয়ারকে আরও ১৭০ মিলিয়ন ডলার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ঋণপত্র খুলেছে পিডিবি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবিলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি নির্বাসনে থাকা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করে। এর জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বার বার আমরা বলেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই অবস্থানে আছি।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে আছেন। তবে সেখানে তাকে কোন মর্যাদায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে শেখ হাসিনা ভারতে আসেন এবং তিনি এখানেই থাকবেন।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে একটি বাস সড়ক থেকে উল্টে গভীর খাদে পড়ে কমপক্ষে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দীপক রাওয়াত জানান, সোমবার উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য এলাকা আলমোড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৬ জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে থাকা সাত যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা বিনীত পাল জানান, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, জরাজীর্ণ বাসটি ৬০ মিটার (২০০ ফুট) গভীর গিরিখাতে পড়ে যাওয়ার আগে এটির চাকা পিছলে যায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে বের হতে সক্ষম হন। আর কিছু যাত্রী বাসটি থেকে ছিটকে পড়েন। আহত যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
লক্কড়ঝক্কড় বাসটি সড়কে চলাচলের অনুমোদন দেয়ায় দুই পরিবহন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বেপরোয়া গাড়ি চালানো, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল রাস্তা এবং পুরনো যানবাহনের কারণে হয়ে থাকে।
গত জুলাইয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি দোতলা যাত্রীবাহী বাস ও দুধবাহী ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ২১ জন প্রাণ হারান।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি গাড়ির কাছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংযুক্ত শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বেলুচিস্তানের মাসতুং জেলায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ফতেহ মোহাম্মদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতুং জেলায় এই হামলা চালানো হয়। বোমা হামলার সময় স্কুলের বাচ্চাদের বহনকারী একটি মোটরচালিত রিকশা কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। বোমার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন পথচারী নিহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করে হামলা জোরদার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো। তাই তাদেরকেই এই হামলার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের দেশ থেকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তারা।
বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো প্রধানত নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ও অন্য গোষ্ঠীগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে।
বিএলএ বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচির একটি বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমা হামলায় চীনের দুই শ্রমিক নিহত ও আটজন আহত হন। পরে বিএলএ ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
বেইজিংয়ের বহু বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে হাজার হাজার চীনা শ্রমিক পাকিস্তানে বড় অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণ করছে।
বেইজিং বার বার পাকিস্তানে তার নাগরিকদের জন্য উন্নত নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:ভারতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের সমস্যা আর থাকবে না। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেবে বিজেপি সরকার।’
রোববার ভারতের পোট্রাপোল সীমান্তে যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং মৈত্রী দ্বার উদ্বোধনকালে অমিত শাহ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর আমাকে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পাঁচ/ছয় হাজার মানুষ প্রতিদিন কল্যাণী এমসে চিকিৎসার জন্য আসেন। ২০২৬ সালে আপনারা পরিবর্তন এনে দিন রাজ্যে। বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব।’
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বরাবরের অভিযোগ- বাংলার প্রাপ্য টাকা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। অমিত শাহ এ বিষয়ে উল্টো প্রশ্ন তুলে বলেন, “গত ১০ বছরে বাংলাকে কী দিয়েছেন মমতা? তৃণমূল তো কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছে। কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাকে দুই দশমিক ৯ লাখ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল।
“মোদি সরকার বাংলাকে গত ১০ বছরে দিয়েছে ৭ দশমিক ৭৪ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু মোদির দেয়া টাকা বাংলায় এসে দুর্নীতির বলি হয়ে যায়। বাংলায় ‘অচ্ছে দিন’ আর বেশি দূরে নেই। আমরা বাংলাকে আরও উন্নত আরও সুজলা-সুফলা করে তুলব।”
মোদি সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘মোদি যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার কোটি। এখন তা ৩০ হাজার কোটি হয়েছে। ব্যবসা বেড়েছে, কাজ বেড়েছে এবং বাংলায় কর্মসংস্থানও হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে। অমিত শাহর এই সফর কার্যত সেই ভোটের প্রচারও বটে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের একটি চেকপোস্টে রাতভর ২০ জঙ্গির হামলায় ১০ সীমান্ত পুলিশ নিহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে সীমান্ত পুলিশের তীব্র গোলাগুলি হয়। ওই সময় ১০ সীমান্ত পুলিশ নিহত ও অপর সাতজন আহত হন।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের আশা করলেও কোনোমতে হার এড়িয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আর ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছেন তহুরা-সাবিনারা।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে দ্বিতীয়বার ভারতকে হারালেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
এদিন ম্যাচের ১৮তম মিনিটে আফিদার দৃষ্টিনন্দন গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সাবিনার কর্নার প্রতিহত হওয়ার পর বল পেয়ে যান প্রথমবারের মতো সাফে অংশ নেওয়া আফিদা। এরপর নিখুঁত শটে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ডিফেন্ডার। জাতীয় দলের জার্সিতে এটিই আফিদার প্রথম গোল।
এরপর ২৯তমি মিনিটে ফের আনন্দে ভাসে বাংলাদেশ। এবার ঋতুপর্ণার ক্রস বুক দিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন তহুরা।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বাংলার মেয়েদের, যার প্রভাব পড়ে খেলায়ও। ৪৩তম মিনিটে তহুরার আরও একটি গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে বাংলাদেশ।
তবে পরের মিনিটেই এক গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে বিরতিতে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত, তবে গোলরক্ষক রূপনার দৃঢ়তায় কোনোভাবেই আর তা হয়ে ওঠেনি। ৩-১ গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে পিটার বাটলারের দল।
এই জয়ে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। অন্যদিকে হারলেও একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার-আপ হয়ে সেমিতে পা রেখেছে ভারতের মেয়েরা।
আর বুধবারের এই জয়ের মধ্য দিয়ে সাফে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত রইল বাংলাদেশের মেয়েরা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য