যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ১৫ দফা ভোটের পর স্পিকার নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাককার্থি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ম্যাকার্থিবিরোধী কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য তাকে ভোট দেন। আর এর মধ্য দিয়ে অবশেষে স্পিকার পেল প্রতিনিধি পরিষদ।
কয়েক দিন ধরে ১৪ বার ভোট করেও যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে কাউকে নির্বাচন করা যায়নি। কিছু রিপাবলিকান সদস্য ম্যাককার্থিকে ভোট না দেয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছিলেন না তিনি।
১৮৬০ সালের পর এবারই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচনের জন্য এতবার ভোটের আয়োজন হলো।
ম্যাককার্থিবিরোধী রিপাবলিকানদের ভাষ্য ছিল, তারা ম্যাককার্থিকে বিশ্বাস করেন না।
এমন পরিস্থিতিতে স্পিকার নির্বাচিত হলে প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী রিপাবলিকানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য করার আশ্বাস দিয়েছিলেন ম্যাককার্থি। সেই সঙ্গে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
তুরস্কে সোমবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে দেশটিকে যেকোনো ধরনের সহায়তায় প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্ক ও সীমান্তবর্তী সিরিয়ায় সোমবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১১৮ জনের মৃত্যু হয় বলে টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানায়, সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ছিল ৭ কিলোমিটার।
পাজারসিকের পর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গাজিয়ানটেপ প্রদেশে ৬.৪ ও ৬.৫ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প হয়।
দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৭৬ জনের প্রাণহানি ও ৪৪০ জন আহত হয়।
এমন বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের খবরে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’
আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় করণীয় ঠিক করতে ইউএসএআইডিসহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাব।’
এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু বলেছেন, উদ্ধার তৎপরতায় বেশ কিছু দল যুক্ত হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বানও রয়েছে।
আরও পড়ুন:সমুদ্রসীমায় ভূপাতিত করা চীনের নজরদারি বেলুনের ধ্বংসাবশেষ খোঁজা হচ্ছে বলে রোববার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
নর্থ আমেরিকান এরোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড ও নর্দার্ন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল গ্লেন ভ্যানহার্ক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বেলুনটি উদ্ধারে কাজ করছে। নৌবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযানে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ধ্বংসাবশেষ সফলভাবে উদ্ধার করতে পারলে চীনের নজরদারি সক্ষমতা নিয়ে বড় পরিসরে জানার সুযোগ হবে যুক্তরাষ্ট্রের। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার ওপর বলার মতো প্রভাব রাখতে পারবে না বেলুনটি।
আলাস্কার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশের এক সপ্তাহ পর শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বেলুনটিকে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত করে।
জেনারেল গ্লেন ভ্যানহার্ক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় বস্তুটিকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ তৎপরতাকে ‘অতি প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিপরীতে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার আগে সম্পর্কের আরও অবনতি হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে চীন।
এদিকে উড়তে থাকা বেলুন ধ্বংসে সময় নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারা। তারা মনে করছেন, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে বাইডেন দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:সাউথ ক্যারোলিনা সৈকতের কাছে রাখা নজরদারি বেলুনটি ধ্বংস করায় যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছে চীন। ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বেইজিং বলছে, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।
পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার এফ-২২ যুদ্ধ বিমান থেকে একটি মিসাইল ছুড়ে বেলুনটিকে ধ্বংস করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইচ্ছাকৃত বেলুনটিকে ধ্বংস করা হয়েছে।
এ নিয়ে চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার একটি বিবৃতিতে জানায়, বেসামরিক বেলুনটি স্পষ্টভাবে অত্যধিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এটি গুরুতরভাবে আন্তর্জাতিক চর্চার লঙ্ঘন।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেলুনটিকে ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তবে দেশটির প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, হাজার ফুট ওপর থেকে বেলুনের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে পড়লে বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি হতে পারে। তাই সমুদ্রসীমায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চীনের নজরদারি বেলুনটি ধ্বংসের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তারা সফলভাবে একে ভূপাতিত করেছে এবং আমি এ জন্য আমাদের পাইলটদের অভিনন্দন জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন:লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিজুড়ে দাবানলে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু ও ৯৭৯ জন দগ্ধ বা আহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সময় শনিবার জরুরি অবস্থার আওতা বাড়িয়েছে সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গ্রীষ্মের খরতাপে আগুনের ব্যাপকতা বেড়েছে, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশটির এক কর্মকর্তা শনিবার ব্রিফিংয়ে জানান, আগুন থেকে বাঁচতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার এক শর বেশি মানুষ।
সর্বশেষ জরুরি অবস্থার আদেশের আওতায় রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় আরাউক্যানিয়া অঞ্চল। এর আগে কাছাকাছি বায়োবিও ও নাবল অঞ্চলেও এ অবস্থা জারি করা হয়।
রাজধানী সান্তিয়াগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, রোববার নতুন করে ৭৬টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
দেশটিতে কম বসতিপূর্ণ যে তিন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, সেগুলো ফল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অঞ্চলগুলোতে উৎপাদিত আঙুর, আপেলের মতো ফল বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
আগুন বেড়ে যাওয়ার মধ্যে শনিবার চিলির কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিনির্বাপণে উড়োজাহাজ ও ফায়ার ফাইটার দিয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, ব্রাজিল ও ভেনেজুয়েলা।
আরও পড়ুন:সাউথ ক্যারোলিনা সৈকতের কাছে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চীনের নজরদারি বেলুনটি ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আকাশসীমায় প্রবেশের এক সপ্তাহ পর বেলুন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক নাটকীয়তা শেষে বস্তুটিকে সমুদ্রে বিনাশ করে আমেরিকা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেলুনটিকে ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তবে দেশটির প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, হাজার ফুট ওপর থেকে বেলুনের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে পড়লে বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি হতে পারে। তাই সমুদ্রসীমায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চীনের নজরদারি বেলুনটি ধ্বংসের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তারা সফলভাবে একে ভূপাতিত করেছে এবং আমি এ জন্য আমাদের বৈমানিকদের অভিনন্দন জানাতে চাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, অভিযানে অংশ নেয় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও রিফুয়েলিং উড়োজাহাজ। এর মধ্যে দেশটির ভার্জিনিয়ার ল্যাংলি বিমান ঘাঁটি থেকে আসা একটি এফ-২২ যুদ্ধবিমান স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে এআইএম-নাইনএক্স সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেলুনটিকে আঘাত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন ওড়ার খবরে যে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে, তাতে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘোষিত বেইজিং সফরই শুধু বাতিল হয়নি, দুই দেশের ক্রমাবনতিশীল সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে বেলুন পাঠানোর ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ‘অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার কর্মকর্তারা। দেশটির কিছু আইনপ্রণেতা চীনকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্লেন শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সফর আপাতত বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তিনি বেইজিং সফরের প্রস্তুতি নেবেন, তবে নীতি বিশ্লেষকদের ভাষ্য, চীনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সদিচ্ছা দেখানো না হলে খুব দ্রুত দেশটিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ব্লিঙ্কেনের।
আমেরিকার আকাশে উড়তে থাকা বেলুনটি আবহাওয়াসংক্রান্ত কাজের জন্য মোতায়েন করা হয় দাবি করে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেটি ভুলবশত যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।
এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড্যানিয়েল রাসেল বলেন, চীনের এ ‘হাস্যকর অজুহাত’ কাজে আসবে না।
তার মতে, গত বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থায় ফেরা কঠিন হয়ে যাবে।
বৈশ্বিক দুই পরাশক্তির মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যাওয়ার পর সে সম্পর্ক তলানিতে নেমে যায়। পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীন।
এমন বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের আশা ছিল, সম্পর্ক মেরামতের একটি রাস্তা তৈরি হবে, যাতে করে সংঘাত ঠেকানো যাবে, কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি হয়ে দেখা দিল বেলুন ওড়ানোর ঘটনা।
আরও পড়ুন:চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়ছে জানিয়ে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কায় বস্তুটিকে গুলি না করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা বেলুনের অবস্থানের বিষয়ে জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আকাশসীমায় বেলুন দেখে একে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক যুদ্ধবিমান, তবে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাইডেনকে পরামর্শ দেন, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মেনে নেন প্রেসিডেন্ট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, আকাশসীমায় প্রবেশের পর বেলুনটিকে ‘হেফাজতে’ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চালকসহ সামরিক বিমান দিয়ে একে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে ‘বেশি উচ্চতার নজরদারি বেলুন’ শনাক্তের কথা জানিয়েছে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
ওই বেলুনটি চীনের কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য