জিন্স আর টপস পরা, স্ট্রেটনিং করা চুলের অল্প বয়সী নারী। হাতে দামি স্মার্টফোন। ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলতে বলতে চালিয়ে যাচ্ছে হাত সাফাইয়ের কাজ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় নতুন বর্ষবরণের উৎসবকে টার্গেট করে এভাবেই একের পর এক পকেটমারিং (কেপমারি) চালিয়ে যাচ্ছে একদল তরুণী। সেই দলের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে কেপমারি করে ফেরার পথে ১ জানুয়ারি শেকসপিয়র সরণিতে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ছত্তিশগড়ের পকেটমার চক্রের ওই সদস্যরা।
এদিন দুপুরে কলকাতা পুলিশের একটি গোয়েন্দা দল শেকসপিয়র সরণিতে নজরদারি চালাচ্ছিল। পুলিশ সদস্যরা দেখতে পান, কয়েকজন নারী দলবেঁধে হেঁটে যাচ্ছেন। দেখে সন্দেহ হলে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করতেই তাদের ব্যাগ থেকে একাধিক মানিব্যাগ, স্মার্টফোন উদ্ধার হয়। এত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ কোথা থেকে এলো পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীরা কেপমারির কথা স্বীকার করে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড় থেকে আসা ওই নারীর দল কলকাতা শহরের কেপমারি করতেই এসেছে। উৎসবের ভিড়ে ঠাসা শহরের দর্শনীয় স্থানকে বেছে নিয়ে তারা হাত সাফাইয়ের কাজ করে। টেকনিক পাল্টে ইদানীং কেপমারির কাজে সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করছে কেপমার গ্যাং।
দলের প্রধান মন্দা পুরওয়ারসহ গ্রেপ্তার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড় থেকে একটা বড় কেপমারির দল শহরে ঢুকেছে। বাকিদের খোঁজে শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতের আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে ধোঁকাবাজির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ অব্যাহতভাবে কমছে। তিনি ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী থেকে সপ্তমস্থানে নেমে গেছেন।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম নামের ওই প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি’র অভিযোগ আনার পর তিন দিন ধরে দরপতনে কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে।
ফোর্বস জানায়, আদানির সম্পদের মূল্য কমে বর্তমান দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৯ হাজার কোটি ডলারে। তিন দিনের ব্যবধানে তার ২২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ কমেছে।
তবে এখনও এ সম্পদ নিয়ে এখন ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী আদানি রয়েছেন। এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হলেন মুকেশ আম্বানি, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। আম্বানি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন। বর্তমানে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট
গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে বড় বন্দর পরিচালনাকারী ও তাপ কয়লা উৎপাদন কোম্পানি। এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ, পণ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আবাসন ব্যবসায়ও বিনিয়োগ রয়েছে তারা।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি গুপ্তহত্যার নতুন চক্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে ইমরান এ অভিযোগ করেন বলে দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পিটিআই চেয়ারম্যানের ভাষ্য, তাকে গুপ্তহত্যা করতে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থ দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারি।
“বর্তমানে তারা ‘প্ল্যান সি’ নিয়েছে এবং এর নেপথ্যে আসিফ জারদারি। তার হাতে দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ অর্থ, যেগুলো তিনি সিন্ধু রাজ্য সরকার থেকে লুট করে নির্বাচনে জয়ের পেছনে ব্যয় করেছেন”, বলেন ইমরান।
‘তিনি (জারদারি) সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠীকে অর্থ দিয়েছেন এবং শক্তিশালী সংস্থার লোকজন তাকে সহায়তা করছে। এটা তিন দিক থেকেই ঠিক করা হয়েছে এবং তারা দ্রুতই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করবে’, যোগ করেন তিনি।
ক্রিকেটার থেকে পুরোদস্তুর রাজনীতিক ইমরানের অভিযোগ, জারদারির সঙ্গে আরও তিনজন রয়েছেন যারা এ চক্রান্তে জড়িত, তবে ওই তিনজন কারা, সেটি প্রকাশ করেননি সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
গুপ্তহত্যা চক্রান্তের বিষয়টি প্রকাশ্য আনার বিষয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের কাছে বিষয়টি এ কারণে জানাচ্ছি যে, যদি আমার সঙ্গে কিছু ঘটে, তাহলে জাতির উচিত এর নেপথ্যের লোকজনকে চিনে রাখা, যাতে করে কখনোই জাতির কাছ থেকে ক্ষমা না পায় তারা।’
আরও পড়ুন:ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালের দাঙ্গা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত ডকুমেন্টারি সিরিজ দেখানোকে কেন্দ্র করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর সেখানে পুলিশ ধরপাকড় চালিয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মোদিকে নিয়ে তৈরি করা বিবিসির ডকুমেন্টারিটি দেখানো বন্ধ করতে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া দিল্লি ও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ও একই রকম পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে । দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের বাইরে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে মোদির ডকুমেন্টারি দেখাতে না দিলেও শিক্ষার্থীদের কাছে এর লিংক ছড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না নিয়ে বড় ধরনের জমায়েত করে ডকুমেন্টারিটি দেখানো হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রজনী আব্বি জানিয়েছেন, এ নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে মোদিকে নিয়ে বিবিসির ডকুমেন্টারি সিরিজ ফের ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করেছেন হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির (ইউওএইচ বা এইচসিইউ) শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শন করে, যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রদর্শন করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদির ডকুমেন্টাররি দেখানোর পর সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শুক্রবারও ক্লাস হয়নি।
ভারত সরকার ইতোমধ্যেই মোদিকে নিয়ে করা বিবিসির ডকুমেন্টারিকে ‘প্রপাগান্ডা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে টুইটার ও ইউটিউবে ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন:ভারতের পুঁজিবাজারে শুক্রবার ব্যাপক দরপতন হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম শান্তিলাল আদানির মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সকালে লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের ৯ কোম্পানির সবগুলোর শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনের পর শেয়ারদর ৮ শতাংশ হারিয়েছিল আদানির কোম্পানিগুলো। এর দুই দিন পর শুক্রবার লেনদেন শুরুর কয়েক ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ কোটি রুপি কমে যায় কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন।
সবশেষ দরপতনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবারের পর পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন ২ লাখ ৭৫ হাজার কোটি রুপি হারিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি আদানি গ্রুপ।
কোম্পানিটির মালিকানাধীন আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারদর কমেছে ১৯.৬৫ শতাংশ। এ ছাড়া আদানি ট্রান্সমিশনের ১৯ শতাংশের বেশি এবং আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারদর কমেছে সাড়ে ১৫ শতাংশ।
এগুলোর বাইরে আদানি পোর্টসের শেয়ারগুলোর দর কমে ৫.৩১ শতাংশ, যেখানে আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারের শেয়ারদর কমে ৫ শতাংশ করে। গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারদর কমে ৬.১৯ শতাংশ।
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে, কিন্তু ওই বার্তার পরও পতন ঠেকানো যায়নি পুঁজিবাজারে।
আরও পড়ুন:ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালের দাঙ্গা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত ডকুমেন্টারি সিরিজ ফের ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করেছেন হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির (ইউওএইচ বা এইচসিইউ) শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শন করে, যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রদর্শন করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২১ জানুয়ারি ইউওএইচ শিক্ষার্থীদের সংগঠন ফ্রেটারনিটি মুভমেন্ট অনুমতি না নিয়ে ক্যাম্পাসে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ শিরোনামের ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শন করে। বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পক্ষপাতদুষ্ট আখ্যা দিয়ে ভারত সরকার গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটে ডকুমেন্টারিটি ব্লক করে দেয়। এটি বৃহস্পতিবার প্রদর্শন করা হবে বলে পূর্বঘোষণা দেয় এসএফআই।
ছাত্র সংগঠনটির হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটি শাখার টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্টে বলা হয়, এসএফআই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আহ্বানে ডকুমেন্টারির সফল প্রদর্শন হয়েছে। এবিভিপির কর্মীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা ও প্রশাসনের বাধাকে পাশ কাটিয়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী প্রজাতন্ত্র দিবসে ডকুমেন্টারিটি দেখতে আসেন।
এতে আরও বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ক্যাম্পাসে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানায় এসএফআই হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে ডলারের তীব্র সংকটে পণ্যবাহী হাজারো কন্টেইনার সমুদ্রবন্দরগুলোতে আটকে আছে জানিয়ে দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি) বলেছে, পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দেশটির অর্থনীতি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে এফটির খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিশ্চল হয়ে পড়ছে, যা শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রিজার্ভ না থাকায় শ্রীলঙ্কা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সামর্থ্য হারায়, যা গত বছরের মে মাসে দেশটিকে খেলাপিতে পরিণত করে।
বস্ত্র কারখানার মালিকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়িতার অংশ হিসেবে কারখানাগুলো বন্ধ কিংবা কম সময় ধরে চালু রাখা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সংকটে ভুগতে থাকা কারখানাগুলোর সংকট আরও ঘনীভূত হয় সোমবার, যেদিন ১২ ঘণ্টার বেশি সময় অন্ধকারে ছিল গোটা পাকিস্তান।
ইসলামাবাদভিত্তিক মার্কো ইকনোমিক ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা সাকিব শেরানি এফটিকে বলেন, এরই মধ্যে বেশ কিছু শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা ফের চালু না হলে বেশ কিছু ক্ষতি হবে, যা অপূরণীয়।
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৫০০ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। এ দিয়ে এক মাসের গোটা আমদানি ব্যয়ও মেটানো যাবে না।
এমন পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতিকে টেনে তুলতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজ নিয়েও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান এফটিকে বলেন, এখন প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী, তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে দেশটি ব্যাপক হারে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:ডলারের বিপরীতে রেকর্ড পরিমাণ কমল পাকিস্তানি রুপির মান। বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রতি ডলার ২৫৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৪ রুপি বেশি।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে ডলারের বিনিময় হারে নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেয় পাকিস্তান সরকার। এরপর থেকে দ্রুত নামতে থাকে পাকিস্তানি রুপির মান।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার দেশটির অর্থনীতি বাঁচাতে গত বছর আইএমএফের কাছে ৬৫০ কোটি ডলারের জরুরি ঋণ সহায়তার আবেদন করেছিল । ওই আবেদন পর্যালোচনা শেষে দেশটিকে ১১০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও এখনও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সেই অর্থ ছাড়েনি।
এই অর্থ ছাড়াও পুরো ঋণ সহায়তা পেতে দেশটির সরকারকে কিছু শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
পাকিস্তানের বর্তমান রিজার্ভ ৬০০ কোটি ডলারের কম, যা গত আট বছরে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া দেশটিতে গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পর মূল্যস্ফীতিও ব্যাপক বেড়েছে। বন্যায় দেশটিতে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য