কম্বোডিয়ার একটি ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী পইপেত শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় ভবনটিতে ৪০০ মানুষ ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডের পর অনেকেই ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়ছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভবনটিতে বেশ কয়েকজন থাই নাগরিকও ছিলেন। আগুন লাগার কারণ জানতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, আহত কয়েকজনকে থাইল্যান্ডের সা কাইও প্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার পইপেত শহরটি ক্যাসিনোর জন্য জনপ্রিয়। থাইল্যান্ডে জুয়া অবৈধ হওয়ায় এই শহরটিতে থাই নাগরিকরা জুয়া খেলতে আসেন।
ইরানে নতুন বছরের প্রথম ২৬ দিনে ৫৫ জনের ফাঁসি কার্যকরা হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। সংস্থাটি বলছে, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরতদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি ইরানে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১৮।
আইএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম ২৬ দিনে মাদক মামলার ৩৭ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানে ১০৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘদ্দাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান সরকার। কোনো ফাঁসি বরদাস্ত করা হবে না, তা সে রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক।’
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
বিক্ষোভ থামাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইরান সরকার ধরপাকড় চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ সংখ্যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:ইসলামবিদ্বেষ কাটাতে প্রথমবারের মতো উপদেষ্টা নিয়োগ করলো কানাডা সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কানাডার ইসলামবিদ্বেষবিরোধী উপদেষ্টা হিসেবে সাংবাদিক আমিরা এলঘাওয়াবির নাম ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট আমিরা এলঘাবাবি ইসলামভীতি, বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টাকে উন্নত করতে কাজ করবেন।
মানবাধিকার কর্মী এলঘাওয়াবি কানাডার দাতব্য সংস্থ রেস রিলেশনস ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ও টরন্টো স্টার পত্রিকার একজন কলামিস্ট। এর আগে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি।
এলঘাওয়াবিকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষ ও সব ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বৈচিত্রতা সত্যিই কানাডার অন্যতম বড় শক্তি, কিন্তু অনেক মুসলমান ইসলামবিদ্বেষের শিকার।’
গত কয়েক বছর ধরে কানাডার মুসলমান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে একের পর এক ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে অন্টারিওতে একটি মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে ট্রাক দিয়ে পিষে হত্যা করেন এক ব্যক্তি। এর চার বছর আগে, কুইবেক সিটির একটি মসজিদে চালানো হামলায় ছয়জন মুসল্লি নিহত এবং পাঁচজন আহত হন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে আফিমের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সেনা-অভ্যুথানের আগে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে পপি উৎপাদন ধীরে ধীরে কমছিল।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর পপি চাষের প্রথম পূর্ণ মৌসুমের ডেটা সংগ্রহ করে ইউএনওডিসি। সে ডেটা অনুযায়ী, ২০২২ সালে মিয়ানমারে পপির চাষ বেড়েছে ৩৩ শতাংশ, যেখানে আফিমের সম্ভাব্য উৎপাদন বাড়ে ৮৮ শতাংশ।
জাতিসংঘের সংস্থাটির মতে, গত বছর মিয়ানমারে ৪০ হাজার হেক্টরের চেয়ে সামান্য বেশি জমিতে পপির চাষ হয়। এ থেকে আফিমের সম্ভাব্য উৎপাদন হয় ৭৯০ টন।
ইউএনওডিসির বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, মিয়ানমারের আফিমকেন্দ্রিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য বিকাশ হয়েছে।
ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, সেনারা মিয়ানমারের দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং শাসনজনিত যে ব্যাঘাত ঘটেছে, তা থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশটিতে আফিম উৎপাদন বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত ও সংঘাতপীড়িত উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শান ও সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া খুব কমই বিকল্প আছে স্থানীয় কৃষকদের।
আরও পড়ুন:২০২৩ সালের প্রথম পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে আমানত শাহ ফেব্রিকস লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবি) গত ২২ জানুয়ারি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড নামের এ সনদ দেয়।
বিভিন্ন সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৬০ পয়েন্টের ওপরে পাওয়ায় নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত সবুজ এ কারখানাটি দেয়া হয়েছে প্লাটিনাম সনদ।
এ নিয়ে দেশে লিড সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৪টি।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম মাসেই গ্রিন ফ্যাক্টরির সনদ পেয়ে যাত্রা শুরু করতে পারলাম। গত বছর আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক প্লাটিনাম সনদ পেয়েছি। এবছরও আশা করছি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ খাতকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এ সনদ দিয়ে থাকে ইউএসজিবি। বিশেষত, শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত ছোট-বড় সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি কতটা মানা হলো তার কঠিন তদারকি এবং চুলচেরা বিশ্নেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশে ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬০টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি।
সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের গায়ে একটি গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। এর অর্থ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। সাধারণ ভোক্তার কাছে এর আলাদা কদর আছে।
ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। এমনকি দেশের এবং পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ে এতে।
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক হয়েছে লেবার পার্টির প্রধান ক্রিস হিপকিন্সের।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে জেসিন্ডা আরডার্নের আকস্মিক সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর স্থানীয় সময় বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন হিপকিন্স।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানী ওয়েলিংটনে হিপকিন্সকে শপথবাক্য পড়ান নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো।
হিপকিন্সের সঙ্গে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্যারমেল সেপুলোনি, যিনি প্রশান্ত মহাসগরীয় দ্বীপাঞ্চল থেকে এ পদে আসীন হওয়া প্রথম ব্যক্তি।
শপথ নেয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় হিপকিন্স বলেন, ‘এটা আমার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে বড় সুযোগ ও দায়িত্ব। আমি সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উজ্জীবিত ও উচ্ছ্বসিত।’
নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে মহামারি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ৪৪ বছর বয়সী হিপকিন্স গত রোববার লেবার পার্টির প্রধান হন।
তার পূর্বসূরি জেসিন্ডা আরডার্ন ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন তিনি।
গত দুই বছর ধরে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছিল জেসিন্ডার নেতৃত্বাধীন মধ্য বামপন্থি সরকার। এমন বাস্তবতায় হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এ সরকারপ্রধান।
আরও পড়ুন:লেনদেনের জন্য একই মুদ্রা চালু করতে চায় ফুটবল উন্মাদনায় মুখর দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
আর্থিক ও বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য দু দেশের কর্তৃপক্ষের এই চিন্তাভাবনার কার্যকারিতা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে সোমবার একটি শীর্ষ সম্মেলনে যৌথ মুদ্রার ব্যাপারে আলোচনা হবে।
তবে তার আগেই আর্জেন্টিনার একটি সংবাদপত্রে এ নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখে বিস্তারিত জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ।
প্রস্তাবিত মুদ্রার নাম হতে পারে ‘সুর’ (দক্ষিণ)। এই মুদ্রা কীভাবে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে এবং ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিনিময়ের প্রতিবন্ধকতা দূর করে নীতি সহজ ও আধুনিকীকরণ করতে এই উদ্যোগ। এ ছাড়া স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার উন্নীত করারও উদ্দেশ্য রয়েছে আমাদের।
‘আমরা একটি সাধারণ দক্ষিণ আমেরিকান মুদ্রা নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা আর্থিক এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে খরচ এবং আমাদের বাহ্যিক দুর্বলতা কমতে পারে।’
আরও পড়ুন:সুইডেনের রাজধানীতে শনিবার তুরস্কবিরোধী বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন দেশ।
স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাস ভবনের সামনে এক কপি কোরআন পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক রাসমুস প্যালুডেন। এর আগেও বিভিন্ন বিক্ষোভে কোরআন পোড়ানোর নজির আছে তার।
তুরস্ক, পাকিস্তান, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বলে টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তুরস্ক
কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই…মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর পাশাপাশি আমাদের পবিত্র মূল্যবোধকে অপমানকারী এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুমোদন দেয়াটা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’
পাকিস্তান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক ইসলামভীতিকর কর্মকাণ্ড বিশ্বের দেড় শ কোটির বেশি মুসলিমের ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে আঘাত করেছে।’
কুয়েত
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সালেম আবদুল্লাহ আল জাবের আল সাবাহকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেইউএনএর বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত হানার পাশাপাশি মারাত্মক উসকানির সৃষ্টি করেছে।
সৌদি আরব
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব সংলাপ, সহিষ্ণুতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ঘৃণা ও চরমপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটি মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ এবং নীতির বিপরীতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে।
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি বলেছে, কোরআন পোড়াতে সুইডেনের কর্তৃপক্ষ যে অনুমোদন দিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা।
দেশটি ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরান
কোরআন পোড়ানোকে ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, বাকস্বাধীনতায় সমর্থনের ভুয়া অজুহাতে ইউরোপের কিছু দেশ চরমপন্থি ও উগ্রবাদীদের ইসলামের পবিত্রতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য