আসামের ডিব্রুগড়ে উৎপাদিত এক কেজি গোল্ডেন পার্ল চা পাতা নিলামে বাংলাদেশি প্রায় দুই লাখ টাকায় (এক লাখ একান্ন হাজার রুপি) বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার ডিব্রুগড়ের নহরচুকা বাড়ির এএফটি টেকনো ট্রেড সংস্থার কারখানায় তৈরি এই বিশেষ চা নিলামে কিনেছে হিন্দুস্তান টি এক্সপোর্টার। রাশিয়ার মেসার্স মিখাইল টি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারা এই চা কিনেছে।
এরআগে, চলতি বছরে সরকারি নিলামে গোল্ডেন পার্ল চায়ের দাম উঠেছিল প্রায় এ লাখ ৩০ হাজার টাকা (৯৯ হাজার ৯৯৯ রুপি)।
এছাড়া আসামের মনিহারি গোল্ডেন টির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রায় দেড় লাখ টাকা (এক লাখ ১৫ হাজার রুপি)।
নহরচুকা বাড়ি চা কারখানার প্রতিনিধি আসলাম খান বলেন, ‘ভালো দাম ওঠায় আমি কারখানার সব কর্মী, ছোট বাগান ও উৎপাদনকারীদের ধণ্যবাদ জানাই। তারাই আমাদের ওপর ভরসা রেখে সেরা চায়ের কুঁড়িগুলো আমাদের দিয়েছেন।
শরৎকালে যখন চায়ের কুঁড়ি আসে তখন সংগ্রহ করা কুঁড়ি থেকে বিশেষ এ চা পাতা তৈরি করা হয়। এই চা পাতার ওপর একটা সোনালি আস্তর থাকে। সঙ্গে ফুলের গন্ধযুক্ত স্বাদ। অ্যান্টিএজিং এবং স্বাস্থ্যকর এই চায়ের উজ্জ্বল লিকার হয়। চায়ে চুমুক দিলেন একটা প্রশান্তি ভাব চলে আসে।’
এই চা আসামের অন্যতম প্রিমিয়াম চা হিসেবে গত কয়েক বছর থেকে পরিচিতি লাভ করেছে বলে জানান আসলাম খান।
চা বাগান সংশ্লিষ্ট রঞ্জন লোহিয়া বলেন, ‘ব্যক্তিগত চা নিলামের দাম বেঁধে দিয়েছে টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। আমরা যদি গোয়াহাটি টি অকশন সেন্টারে অংশ নিতাম, তাহলে এই চায়ের দাম এক লাখের বেশি হতো না। কারণ এটাই সর্বোচ্চ দাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । কিন্তু একই পদ্ধতি মেনে ওয়েবসাইটে চায়ের নিলাম ডাকা হয়। কিন্তু সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া হয় না। তাতেই আমরা ভালো দাম পেয়েছি।’
২০১৮ সালে ডিব্রুগড় বিমানবন্দরের কাছে চায়ের কারখানাটি তৈরি করেন ইমরান খান, নুর আলম এবং আসলাম খান । ২০১৮ সালে এক কেজি গোল্ডেন পার্ল চায়ের দাম উঠেছিল ৩৯ হাজার ১০০রুপি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার এবং ২০২১ এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই চায়ের দাম ওঠে ৯৯ হাজার ৯৯৯ রুপি ।
এই চাকে বিশ্বের বিশেষ পানীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গোল্ডেন পার্ল টি তৈরিও করতে হয় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে। সূর্য ওঠার আগেই বছরের নির্দিষ্ট সময়ে চায়ের কুঁড়ি তুলতে হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের দ্বারা বিশেষ পদ্ধতিতে গোল্ডেন পার্ল টি তৈরি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন ওড়ার খবরে যে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে, তাতে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘোষিত বেইজিং সফরই শুধু বাতিল হয়নি, দুই দেশের ক্রমাবনতিশীল সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে বেলুন পাঠানোর ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ‘অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার কর্মকর্তারা। দেশটির কিছু আইনপ্রণেতা চীনকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্লেন শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সফর আপাতত বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তিনি বেইজিং সফরের প্রস্তুতি নেবেন, তবে নীতি বিশ্লেষকদের ভাষ্য, চীনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সদিচ্ছা দেখানো না হলে খুব দ্রুত দেশটিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ব্লিঙ্কেনের।
আমেরিকার আকাশে উড়তে থাকা বেলুনটি আবহাওয়াসংক্রান্ত কাজের জন্য মোতায়েন করা হয় দাবি করে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেটি ভুলবশত যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।
এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড্যানিয়েল রাসেল বলেন, চীনের এ ‘হাস্যকর অজুহাত’ কাজে আসবে না।
তার মতে, গত বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থায় ফেরা কঠিন হয়ে যাবে।
বৈশ্বিক দুই পরাশক্তির মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যাওয়ার পর সে সম্পর্ক তলানিতে নেমে যায়। পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীন।
এমন বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের আশা ছিল, সম্পর্ক মেরামতের একটি রাস্তা তৈরি হবে, যাতে করে সংঘাত ঠেকানো যাবে, কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি হয়ে দেখা দিল বেলুন ওড়ানোর ঘটনা।
আরও পড়ুন:চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়ছে জানিয়ে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কায় বস্তুটিকে গুলি না করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা বেলুনের অবস্থানের বিষয়ে জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আকাশসীমায় বেলুন দেখে একে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক যুদ্ধবিমান, তবে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাইডেনকে পরামর্শ দেন, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মেনে নেন প্রেসিডেন্ট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, আকাশসীমায় প্রবেশের পর বেলুনটিকে ‘হেফাজতে’ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চালকসহ সামরিক বিমান দিয়ে একে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে ‘বেশি উচ্চতার নজরদারি বেলুন’ শনাক্তের কথা জানিয়েছে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
ওই বেলুনটি চীনের কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে দরপতনের হিড়িকের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থায় (এএসএম) রাখা হয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) থেকে বৃহস্পতিবার পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার এ খবর জানায় এনডিটিভি।
নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন এবং আম্বুজা সিমেন্টস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে লেনদেনে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরে ধস নামে।
ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপ বলেছে, তাদের কোম্পানিগুলো সব আইন মেনে চলছে।
বেশ কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানিকে এএসএমের আওতায় রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির আয়ের ওপর গ্রাহকদের অংশীদারত্ব, প্রাইস-আর্নিং রেশিও ইত্যাদি।
এনএসই ও বিএসই জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের তিনটি কোম্পানি নির্ধারিত মানদণ্ডে পড়ায় এগুলোকে এএসএমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আদানি গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার ২৬ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনও অব্যাহত রয়েছে।
সব মিলিয়ে ছয় দিনে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর ৮ লাখ ৭৬ হাজার কোটি রুপি উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:১২০ কোটি ডলারে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাইফা কিনে নিল ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনের জেরে বিধ্বস্ত আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার কমার মধ্যেই মঙ্গলবার ওই বন্দর কেনার ঘোষণা আসে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সুউচ্চ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করে ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিকে পাল্টে দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে ভারতীয় এই ব্যবসায়ী গ্রুপের পক্ষে।
আদানি গ্রুপ ইসরায়েলে অধিকতর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তারা হাইফা বন্দর কিনল। এছাড়া তারা তেল আবিবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরি) চালু করতে যাচ্ছে।
জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে সম্প্রতি বড় ধরনের ধস নেমেছে।
কৌশলগত কারণে হাইফা বন্দরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে এবং সবচেয়ে বড় পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজও (ক্রুজ শিপ) এই বন্দরে ভিড়ে। এছাড়া এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর।
আরও পড়ুন:
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উদ্বোধন হয়েছে দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইন শপ স্বপ্নের আউটলেট।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নতুন এই আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো, স্বপ্নের হেড অফ বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, রিজিওনাল ম্যানেজার অফ অপারেশন সাজিদ আহমেদ, ম্যানেজার (প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট) মেহেদী হাসান রাহাত, আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার মাসুদুর রহমানসহ অনেকে।
স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “‘স্বপ্ন’ এখন দেশের ৫১টি জেলায়। মানিকগঞ্জের নতুন এই আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে। আশা করছি স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশে গ্রাহকরা স্বপ্নের এ আউটলেট থেকে নিয়মিত বাজারের সুযোগ পাবেন।”
স্বপ্নের অপারেশন্স ডিরেক্টর আবু নাছের জানান, নতুন এ আউটলেটে থাকছে মাসব্যাপী নানা অফার ও হোম ডেলিভারি সেবা।
স্বপ্নের ২৯৩তম আউটলেটের ঠিকানা: সিটি সেন্টার, ১৬/ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে রোড, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, মানিকগঞ্জ।
আরও পড়ুন:পেরুর উত্তরাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির এল অলটো জেলায় পাহাড়ি রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
পেরুর পরিবহন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এসইউটিআরএএন এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হতাহতের কোনো সংখ্যা তারা উল্লেখ করেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ৬০ জন যাত্রী নিয়ে লিমা থেকে ইকুয়েডর সীমান্তবর্তী টুম্বেসে যাচ্ছিল বাসটি। পথে এটি অরগানোস শহরের কাছে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়।
পেরুতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যাও কম নয়।
আরও পড়ুন:
ইরানে নতুন বছরের প্রথম ২৬ দিনে ৫৫ জনের ফাঁসি কার্যকরা হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। সংস্থাটি বলছে, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরতদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি ইরানে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১৮।
আইএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম ২৬ দিনে মাদক মামলার ৩৭ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানে ১০৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘদ্দাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান সরকার। কোনো ফাঁসি বরদাস্ত করা হবে না, তা সে রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক।’
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
বিক্ষোভ থামাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইরান সরকার ধরপাকড় চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ সংখ্যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য