যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভয়াবহ শীতকালীন ঝড়ে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও কিছু চালক তাদের গাড়ির ভেতরে আটকে আছেন, কয়েক লাখ বাড়ি এবং ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কের পশ্চিমাঞ্চলে লেক এরির পাশে বাফেলো শহর ও এর আশপাশে বেশির ভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। হিমশীতল ঠান্ডা ঝোড়ো বাতাস ও হ্রদে তুষারঝড়ের কবলে উষ্ণ হ্রদের পানির ওপর হিমশীতল বাতাসের প্রভাব মৃত্যুর পাশাপাশি বিপর্যস্ত করে দিয়েছে বড় দিনের উৎসব।
লেক এরির কাউন্টি এক্সিকিউটিভ মার্ক পোলোনকার্য বলেন, ‘স্থানীয় সময় রোববার রাতে তুষারঝড়ে বাফেলো অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা তিনজন থেকে বেড়ে হয়েছে ১২। এদের অনেককে গাড়ির মধ্যে এবং ভারি তুষারের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
শুক্রবার থেকে গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে সপ্তাহের শেষে ছুটির দিন ও বড়দিনের উৎসবের আগে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে সড়কে আটকা পড়েন অনেকে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ভয়াবহ তুষারপাত এবং ঝড়ো হিমশীতল বায়ুপ্রবাহ উদ্ধার কাজ ব্যাহত করছে।’
তিনি টুইটে বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে বড়দিন আমরা কেউ আশা করিনি। যে পরিবারগুলো প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।’
রোববার বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হলেও ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কঠিন এক বড়দিন পার করলেন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বাসিন্দারা। একদিকে প্রবল শীতকালীন ঝড়, অন্যদিকে বিদ্যুৎ নেই। সব মিলিয়ে উত্তর আমেরিকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বড়দিন উদযাপন চরমভাবে ব্যাহত হয়।
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ার পর বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কমে গেলে প্রবল তুষারপাতের পাশাপাশি হিমশীতল বাতাসের গতি বেড়ে যায়। এমন বৈরী আবহাওয়াকে স্থানীয়ভাবে ‘বম্ব সাইক্লোন’ বলা হয়।
কানাডার কুইবেক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মাইল এলাকার ২৫ কোটি মানুষ এ ভয়াবহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বড়দিনের উৎসবের মধ্যেই কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিজুড়ে দাবানলে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু ও ৯৭৯ জন দগ্ধ বা আহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সময় শনিবার জরুরি অবস্থার আওতা বাড়িয়েছে সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গ্রীষ্মের খরতাপে আগুনের ব্যাপকতা বেড়েছে, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশটির এক কর্মকর্তা শনিবার ব্রিফিংয়ে জানান, আগুন থেকে বাঁচতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার এক শর বেশি মানুষ।
সর্বশেষ জরুরি অবস্থার আদেশের আওতায় রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় আরাউক্যানিয়া অঞ্চল। এর আগে কাছাকাছি বায়োবিও ও নাবল অঞ্চলেও এ অবস্থা জারি করা হয়।
রাজধানী সান্তিয়াগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, রোববার নতুন করে ৭৬টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
দেশটিতে কম বসতিপূর্ণ যে তিন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, সেগুলো ফল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অঞ্চলগুলোতে উৎপাদিত আঙুর, আপেলের মতো ফল বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
আগুন বেড়ে যাওয়ার মধ্যে শনিবার চিলির কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিনির্বাপণে উড়োজাহাজ ও ফায়ার ফাইটার দিয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, ব্রাজিল ও ভেনেজুয়েলা।
আরও পড়ুন:সাউথ ক্যারোলিনা সৈকতের কাছে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চীনের নজরদারি বেলুনটি ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আকাশসীমায় প্রবেশের এক সপ্তাহ পর বেলুন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক নাটকীয়তা শেষে বস্তুটিকে সমুদ্রে বিনাশ করে আমেরিকা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেলুনটিকে ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তবে দেশটির প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, হাজার ফুট ওপর থেকে বেলুনের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে পড়লে বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি হতে পারে। তাই সমুদ্রসীমায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চীনের নজরদারি বেলুনটি ধ্বংসের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তারা সফলভাবে একে ভূপাতিত করেছে এবং আমি এ জন্য আমাদের বৈমানিকদের অভিনন্দন জানাতে চাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, অভিযানে অংশ নেয় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও রিফুয়েলিং উড়োজাহাজ। এর মধ্যে দেশটির ভার্জিনিয়ার ল্যাংলি বিমান ঘাঁটি থেকে আসা একটি এফ-২২ যুদ্ধবিমান স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে এআইএম-নাইনএক্স সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেলুনটিকে আঘাত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন ওড়ার খবরে যে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে, তাতে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘোষিত বেইজিং সফরই শুধু বাতিল হয়নি, দুই দেশের ক্রমাবনতিশীল সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে বেলুন পাঠানোর ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ‘অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার কর্মকর্তারা। দেশটির কিছু আইনপ্রণেতা চীনকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্লেন শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সফর আপাতত বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তিনি বেইজিং সফরের প্রস্তুতি নেবেন, তবে নীতি বিশ্লেষকদের ভাষ্য, চীনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সদিচ্ছা দেখানো না হলে খুব দ্রুত দেশটিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ব্লিঙ্কেনের।
আমেরিকার আকাশে উড়তে থাকা বেলুনটি আবহাওয়াসংক্রান্ত কাজের জন্য মোতায়েন করা হয় দাবি করে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেটি ভুলবশত যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।
এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড্যানিয়েল রাসেল বলেন, চীনের এ ‘হাস্যকর অজুহাত’ কাজে আসবে না।
তার মতে, গত বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থায় ফেরা কঠিন হয়ে যাবে।
বৈশ্বিক দুই পরাশক্তির মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যাওয়ার পর সে সম্পর্ক তলানিতে নেমে যায়। পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীন।
এমন বাস্তবতায় বাইডেন প্রশাসনের আশা ছিল, সম্পর্ক মেরামতের একটি রাস্তা তৈরি হবে, যাতে করে সংঘাত ঠেকানো যাবে, কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি হয়ে দেখা দিল বেলুন ওড়ানোর ঘটনা।
আরও পড়ুন:চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়ছে জানিয়ে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কায় বস্তুটিকে গুলি না করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা বেলুনের অবস্থানের বিষয়ে জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আকাশসীমায় বেলুন দেখে একে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক যুদ্ধবিমান, তবে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাইডেনকে পরামর্শ দেন, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মেনে নেন প্রেসিডেন্ট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, আকাশসীমায় প্রবেশের পর বেলুনটিকে ‘হেফাজতে’ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চালকসহ সামরিক বিমান দিয়ে একে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে ‘বেশি উচ্চতার নজরদারি বেলুন’ শনাক্তের কথা জানিয়েছে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
ওই বেলুনটি চীনের কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার রকেটের পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র সরবরাহ বাবদ ইউক্রেনকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার দুই কর্মকর্তা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তারা জানান, চলতি সপ্তাহেই সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে।
ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, প্যাকেজে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়টের আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম, দূর নিয়ন্ত্রিত সরঞ্জাম ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র জ্যাভেলিন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
কর্মকর্তাদের একজন জানান, সহায়তা প্যাকেজের একাংশ হতে পারে ১৭২ কোটি ডলার, যা আসবে ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভ (ইউএসএআই) নামের তহবিল থেকে। এ তহবিলের মাধ্যমে মজুতকৃত অস্ত্রের পরিবর্তে বাজার থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, ইউএসএআই থেকে অর্থ নিয়ে বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে গ্রাউন্ড লঞ্চড স্মল ডায়ামিটার বোম্ব (জিএলএসডিবি) নামের রকেট কেনা হবে, যেটি দেড় শ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে পিছু হটাতে ২৯৭ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিল ইউক্রেন, যা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন জিএলএসডিবি দিয়ে সে কাজ চালাতে পারবে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ টায়ার নিকোলসকে পিটিয়ে হত্যার জেরে বিশেষায়িত ইউনিট ‘স্করপিয়ন’কে নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ বিভাগ।
নিকোলস হত্যা নিয়ে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার মেমফিস পুলিশের ইউনিটটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ২৯ বছর বয়সী নিকোলসকে মারধরের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে মেমফিস শহর কর্তৃপক্ষ। এর এক দিন পর স্করপিয়নকে নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে, যে ইউনিটে কর্মরত ছিলেন মারধরে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ৭ জানুয়ারি মেমফিসের অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছিলেন। ওই সময় ‘মা, মা’ বলে কাঁদছিলেন এক সন্তানের জনক নিকোলস।
পুলিশের পোশাক ও খুঁটিতে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজটি প্রকাশের আগেই পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার (যাদের সবাই কৃষ্ণাঙ্গ) বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যা, হেনস্তা, অপহরণ, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
নিকোলসকে থামানো নিয়ে শুরুতে পুলিশ বলেছিল, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক, তবে মেমফিস পুলিশের প্রধান বলেছেন, থামানোর পক্ষে যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ওপর ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, এমন অবস্থান থেকে অনেক দূরে থাকার পরও নিকোলসকে দৃশ্যত মারধর করা হয়েছে।
মারধরের একপর্যায়ে দুই কর্মকর্তা নিকোলসকে ধরে রাখেন। অন্যজন তার মুখে ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকেন। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের না থামিয়ে নীরবে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে ২৯ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলসকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ করেছে শহর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ৭ জানুয়ারি মেমফিসের অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছিলেন। ওই সময় ‘মা, মা’ বলে কাঁদছিলেন এক সন্তানের জনক নিকোলস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশের পোশাক ও খুঁটিতে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজটি গতকাল প্রকাশ করা হয়, যার আগেই পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার (যাদের সবাই কৃষ্ণাঙ্গ) বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যা, হেনস্তা, অপহরণ, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
নিকোলসকে থামানো নিয়ে শুরুতে পুলিশ বলেছিল, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক, তবে মেমফিস পুলিশের প্রধান বলেছেন, থামানোর পক্ষে যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ওপর ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, এমন অবস্থান থেকে অনেক দূরে থাকার পরও নিকোলসকে দৃশ্যত মারধর করা হয়েছে। মারধরের একপর্যায়ে দুই কর্মকর্তা নিকোলসকে ধরে রাখেন। অন্যজন তার মুখে ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকেন। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের না থামিয়ে নীরবে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।
মন্তব্য