নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলা বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া র্যাপার সামান ইয়াসিনের আপিল গ্রহণ করেছে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট।
দ্য গার্ডিয়ানের রোববারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তরুণ কুর্দি শিল্পী ইয়াসিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফাঁকা গুলি চালানো, ডাস্টবিনে আগুন দেয়া ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে এক ভিডিওবার্তায় সন্তানকে সাহায্যের আকুতি জানান ইয়াসিনের মা। ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথায় দেখেছেন ডাস্টবিনের জন্য প্রিয়জনের জীবন নেয়া হচ্ছে?’
ইরানের সর্বোচ্চ আদালত প্রথমে ইয়াসিন এবং অন্য আরেকজন বিক্ষোভকারীর আপিল গ্রহণের কথা জানায়, কিন্তু বার্তা সংস্থা মিজান জানায়, শুধু ইয়াসিনের আপিল নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ বিভাগ খবর সংশোধন করেছে। মোহাম্মদ কোবদলুর আপিল গ্রহণ করা হয়নি।
কোবদলুর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর।
সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। এ বিক্ষোভে সমর্থন দেয়ায় ইরানে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ।
বয়স কোনো বাধা নয়। এই কথাটি আবারও প্রমাণ করলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার বছর বয়সী সাইদ রাশেদ আলমাহেরি। একক ব্যক্তি (ছেলে শিশু) হিসেবে এ বয়সে একটি পুরো বই প্রকাশ করায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তার।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইদের বয়স চার বছর ২১৮ দিন। তার লেখা দ্য এলিফ্যান্ট অ্যান্ড দ্য বিয়ার নামের শিশুতোষ বইটি এরইমধ্যে হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। গত ৯ মার্চ তার রেকর্ডটি ভেরিফাই করা হয়। তার বইটিতে মূলত দুটি প্রাণীর বন্ধুত্বের গল্প বলা হয়েছে।
তবে সাইদ তার পরিবারে একাই বিশ্বরেকর্ডধারী নয়। তার বোন আলধাবি সবচেয়ে কম বয়সে দুটি ভাষায় বই প্রকাশ করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে। সে ৮ বছর বয়সেই মেয়ে শিশু হিসেবে দুই ভাষায় বই লিখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখিয়েছিল।
আলধাবি এখন তার দেশের সবচেয়ে কমবয়সী উদ্যোক্তা। তার একটি প্রকাশনী সংস্থাও রয়েছে।
সাইদ বলেন, আমি আমার বোনকে ভালোবাসি। আমরা এক সঙ্গে পড়ি, আঁকি এবং অন্যান্য অনেক কাজ করি। তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই বইটি লিখেছি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তার বড় ছেলে শেখ খালেদ বিন মোহাম্মদ আল নাহিয়ানের নাম ঘোষণা করেছেন।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আল নাহিয়ান তার বড় ছেলে শেখ খালেদকে দেশটির রাজধানী আবুধাবির যুবরাজ ঘোষণা করেছেন। শেখ খালেদ বিন মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ১৯৮২ সালের ৮ জানুয়ারি আবুধাবিতে জন্মগ্রহণ করেন।
শেখ খালেদ আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ শারজাহ থেকে স্নাতক এবং ২০১৪ সালে কিংস কলেজ লন্ডন থেকে যুদ্ধ অধ্যয়ন নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
৪১ বছর বয়সী নতুন যুবরাজ শেখ খালিদ আবুধাবি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য। তিনি আবুধাবি এক্সিকিউটিভ অফিসের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন । এছাড়া আমিরাতের সাম্প্রতিক বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দেখা শোনা করছেন তিনি।
আমিরাতের যুবরাজ হিসেবে শেখ খালেদের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব ও কাতার। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাকি আমিরাতগুলোও যুবরাজ হিসেবে তার নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতা আবুধাবিতে আরও কেন্দ্রীভূত করতে ছেলেকে সেখানকার যুবরাজ বানিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ । অঢেল তেল সম্পদের কারণে আবুধাবি সাতটি আমিরাত নিয়ে গঠিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজনৈতিক রাজধানী।
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। তাকে সেখানে কয়েক দিন থাকতে হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার ভ্যাটিকানের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৬ বছর বয়সী পোপ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হাসপাতালে কয়েক দিন তাকে উপযুক্ত মেডিক্যাল থেরাপি নিতে হবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, রোগমুক্তি কামনা করে অনেকের বার্তা পেয়েছেন পোপ। তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, ইতালির রোমের গেমেলি হাসপাতালে পোপের সঙ্গে রাত্রিযাপন করার কথা রয়েছে তার ঘনিষ্ঠতম কর্মীদের।
বছরের ব্যস্ততম সময়ে অসুস্থ হয়েছেন পোপ। ইস্টারের ছুটির আগে তাকে বেশ কিছু অনুষ্ঠান ও সার্ভিসে অংশ নিতে হবে।
এ সপ্তাহান্তে পাম সানডে ম্যাস রয়েছে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে রয়েছে হলি উইক ও ইস্টার উদযাপন।
চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে হাঙ্গেরি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের।
আরও পড়ুন:বিশ্ব অর্থনীতির একটি প্রধান চালিকা শক্তি এশিয়া অঞ্চল। ২০২৩ সালে এশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের বছর ২০২২ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সে সুবাদে এই অঞ্চলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার বাস্তবতায় এটি একটি আশার খবর।
বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া থেকে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ইকোনমিক আউটলুক অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন প্রগ্রেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য, ‘একটি অনিশ্চিত বিশ্ব: চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে উন্নয়নের জন্য সংহতি ও সহযোগিতা’।
চীনের হাইনান প্রদেশে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া-২০২৩ এর বার্ষিক সম্মেলন। ছিয়ংহাই সিটির বোয়াও শহরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা চলবে। বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ব্যক্তি, ব্যবসায়ী নেতাসহ প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।
ফোরামে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক ঐকমত্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিকরণ, দক্ষতা ও নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
মূল প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছে, ‘এ বছর অঞ্চলটি বিশ্বকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যাবে। বৈশ্বিক চাহিদা দুর্বল হওয়া এবং অনিশ্চয়তার চাপ সত্ত্বেও এশীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। যদিও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ায় এশিয়ান রপ্তানিকারকদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু চীনের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তন এশিয়ার বাকি অংশ এবং বিশ্বের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত পাঠাচ্ছে।’
বোয়াও ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল লি বাওডং বলেছেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি অনিশ্চয়তা থেকে উত্তরণে এশিয়া মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বব্যাপী মন্দার মধ্যে এশিয়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করবে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক উৎপাদন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক একীকরণ এবং সংহতির অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে।’
প্যানেল আলোচনায় বলা হয়, আগামী দিনের অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চীনের দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এশিয়ার অর্থনীতি এ বছর শক্তিশালী অবস্থানে যাবে।
বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া একটি বেসরকারি অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা। এশিয়ার ২৮টি দেশ নিয়ে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি এশিয়ায় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রচার এবং আঞ্চলিক অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে।
চীন তার পুরো হাইনান দ্বীপকে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী এবং উচ্চ স্তরের ফ্রি ট্রেড পোর্ট বা এফটিপিতে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রকাশ করে। তারপর থেকে হাইনান এফটিপি-র উন্নয়নে সহায়তার জন্য শূন্য শুল্ক এবং সহজ বাজার ও বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করাসহ নীতি সহজীকরণ করেছে।
বলা হয়, হাইনানে ২০২৩ সালের মধ্যে স্বতন্ত্র কাস্টমস ব্যবস্থা চালুর জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চীন। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ দ্বীপ জুড়ে নিজস্ব কাস্টমস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে বোয়াও ফোরাম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ ও ঐকমত্য তৈরি করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বাস উল্টে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে। ওইসব যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলটি জেদ্দা থেকে আনুমানিক ৬০০ কিলোমিটার দূরে। সবশেষ পাওয়া খবরে এই দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করেছেন।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূতাবাস কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন।
এর আগে আরব নিউজ জানায়, সৌদি আরবে বাস উল্টে আগুন ধরে যাওয়ায় অন্তত ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৯জন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-খাবারিয়া জানায়, আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে একটি সেতুর ওপর বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসের যাত্রীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরীতে যাচ্ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেক কাজ না করায় সেতুর এক পাশে গিয়ে ধাক্কা খায় বাসটি। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সৌদি প্রেসের তথ্যানুযায়ী, ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাবা শারের সড়কটি প্রায় ৪০ বছর আগে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু চাপের মুখে পড়েছেন। বিচারবিভাগে সংস্কারের এক বিতর্কিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে গিয়ে এই চাপে পড়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি সরকার এ চাপ সামাল দিতে পারবে কি না- সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদেন জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটিতে প্রায় সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন, সারা দেশ জুড়ে ডাকা ধর্মঘটের কারণে বিমান ও সমুদ্র বন্দর অচল হয়ে পড়েছে, ব্যাংক ও দোকানপাটও বন্ধ। ডাক্তার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে।
এর আগে সংস্কারের উদ্যোগ বন্ধ করার ডাক দিয়ে বরখাস্ত হনসরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীও এর বিরোধিতা করছে, এমনকি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করার জন্য।
এই বিরোধিতাকারীরা বলছেন, বিচার বিভাগে যেসব পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে- তা ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে।
সূত্র বলছে, তীব্র বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু শিগগিরই এ পরিকল্পনা কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার করার কথা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তবে এ খবর নিশ্চিত করা যায়নি।
সোমবার সকালের দিকে, এক টুইটারে এক বার্তা পোস্ট করে নেতানিয়াহু সব পক্ষের প্রতিবাদকারীদের দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকার ডাক দিয়েছেন।
এমন এক সময় তার এই আহ্বানের কথা জানা গেল যখন ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে বলেছে, খুব শিগগিরই তারা উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা আছে, কারণ উগ্র দক্ষিণপন্থি কর্মীরাও সোমবার কেনেসেটে বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা করেছে।
নেতানিয়াহুর বিতর্কিত পরিকল্পনায় সরকারকে বিচারক নিয়োগকারী কমিটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের কেউ দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হলে, তাকে অপসারণ করাটা আদালতের জন্য আগের চাইতে কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা মনে করেন, এ বিধানটি ক্ষমতাসীন নেতা নেতানিয়াহুর স্বার্থ বিবেচনা করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বিচারিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যার প্রতিবাদে সড়কে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র তেল আবিবে স্থানীয় সময় রোববার গভীর রাতে গায়ে নীল, সাদা রঙের পতাকা জড়ানো বিক্ষোভকারীরা প্রধান একটি মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা সেখানে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানান।
অন্যদিকে জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।
বিচারিক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে নেতানিয়াহু যে পরিকল্পনা করেছেন, তা নিয়ে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে সংকট চলছে। এ পরিকল্পনার প্রতিবাদে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটিতে।
ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, সাবেক একাধিক নিরাপত্তাপ্রধান নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কিত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছে উদ্বেগ।
এতকিছুর পরও পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কোনো ইঙ্গিত দেননি নেতানিয়াহু। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়েভ গ্যালান্তকে বরখাস্ত করার মধ্য দিয়ে নেতানিয়াহু ও তার মিত্ররা বিচার ব্যবস্থায় বদল আনার পরিকল্পনাটি চলতি সপ্তাহেই বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য