ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ও ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা নিয়মিত ঘটনা। এর সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ হয় দুই দেশের কর্মকর্তাদের বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যে। তেমনটিই ঘটেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক অধিবেশনে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওই অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদকে চিরস্থায়ী করছে পাকিস্তান। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘গুজরাটের কসাই’ হিসেবে আখ্যা দেন।
এ নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সমর্থকরা। তারা বিলাওয়ালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, পাকিস্তান হচ্ছে সেই দেশ, যারা ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ বলেছিল। এ ছাড়া তারা লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মির ও দাউদ ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলাওয়ালের মন্তব্য নিয়ে শনিবারও বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ‘মন্তব্যটি অত্যন্ত নিম্নমানের, যা পাকিস্তানের সঙ্গেও যায় না।’
এ বিবৃতিতে ‘ভারতের হতাশা ফুটে উঠেছে’ বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ।
একই দিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর সমর্থনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা ও মন্ত্রী শাজিয়া মারি।
তিনি বলেন, ‘ভারতের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা পিছপা হব না।’
এদিকে রোববারও বিলাওয়ালকে সমর্থন দিয়ে টুইটবার্তা দিয়েছেন শাজিয়া।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় মন্ত্রীর উসকানিমূলক মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের চেয়ে অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়েছে পাকিস্তানের।’
মোদি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০২ সালে গুজরাটে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়। ওই দাঙ্গায় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। দাঙ্গায় তৎকালীন রাজ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
বিলাওয়ালের বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তর প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, এমন বক্তব্য লজ্জাজনক।
লক্ষ্ণৌ ও মথুরাতে বিজেপির কর্মীরা বিক্ষোভ করে বিলাওয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন।
দিল্লিতে বিজেপি কর্মীরা পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া মুম্বাই, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, জম্মু ও ভুবনেশ্বরে বিলাওয়ালের বক্তব্যের জেরে বিক্ষোভ করেছেন বিজেপির কর্মীরা।
আরও পড়ুন:Pakistan is a responsible nuclear state. Some elements in Indian media trying to create panic. Pakistan’s FM responded to inciting comments by Indian Minister. Pakistan has sacrificed far more than India in the fight against terrorism.Modi Sarkar is promoting extremism & fascism. https://t.co/3v4psXRfWk
— Shazia Atta Marri (@ShaziaAttaMarri) December 17, 2022
পুঁজিবাজারে দরপতনের হিড়িকের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থায় (এএসএম) রাখা হয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) থেকে বৃহস্পতিবার পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার এ খবর জানায় এনডিটিভি।
নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন এবং আম্বুজা সিমেন্টস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে লেনদেনে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরে ধস নামে।
ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপ বলেছে, তাদের কোম্পানিগুলো সব আইন মেনে চলছে।
বেশ কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানিকে এএসএমের আওতায় রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির আয়ের ওপর গ্রাহকদের অংশীদারত্ব, প্রাইস-আর্নিং রেশিও ইত্যাদি।
এনএসই ও বিএসই জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের তিনটি কোম্পানি নির্ধারিত মানদণ্ডে পড়ায় এগুলোকে এএসএমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আদানি গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার ২৬ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনও অব্যাহত রয়েছে।
সব মিলিয়ে ছয় দিনে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর ৮ লাখ ৭৬ হাজার কোটি রুপি উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া কেরালার আলোচিত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান বৃহস্পতিবার কারামুক্ত হয়েছেন।
দুই মামলায় জামিন পাওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর লক্ষ্ণৌর বিশেষ আদালত কাপ্পানের মুক্তির আদেশে সই করে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের রাজধানীর কারাগার থেকে বের হয়ে এনডিটিভিকে কাপ্পান বলেন, ‘নির্মম আইনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব। জামিন পাওয়ার পরও তারা আমাকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।
‘আমাকে জেলে রেখে কার লাভ হয়েছে, জানি না। এ দুই বছর খুবই কঠিন ছিল, তবে আমি কখনোই শঙ্কিত ছিলাম না।’
কারাগার থেকে কাপ্পানের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বুধবার সন্ধ্যায়, তবে অর্থপাচার প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক বার কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মুক্তির আদেশে সই করতে পারেননি।
উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ পর হত্যার সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থল হাথরাসে যাওয়ার পথে ২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন সিদ্দিক কাপ্পান।
রাজ্য পুলিশ সে সময় জানিয়েছিল, দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা ঘটনা কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিক হাথরাসে অস্থিরতা তৈরি করতে যাচ্ছিলেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের দুই সপ্তাহ পর দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল দলিত তরুণীর। পরে মধ্যরাতে তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে হাথরাস জেলা প্রশাসন, যাকে অনেকে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করে ব্যাপক সমালোচনা করে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের।
কাপ্পানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ করা হয়, যাকে অভিযুক্ত করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর আইন ইউএপিএতে। নিষিদ্ধ সংগঠন পিপল’স ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার নামে অর্থ পাচারের মামলা করে ভারতের অর্থ গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠনিক কোনো অভিযোগ গঠন না করায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন:ভারতের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ আগুনে ১০ নারী ও তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব সুখদেব সিং প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআিই) বিষয়টি জানিয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুখদেব বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা এ মুহূর্তে ১৪ এবং ১১ জন চিকিৎসাধীন। আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।’
আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘ধানবাদে আগুনে প্রাণহানির ঘটনায় (আমি) গভীরভাবে শোকাহত। স্বজন হারানো লোকজনের প্রতি আমার সমবেদনা। অসুস্থরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক।’
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন জানান, জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করেছে। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে জরাফাতাক এলাকায় ‘আশীর্বাদ টাওয়ার’ নামের ১৩ তলা ভবনে আগুন ধরে। সে আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪০টি ইউনিট।
ধানবাদের জেলা প্রশাসক সন্দীপ কুমার জানান, ভবন থেকে আট থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের শরীর মারাত্মক দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের পেশাওয়ারের পুলিশ হেডকোয়ার্টের ভেতরে অবস্থিত মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীর মাথা উদ্ধার করার খবর জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বেলা ৩টার পর ওই হামলা হয়।
হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) মোহাম্মদ আইজাজ খান বলেন, বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল বলে মনে হচ্ছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীর মাথা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলা নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে, তাদের টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা ভয় দেখাতে চায়।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক সদস্য প্রাথমিক পর্যায়ে এ হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা টিটিপির পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার উমর খালিদ। তার এক ভাই দাবি করেন, আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে যোহর নামাজের সময় হামলাটি হয়। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য।
গত বছরের মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হামলা পেশাওয়ারের একটি শিয়া মসজিদে ৬৪ জন নিহত হন। ২০১৮ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের পেশাওয়ারের পুলিশ হেডকোয়ার্টের ভেতরে অবস্থিত মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার বেলা ৩টার পর ওই হামলা হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, মঙ্গলবার আরও ২০ মরদেহ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে এ হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮৯ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে।
হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলা নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে, তাদের টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা ভয় দেখাতে চায়।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক সদস্য প্রাথমিক পর্যায়ে এ হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা টিটিপির পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার উমর খালিদ। তার এক ভাই দাবি করেন, আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে যোহর নামাজের সময় হামলাটি হয়। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য।
গত বছরের মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হামলা পেশাওয়ারের একটি শিয়া মসজিদে ৬৪ জন নিহত হন। ২০১৮ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের পেশাওয়ারের পুলিশ হেডকোয়ার্টের ভেতরে অবস্থিত একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন।
এ হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার উমর খালিদ। তার এক ভাই দাবি করেছেন যে, আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে যোহর নামাজের সময় হামলাটি হয়। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য।
পেশাওয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতাল বোমা হামলার ঘটনায় ৪৬ জন নিহতের খবর জানিয়েছে। তবে পুলিশের হিসাবে হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৮।
এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
গত বছরের মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হামলা পেশাওয়ারের একটি শিয়া মসজিদে ৬৪ জন নিহত হন। ২০১৮ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের পেশাওয়ারের পুলিশ হেডকোয়ার্টের ভেতরে অবস্থিত একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। সোমবারের এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২০ জন।
স্থানীয় হাসপাতালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে আসরের নামাজের সময় হামলাটি হয়।
এএফপির প্রতিবেদক দুটি মরদেহকে অ্যাম্বুলেন্স উঠাতে দেখেছেন। তিনি জানান, হামলার পর মসজিদটির দেয়াল ধসে পড়েছে।
পেশাওয়ারের সরকারি হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মাদ আসিম খান বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতি। আমরা একের পর এক মরদেহ পাচ্ছি।’
গত বছরের মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হামলা পেশাওয়ারের একটি শিয়া মসজিদে ৬৪ জন নিহত হন। ২০১৮ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য