আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে স্পিন বোল্ডাক ও চামন শহরের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং ফের চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল পাকিস্তান, তবে ১৩ নভেম্বর আন্তসীমান্ত গোলাগুলিতে পাকিস্তানের এক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হলে সে প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।
এর কয়েক দিন পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে কাবুল সফর করতে দেখা যায়, যা আফগান তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের অবনতিশীল সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা
বিতর্কিত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান দখলে নেয়ার পর থেকেই এ ধরনের সংঘর্ষ বেড়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানকে সীমান্ত সংঘাত বন্ধে উদ্যোগী হতে দেখা যায়। কূটনৈতিকভাবে সংকট নিরসনের আহ্বানও জানিয়েছে ইসলামাবাদ, তবে পশতু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে যে অস্থিরতা বাড়ছে, সেটি ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না।
আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের ডান্ড পাটানের কাছে ১৯ নভেম্বর তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীদের উত্তেজনার পর দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সাজিদ হোসেন তুরি টুইটারে লেখেন, ‘কুররাম সীমান্তে আফগানিস্তান আইন লঙ্ঘন করেছে। সীমান্তে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানানো নিন্দনীয়।’
আফগানিস্তানে তালেবান শাসকরা ইসলামি শাসন কায়েম করেছে। তার পরও আফগানিস্তান-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো কাটছে না।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে ডুরান্ড লাইনকে মেনে নেয়ার বিষয়টি কাবুল প্রত্যাখ্যান করে আসছে, যাতে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
ক্ষমতা দখলের পর স্বস্তিতে নেই আফগান শাসকরা। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, মানবিক সহায়তা, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, নারী শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রভিন্সের (আইএসকেপি) হুমকি মোকাবিলায় শক্ত চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
পাকিস্তানে যারা শরিয়া আইন চালু করতে চান, আফগানিস্তানের তালেবানকে দেখে তারা অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। ডুরান্ড লাইনের ওপারে আফগান তালেবানের হামলা নিয়ে পাকিস্তানি রাষ্ট্রের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পাকিস্তানে এখন ‘জিহাদি বাহিনীর’ সমর্থন হু হু করে বাড়ছে।
যে আদর্শগত সংযোগ আফগানিস্তান তালেবানকে নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে, তা বুমেরাং হয়েছে। পাকিস্তানেই এখন ইসলামপন্থি মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
ইসলামপন্থি ও জিহাদি শক্তিগুলো এখন আর ভারতের বিরোধিতায় ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছে না। তারা এখন ইসলামি শাসন কায়েমের জন্য পাকিস্তান সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
পরিবর্তনশীল সম্পর্ক
তালেবানের ভারতবিরোধী নীতিতে লাভবান হচ্ছিল পাকিস্তান, তবে তালেবান এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায়। ভারতবিরোধী হয়ে সরকার চালানো সহজ হবে না, এমনটি ভালোভাবেই বুঝতে পারছে তারা। আফগানিস্তান পুনর্গঠনে ভারতের আর্থিক সহায়তাও চাইতে পারে তালেবান।
কাবুলের তালেবান-নেতৃত্বাধীন শাসনের প্রধান সুবিধাভোগী পাকিস্তান হলেও এটি ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না যে, রাশিয়া, চীন, কাতারসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলোও তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসেছিল। আফগানিস্তান শাসনে পাকিস্তানের নির্দেশনা যে খুব একটা আমলে নেয়া হচ্ছে না, তালেবান সে ইঙ্গিত এরই মধ্যে দেয়া শুরু করেছে।
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের জনপ্রিয়তা কমছে। এতে ইসলামাবাদের পুতুল হিসেবে নিজেদের দেখা এড়াতে শুরু করছে তালেবান।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এক ক্রিকেট ম্যাচে আফগানিস্তানের পরাজয় দুই জনগোষ্ঠীর শত্রুতাকে প্রকাশ্যে আনে, যার ফলে হতাশ আফগানভক্তরা পাকিস্তানি সমর্থকদের দিকে প্লাস্টিকের চেয়ার ছুড়ে মারার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তপ্ত বিতর্কে জড়ান।
কয়েক দশক ধরে শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে অনেক আফগান বসবাস করে আসছে। সে বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে পাকিস্তানি সমর্থকরা পুরো আফগান জাতিকে নামাক হারাম (বিশ্বাসঘাতক) বলে অভিহিত করেছিল। জবাবে অনেক আফগান গোটা পাকিস্তানিদের ‘সন্ত্রাসী’ অ্যাখ্যা দেয়।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান দুই দেশেই তালেবান আন্দোলনের কিছু শিকড় রয়েছে। মূলত পশতুন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এখন ইসলামাবাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দারিয়েছে। তালেবান তাদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে এই পশতুন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশেই তালেবান আন্দোলনের শিকড় রয়েছে। আর এই শিকড় হলো পশতু জাতিগোষ্ঠী। এই পশতুরা আবার তালেবানবিরোধীদের (ইসলামাবাদ) ব্যাপক দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে তালেবান এখন পশতুদের জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করছে ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় আছে।
উজ্জীবিত পাকিস্তান তালেবান
আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে ব্যাপক খুশি পাকিস্তানি তালেবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। তারা আফগান তালেবানকে রোল মডেল ঘোষণা করেছে।
শুধু তা-ই নয়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিজেদের ঘাঁটি থেকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে টিটিপি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানও শুরু করেছে।
পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে টিটিপির পাঁচ মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হয় গত ২৮ নভেম্বর। এর ঠিক দুই দিন পর বেলুচিস্তান প্রদেশে পুলিশের ট্রাকে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়, যাতে অন্তত তিনজন নিহত এবং ২০ নিরাপত্তাকর্মীসহ ২৮ জন আহত হন।
হামলার দায় স্বীকার করে টিটিপি। তারা জানায়, আগস্টে আফগানিস্তানে তাদের সিনিয়র কমান্ডার আব্দুল ওয়ালি ওরফে ওমর খালিদ খোরাসানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এখন যেহেতু টিটিপির সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি নেই, তাই টিটিপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় প্রাণঘাতী হামলা আরও হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টিটিপির সঙ্গে যুদ্ধবিরতিটি এমন সময়ে শেষ হয়, যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পরিবর্তন আসছিল। জেনারেল আসিম মুনির আহমেদ সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। টিটিপির সঙ্গে শান্তি আলোচনার বিষয়ে মুনিরের নীতি কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এখন টিটিপির সরাসরি হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ের বিষয়ে অভিযোগ করতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
এমন প্রেক্ষাপটে আফগান ও পাকিস্তানি তালেবানের মধ্যে জোট আগের চেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। ডুরান্ড লাইনের ওপারে তাদের একীভূত হওয়ার লক্ষণও প্রবল হচ্ছে।
সীমান্তে পাকিস্তানের বেড়া নির্মাণকে মেনে নেয়নি আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান। তারা এ প্রকল্পকে ‘একতরফা’ ও ‘অবৈধ’ বলে বর্ণনা করে। ডুরান্ডলাইন বরাবর অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া তালেবান যোদ্ধারা সরিয়ে নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানের একটি থিঙ্ক ট্যাংকের মতে, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী হামলা ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যা দ্রুত অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ধনীদের পাশাপাশি স্থানীয় আইনপ্রণেতাদেরও তালেবান ব্ল্যাকমেইল করছে। গত কয়েক মাসে করাচিতে টিটিপির চাঁদাবাজি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
যদিও পাকিস্তানের নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, আফগান তালেবান টিটিপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে, তবে আফগান তালেবান পাকিস্তানে তাদের আদর্শিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাজ করেনি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত আইএস, আল কায়েদা, আইএসআইএল-কে এবং টিটিপির মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পাকিস্তানকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সম্প্রতি শেহবাজের কথায় সুর মিলিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের ভূমিকা
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের ওপর হোয়াইট হাউসের নির্ভরতা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। পাকিস্তান এখন আফগানিস্তানে তার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধে পাকিস্তান এখন আর ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র নয়। যদিও ২০২১ সালের আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের অসামঞ্জস্যতা ও অসংগতিগুলো কমিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ।
ওয়াশিংটন ও কাবুলের মধ্যে সংলাপের সুবিধার্থে পাকিস্তানের ভূমিকার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন আফগানিস্তানে আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি টমাস ওয়েস্ট।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নিজেদের (আমেরিকার) ‘সামর্থ্যের’ ওপর জোর দেন।
পাকিস্তানি কূটনীতিক-বিশ্লেষকদের ভাষ্য
পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক নেতারা এখন দাবি করেছেন, তারা আফগানিস্তানের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে, তবে এটা সত্যি যে ভারতের সামরিক হামলা প্রশ্নে আফগানিস্তানের ওপর পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। এ কারণে আফগানিস্তানে ইসলামাবাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে অনেকের সন্দেহ রয়েছে।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের এক বছরেরও বেশি সময় পর সাবেক এক পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের উচিত আফগানদের আশ্বস্ত করা। তাদের বোঝাতে হবে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।’
পাকিস্তানের এক বিশ্লেষকও তার সরকারকে বলেছেন, আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালেবান আর অতীতে যে তালেবানকে ইসলামাবাদ মোকাবিলা করেছে, তারা এক নয়।
আরও পড়ুন:ভারতের মধ্যপ্রদেশে প্রচলিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে উত্তপ্ত রড দিয়ে ৫১ বার খোঁচা দেয়া হয়েছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুকে।
এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩ মাস বয়সী মেয়েটির।
রাজ্যের শাহদোল জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির শনিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, সমাধিস্থ করার পর শিশুটির মরদেহ আবার তোলা হয়েছে। শনিবার শিশুটির ময়নাতদন্ত হবে।
শাহদোল জেলা প্রশাসক বন্দনা বৈধ জানান, নারী ও শিশু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে পৌঁছার পর দেখতে পায়, অন্ধ বিশ্বাস থেকে ১৫ দিন আগে এমন ঘটনা ঘটানো হয়। নিউমোনিয়ার চিকিৎসা না করানোয় শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকর্মী শিশুটিকে গরম রড দিয়ে খোঁচা না দিতে তার মাকে অনুরোধ করেছিলেন।
মধ্যপ্রদেশের অনেক আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকায় নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করার জন্য উত্তপ্ত রড দিয়ে খোঁচা দেয়ার রীতি প্রচলিত।
স্থানীয় চিকিৎসক ও যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিক্রান্ত ভুরিয়া জানান, রড দিয়ে খোঁচা দিলে মৃত্যু হতে পারে, এটি ব্যথা কমানোর একটি উপায়, কিন্তু সমস্যা হলো সংক্রমণটি ছড়িয়ে মৃত্যু হতে পারে।
বিজেপির মুখপাত্র ডা. হিতেশ বাজপেয়ি বলেন, ‘এই ধরনের রীতি এখনও প্রচলিত এবং আমি এলাকার প্রধান মেডিক্যাল অফিসারকে একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন:ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের এমপিরা এই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের অধিবেশন শুক্রবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ভণ্ডুল করে দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
অনেকের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে গৌতম আদানি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিনডেনবার্গ রিসার্চ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে গৌতম আদানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আদানি গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্য আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংসদ লোকসভায় শুক্রবার সকালের অধিবেশনে বিরোধী নেতারা অভিযোগের তদন্ত দাবি করলে উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি প্যানেল গঠনের দাবি জানায় বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:অর্থনীতিসহ নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। কমতে কমতে দেশটির রিজার্ভ নেমেছে ৩১০ কোটি ডলারে। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে দেশটির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) সর্বশেষ ২৭ জানুয়ারির তথ্যের বরাতে বিশ্লেষকরা এমন ধারণা করছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই মুহূর্তে পাকিস্তানের রিজার্ভ সবচেয়ে কম। এখন যে রিজার্ভ আছে তাতে সবমিলিয়ে হয়তো ১৮ দিনের আমদানি ব্যয়ের খরচ মেটানো যাবে।
স্থানীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আরিফ হাবিব লিমিটেডের (এএইচএল) গবেষক তাহির আব্বাস রয়টার্সকে বলেছেন, দেশের সঙ্কট এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন অর্থপ্রবাহ এবং আইএমফের সহায়তা দরকার।
অর্থাভাবে বিদেশ থেকে আমদানি যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, সে সময় বাজারে অনেক নিত্যপণ্য নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর কারণ, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে চাইছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তারা এই ধরনের কোনো নির্দেশ দেয়নি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট, আর সেই বিষয়টি কেবল একজন বলেননি, বহু ব্যবসায়ীই দিচ্ছেন একই তথ্য।
সম্প্রতি স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে পাকিস্তানে।
এ অবস্থায় শুক্রবার টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমরা অকল্পনীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। আইএমএফের যেসব শর্ত, সেগুলো ধারণাতীত। তবে আমাদের শর্তগুলো মেনে নিতে হবে।’
রিজার্ভে নতুন অর্থ যোগ না হলে এই মজুদ দিয়ে যে আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে তা সত্যিকার অর্থেই আশঙ্কাজনক। অবশ্য একটি দেশের আমদানির জন্য তিন মাসের রিজার্ভকে ধরা হয় নিরাপদ।
রিজার্ভে প্রতিনিয়ত অর্থ যোগ হতে থাকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের কারণে। পাকিস্তানে এই দুটি আয়েও দেখা দিয়েছে ভাটা।
বিপদের এই সময়ে রেমিট্যান্স গতি হারিয়েছে দেশটিতে। ব্যাংকিং চ্যানেলের বদলে হুন্ডিতেই অর্থ পাঠাচ্ছে প্রবাসীদের একটি বড় অংশ। কারণ, ব্যাংকের চেয়ে সেখানে দর পাওয়া যায় বেশি। খোলাবাজারে এক ডলারে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭১ রুপিতে।
যদি আইএমএফ হাত বাড়িয়ে না দেয় এবং আরও কিছু সহায়তা না আসে, তাহলে শ্রীলঙ্কার পর দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তানও। চলতি বছরও কয়েক বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হবে তাদের। কিন্তু রিজার্ভ যেভাবে কমছে, তাতে নিত্যপণ্য আমদানিতেই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা, সেখানে ঋণ পরিশোধ হবে বিলাসিতা।
দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যেই পাকিস্তানে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। গত জুলাই-নভেম্বর অর্থবছরে পাকিস্তানে ৪৩০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে; যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫১ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে দরপতনের হিড়িকের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থায় (এএসএম) রাখা হয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) থেকে বৃহস্পতিবার পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার এ খবর জানায় এনডিটিভি।
নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন এবং আম্বুজা সিমেন্টস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে লেনদেনে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরে ধস নামে।
ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপ বলেছে, তাদের কোম্পানিগুলো সব আইন মেনে চলছে।
বেশ কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানিকে এএসএমের আওতায় রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির আয়ের ওপর গ্রাহকদের অংশীদারত্ব, প্রাইস-আর্নিং রেশিও ইত্যাদি।
এনএসই ও বিএসই জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের তিনটি কোম্পানি নির্ধারিত মানদণ্ডে পড়ায় এগুলোকে এএসএমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আদানি গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার ২৬ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনও অব্যাহত রয়েছে।
সব মিলিয়ে ছয় দিনে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর ৮ লাখ ৭৬ হাজার কোটি রুপি উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া কেরালার আলোচিত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান বৃহস্পতিবার কারামুক্ত হয়েছেন।
দুই মামলায় জামিন পাওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর লক্ষ্ণৌর বিশেষ আদালত কাপ্পানের মুক্তির আদেশে সই করে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের রাজধানীর কারাগার থেকে বের হয়ে এনডিটিভিকে কাপ্পান বলেন, ‘নির্মম আইনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব। জামিন পাওয়ার পরও তারা আমাকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।
‘আমাকে জেলে রেখে কার লাভ হয়েছে, জানি না। এ দুই বছর খুবই কঠিন ছিল, তবে আমি কখনোই শঙ্কিত ছিলাম না।’
কারাগার থেকে কাপ্পানের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বুধবার সন্ধ্যায়, তবে অর্থপাচার প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক বার কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মুক্তির আদেশে সই করতে পারেননি।
উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ পর হত্যার সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থল হাথরাসে যাওয়ার পথে ২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন সিদ্দিক কাপ্পান।
রাজ্য পুলিশ সে সময় জানিয়েছিল, দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা ঘটনা কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিক হাথরাসে অস্থিরতা তৈরি করতে যাচ্ছিলেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের দুই সপ্তাহ পর দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল দলিত তরুণীর। পরে মধ্যরাতে তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে হাথরাস জেলা প্রশাসন, যাকে অনেকে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করে ব্যাপক সমালোচনা করে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের।
কাপ্পানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ করা হয়, যাকে অভিযুক্ত করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর আইন ইউএপিএতে। নিষিদ্ধ সংগঠন পিপল’স ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার নামে অর্থ পাচারের মামলা করে ভারতের অর্থ গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠনিক কোনো অভিযোগ গঠন না করায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন:ভারতের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ আগুনে ১০ নারী ও তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব সুখদেব সিং প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিটিআিই) বিষয়টি জানিয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুখদেব বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা এ মুহূর্তে ১৪ এবং ১১ জন চিকিৎসাধীন। আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।’
আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘ধানবাদে আগুনে প্রাণহানির ঘটনায় (আমি) গভীরভাবে শোকাহত। স্বজন হারানো লোকজনের প্রতি আমার সমবেদনা। অসুস্থরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক।’
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন জানান, জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করেছে। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে জরাফাতাক এলাকায় ‘আশীর্বাদ টাওয়ার’ নামের ১৩ তলা ভবনে আগুন ধরে। সে আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪০টি ইউনিট।
ধানবাদের জেলা প্রশাসক সন্দীপ কুমার জানান, ভবন থেকে আট থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের শরীর মারাত্মক দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের পেশাওয়ারের পুলিশ হেডকোয়ার্টের ভেতরে অবস্থিত মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীর মাথা উদ্ধার করার খবর জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বেলা ৩টার পর ওই হামলা হয়।
হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) মোহাম্মদ আইজাজ খান বলেন, বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল বলে মনে হচ্ছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীর মাথা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলা নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে, তাদের টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা ভয় দেখাতে চায়।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক সদস্য প্রাথমিক পর্যায়ে এ হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা টিটিপির পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার উমর খালিদ। তার এক ভাই দাবি করেন, আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাটিতে যোহর নামাজের সময় হামলাটি হয়। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য।
গত বছরের মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হামলা পেশাওয়ারের একটি শিয়া মসজিদে ৬৪ জন নিহত হন। ২০১৮ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য