× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
How Africa is the second home of IS
google_news print-icon

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম

আফ্রিকা-যেভাবে-আইএসের-সেকেন্ড-হোম
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ সাভানা অঞ্চল থেকে উত্তরে সাহারা এবং সোমালিয়াকে আলাদা করেছে বিস্তীর্ণ শুষ্ক ভূমি সাহেল। এখানে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমানা মিলেছে। ত্রি-সীমান্ত এই অঞ্চলটিই এখন জঙ্গিদের হটস্পট। স্থানীয় লোকজন এখানে জঙ্গি হামলার শিকার হয়; তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ।

সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের অন্যতম ধনী একটি এলাকায় বড় সমাবেশে সন্ত্রাসীরা হামলার পরিকল্পনা করছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কিছু দেশ। অপ্রত্যাশিত এই সতর্কবার্তা সাউথ আফ্রিকার সরকারের পাশাপাশি দেশটির জনগণকেও অবাক করেছে। ফলাফল, জোহানেসবার্গের রাস্তায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি

সতর্কতাটি ছিল ২৯ অক্টোবর ঘিরে। তবে উত্তেজনায় পানি ঢেলে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সাউথ আফ্রিকার সরকারও পরে ওই হুমকি নিয়ে আর কথা বলেনি।

তবে বিশেষজ্ঞরা এই সতর্কতাকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন, সমস্ত কর্মকাণ্ড সাউথ আফ্রিকায় একটি অসম্ভাব্য-নীরব অপরাধকে ইশারা করছে...মধ্যপ্রাচ্যের উগ্রবাদী সংগঠন-আইএস।

ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের (আইএসএস) প্রধান বিশ্লেষক মার্টিন ইউই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চিতভাবে হামলার প্রমাণ ছিল। এটি ছিল সুনির্দিষ্ট একটি সতর্কতা। কারণ, কখন এবং কোথায় হামলা হতে যাচ্ছে তা তারা প্রকাশ করেছিল। খুব কম সতর্কতায় এই ধরনের বিবরণ থাকে।’

শুরুতে সাউথ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ হুমকিটিকে অতটা গুরুত্ব দেয়নি। ২৯ অক্টোবর কোনো হামলা না হলেও, এই খবরে গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়ে গেছে। যে ভয়টা করা হচ্ছিল সেটাই হয়েছে। সাউথ আফ্রিকায় ইতোমধ্যে তারা ঢুকে পড়েছে। আইএস একটি দ্রুত সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে আফ্রিকাকে তারা তাদের দ্বিতীয় বাড়ি (সেকেন্ড হোম) বানিয়েছে।

আফ্রিকায় আইএসের উপস্থিতি মোজাম্বিকে সবচেয়ে চোখে পড়ে। সেখানে আইএস নেতা আহলু সুন্নাহ ওয়া জামা’আ (এএসডব্লিওজে) দেশটির ৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে; প্রায় ১০ লাখ মানুষকে করেছে বাস্তুচ্যুত। বিলিয়ন ডলারের গ্যাস বিনিয়োগের ওপর হুমকিও দিয়েছে৷

তবে প্রতিবেশী সাউথ আফ্রিকায় আইএস সমর্থকদের একটি উদীয়মান নেটওয়ার্ক। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ মুসলিম

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম
মোজাম্বিকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে বতসোয়ানা থেকে এসেছেন সামরিক কর্মীরা। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ জেসমিন ওপারম্যান বলেন, ‘আইএসের হুমকি এখানে বাড়ছে। সাউথ আফ্রিকানরা আসলে বোকা। তারা জোর করে এটা বিশ্বাস করতে চাইছে যে তাদের সঙ্গে কখনোই এমন কিছু ঘটতে পারে না।

‘সাউথ আফ্রিকা সরকার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছে। কয়েক বছর আগে ৬০ থেকে ১০০ সাউথ আফ্রিকান আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া এবং ইরাকে চলে গিয়েছিল। তাদের কেউ কেউ ফিরে গেছেন।

‘আমাদের সজাগ হতে হবে, চোখ খুলে হুমকিটা দেখতে হবে।’

মধ্যপ্রাচ্যে ২০১৯ সালে আঞ্চলিক পরাজয়ের স্বাদ নেয় আইএস। তারপর থেকে তারা আফ্রিকায় পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। আফ্রিকায় থিতু হতে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, দুর্বল সীমান্ত ও শাসনের দেশগুলোকে বেছে নেয় আইএস।

ইউই বলেন, ‘আফ্রিকার অন্তত ২০ দেশের আইএসের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। মধ্যপ্রাচ্যের পর আফ্রিকাকে একটি সক্রিয় হাব বানিয়েছে তারা।’

মধ্যপ্রাচ্যে আইএস খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তবে সেখানে ব্যাপক মার খেয়েছে সংঠনটি। আফ্রিকায় তাই কৌশল পাল্টেছে আইএস। সরাসরি শাসনে না গিয়ে স্থানীয় বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ‘চিরশত্রু’ আল-কায়েদার সঙ্গেও আফ্রিকায় আঁতাত করেছে আইএস।

যেসব দেশ আইএস নির্মূলে দৃঢ় অবস্থানে ছিল, সংগঠনটির পুনর্গঠনের পর সেসব দেশও হতবাক হয়েছে। একসময় আইএস এবং আল-কায়েদার মতো সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফায়দা নিত নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। আফ্রিকায় সেই দিনগুলো হয়তো শেষ হয়ে যাবে।

ইউই বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ। যখন জঙ্গিরা ইরাক এবং সিরিয়ায় ছিল তখন তাদের তাড়িয়ে দেয়া সহজ ছিল।

‘কিন্তু এখন যখন তারা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি কীভাবে তাদের তাড়িয়ে দেবেন’?

২০১৪ সালের দিকে আফ্রিকা মহাদেশে ঢুকতে শুরু করে আইএস। মধ্যপ্রাচ্য কোণঠাসা হয়ে পড়লে তাদের মূল ফোকাস হয়ে উঠে আফ্রিকা৷ আফ্রিকান শাখাগুলো এখন মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোর চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম
ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করে আইএস । ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

আইএসের পাশাপাশি আফ্রিকায় অনেকগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন সক্রিয়। তাদের কর্মকাণ্ড দিন দিন বাড়ছেই। পেন্টাগনের অর্থায়নে পরিচালিত আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অনুসারে, গত এক দশকে তাদের হামলার হার ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। জঙ্গি হামলায় গত বছর ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ সাভানা অঞ্চল থেকে উত্তরে সাহারা এবং সোমালিয়াকে আলাদা করেছে বিস্তীর্ণ শুষ্ক ভূমি সাহেল। এখানে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমানা মিলেছে। ত্রি-সীমান্ত এই অঞ্চলটিই এখন জঙ্গিদের হটস্পট। স্থানীয়রা এখানে জঙ্গি হামলার শিকার হন; তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ।

এসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে অন্যতম ইসলামিক স্টেট গ্রেটার সাহারা-আইএসজিএস। ২০২২ সালে সাহেলে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় সংগঠনটি অভিযুক্ত।

লেক চাদ অঞ্চলে উগ্রবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশের (আইএসডব্লিওএপি) আধিপত্য রয়েছে। জুনে মূল সংগঠন আইএসআইএসকে নাইজেরিয়ায় হামলা চালাতে সহায়তা করেছিল আইএসডব্লিওএপি।

ইউই বলেন, ‘সোমালিয়া, লিবিয়া, মিশর এবং কঙ্গোয় তাদের সক্রিয় নেটওয়ার্ক রয়েছে। তানজানিয়া, নাইজার এবং কেনিয়ার তাদের শাখাগুলোকেও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আসলে প্রতিটি দেশই বিপদে আছে।’

সাউথ আফ্রিকার স্যান্ডটনে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহান্তে হামলা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতো। সেদিন শহরে বার্ষিক কুচকাওয়াজের (প্রাইড মার্চ) আয়োজন ছিল; যেখানে যোগ দিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। সেখান থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরে আরেকটি সমাগমস্থল ছিল

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম
জোহানেসবার্গে ‘প্রাইড মার্চ ২০২২’। ছবি: এলিজাবেথ সেজাকে

জোহানেসবার্গ প্রাইডের প্রতিষ্ঠাতা কায় অ্যালি বলেন, ‘কিছু হলে অনেক মানুষের জীবনে তা প্রভাব ফেলত। তারপরও আমরা সেখানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

‘কোভিডের কারণে গত দুই বছর অনলাইনে আয়োজন হয়েছে। এবারও যদি আয়োজন বাতিল করি তবে তা হতো সন্ত্রাসীদের কাছে নতিস্বীকার করা।

‘পুলিশের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল। নিরাপত্তাও ১০ গুণ বেশি ছিল। আমাদের কারও মনেই হয়নি যে আমরা বিপদে আছে।’

বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন প্রাইড মার্চ হতে পারে হামলার লক্ষ্য। সেখানে সাধারণত দেড় লাখ মানুষ উপস্থিত হন। নিরাপত্তা সতর্কতা ভাইরাল হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং সাউথ আফ্রিকা সরকার অ্যালিকে হুমকির বিষয়টি জানিয়েছিল।

তবে অ্যালি দাবি করেন, তার ইভেন্টে সরাসরি হুমকি ছিল না।

‘যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগে ছিল। কারণ, তাদের কর্মীদের ইভেন্টে থাকার কথা ছিল। তারাও কিছু বলেনি।’

সাউথ আফ্রিকার ডারবান এবং কেপটাউনকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, আইএসআইএস নেটওয়ার্কগুলো মোজাম্বিক এবং ডিআর কঙ্গোর শাখাগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বলে মনে হচ্ছে৷

ইউই বলেন, উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর বেশির ভাগ সদস্য বৈধ ব্যবসায় জড়িত। এ কারণে তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করা কঠিন। এখনও সন্দেহভাজনদের আটক বা সতর্কতার প্রতিক্রিয়া জানাতে খুব একটা সক্রিয় না সাউথ আফ্রিকা সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজের মন্তব্যের অনুরোধে সরাসরি সাড়া দেয়নি। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস ঘটনার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘হোয়াইট হাউস সাউথ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

‘যখন আমাদের কাছে একটি সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে তথ্য থাকে, তখন আমরা আমেরিকান কর্মীদের (দূতাবাস কর্মী) তা সরবরাহ করি।’

আইএসের কয়েকজন সদস্যের তালিকা করেছে সাউথ আফ্রিকা। কোয়াজুলু-নাটালে দুই ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদকে হত্যার দায়ে এক দম্পতিসহ তিনজনের বিচার চলছে। হত্যার পর দুই ব্রিটিশ নাগরিকের মরদেহ খুনিরা কুমিরের মুখে ফেলে দিয়েছিল। এ ছাড়া বোমা হামলার পরিকল্পনা এবং আইএসে যোগ দেয়ার অভিযোগে দুইজনকে জেলে ঢুকিয়েছে সাউথ আফ্রিকা সরকার।

ওপারম্যান বলেন, ‘অক্টোবরের নাটক সত্ত্বেও সাউথ আফ্রিকা আপাতত আইএস থেকে কিছুটা নিরাপদ। তারপরও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সতর্কতা না পেলে কর্তৃপক্ষ হয়তো বিষয়টি ধরতেই পারবে না।’

আরও পড়ুন:
কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার দায় নিল আইএস
কেলেঙ্কারিতেও গদি ছাড়বেন না সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট
জঙ্গি ছিনতাইয়ের আসামি ঈদী আমিনের ৩ আশ্রয়দাতা কারাগারে
জঙ্গি ছিনতাই মামলায় ১০ আসামি আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
শীর্ষ নেতা নিহতের খবর জানাল আইএস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
26 killed in collision between two minibuses in Ivory Coast

আইভরি কোস্টে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে নিহত ২৬

আইভরি কোস্টে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে নিহত ২৬ আইভরি কোস্টের ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে অনেকে হতাহত হন। ছবি: এএফপি
সড়ক পরিবহনের মহাপরিচালক ওমর সাকো এক বিবৃতিতে বলেন, ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

আইভরি কোস্টের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।

সড়ক পরিবহনের মহাপরিচালক ওমর সাকো এক বিবৃতিতে বলেন, ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

বিবৃতিতে আর বলা হয়, ‘দুর্ঘটনাস্থলে মন্ত্রণালয়ের একটি দলকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।’

কিছু রাস্তা ও যানবাহনের খারাপ অবস্থার কারণে এবং চালকরা ড্রাইভিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় আইভরি কোস্টে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৷

গত মাসে গাগনোয়া শহরের কাছে দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়। গত সেপ্টেম্বরে আইভরি কোস্টের উত্তরে একটি গাড়ি ও একটি ট্যাংকারের সংঘর্ষে ১৩ জন দগ্ধ হন।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মতে, আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর গড়ে ১ থেকে দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার চালকদের লাইসেন্সের পয়েন্ট, পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক ব্যবস্থা চালু করেছে।

আরও পড়ুন:
শাহবাগে বাসের ধাক্কায় ফুল ব্যবসায়ী নিহত
নওগাঁয় সড়কে প্রাণ গেল তিনজনের
শোকস্তব্ধ বাকশিমূল
ব্যাটারিচালিত ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কায় দুজন নিহত
ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত, তিনজন আহত 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Boat sinking 27 dead hundreds missing in Nigeria

নৌকাডুবি: নাইজেরিয়ায় ২৭ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ শতাধিক

নৌকাডুবি: নাইজেরিয়ায় ২৭ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ শতাধিক নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক যাত্রী, যাদের বেশির ভাগই নারী। ছবি: এএফপি
নাইজার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ইব্রাহিম অদু এএফপিকে জানান, নৌকাটি কোগি রাজ্য থেকে পাশের নাইজার রাজ্যের একটি বাজারে যাওয়ার পথে ডুবে যায়।

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নাইজার নদীতে শুক্রবার ২০০ যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে ২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক যাত্রী, যাদের বেশির ভাগই নারী।

নাইজেরিয়ার আবুজা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

নাইজার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ইব্রাহিম অদু এএফপিকে জানান, নৌকাটি কোগি রাজ্য থেকে পাশের নাইজার রাজ্যের একটি বাজারে যাওয়ার পথে ডুবে যায়।

কোগি রাজ্যের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র সান্দ্রা মুসা জানান, উদ্ধারকারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় নদী থেকে ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজদের উদ্ধারে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।

কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কী কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে, তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।

নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় নৌকাই ওইসব অঞ্চলের চলাচলের একমাত্র বাহন।

আরও পড়ুন:
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ১২, থাকতে পারে বাংলাদেশিও
আফগানিস্তানে নৌকাডুবি, নিহত অন্তত ২০
নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন, নিহত ১১
নাইজেরিয়ার স্কুল থেকে অপহৃত ২৭৫ শিক্ষার্থীর খোঁজ নেই এখনও
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো ৮ জন গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
34 million children at high risk of epidemic disease in Sudan UNICEF UNB

সুদানে মহামারি রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ

সুদানে মহামারি রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ সুদানের একটি শিশুকে দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। ছবি: ইউএনবি
এক বিবৃতিতে সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট মঙ্গলবার জানান, ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, হাম ও রুবেলার মতো রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রান্ত রাজ্য ও এর বাইরে শিশুদের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে।

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত ৩৪ লাখ শিশু মারাত্মক মহামারি রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।

এক বিবৃতিতে সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট মঙ্গলবার জানান, ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, হাম ও রুবেলার মতো রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রান্ত রাজ্য ও এর বাইরে শিশুদের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে টিকাদানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এ সংকট দেখা দিয়েছে। সুদানের অনেক শিশুর পুষ্টির অবস্থার অবনতি তাদের আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ গত ৯ সেপ্টেম্বর সুদানে ৪ লাখ ৪ হাজার ডোজ ওরাল কলেরা টিকা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সুদানে টিকা দেয়া ৮৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।

এতে বলা হয়, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি হাসপাতালেই কার্যকম বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বেতনও পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।

গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন মারা গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ সময় কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মহামারি রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব রোগের কারণেও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১৭ আগস্ট দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেন সুদানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইথাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কলেরা ছড়িয়ে পড়ার জন্য সংঘাতের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অবনতি এবং অপরিষ্কার পানির ব্যবহারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টি মঙ্গলবার জানায়, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৩২৮ জনের মৃত্যুসহ ১০ হাজার ২২ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সুদান থেকে ফিরলেন ১৩৬ বাংলাদেশি
সুদান থেকে সৌদিতে ৭০ বাংলাদেশি, সকালে ঢাকায় ফিরবেন
সুদান নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ, যাচ্ছেন বিশেষ দূত
সুদানে আটকা দেড় হাজার বাংলাদেশি, ফিরতে দ্রুত নিবন্ধনের আহ্বান
সুদান থেকে যেভাবে দেশে আনা হবে বাংলাদেশিদের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
17 students were killed in a fire at a boarding school in Kenya

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণহানি

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণহানি কেনিয়ার নিয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাশা একাডেমি। ছবি: বিবিসি
আগুনে হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাদের বেশির ভাগ শিশু বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলে একটি বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুনে ১৭ শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ও ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাশা একাডেমি নামের বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে আগুনে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আহতদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আগুনে হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাদের বেশির ভাগ শিশু বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক স্কুলটিতে আট শর মতো শিক্ষার্থী আছে, যাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২ বছর।

পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো জানান, বৃহস্পতিবার রাতের আগুনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেয়া হবে।

তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, সেগুলো দেখে শনাক্তের উপায় নেই।

কেনিয়ার হট ৯৬ নামের এফএম রেডিওকে ওনিয়াঙ্গো জানান, আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে সরকারের একটি দল।

পূর্ব আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো আগুনে প্রাণহানির খবরে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
কেনিয়ায় কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত ১০
নাইরোবির বিস্ফোরণে আরও এক প্রাণহানি, বাড়ল আহতের সংখ্যাও
কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক
যীশুর সাক্ষাৎ পেতে উপোস, ৪ জনের মৃত্যু

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
14 killed in collision between two cars in Mali

মালিতে দুই গাড়ির সংঘর্ষে নিহত ১৪

মালিতে দুই গাড়ির সংঘর্ষে  নিহত ১৪ মালিতে দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত গাড়ি। ছবি: ইউএনবি
মালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানী বামাকোর দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রেইলার ট্রাকের সঙ্গে একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতদের সবাইকে ফানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে দুটি গাড়ির সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনবি।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ছয়টার দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ফুগানি গ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানী বামাকোর দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রেইলার ট্রাকের সঙ্গে একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতদের সবাইকে ফানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইউএনবির খবরে আরও জানানো হয়, দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে মালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়।

সড়কের দুরাবস্থা ও নিম্নমানের যানবাহনের কারণে মালিতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন:
মুক্ত ক্রুদের ঘরে ঈদের আনন্দ
সোমালিয়ায় জিম্মি সাইদুজ্জামানের পরিবারকে ঈদ উপহার নওগাঁর ডিসির
সোমালি দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের
জাহাজটিকে অন্য কোথাও সরিয়েছে জলদস্যুরা: কবির গ্রুপ 
এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে ‘অপারেশন আটলান্টা’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dam collapses in Sudan kills 60 report

সুদানে বাঁধ ধসে ৬০ জন নিহত: প্রতিবেদন

সুদানে বাঁধ ধসে ৬০ জন নিহত: প্রতিবেদন সুদানের উত্তরাঞ্চলীয় আবু হামদান শহরের কাছে জমে থাকা বন্যার পানি। ছবি: এপি
জাতিসংঘের ভাষ্য, ধসের ঘটনায় ২০টি গ্রাম ধ্বংস হয়েছে। একই সঙ্গে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি।

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোববার রাতের বিবৃতির বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, পোর্ট সুদানের উত্তরে আরবাত বাঁধ ধসের ফলে বন্যার পানিতে চারজন নিহত হন; ভেসে যায় ঘরবাড়ি।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বন্যায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জনবল মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-তাঘির ও মেদামিকসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, বাঁধ ধসে প্রাণহানি বেড়ে কমপক্ষে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাঁধ দুর্ঘটনায় অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন।

জাতিসংঘের ভাষ্য, ধসের ঘটনায় ২০টি গ্রাম ধ্বংস হয়েছে। একই সঙ্গে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি।

আলি ইসা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা আল জাজিরাকে জানান, বন্যার পানির কারণে লোকজনের গাড়িতে আটকা পড়ার বার্তা পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:
কলকাতার ‘ফেয়ার অ‌্যান্ড আগলি’তে বাঁধন
ভাঙনের কবলে কুশিয়ারার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
বাঁধন জবি ইউনিটের দায়িত্বে বিজয়-মেহেদী
স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়াই তীরে হলো বেড়িবাঁধ
বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি বোর্ড প্রধান বাঁধন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
22 killed in school building collapse in Nigeria

নাইজেরিয়ায় স্কুল ভবন ধসে নিহত ২২

নাইজেরিয়ায় স্কুল ভবন ধসে নিহত ২২ স্কুলের কার্যক্রম চলাকালে ভবনটি ধসে পড়ে। ছবি: স্কাই নিউজ
নাইজেরিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এনইএমএ এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, এখনও হাসপাতালে আছেন ৩০ জন।

নাইজেরিয়ার প্লাটো রাজ্যে দুই তলা স্কুলের ভবন ধসে ২২ জন নিহত হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে স্কাই নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল ১৫৪ জন মানুষ। তাদের মধ্যে প্রাণ হারানো ২২ জন বাদে বাকি সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের এক মুখপাত্রের বরাতে স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নাইজেরিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এনইএমএ এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, এখনও হাসপাতালে আছেন ৩০ জন।

সংস্থাটি আরও জানায়, উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিষ্কার করা হয়েছে।

প্লাটো রাজ্যের জস উত্তর জেলার বুসা বুজি সম্প্রদায়ের সেন্ট অ্যাকাডেমির নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল দুই তলা স্কুল ভবনটি। স্কুলের কার্যক্রম চলাকালে ভবনটি ধসে পড়ে।

নিরাপত্তা তদারকিতে শৈথিল্য ও মানহীন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে নাইজেরিয়ায় প্রায়ই ভবন ধসে পড়ে।

আরও পড়ুন:
‘মদ্যপ’ চালকের টয়োটা কার্নিভাল, ৭ মৃত্যু  
মুম্বাইয়ে চারতলা ভবনধসে ১৯ জনের মৃত্যু
নাইজেরিয়ায় গির্জায় পদদলিত হয়ে নিহত ৩১
খ্রিষ্টান হওয়ার কারণেই কি নারীকে আক্রমণ
নাইজেরিয়ায় তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, শতাধিক মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে