× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
How Africa is the second home of IS
google_news print-icon

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম

আফ্রিকা-যেভাবে-আইএসের-সেকেন্ড-হোম
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ সাভানা অঞ্চল থেকে উত্তরে সাহারা এবং সোমালিয়াকে আলাদা করেছে বিস্তীর্ণ শুষ্ক ভূমি সাহেল। এখানে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমানা মিলেছে। ত্রি-সীমান্ত এই অঞ্চলটিই এখন জঙ্গিদের হটস্পট। স্থানীয় লোকজন এখানে জঙ্গি হামলার শিকার হয়; তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ।

সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের অন্যতম ধনী একটি এলাকায় বড় সমাবেশে সন্ত্রাসীরা হামলার পরিকল্পনা করছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কিছু দেশ। অপ্রত্যাশিত এই সতর্কবার্তা সাউথ আফ্রিকার সরকারের পাশাপাশি দেশটির জনগণকেও অবাক করেছে। ফলাফল, জোহানেসবার্গের রাস্তায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি

সতর্কতাটি ছিল ২৯ অক্টোবর ঘিরে। তবে উত্তেজনায় পানি ঢেলে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সাউথ আফ্রিকার সরকারও পরে ওই হুমকি নিয়ে আর কথা বলেনি।

তবে বিশেষজ্ঞরা এই সতর্কতাকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন, সমস্ত কর্মকাণ্ড সাউথ আফ্রিকায় একটি অসম্ভাব্য-নীরব অপরাধকে ইশারা করছে...মধ্যপ্রাচ্যের উগ্রবাদী সংগঠন-আইএস।

ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের (আইএসএস) প্রধান বিশ্লেষক মার্টিন ইউই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চিতভাবে হামলার প্রমাণ ছিল। এটি ছিল সুনির্দিষ্ট একটি সতর্কতা। কারণ, কখন এবং কোথায় হামলা হতে যাচ্ছে তা তারা প্রকাশ করেছিল। খুব কম সতর্কতায় এই ধরনের বিবরণ থাকে।’

শুরুতে সাউথ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ হুমকিটিকে অতটা গুরুত্ব দেয়নি। ২৯ অক্টোবর কোনো হামলা না হলেও, এই খবরে গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়ে গেছে। যে ভয়টা করা হচ্ছিল সেটাই হয়েছে। সাউথ আফ্রিকায় ইতোমধ্যে তারা ঢুকে পড়েছে। আইএস একটি দ্রুত সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে আফ্রিকাকে তারা তাদের দ্বিতীয় বাড়ি (সেকেন্ড হোম) বানিয়েছে।

আফ্রিকায় আইএসের উপস্থিতি মোজাম্বিকে সবচেয়ে চোখে পড়ে। সেখানে আইএস নেতা আহলু সুন্নাহ ওয়া জামা’আ (এএসডব্লিওজে) দেশটির ৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে; প্রায় ১০ লাখ মানুষকে করেছে বাস্তুচ্যুত। বিলিয়ন ডলারের গ্যাস বিনিয়োগের ওপর হুমকিও দিয়েছে৷

তবে প্রতিবেশী সাউথ আফ্রিকায় আইএস সমর্থকদের একটি উদীয়মান নেটওয়ার্ক। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ মুসলিম

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম
মোজাম্বিকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে বতসোয়ানা থেকে এসেছেন সামরিক কর্মীরা। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ জেসমিন ওপারম্যান বলেন, ‘আইএসের হুমকি এখানে বাড়ছে। সাউথ আফ্রিকানরা আসলে বোকা। তারা জোর করে এটা বিশ্বাস করতে চাইছে যে তাদের সঙ্গে কখনোই এমন কিছু ঘটতে পারে না।

‘সাউথ আফ্রিকা সরকার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছে। কয়েক বছর আগে ৬০ থেকে ১০০ সাউথ আফ্রিকান আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া এবং ইরাকে চলে গিয়েছিল। তাদের কেউ কেউ ফিরে গেছেন।

‘আমাদের সজাগ হতে হবে, চোখ খুলে হুমকিটা দেখতে হবে।’

মধ্যপ্রাচ্যে ২০১৯ সালে আঞ্চলিক পরাজয়ের স্বাদ নেয় আইএস। তারপর থেকে তারা আফ্রিকায় পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। আফ্রিকায় থিতু হতে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, দুর্বল সীমান্ত ও শাসনের দেশগুলোকে বেছে নেয় আইএস।

ইউই বলেন, ‘আফ্রিকার অন্তত ২০ দেশের আইএসের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। মধ্যপ্রাচ্যের পর আফ্রিকাকে একটি সক্রিয় হাব বানিয়েছে তারা।’

মধ্যপ্রাচ্যে আইএস খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তবে সেখানে ব্যাপক মার খেয়েছে সংঠনটি। আফ্রিকায় তাই কৌশল পাল্টেছে আইএস। সরাসরি শাসনে না গিয়ে স্থানীয় বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ‘চিরশত্রু’ আল-কায়েদার সঙ্গেও আফ্রিকায় আঁতাত করেছে আইএস।

যেসব দেশ আইএস নির্মূলে দৃঢ় অবস্থানে ছিল, সংগঠনটির পুনর্গঠনের পর সেসব দেশও হতবাক হয়েছে। একসময় আইএস এবং আল-কায়েদার মতো সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফায়দা নিত নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। আফ্রিকায় সেই দিনগুলো হয়তো শেষ হয়ে যাবে।

ইউই বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ। যখন জঙ্গিরা ইরাক এবং সিরিয়ায় ছিল তখন তাদের তাড়িয়ে দেয়া সহজ ছিল।

‘কিন্তু এখন যখন তারা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি কীভাবে তাদের তাড়িয়ে দেবেন’?

২০১৪ সালের দিকে আফ্রিকা মহাদেশে ঢুকতে শুরু করে আইএস। মধ্যপ্রাচ্য কোণঠাসা হয়ে পড়লে তাদের মূল ফোকাস হয়ে উঠে আফ্রিকা৷ আফ্রিকান শাখাগুলো এখন মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোর চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম
ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করে আইএস । ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

আইএসের পাশাপাশি আফ্রিকায় অনেকগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন সক্রিয়। তাদের কর্মকাণ্ড দিন দিন বাড়ছেই। পেন্টাগনের অর্থায়নে পরিচালিত আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অনুসারে, গত এক দশকে তাদের হামলার হার ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। জঙ্গি হামলায় গত বছর ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ সাভানা অঞ্চল থেকে উত্তরে সাহারা এবং সোমালিয়াকে আলাদা করেছে বিস্তীর্ণ শুষ্ক ভূমি সাহেল। এখানে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমানা মিলেছে। ত্রি-সীমান্ত এই অঞ্চলটিই এখন জঙ্গিদের হটস্পট। স্থানীয়রা এখানে জঙ্গি হামলার শিকার হন; তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় মুক্তিপণ।

এসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে অন্যতম ইসলামিক স্টেট গ্রেটার সাহারা-আইএসজিএস। ২০২২ সালে সাহেলে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় সংগঠনটি অভিযুক্ত।

লেক চাদ অঞ্চলে উগ্রবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশের (আইএসডব্লিওএপি) আধিপত্য রয়েছে। জুনে মূল সংগঠন আইএসআইএসকে নাইজেরিয়ায় হামলা চালাতে সহায়তা করেছিল আইএসডব্লিওএপি।

ইউই বলেন, ‘সোমালিয়া, লিবিয়া, মিশর এবং কঙ্গোয় তাদের সক্রিয় নেটওয়ার্ক রয়েছে। তানজানিয়া, নাইজার এবং কেনিয়ার তাদের শাখাগুলোকেও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আসলে প্রতিটি দেশই বিপদে আছে।’

সাউথ আফ্রিকার স্যান্ডটনে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহান্তে হামলা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতো। সেদিন শহরে বার্ষিক কুচকাওয়াজের (প্রাইড মার্চ) আয়োজন ছিল; যেখানে যোগ দিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। সেখান থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরে আরেকটি সমাগমস্থল ছিল

আফ্রিকা যেভাবে আইএসের সেকেন্ড হোম
জোহানেসবার্গে ‘প্রাইড মার্চ ২০২২’। ছবি: এলিজাবেথ সেজাকে

জোহানেসবার্গ প্রাইডের প্রতিষ্ঠাতা কায় অ্যালি বলেন, ‘কিছু হলে অনেক মানুষের জীবনে তা প্রভাব ফেলত। তারপরও আমরা সেখানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

‘কোভিডের কারণে গত দুই বছর অনলাইনে আয়োজন হয়েছে। এবারও যদি আয়োজন বাতিল করি তবে তা হতো সন্ত্রাসীদের কাছে নতিস্বীকার করা।

‘পুলিশের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল। নিরাপত্তাও ১০ গুণ বেশি ছিল। আমাদের কারও মনেই হয়নি যে আমরা বিপদে আছে।’

বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন প্রাইড মার্চ হতে পারে হামলার লক্ষ্য। সেখানে সাধারণত দেড় লাখ মানুষ উপস্থিত হন। নিরাপত্তা সতর্কতা ভাইরাল হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং সাউথ আফ্রিকা সরকার অ্যালিকে হুমকির বিষয়টি জানিয়েছিল।

তবে অ্যালি দাবি করেন, তার ইভেন্টে সরাসরি হুমকি ছিল না।

‘যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগে ছিল। কারণ, তাদের কর্মীদের ইভেন্টে থাকার কথা ছিল। তারাও কিছু বলেনি।’

সাউথ আফ্রিকার ডারবান এবং কেপটাউনকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, আইএসআইএস নেটওয়ার্কগুলো মোজাম্বিক এবং ডিআর কঙ্গোর শাখাগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বলে মনে হচ্ছে৷

ইউই বলেন, উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর বেশির ভাগ সদস্য বৈধ ব্যবসায় জড়িত। এ কারণে তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করা কঠিন। এখনও সন্দেহভাজনদের আটক বা সতর্কতার প্রতিক্রিয়া জানাতে খুব একটা সক্রিয় না সাউথ আফ্রিকা সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজের মন্তব্যের অনুরোধে সরাসরি সাড়া দেয়নি। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস ঘটনার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘হোয়াইট হাউস সাউথ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

‘যখন আমাদের কাছে একটি সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে তথ্য থাকে, তখন আমরা আমেরিকান কর্মীদের (দূতাবাস কর্মী) তা সরবরাহ করি।’

আইএসের কয়েকজন সদস্যের তালিকা করেছে সাউথ আফ্রিকা। কোয়াজুলু-নাটালে দুই ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদকে হত্যার দায়ে এক দম্পতিসহ তিনজনের বিচার চলছে। হত্যার পর দুই ব্রিটিশ নাগরিকের মরদেহ খুনিরা কুমিরের মুখে ফেলে দিয়েছিল। এ ছাড়া বোমা হামলার পরিকল্পনা এবং আইএসে যোগ দেয়ার অভিযোগে দুইজনকে জেলে ঢুকিয়েছে সাউথ আফ্রিকা সরকার।

ওপারম্যান বলেন, ‘অক্টোবরের নাটক সত্ত্বেও সাউথ আফ্রিকা আপাতত আইএস থেকে কিছুটা নিরাপদ। তারপরও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সতর্কতা না পেলে কর্তৃপক্ষ হয়তো বিষয়টি ধরতেই পারবে না।’

আরও পড়ুন:
কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার দায় নিল আইএস
কেলেঙ্কারিতেও গদি ছাড়বেন না সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট
জঙ্গি ছিনতাইয়ের আসামি ঈদী আমিনের ৩ আশ্রয়দাতা কারাগারে
জঙ্গি ছিনতাই মামলায় ১০ আসামি আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
শীর্ষ নেতা নিহতের খবর জানাল আইএস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
45 killed in bus ditch in South Africa

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫ দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো প্রদেশে বৃহস্পতিবার বাস দুর্ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে মামাতলাকালা এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা খায় বাসটি। পরে ১৬৪ ফুট নিচের খাদে পড়া যানটিতে আগুন ধরে যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে খাদে পড়া একটি বাসের ৪৬ যাত্রীর মধ্যে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন বিভাগ।

আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী আট বছর বয়সী এক মেয়ে, যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে মামাতলাকালা এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা খায় বাসটি। পরে ১৬৪ ফুট নিচের খাদে পড়া যানটিতে আগুন ধরে যায়।

পার্শ্ববর্তী দেশ বতসোয়ানা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো প্রদেশের মরিয়া যাওয়ার পথে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

ইস্টার সানডে উপলক্ষে লিমপোপোতে জনপ্রিয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বছর ৩১ মার্চ দিবসটি উদযাপন করা হবে।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহনমন্ত্রী সিন্ডিসিওয়ে চিকুঙ্গা।

দুর্ঘটনায় কিছু কিছু যাত্রীর দেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তা শনাক্ত করা যাবে না।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দপ্তর জানায়, বাস দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বতসোয়ানার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:
চলন্ত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চালক অঙ্গার
ট্রেন দুর্ঘটনায় কারও সম্পৃক্ততা থাকলে ব্যবস্থা: রেলমন্ত্রী
পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৬
ভৈরবে প্রমোদতরি ডুবি: একজনের মৃত্যু, নিখোঁজ আট
শ্যালকের বিয়ে শেষে না ফেরার দেশে দুলাভাই

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
31 dead after bus falls into river in Mali

মালিতে বাস নদীতে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু

মালিতে বাস নদীতে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু মালিতে একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে নদীতে পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: জিনহুয়া
পশ্চিম আফ্রিকায় বেশির ভাগ গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া ও বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে নদীতে পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে মালিয়ান শহর কেনিয়েবা থেকে বুরকিনা ফাসো যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাসটিতে মালিসহ পশ্চিম আফ্রিকার অন্য দেশের নাগরিকও ছিলেন।

পশ্চিম আফ্রিকায় বেশির ভাগ গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া ও বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

২০২৩ সালে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকাতে বিশ্বের যানবাহন সুবিধার মাত্র দুই শতাংশ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে মহাদেশটিতে।

আরও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
মালিতে স্বর্ণের খনিতে টানেল ধসে নিহত ৭০
মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন
দক্ষিণ আফ্রিকায় চাঁদা না পেয়ে বাংলাদেশির প্রাণ নিল সন্ত্রাসীরা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Many casualties are feared in the attack on the mosque church in Burkina Faso

বুরকিনা ফাসোতে মসজিদ গির্জায় হামলা, অনেক হতাহতের শঙ্কা

বুরকিনা ফাসোতে মসজিদ গির্জায় হামলা, অনেক হতাহতের শঙ্কা বুরকিনা ফাসোর বানি শহরের একটি মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ মালি থেকে আসা আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর একটি মসজিদে হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে একই দিনে একটি ক্যাথলিক গির্জায় হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজের সময় কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি নাটিয়াবোনি শহরের একটি মসজিদে ঢুকে হামলা চালায়। এতে নামাজে থাকা অনেক মুসলিম নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই পুরুষ। নিহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

বেনিন এবং টোগোর সীমান্তের কাছাকাছি বুরকিনার এ অঞ্চলটি ২০১৮ সাল থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা নিয়মিত আক্রমণের শিকার হচ্ছে।

এদিকে মসজিদে হামলার একই দিনে বুরকিনা ফাসোর সাহেল অঞ্চলের ডোরি শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এসসাকানে গ্রামে সমাবেশের সময় একটি ক্যাথলিক গির্জায় হামলা করা হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে বলে জানান গির্জার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

সম্প্রতি বুরকিনা ফাসোর উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি সামরিক দলও হামলার শিকার হয়।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি) অনুসারে, ২০১২ সালে মালি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় বুরকিনা ফাসোতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘ বলছে, দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ মালি থেকে আসা আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

এ ছাড়া গত তিন বছরে দেশটির মসজিদ ও গির্জাগুলোকে বারবারই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের প্রার্থনায় বাধা নেই
মেক্সিকোতে গির্জার ছাদ ধসে প্রাণ গেল সাতজনের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Gas explosion in Kenya killed 2 injured more than 200

কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক

কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক নাইরোবির বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৭১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
দেশটির সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আগুনের ঘটনায় গ্যাস রিফিলিং কোম্পানির ভবনটি পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ২২২ জনের মতো দগ্ধ হয়েছে।

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে দুইজন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

নাইরোবির এমবাকাসি পাড়ায় স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে একটি গ্যাস রিফিলিং কোম্পানিতে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

কেনিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত দুই শতাধিক
ছবি: রয়টার্স

দেশটির সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আগুনের ঘটনায় গ্যাস রিফিলিং কোম্পানির ভবনটি পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ২২২ জনের মতো আহত হয়েছে।

রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ আগুন নিকটবর্তী একটি টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। এতে ওই স্থানের বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং বাণিজ্যিক ও আবাসিক সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

কেনিয়ার রেড ক্রস জানিয়েছে, নাইরোবির বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৭১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
৪৫ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে চকবাজারে দোকানের আগুন
দোহারে বাইরে থেকে তালা দিয়ে ঘরে আগুন, স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ঝুট গুদাম
ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ছাই স্কুল
কারওয়ান বাজারে বস্তিতে আগুন, নিহত ২

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The end of the UN peacekeeping mission in Mali

মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন

মালিতে বন্ধ হলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মালিতে ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে জাতিসংঘ। ছবি: রয়টার্স
দেশটিতে ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল জাতিসংঘ। ২০২০ সালে সামরিক সরকার মালির শাসনক্ষমতা নেয়ার পর গত জুনে তারা এ শান্তিরক্ষা মিশনটি বন্ধ করার দাবি জানায়।

আফ্রিকার দেশ মালিতে এক দশক পর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার।

মিশনটির মুখপাত্র ফাতৌমাতা কাবার বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মালিতে জাতিসংঘের ইউএন মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন মালি (এমআইএনইউএসএমএ) নামে পরিচিত মিশনটির রাজধানী বামাকোর সদর দপ্তরে জাতিসংঘের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।

মুখপাত্র কাবা জানান, পতাকা নামিয়ে ফেলার বিষয়টি প্রতীকী, যা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি বোঝায়।

তবে মিশনের কিছু কাজকর্ম এখনও চলছে, যেগুলো জানুয়ারির পর সমাপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

দেশটিতে ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছিল জাতিসংঘ। ২০২০ সালে সামরিক সরকার মালির শাসনক্ষমতা নেয়ার পর গত জুনে তারা এ শান্তিরক্ষা মিশনটি বন্ধ করার দাবি জানায়।

তারা আর মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি দেখতে চায় না বলে জানান।

আরও পড়ুন:
গেইলের পর টি-টোয়েন্টিতে শোয়েব মালিকের ১২ হাজার
সোমালিয়ায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০০
কঙ্গনার নির্বাচনে দাঁড়ানোর গুঞ্জন শুনে চটলেন হেমা মালিনী
সোমালিয়ার হোটেলে জিম্মিদশা কাটল ৩০ ঘণ্টার অভিযানে
আমেরিকার বিমান হামলা: সোমালিয়ায় নিহত ১৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Military drone strike accidentally kills 85 civilians in Nigeria

নাইজেরিয়ায় সামরিক ড্রোন হামলায় ‘ভুলবশত’ ৮৫ বেসামরিক নিহত

নাইজেরিয়ায় সামরিক ড্রোন হামলায় ‘ভুলবশত’ ৮৫ বেসামরিক নিহত প্রতীকী ছবি
এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার একটি সামরিক বিমান বোর্নো রাজ্যের দাগলুনে বোমা ফেলে ২০ জন বেসামরিককে হত্যা করে।

নাইজেরিয়ায় বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চালানো সামরিক ড্রোন হামলায় ভুলবশত ৮৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদুনা রাজ্যের তুদুন বিরি গ্রামে রোববার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুসলমানরা সেখানে ধর্মীয় উৎসবে জড়ো হয়েছিলেন।

কাদুনা গভর্নর উবা সানি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে চালানো ড্রোন হামলায় ভুলে বেসামরিকদের হত্যা করা হয়েছে। এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন।’

ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ৮৫টি মরদেহ এখন পর্যন্ত কবর দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান কাজ চলছে।

এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নাইজেরিয়া দপ্তর ওই এলাকায় তাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের বরাত দিয়ে বলছে, হামলায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন।

অ্যামনেস্টির নাইজেরিয়ার পরিচালক ইসা সানুসি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।

নাইজেরিয়ার উপদ্রুত অঞ্চলে বাসিন্দাদের ওপর ‘ভুল’ বোমা হামলার সবশেষ ঘটনা ছিল এটি। এর আগে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার একটি সামরিক বিমান বোর্নো রাজ্যের দাগলুনে বোমা ফেলে ২০ জন বেসামরিককে হত্যা করে ও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আবাসিক এলাকায় এই ধরনের বোমা হামলার অন্তত ১৪টি ঘটনার রেকর্ড রয়েছে।

এ হামলায় নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৮
আইফেল টাওয়ারের কাছে হামলায় একজন নিহত
যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি
আতঙ্কে আল-শিফা ছেড়েছে শতাধিক গাজাবাসী
হামলায় বিধ্বস্ত গাজার ৬০ মসজিদ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
France withdraws diplomatic troops from Niger

নাইজার থেকে দূত, সেনা প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স

নাইজার থেকে দূত, সেনা প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স নাইজার থেকে দূত ও সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এপি
নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলতি বছরের জুলাইয়ে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

এক টেলিভিশনে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’

নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ‍ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনীর চাপ ও জনতার বিক্ষোভের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত ঘোষণা দিলেন।

নাইজারে গত ২৬ জুলাই হওয়া অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দেয়া মাখোঁর কাছে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সামরিক নেতারা। সেনা প্রত্যাহারের কাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের পথে নতুন ধাপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যাতে নাইজারের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
নাইজারে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে ওয়াগনার: যুক্তরাষ্ট্র
ইকোওয়াসের আলটিমেটাম শেষ, আকাশসীমা বন্ধ করল নাইজার
নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের

মন্তব্য

p
উপরে