ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বাইডেন। এ সময় দুই শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই রাশিয়ার যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানান।
বাইডেন বলেন, ‘আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত... যদি সত্যিই তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান।’
পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠক নিয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট বৈঠকে রাজি।’
যদিও ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমেরিকার শর্ত মানতে প্রস্তুত নয় মস্কো। প্রেসিডেন্ট বাইডেন আসলে কী বলেছেন? তিনি বলেছেন যে পুতিন ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরই আলোচনা সম্ভব। ’
যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত আলোচনার ক্ষেত্রকে জটিল করে তুলেছে উল্লেখ করে পেসকোভ বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে নেয়া নতুন রুশ অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।’
এদিকে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জানান, যেসব বিষয় ইউক্রেনীয়দের গ্রহণযোগ্য নয়, সেসব বিষয়ে দেশটির নাগরিকদের আপসের অনুরোধ তিনি করবেন না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক জানিয়েছেন, যুদ্ধে তাদের ১০ থেকে ১৩ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
গত মাসে আমেরিকান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর থেকে ইউক্রেনের ১ লাখ এবং রাশিয়ার ১ লাখ সেনা হতাহত হয়েছেন।’
এক ভিডিও বার্তায় বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন বলেন, ‘রুশ হামলায় এক লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। পরে অবশ্য ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র জানান, হতাহতার এই সংখ্যা ভুল ছিল।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান আরও জানান, ইউক্রেন যুদ্ধে প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন।’
হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেন। এতে কিয়েভের জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সরবরাহ বৃদ্ধি এবং প্যারিসে ইউক্রেন ইস্যুতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। সম্মেলনটি ১৩ ডিসেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে।
সুইডেনের পর এবার ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী কোপেনহেগেনে শুক্রবার তুরস্কের দূতাবাসের কাছে অবস্থিত একটি মসজিদ ও তুরস্কের দূতাবাসের কাছে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় নিদর্শন অবমাননার এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ আবারও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী রাসমুস পালুদান ও তার দল হার্ড লাইনের অনুসারীরা এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে পালুদান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যতদিন সুইডেনকে অন্তর্ভুক্ত করা না হবে ততদিন এই কর্মসূচি অব্যহত রাখবেন তিনি ও তার অনুসারীরা।
সুইডেন ও ডেনমার্কের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে পালুদানের। গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনাতেও সংশ্লিষ্টতা আছে তার। সেদিন সুইডিশ অনুসারীরাই সেদিন এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থকদের সঙ্গে ছবি তোলায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের খেলা মাঠে বসে দেখতে পারলেন না তার বাবা জার্ডান জকোভিচ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার শুরু বুধবার। ওইদিন কোয়ার্টার ফাইনালে আন্দ্রে রুবলেভের বিরুদ্ধে জকোভিচের জয়ের পর রড লেভার অ্যারেনার বাইরে কয়েকজনকে মিছিল করতে দেখা গেছে, যাদের হাতে ছিল রাশিয়ার পতাকা ও পুতিনের ছবি ছিল। সেই মিছিলে জকোভিচের বাবাকেও দেখা গেছে। এমনকি তিনি পুতিনের সমর্থনে স্লোগানও দিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে আমেরিকান টমিকে ৭-৫, ৬-১ ও ৬-২ সেটে হারান নোভাক।
ছেলের খেলা মাঠে বসে দেখা নিয়ে এক বিবৃতিতে জার্ডান বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি শুধু আমার ছেলেকে সমর্থন দিতে।’
পুতিনপন্থিদের সঙ্গে ছবি তোলার বিষয়ে জার্ডান বলেন, ‘আমি নোভাকের সমর্থকদের সঙ্গে ছবি তুলে ছিলাম। আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এরই মধ্যে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে টেনিস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শান্তি ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:মার্চের শেষে অথবা এপ্রিলের শুরুতে ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাদের এ ট্যাংক চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মুখে বুধবার ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠাতে সম্মত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ।
তিনি জানান, জার্মানি প্রাথমিকভাবে ১৪টি লেপার্ড টু ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানো হবে। কিন্তু কিয়েভের সরকারের চাহিদা আরও বেশি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ৩০০টি লেপার্ড ট্যাংক হলে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করবে তার সেনারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, তারা ট্যাংক দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে।
লেপার্ড–২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন:সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদের কাছ থেকে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাংক পাওয়ার নিশ্চয়তার পর তাদের যুদ্ধবিমান দেয়ার তাগিদ দেবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
স্থানীয় সময় বুধবার ইউক্রেনকে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাংক দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র, যাকে ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এমন বাস্তবতায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বলেন, ‘পরবর্তী বড় বাধা হবে যুদ্ধবিমান পাওয়া। এগুলো হাতে পেলে রণাঙ্গনে বিশাল সুবিধা পাওয়া যাবে।’
রাশিয়ার সঙ্গে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধরত ইউক্রেনের হাতে বর্তমানে যেসব যুদ্ধবিমান আছে, সেগুলো সোভিয়েত আমলের। এগুলো বহরে যুক্ত হয় ৩১ বছরের বেশি আগে ইউক্রেন স্বাধীন হওয়ার পূর্বে। এ বিমানগুলো দিয়েই রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় দেশটি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৈশ্বিক পরাশক্তি রাশিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনের জন্য। পশ্চিমা দেশগুলোও নানা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে দেশটিকে।
রাশিয়া হামলা চালানোর আগে ইউক্রেনে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ নিয়েই বিতর্ক ছিল, কিন্তু রুশ হামলা শুরুর পর একে একে নানা ধাপ অতিক্রম করে কিয়েভকে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।
আরও পড়ুন:জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ যুদ্ধে ব্যবহৃত ‘লেপার্ড টু’ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে সম্মত হয়েছেন বলে কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সামরিক অভিযানে থাকা রুশ সেনাদের হটাতে ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র দিতে জার্মানির ওপর সপ্তাহ ধরে অব্যাহত চাপের মধ্যে এমন খবর প্রকাশ হলো।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্যাংক পাঠাতে জার্মানির সম্মতির খবরের মধ্যে সংবাদমাধ্যমকে একই ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, ইউক্রেনের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের কাছে বেশ কিছু এমওয়ান আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে ঘোষণা আসবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসগুলোতে প্রায় ৩০টি আব্রামস ট্যাংক দিতে পারে ইউক্রেনকে।
এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জার্মানির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ডকে তাদের হাতে থাকা ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে জার্মানি।
বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, জার্মানি থেকে কেনা সামরিক সরঞ্জাম অন্য কোনো দেশের কাছে বিক্রির আগে বার্লিনের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন:সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে শনিবার তুরস্কবিরোধী বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছেন কট্টর ডানপন্থি এক রাজনীতিক।
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্কসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন দেশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তুরস্কবিরোধী বিক্ষোভের দিনে ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানের চেষ্টার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ হয়েছে।
এতে বলা হয়, সামরিক জোটে প্রবেশের জন্য যখন তুরস্কের সমর্থন দরকার সুইডেনের, সে সময়ে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই…মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর পাশাপাশি আমাদের পবিত্র মূল্যবোধকে অপমানকারী এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুমোদন দেয়াটা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’
স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের কাছে কট্টর ডানপন্থি অভিবাসীবিরোধী এক রাজনীতিক কোরআন পোড়ানোর পর ওই বিবৃতি দেয় আঙ্কারা। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সুইডেনের প্রতি তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি ইসলামভীতির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সুইডেনের রাজধানীতে একই দিনে তিনটি প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে, যার একটি ছিল কুর্দিদের প্রতি সমর্থন এবং ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদান চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। অন্যদিকে তুরস্কপন্থি বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের বাইরে সমাবেশ করেছে। তিন কর্মসূচিতেই অনুমোদন ছিল পুলিশের।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম বলেন, ইসলামভীতিপূর্ণ উসকানির বিষয়টি ভয়ানক।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘সুইডেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিধি ব্যাপক, তবে এর অর্থ এই নয় যে, সুইডেনের সরকার কিংবা আমি এমন মতপ্রকাশকে সমর্থন করি।’
ডেনমার্কের কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল হার্ডলাইনের নেতা রাসমুস প্যালুদেন কোরআন পুড়িয়েছেন। অতীতের বেশ কিছু বিক্ষোভে কোরআন পোড়ানোর নজির আছে সুইডেনের নাগরিকত্ব পাওয়া এ রাজনীতিকের।
এ বিষয়ে জানতে ইমেইলে যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি প্যালুদেনের।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব, জর্ডান, কুয়েতসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বেশ কয়েকটি দেশে।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব সংলাপ, সহিষ্ণুতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ঘৃণা ও চরমপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
আরও পড়ুন:চলন্ত গাড়িতে সিটবেল্ট না পরে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে।
দেশটির ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ শুক্রবার নোটিশে জানিয়েছে, লন্ডনের ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে (ঋষি সুনাক) নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে বিচার এড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিটবেল্ট না পরা যে ভুল ছিল, তা সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঋষি সুনাক, যিনি জরিমানার অর্থ পরিশোধ করবেন।
যুক্তরাজ্যে গাড়িতে সিটবেল্ট থাকার পরও না পরলে যাত্রীকে ১০০ পাউন্ড জরিমানা করা হতে পারে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে জরিমানার অর্থ হতে পারে ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত।
পুলিশের নোটিশ পাওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ কিংবা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হয়।
ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে সফরের সময় ল্যাঙ্কাশায়ারে সিটবেল্ট ছাড়া ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
জনকল্যাণে সরকারের সর্বশেষ ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে করা ওই ভিডিও ঋষি সুনাকের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নিয়ম ভঙ্গ করে এক বছরের মধ্যে দুইবার জরিমানার শিকার হয়েছেন ঋষি সুনাক।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের জুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্মদিন উপলক্ষে জমায়েতে অংশ নেয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিলে জরিমানা গুনতে হয় ঋষি সুনাককে। ওই ঘটনায় বরিস ও তার স্ত্রী ক্যারিকেও জরিমানা দিতে হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য