কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন ডনাল্ড ট্রাম্প। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টও ফিরে পেয়েছেন তিনি। আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। সব মিলিয়ে সময়টা বেশ ভালোই কাটছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের।
আজীবন বিতর্ক যার সঙ্গী সেই ট্রাম্পের জীবন ঝামেলামুক্ত কাটবে, তা কী করে হয়। বৃহস্পতিবার ফের ধর্ষণ মামলা খেলেন ট্রাম্প।
মামলাটি করেছেন আমেরিকান লেখক ই জিন ক্যারল। ক্যারলের অভিযোগ, নব্বইয়ের দশকে নিউ ইয়র্কের একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন ট্রাম্প।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া অ্যাডাল্ট সারভাইভার্স অ্যাক্ট নামে নতুন একটি আইনের আওতায় নিউ ইয়র্কে মামলাটি করেন ৭৮ বছরের ক্যারল। ট্রাম্প অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নিউ ইয়র্কে সাধারণত ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীরা এক বছরের মধ্যে যৌন নিপীড়নের মামলা করতে পারে। তবে অ্যাডাল্ট সারভাইভার্স অ্যাক্ট আইনে ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর বয়স ১৮-এর বেশি হলে যেকোনো সময় তিনি মামলা করতে পারবেন।
এক বিবৃতিতে ক্যারলের আইনজীবী রবার্টা কাপলান বলেন, ‘ট্রাম্পকে তার অপরাধের সাজা দেয়ার জন্যই মামলাটি করা হয়েছে।’
ট্রাম্পের আইনজীবী আলিনা হাব্বা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত মামলাটি আইনের অপব্যবহারের উদ্দেশে করা হয়েছে।’
মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আগে উঠেছিল। অভিযোগগুলো করেন পর্নস্টার ও মডেলরা।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রামের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস। পরে অবশ্য বিপুল অর্থে বিষয়টি রফাদফা করেন ট্রাম্প।
২০২০ সালের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন আমেরিকার মডেল অ্যামি ডরিস।
চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়ছে জানিয়ে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কায় বস্তুটিকে গুলি না করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা বেলুনের অবস্থানের বিষয়ে জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আকাশসীমায় বেলুন দেখে একে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক যুদ্ধবিমান, তবে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাইডেনকে পরামর্শ দেন, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মেনে নেন প্রেসিডেন্ট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, আকাশসীমায় প্রবেশের পর বেলুনটিকে ‘হেফাজতে’ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চালকসহ সামরিক বিমান দিয়ে একে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে ‘বেশি উচ্চতার নজরদারি বেলুন’ শনাক্তের কথা জানিয়েছে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
ওই বেলুনটি চীনের কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার রকেটের পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র সরবরাহ বাবদ ইউক্রেনকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার দুই কর্মকর্তা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তারা জানান, চলতি সপ্তাহেই সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে।
ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, প্যাকেজে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়টের আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম, দূর নিয়ন্ত্রিত সরঞ্জাম ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র জ্যাভেলিন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
কর্মকর্তাদের একজন জানান, সহায়তা প্যাকেজের একাংশ হতে পারে ১৭২ কোটি ডলার, যা আসবে ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভ (ইউএসএআই) নামের তহবিল থেকে। এ তহবিলের মাধ্যমে মজুতকৃত অস্ত্রের পরিবর্তে বাজার থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, ইউএসএআই থেকে অর্থ নিয়ে বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে গ্রাউন্ড লঞ্চড স্মল ডায়ামিটার বোম্ব (জিএলএসডিবি) নামের রকেট কেনা হবে, যেটি দেড় শ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে পিছু হটাতে ২৯৭ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিল ইউক্রেন, যা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন জিএলএসডিবি দিয়ে সে কাজ চালাতে পারবে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ টায়ার নিকোলসকে পিটিয়ে হত্যার জেরে বিশেষায়িত ইউনিট ‘স্করপিয়ন’কে নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ বিভাগ।
নিকোলস হত্যা নিয়ে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার মেমফিস পুলিশের ইউনিটটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ২৯ বছর বয়সী নিকোলসকে মারধরের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে মেমফিস শহর কর্তৃপক্ষ। এর এক দিন পর স্করপিয়নকে নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে, যে ইউনিটে কর্মরত ছিলেন মারধরে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ৭ জানুয়ারি মেমফিসের অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছিলেন। ওই সময় ‘মা, মা’ বলে কাঁদছিলেন এক সন্তানের জনক নিকোলস।
পুলিশের পোশাক ও খুঁটিতে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজটি প্রকাশের আগেই পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার (যাদের সবাই কৃষ্ণাঙ্গ) বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যা, হেনস্তা, অপহরণ, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
নিকোলসকে থামানো নিয়ে শুরুতে পুলিশ বলেছিল, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক, তবে মেমফিস পুলিশের প্রধান বলেছেন, থামানোর পক্ষে যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ওপর ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, এমন অবস্থান থেকে অনেক দূরে থাকার পরও নিকোলসকে দৃশ্যত মারধর করা হয়েছে।
মারধরের একপর্যায়ে দুই কর্মকর্তা নিকোলসকে ধরে রাখেন। অন্যজন তার মুখে ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকেন। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের না থামিয়ে নীরবে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে ২৯ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলসকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ করেছে শহর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ৭ জানুয়ারি মেমফিসের অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছিলেন। ওই সময় ‘মা, মা’ বলে কাঁদছিলেন এক সন্তানের জনক নিকোলস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশের পোশাক ও খুঁটিতে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজটি গতকাল প্রকাশ করা হয়, যার আগেই পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার (যাদের সবাই কৃষ্ণাঙ্গ) বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যা, হেনস্তা, অপহরণ, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
নিকোলসকে থামানো নিয়ে শুরুতে পুলিশ বলেছিল, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক, তবে মেমফিস পুলিশের প্রধান বলেছেন, থামানোর পক্ষে যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ওপর ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, এমন অবস্থান থেকে অনেক দূরে থাকার পরও নিকোলসকে দৃশ্যত মারধর করা হয়েছে। মারধরের একপর্যায়ে দুই কর্মকর্তা নিকোলসকে ধরে রাখেন। অন্যজন তার মুখে ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকেন। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের না থামিয়ে নীরবে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।
স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করায় চীনের এক নাগরিককে কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিমান ব্যবসার গোপনীয়তা ভাঙার দায়ে মার্কিন বিচার বিভাগ তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছ বিবিসি।
দণ্ড পাওয়া চীনা বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী ৩১ বছর বয়সী জি চাওকুন প্রায় এক দশক আগে পড়তে যুক্তরাষ্ট্রে যান। এক পর্যায়ে যোগ দেন সে দেশের সেনাবাহিনীতেও।
কর্তৃপক্ষ বলছে, চীনের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন এ ব্যক্তি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি চাকরিতে যোগ দেন।
অ্যাটর্নি-জেনারেলকে না জানিয়ে বিদেশি সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য গত সেপ্টেম্বরে দোষী সাব্যস্ত হন চাওকুন।
তার বিরুদ্ধে জিয়াংসু প্রদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য নিয়োগের জন্য আটজনের তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ ছিল।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি রিজার্ভে তালিকাভুক্ত হন চীনের নাগরিক চাওকুন। এখানে বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
চাকরিতে যোগ দেয়ার সময় চাওকুন আবেদনে এবং একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, সাত বছরে বিদেশি সরকারের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেননি। ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সৌদি আরবের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে টুইটারের সাবেক এক কর্মীকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
আরও পড়ুন:বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক টেক জায়ান্ট। মেটা, অ্যামাজনসহ আরও কিছু কোম্পানির হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পর একই পথে হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনসে মেশিন (আইবিএম) করপোরেশন।
নগদ অর্থের বার্ষিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় স্থানীয় সময় বুধবার ৩ হাজার ৯০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
আইবিএমের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) জেমস কাভানাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের পরও গ্রাহকমুখী গবেষণার জন্য এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোম্পানিটি।
ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে আইবিএমের শেয়ারের ২ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারদরের পতনের নেপথ্যে রয়েছে চাকরিচ্যুতি এবং তারল্যের রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার খবর।
অর্থবাজারবিষয়ক সাইট ইনভেস্টিং ডটকমের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জেসে কোহেন বলেন, দৃশ্যত মনে হচ্ছে, আইবিএমের ঘোষিত ছাঁটাই নিয়ে অর্থবাজার সংশ্লিষ্টরা হতাশ। কোম্পানিটি তাদের মোট জনবলের দেড় শতাংশ ছাঁটাই করেছে।
তার ভাষ্য, আইবিএমের কাছে ব্যয় সংকোচনের আরও কড়া পদক্ষেপ আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বছরের জন্য তারল্যের বার্ষিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার কোটি ডলার নির্ধারণ করেছিল আইবিএম, তবে কোম্পানিটি ৯৩০ কোটি ডলার রিজার্ভ রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গার জেরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দুই বছর ধরে স্থগিত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা প্ল্যাটফরমস ইনকরপোরেশন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার মেটার এ ঘোষণা ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণার সুযোগ বাড়াতে পারে, যিনি গত বছরের নভেম্বরে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার কথা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রচার ও অর্থ সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত ফেসবুকে ৩ কোটি ৪০ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে ২ কোটি ৩০ লাখ ফলোয়ার আছে ট্রাম্পের।
ইলন মাস্ক দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত বছরের নভেম্বরে টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত পান ট্রাম্প। যদিও সেই থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে কোনো পোস্ট করেননি তিনি।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা অনেকে মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের সঙ্গে জনগণের বার্তা আদান-আদানের সুযোগ থাকার বিষয়টি যথাযথ, তবে মেটার সমালোচকদের ভাষ্য, কোম্পানিটি তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নীতি শিথিল করেছে।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল নিয়ে বুধবার এক ব্লগ পোস্টে মেটার বৈশ্বিক পরিস্থিতিবিষয়ক প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, ‘ট্রাম্প ফের নীতিমালা লঙ্ঘন করে পোস্ট করলে কনটেন্ট মুছে ফেলা হবে এবং লঙ্ঘনের ব্যাপকতার ভিত্তিতে সর্বনিম্ন এক মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত থাকবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য