× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Trump returned to Twitter when Musk kept talking
google_news print-icon

কথা রাখলেন মাস্ক, টুইটারে ফিরলেন ট্রাম্প

কথা-রাখলেন-মাস্ক-টুইটারে-ফিরলেন-ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক।
টুইটারে ফেরা নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫১.৮ শতাংশ। এতে অংশ নেন প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে। ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে এই শাস্তি দেয়া হয়। তবে এর মধ্যে টুইটারের মালিকানা পরিবর্তন হয়। এটিকে কিনে নেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পুনরায় ট্রাম্পকে এই প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনবেন বলে জানিয়েছিলেন। মাস্ক তার কথা রেখেছেন। টুইটারে ফিরেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনা উচিত কি না প্রশ্ন তুলে শনিবার টুইটারে ভোট চালু করেছিলেন মাস্ক। তিনি ভোট শুরু করেছিলেন তার নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে। অংশগ্রহণকারীরা তাতে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’তে উত্তর দিতে পারতেন।

ভোট শেষে দেখা যায়, ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫১.৮ শতাংশ। এতে অংশ নেন প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ।

ভোটের ফলাফলের পর টুইটারে মাস্ক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়া হবে।

মাস্কের প্রতিশ্রুতির কিছু পরেই দেখা যায়, টুইটারে ফের সক্রিয় হয়েছে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট।

গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটারের মালিকানা নেয়ার পরই ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাদের টুইটার থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল তাদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।

টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর সোশ্যাল ট্রুথ নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করেন ট্রাম্প। এর আগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
টুইটার ছেড়ে এবার কি ম্যাস্টোডনে যাবেন?
প্যারোডি অ্যাকাউন্ট বাতিলের ঘোষণা মাস্কের
চাকরিচ্যুত কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন টুইটার প্রতিষ্ঠাতা
টুইটারের সব কার্যালয় বন্ধ করলেন মাস্ক
ভারতীয়দের ছাঁটাই শুরু করেছে টুইটার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Ousted Bashar must be held accountable Biden

ক্ষমতাচ্যুত বাশারকে জবাবদিহি করতে হবে: বাইডেন

ক্ষমতাচ্যুত বাশারকে জবাবদিহি করতে হবে: বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সিরীয় সরকারের পতন ন্যায়বিচারের মৌলিক ফল। সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ভোগান্তিতে থাকা জনগণের জন্য এই বিজয় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশ পুনর্গঠনে সিরীয় নাগরিকদের সামনে সুযোগ এসেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

হোয়াইট হাউসে রোববার দেয়া বক্তব্যে জো বাইডেন বাশারের ক্ষমতাচ্যুতিকে সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে সিরীয় নাগরিকদের সামনে ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে। এই কাজে সিরীয় নাগরিকদের সহযোগিতা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।’

সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ওয়াশিংটনকে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর উত্থানের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।

জঙ্গি গ্রুপ ইসলামিক স্টেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী নতুন করে হামলা চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাইডেন বলেন, ‘সিরীয় সরকারের পতন ন্যায়বিচারের মৌলিক ফল। সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের ভোগান্তিতে থাকা জনগণের জন্য এই বিজয় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

পালিয়ে মস্কোতে আশ্রয় নেয়া প্রেসিডেন্ট বাশারের পরিণতি কী হওয়া উচিত- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন, ‘বাশার আল আসাদকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’

আরও পড়ুন:
আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি?
সিরিয়ার রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, অজ্ঞাত স্থানে আসাদ
আলেপ্পোর পর হামা বিদ্রোহীদের দখলে, পিছু হটছে সরকারি সেনা
সিরিয়ায় হামলা যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
There are only two leaders in the world including me

‘বিশ্বে আমিসহ মাত্র দুজন নেতা আছেন’

‘বিশ্বে আমিসহ মাত্র দুজন নেতা আছেন’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান বলেন, ‘আমি এটা বলছি না যে কারণ তাদের মধ্যে আমিও একজন আছি। ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি, পুতিনের প্রায় কাছাকাছি। অন্যরা চলে গেছেন।’

বর্তমানে বিশ্বে মাত্র দু’জন নেতা আছেন। তাদের একজন আমি নিজে এবং অন্যজন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান এমনটা মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইতার তাস।

এরদোয়ান বলেছেন, ‘আমি এটা বলছি না যে কারণ তাদের মধ্যে আমিও একজন আছি। ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি, পুতিনের প্রায় কাছাকাছি। অন্যরা চলে গেছেন। এবং আমরা চাই আমাদের মধ্যে সংলাপ অব্যাহত থাকবে।

‘রাজনীতিতে সংলাপ অব্যাহত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ধরুন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পদত্যাগের পর জার্মানিতে রাজনীতিও শেষ হয়ে গেছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডারকে আমি খুব সম্মান করতাম। আমাদের প্রতিও তার সম্মানবোধ ছিল ভিন্ন রকমের। সত্যিই তিনি ছিলেন খুব ভালো একজন নেতা। ‘যেমন ধরুন- রমজানের সময় তিনি আমাদের ইফতারির টেবিলে বসে কখনও বিয়ার পান করতেন না। তিনি মুসলমানদের প্রতি খুব সম্মান দেখাতেন।’

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘শ্রোয়েডারের সঙ্গে আমাদের সংলাপ এখনও চলে এবং তিনি মাঝে মাঝে তুরস্ক সফরে এলে তখনও তার সঙ্গে আমাদের সংলাপ বা আলাপ-আলোচনা হয়।’

আরও পড়ুন:
এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় প্রায় সবাই নতুন
এরদোয়ানকে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সমর্থন
ভোটের রাতে সমর্থকদের কী বললেন এরদোয়ান
এগিয়ে এরদোয়ান, আরেক দফা ভোটের সম্ভাবনা
অগ্নিপরীক্ষায় এরদোয়ান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Who is the hero of the fall of Assad?

আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি?

আসাদের পতনের নায়ক কে এই জোলানি? আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস। বাশার আল-আসাদের দেশ ছেড়ে পালানো, তার টানা দুই যুগের সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এইচটিএসের প্রধান মোহাম্মদ আল-জোলানিকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। আর এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধানের নাম আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।

এইচটিএস রোববার এক বিবৃতিতে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জালিম শাসক বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়েছেন। সিরিয়া এখন মুক্ত। এর মধ্য দিয়ে এক অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটল। আর সূচনা হলো এক নতুন যুগের।

বাশার আল-আসাদের দেশ ছেড়ে পালানো, তার টানা দুই যুগের সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এইচটিএসের প্রধান জোলানিকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘সবচেয়ে কার্যকর’ ভূমিকা পালন করেছে এইচটিএস ও এর প্রধান জোলানি।

এইচটিএস ঘোষিত লক্ষ্যই ছিল বাশার আল-আসাদের স্বৈরাচারী শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। এইচটিএস আজ এই লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দিল।

রোববার বিদ্রোহীরা দামেস্কে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জোলানি রাজধানীতে সব সামরিক বাহিনীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আশপাশে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জোলানির জন্ম একটি সচ্ছল পরিবারে, ১৯৮২ সালে। তিনি রাজধানী দামেস্কের অভিজাত এলাকা মাজেহে বেড়ে ওঠেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বরাবরই মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছেন।

জোলানির প্রকৃত নাম আহমেদ আল-শারা। তিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম পিবিএসকে বলেন যে তার গৃহীত নাম আল-জোলানি, গোলান (জোলান) হাইটসে তার পরিবারের শেকড়ের স্মারক। তিনি জানান, ১৯৬৭ সালে এই অঞ্চলটি ইসরায়েল সংযুক্ত করে নেয়ার পর তার দাদাকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

দামেস্কে থাকাকালে জোলানি ঠিক কী করতেন তা জানা যায়নি। মিডলইস্ট আই নিউজ ওয়েবসাইট জানায়, ২০০১ সালের নাইন-ইলেভেনের পর জোলানি প্রথম জিহাদি চিন্তাধারার দিকে আকৃষ্ট হন। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের পর তিনি যুদ্ধে অংশ নিতে সিরিয়া ত্যাগ করেন।

আবু মুসাব আল-জারকাভির নেতৃত্বে ইরাকে আল-কায়েদায় যোগদান করেন জোলানি। ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাকে পাঁচ বছর আটক রাখা হয়।

গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে বাশার আল-আসাদ সহিংসতার পথ বেছে নেন। এর জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

জোলানি দেশে ফিরে আসেন এবং আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখা আল-নুসরা ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে তিনি ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর আমির আবু বকর আল-বাগদাদির আনুগত্য অস্বীকার করে আল-কায়েদার আইমান আল-জাওয়াহিরির প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন।

এক সময় জোলানির মধ্যে পরিবর্তন আসে। তিনি আল-কায়েদার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ‘বিশ্বব্যাপী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার পথ থেকে সরে আসেন। এমন কিছুর পরিবর্তে সিরিয়া সীমান্তের ভেতরে নিজের গোষ্ঠীর তৎপরতা সীমাবদ্ধ করেন তিনি।

জোলানি ২০১৫ সালের মে মাসে বলেছিলেন যে আইএসের বিপরীতে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা তার নেই। তিনি আরও ঘোষণা করেছিলেন যে আসাদ পরাজিত হলে সংখ্যালঘু আলাভিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক আক্রমণ হবে না।

জোলানির এই পরিবর্তনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তারা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে জোলানির গোষ্ঠীটি বহুজাতিক বা আন্তঃদেশীয় গোষ্ঠীর বদলে একটি জাতীয় গোষ্ঠী হিসেবে আবির্ভূত হয়।

বাশার আল-আসাদ সরকার ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইদলিবের দিকে চলে যায়। সিরিয়ার এ অঞ্চল তখনও বিদ্রোহীদের দখলে। চলতি বছর জোলানি প্রকাশ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি আল-নুসরা বিলুপ্ত করেন। গঠন করেন নতুন সংগঠন জাভাত ফাতেহ আল-শাম।

২০১৭ সালের শুরুর দিকে আলেপ্পো থেকে হাজার হাজার যোদ্ধা ইদলিবে পালিয়ে আসেন। এ সময়ে বিদ্রোহীদের ছোট ছোট অনেক গোষ্ঠী ও নিজের জাভাত ফাতেহ আল-শাম নিয়ে জোলানি গঠন করেন এইচটিএস।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জোলানি বলেছিলেন যে তার আক্রমণের উদ্দেশ্য হলো আসাদকে উৎখাত করা।

জোলানি এখন স্পটলাইটে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার, বিবৃতিও দিচ্ছেন। সিরিয়ায় আগামী দিনগুলোতে কী হতে যাচ্ছে বা হতে পারে তার ইঙ্গিত পেতে জোলানি বক্তব্য শোনার জন্য সারাক্ষণ মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে আছেন সিরীয়রা।

আরও পড়ুন:
সিরিয়ায় সামরিক অ্যাকাডেমিতে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে পুনর্গঠনের অঙ্গীকার চীনের
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, চার সেনা নিহত
আরব লিগে ফিরল সিরিয়া, বক্তব্য দিলেন আসাদ
রকেটের জবাবে সিরিয়ায় গোলা ইসরায়েলের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Zelensky wants deal to end Ukraine war Trump

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি চান জেলেনস্কি: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি চান জেলেনস্কি: ট্রাম্প প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলা মস্কোর সামরিক অভিযান এবং জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শনিবার এলিসি প্রাসাদে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের সঙ্গে এক ত্রিমুখী আলোচনার আয়োজন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে তার দেশের যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহী।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে রোববার উভয় নেতার এক বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। আর এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্যারিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইউক্রেনে প্রায় তিন বছর ধরে চলা মস্কোর সামরিক অভিযান এবং জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শনিবার এলিসি প্রাসাদে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের সঙ্গে এক ত্রিমুখী আলোচনার আয়োজন করেন।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘জেলেনস্কি ও ইউক্রেন একটি চুক্তি করতে এবং যুদ্ধ-উন্মাদনা বন্ধ করতে আগ্রহী।

‘এখানে অকারণে অনেক জীবন নষ্ট হচ্ছে। অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি এটি চলতে থাকে, তবে আরও বড় এবং আরও খারাপ কিছুতে পরিণত হতে পারে। সুতরাং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হওয়া এবং আলোচনা শুরু করা উচিত।’

নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর জেলেনস্কির সঙ্গে এটি ছিল তার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।

আরও পড়ুন:
গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা এলেই পারমাণবিক যুদ্ধ: পুতিন
ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না ন্যাটো

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Assad in an undisclosed location under rebel control of the Syrian capital

সিরিয়ার রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, অজ্ঞাত স্থানে আসাদ

সিরিয়ার রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, অজ্ঞাত স্থানে আসাদ অস্ত্র হাতে সিরিয়ার বিদ্রোহী এক যোদ্ধা। তার পেছনে ঝুলছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ছবি। ছবি: ব্লুমবার্গ
আল জাজিরা রোববার জানায়, বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানীতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে সড়ক ও চত্বরগুলোতে নেমে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের দামেস্ক ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালানোর খবরের মধ্যে দেশটির রাজধানী শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিদ্রোহীরা।

এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় হাফিজ আল-আসাদ ও তার ছেলে বাশার আল-আসাদের অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের শাসনের অবসান হলো।

আল জাজিরা রোববার জানায়, বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানীতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে সড়ক ও চত্বরগুলোতে নেমে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, যোদ্ধারা দামেস্কের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রতিশোধহীন ‘নতুন যুগের’ ঘোষণা দেয়। তাদের পক্ষ থেকে প্রবাসে থাকা সিরীয়দের দেশে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রবাসে সিরিয়ার রাজনৈতিক বিরোধীদের জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা দামেস্ককে ‘আল-আসাদ মুক্ত’ ঘোষণা করে জনগণকে অভিনন্দন জানান।

সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বাড়িতে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে চান।

একই সময়ে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রধান দল হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা মোহামেদ আল-জুলানি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেবাদাতা সংস্থায় হামলা না করতে যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২০
আপিল খারিজ, ব্রিটেনে ফেরা হচ্ছে না শামীমার
সিরিয়ায় সামরিক অ্যাকাডেমিতে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০
চলে গেলেন কবি আসাদ চৌধুরী
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে পুনর্গঠনের অঙ্গীকার চীনের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
26 killed in collision between two minibuses in Ivory Coast

আইভরি কোস্টে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে নিহত ২৬

আইভরি কোস্টে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে নিহত ২৬ আইভরি কোস্টের ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে অনেকে হতাহত হন। ছবি: এএফপি
সড়ক পরিবহনের মহাপরিচালক ওমর সাকো এক বিবৃতিতে বলেন, ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

আইভরি কোস্টের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।

সড়ক পরিবহনের মহাপরিচালক ওমর সাকো এক বিবৃতিতে বলেন, ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

বিবৃতিতে আর বলা হয়, ‘দুর্ঘটনাস্থলে মন্ত্রণালয়ের একটি দলকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।’

কিছু রাস্তা ও যানবাহনের খারাপ অবস্থার কারণে এবং চালকরা ড্রাইভিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় আইভরি কোস্টে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৷

গত মাসে গাগনোয়া শহরের কাছে দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়। গত সেপ্টেম্বরে আইভরি কোস্টের উত্তরে একটি গাড়ি ও একটি ট্যাংকারের সংঘর্ষে ১৩ জন দগ্ধ হন।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মতে, আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর গড়ে ১ থেকে দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার চালকদের লাইসেন্সের পয়েন্ট, পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক ব্যবস্থা চালু করেছে।

আরও পড়ুন:
শাহবাগে বাসের ধাক্কায় ফুল ব্যবসায়ী নিহত
নওগাঁয় সড়কে প্রাণ গেল তিনজনের
শোকস্তব্ধ বাকশিমূল
ব্যাটারিচালিত ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কায় দুজন নিহত
ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত, তিনজন আহত 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The president of South Korea apologized to the nation

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: এএফপি
ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।’ 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, সামরিক আইন জারি ও সেনাবাহিনী দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।

এ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

জাতির উদ্দেশে শনিবার দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউন আরও বলেন, দ্বিতীয়বার তিনি আর কখনও সামরিক আইন জারি করবেন না।

তিনি বলেন, ‘চারদিকে গুজব চলছে, সামরিক আইন আবার জারি করা হবে। আমি অপনাদের পরিষ্কার ভাষায় বলছি, সামরিক শাসন জারির মতো আর কখনও কিছু ঘটবে না।’

স্কাই নিউজ ও এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করেন।

সামরিক শাসন জারির পর ইউন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলগুলো অভিশংসনের দাবি তোলে।

পরে প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের মূল প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে স্পিকারের নেতৃত্বে দ্রুত পার্লামেন্টে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করে সামরিক আইন রহিত করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে তা অনুমোদন দিলে সামরিক আইন বাতিল হয়ে যায়।

পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সংসদ সদস্য সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।’

আরও পড়ুন:
রাইসির মরদেহ তেহরানে, শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু
রাইসির দাফন হবে জন্ম-শহর মাশহাদে
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় রসদ যোগাতে পারে রাইসির মৃত্যু
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খোঁজ মেলেনি
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার

মন্তব্য

p
উপরে