× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The new Governor of West Bengal is CV Anand Bose
google_news print-icon

পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

পশ্চিমবঙ্গের-নতুন-রাজ্যপাল-সি-ভি-আনন্দ-বোস
পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সি ভি আনন্দ বোস। ছবি: সংগৃহীত
রাজ্যপালের দায়িত্ব পাওয়ায় পর সি ভি আনন্দ বোস জানান, রাজনীতি সচেতন পশ্চিমবঙ্গে তিনি সংবিধানের মধ্যে থেকে সক্রিয় থাকবেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সি ভি আনন্দ বোস। দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবন বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

রাজ্যটির সাবেক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় তার আসনে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সি ভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। তিনি যেদিন থেকে দায়িত্ব নেবেন, সেদিন থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

সি ভি আনন্দ বোস ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগ দেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। শিক্ষা, বন, পরিবেশ দপ্তরের প্রধান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রেভিনিউ বোর্ডের দায়িত্ব সামলেছেন সি ভি আনন্দ।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব পাওয়ায় পর সি ভি আনন্দ বোস জানান, রাজনীতি সচেতন পশ্চিমবঙ্গে তিনি সংবিধানের মধ্যে থেকে সক্রিয় থাকবেন।

আরও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কোর কমিটি নিয়ে গন্ডগোল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
US sanctions 37 individuals from 13 countries

১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর বিধিনিষেধ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর বিধিনিষেধ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের লোগো। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারের অপব্যবহার ও লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের দায়ী করতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশটির স্টেট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারের অপব্যবহার ও লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের দায়ী করতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশটির স্টেট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও ক্ষতিকর ধরনকে (যেমন: সংঘাতজনিত যৌন সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রম ও আন্তদেশীয় নিপীড়ন) সামনে এনেছে।

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, আফগানিস্তান, ইরান, চীন, জিম্বাবুয়ে, সিরিয়া, উগান্ডা, সুদান, হাইতি ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি)।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ভারতীয় গ্রেপ্তার
পিটার হাসকে হুমকি: আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম নীতির টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ ফিলিস্তিনি ছাত্র গুলিবিদ্ধ
হাসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়া ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Security Council to consider call for ceasefire in Gaza

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান বিবেচনা করবে নিরাপত্তা পরিষদ

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান বিবেচনা করবে নিরাপত্তা পরিষদ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের মধ্যে জীবনযাত্রার অবস্থাকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করা সত্ত্বেও সেশনের ফলাফল সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের তীব্র চাপের মধ্যে শুক্রবার গাজা বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়ে বৈঠকে ভোট গ্রহণ করা হবে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের মধ্যে জীবনযাত্রার অবস্থাকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করা সত্ত্বেও সেশনের ফলাফল সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। খবর এএফপির

বুধবার কাউন্সিলের কাছে একটি চিঠিতে, গুতেরেস জাতিসংঘের সনদের আর্টিকেল ৯৯ আহ্বান করার অসাধারণ পদক্ষেপ নেয়, যেখানে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রক্ষণাবেক্ষণের এবং শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে তার মতে এমন যে কোনও বিষয় মহাসচিব কাউন্সিলের নজরে আনতে পারেন। বিগত কয়েক দশক ধরে নিয়োজিত থাকা কোনো মহাসচিব এ জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

গুতেরেস লিখেছেন, ‘ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে, এবং আশ্রয় বা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় আমি আশঙ্কা করছি যে মরিয়া পরিস্থিতির কারণে জনশৃঙ্খলা শিগগিরই সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে, এমনকি সীমিত মানবিক সহায়তাও অসম্ভব হয়ে উঠবে।’

তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় প্রভাব এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে এক বিপর্যয় প্রতিরোধে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান।

কাউন্সিল গুতেরেসের জরুরি আবেদনে মনোযোগ দেবে বলে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক আশা প্রকাশ করেছেন।

ডুজারিক বলেন, বুধবার থেকে জাতিসংঘ প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এবং অন্যান্য বেশ কটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A few men kneeling in their underwear are guarded by Israeli soldiers

অন্তর্বাস খুলে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন পুরুষ, পাহারায় ইসরায়েলি সেনারা

অন্তর্বাস খুলে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন পুরুষ, পাহারায় ইসরায়েলি সেনারা ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া
ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাসের চলা তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে বেশ কিছু পুরুষকে তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় দেখা গেছে।

উপত্যকাটির সুদূর উত্তরে বেইট লাহিয়ায় ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অবশ্য কয়েকজনকে ছেড়েও দেয়া হয়েছে।

বিবিসি ফুটেজ যাচাই করে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং ইসরায়েলি সেনারা তাদের পাহারা দিচ্ছে।

আরেক ভিডিওতে কয়েক ডজন পুরুষকে একটি ফুটপাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের পাহারা দিচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা, সঙ্গে ছিল সাঁজোয়া যান।

অন্য কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন পুরুষকে সামরিক ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এসব বন্দিদের আত্মসমর্পণকারী হামাস যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) সরাসরি ফুটেজ ও ছবিগুলো নিয়ে মন্তব্য করেনি, তবে মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সন্দেহভাজনদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য এসেছে তা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে।

শুক্রবার, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বলেছেন, যে লোকদের উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং শেজাইয়াতে আটক করা হয়েছে ওই এলাকাগুলো হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক দিয়া আল-কাহলুত, কাজ করেন আল-আরাবি আল-জাদেদের সংবাদদাতা হিসেবে।

গাজার অবস্থা জানিয়ে রয়টার্স বলছে, টানা বিমান হামলার পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে এই অভিযান চলছে ব্যাপকভাবে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে।

হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর।

উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।

আরও পড়ুন:
গাজার ২১ হাসপাতালে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা
বুলডোজার নিয়ে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, আশ্রয় খুঁজছে বাসিন্দারা
গাজায় ৭ হাজার শিশুসহ নিহত ১৬২৪৮, আহত ৪৩ হাজার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Mamata stood by Mahua Maitras expulsion

মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার

মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার মহুয়া মৈত্র
‘প্রশ্নঘুষ’ কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা শুক্রবার জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল।

ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

‘প্রশ্নঘুষ’ কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা শুক্রবার জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে সময়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার সময় দেননি।

বহিষ্কারের ঘোষণা হওয়ার পর পরই সংসদের বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার শেষ দেখে তিনি ছাড়বেন। আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভেতরে এবং বাইরে লড়াই করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই সংসদ সদস্য।

লোকসভা থেকে বেরিয়ে মহুয়া বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিতে ‘এথিক্স’ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। তারা সব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। এমন একটা কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হলো, যা লোকসভার সব সদস্যের মধ্যে প্রচলিত একটি অভ্যাস। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনো উপহার নিয়েছি, তার কোনো প্রমাণ নেই।

তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাকে এভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তবে ভুল ভাবছে।

লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর এবার তার কাছেও সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঠানো হবে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, এবার আমার কাছে সিবিআই আসবে। ছয় মাস আমাকে সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হবে।

শুক্রবার লোকসভায় তৃণমূল, কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষে মহুয়াকে নিজের বক্তব্য জানানো এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধও রাখেননি স্পিকার।

অতীতের দৃষ্টান্ত টেনে তিনি জানান, আগেও এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত সদস্য কিছু বলার সুযোগ পাননি। পাশাপাশি বিজেপির যুক্তি ছিল, মহুয়া আগে নিজের কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি সভাকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান।

অন্যদিকে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয়নি। একজন নারীকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যেভাবে হেনস্থা করল, তাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো। দল মহুয়ার পাশে ছিল, আছে। বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি প্রমাণিত।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগ, লোকসভায় প্রশ্ন করার বিনিময়ে মহুয়া শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছে থেকে ঘুষবাবদ নগদ এবং উপহার নিয়েছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Health services closed in 21 hospitals in Gaza

গাজার ২১ হাসপাতালে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা

গাজার ২১ হাসপাতালে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে গত বৃহস্পতিবার আহত এক ফিলিস্তিনিকে আনা হয় নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে। ছবি: গেটি ইমেজেস
গত দুই মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২৮৭ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। এ ছাড়া কমপক্ষে ৫৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়। এর ফলে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকা কেন্দ্রগুলোতে আহত ব্যক্তিদের পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরুর পর থেকে ২১ হাসপাতালের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে কমপক্ষে ১১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের বরাত দিয়ে শুক্রবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২৮৭ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। এ ছাড়া কমপক্ষে ৫৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়। এর ফলে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকা কেন্দ্রগুলোতে আহত ব্যক্তিদের পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকে উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরবর্তী সময়ে গাজায় স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ১৭ হাজার ১৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ১৫০ ইসরায়েলি নিহত হয় বলে জানায় দেশটির সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

আরও পড়ুন:
এবার দক্ষিণ গাজায় টানা ইসরায়েলি হামলা
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ৬১ সাংবাদিক: সিপিজে
যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি
গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু
বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিন: ৩০ ফিলিস্তিনি ও ৮ ইসরায়েলি মুক্ত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Denmark passes law banning Koran burning

ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন পাস

ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন পাস
পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ডেনমার্ক। ছবি: আল জাজিরা
আল জাজিরার শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার এই আইনের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে পড়ে ৭৭ ভোট।

ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি বিল পাস করেছে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট।

বিভিন্ন সময় কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

আল জাজিরার শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার এই আইনের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে পড়ে ৭৭ ভোট।

এ আইন পাসের পর কেউ পবিত্র কোরআন পোড়ালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং অপরাধীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি জরিমানাও করা হবে।

দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, এ আইন পাসের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ডেনমার্কে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করা।

ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড ও কোরআন অবমানাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছে।

এর আগে গত আগস্টে ডেনমার্কের সরকার জানায়, আগুনে পুড়িয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে কেউ যেন পবিত্র কোরআন অবমাননা না করতে পারেন সে জন্য একটি আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তারা।

আরও পড়ুন:
কোরআন অবমাননা: জাতিসংঘের প্রস্তাবে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা
দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের তাকরীম
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকার উদ্বেগ
স্টকহোমে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দার ঝড়
মহানবী (সা.)কে কটূক্তির মামলায় সেই রাকেশের ৭ বছরের জেল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Tax evasion case in the name of Bidens son

বাইডেনপুত্রের নামে এবার কর ফাঁকির মামলা

বাইডেনপুত্রের নামে এবার কর ফাঁকির মামলা জো বাইডেন ও ছেলে হান্টার বাইডেন (বাঁয়ে)। ফাইল ছবি
হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে কর না দেয়া, ভুয়া করের রিটার্ন দাখিল, সঠিকভাবে কর না ধার্য করাসহ মোট ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে হান্টার বাইডেনের ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

এবিসি নিউজের বরাতে জানা যায়, ফেডারেল প্রসিকিউটররা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা করেছেন।

হান্টারের বিরুদ্ধে ৫৬ পৃষ্টার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি ইউক্রেন, চীন, রোমানিয়াসহ অন্য দেশে ব্যবসা ও স্কিম চালিয়ে প্রচুর সম্পদ আয় করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার ফেডারেল ট্যাক্স অন্তত ১.৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেননি। তার বিরুদ্ধে কর না দেয়া, ভুয়া করের রিটার্ন দাখিল, সঠিকভাবে কর না ধার্য করাসহ মোট ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে হান্টার বাইডেনের ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।

এর আগে, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী ৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেনকে গত সেপ্টেম্বরে আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন:
এক মাসে ৮৩৭ মামলা, বিএনপি নেতাসহ আসামি ২০,৩২৬
খান আকরামসহ ৭ জনের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় বৃহস্পতিবার
সাভারে যাত্রীবেশে ছিনতাইচক্রের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৫
স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে বিক্রির অভিযোগে স্বামীর নামে মামলা
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করানোর নামে ভাগ্নিকে ধর্ষণ, মামা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে