× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Fear of a terrible blackout in Britain only FM radio
google_news print-icon

ব্রিটেনে ভয়াবহ ব্ল্যাকআউটের শঙ্কা, চলবে কেবল এফএম রেডিও!

ব্রিটেনে-ভয়াবহ-ব্ল্যাকআউটের-শঙ্কা-চলবে-কেবল-এফএম-রেডিও
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ব্ল্যাকআউটের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে অ্যানালগ এফএম রেডিওগুলোর মাধ্যমে কেবল বিবিসি রেডিও ২ এবং ৪ ব্রডকাস্টিং কাজ করবে। কারণ কয়েক ঘণ্টার জেনারেটর ব্যাকআপের কারণে স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলো অনিশ্চয়তায় থাকবে।

জ্বালানির জন্য আসন্ন শীতে নিশ্চিতভাবে ভুগতে যাচ্ছে ইউরোপ। এটা মেনে নিয়েই সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে তাদের ‘ওয়ার গেইমড’ নামে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে; যার অধীনে কমপক্ষে সাত দিন বিদ্যুৎহীন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেবে ব্রিটিশ জনগণ।

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের হাতে এসেছে সরকারের বিশেষ পরিকল্পনার নথিগুলো। তারা বলছে, ‘অফিশিয়াল সেনসেটিভ’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে নথিগুলোকে। ‘যৌক্তিক সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে’ পরিবহন, খাদ্য, পানি, যোগাযোগ, জ্বালানিসহ প্রায় সব খাত অন্তত সাত দিন পর্যন্ত ‘গুরুতরভাবে ব্যাহত’ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে এসব নথিতে।

এতে আরও বলা হয়, ‘ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিস এই বলে সতর্ক করেছে যে দেশ যদি ব্ল্যাকআউটে পড়ে তবে এই শীতে চরম ঝুঁকিতে পড়বে জনগণ। সেই পরিস্থিতিতে তরুণ, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে সরকারের সহায়তা পাবেন।’

হোয়াইটহলের কর্তারা এখন স্ট্রেস টেস্টিং প্রোগ্রাম-ইয়ারো নিয়ে ব্যস্ত, যেটি বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা মোকাবিলায় গোপনীয় পরিকল্পনার অংশ। এটি নিয়ে তারা সরকারি দপ্তর এবং কাউন্সিলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক অনুশীলন করেছে।

ক্রস-গভর্নমেন্ট ব্লুপ্রিন্টটি তৈরি হয় ইউক্রেন যুদ্ধের আগে, ২০২১ সালে। ন্যাশনাল গ্রিডে বড় কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে, পরিকল্পনা ও স্থিতিস্থাপকতার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে এটি তৈরি হয়েছিল। আসন্ন শীত ঘিরে জাতীয় গ্রিডের জ্বালানি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই।

তারপরও যুদ্ধের কারণে ব্ল্যাকআউটের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাজ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় ওই পরিকল্পনাগুলো আমলে নেয়া হয়েছে।

ব্রিটেনের ছায়া জলবায়ুমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বলেন, ‘সব সরকারই সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির জন্য কনটিনজেন্সি প্ল্যানিং করে। সত্যি বলতে, দশক ধরে রক্ষণশীলদের ‘ব্যর্থ’ জ্বালানিনীতির কারণে আজ আমরা একটি দুর্বল দেশে পরিণত হয়েছি।

‘জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ কমিয়ে আনা, পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত এবং গ্যাস সঞ্চয় বন্ধ করার ফলে আজ এসবের ব্যয় আকাশে ঠেকেছে। গ্যাসের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ভূরাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে আমাদের ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছেন পুতিন।’

বন্যার ক্ষতি বা সাবস্টেশনে বজ্রপাতের বিষয়গুলোও আছে সরকারি পরিকল্পনাবিদদের পরিকল্পিত প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে। উপসমুদ্রের বিদ্যুতের তারে যেকোনো হামলাকেও কভার করবে এই পরিকল্পনা।

সম্ভাব্য বিপর্যয় নিয়ে সোমবার নিরাপত্তামন্ত্রী টম তুগেনধাত সবাইকে সতর্ক করেছিলেন। এর পরেই নথিগুলো ফাঁস হয়। যেখানে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘আরও ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে ব্রিটেন।

পরিকল্পনায় বর্ণিত সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে অ্যানালগ এফএম রেডিওগুলোর মাধ্যমে কেবল বিবিসি রেডিও ২ এবং ৪ ব্রডকাস্টিং কাজ করবে। কারণ কয়েক ঘণ্টার জেনারেটর ব্যাকআপের কারণে স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলো অনিশ্চয়তায় থাকবে।

অক্টোবরে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিসি গোপন কিছু স্ক্রিপ্ট তৈরি রেখেছে, যেগুলো আসন্ন শীতে জ্বালানি ঘাটতির কারণে ব্ল্যাকআউট বা গ্যাস সরবরাহের ক্ষতি হলে প্রকাশিত হবে।

একটি সূত্র বলেছে, ‘সরকার ইয়ারো নিয়ে কোনো প্রচার চাচ্ছে না। কারণ, তারা চায় না এটিকে ইউক্রেন, জ্বালানি সরবরাহ এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে দেখা হোক। তবে আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে আমরা মানুষকে সাহায্য করতে পারি। সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের সামনে সত্যিকারের উদ্বেগ অপেক্ষা করছে এবং এটি ঘটতে পারে।’

মন্ত্রিপরিষদ অফিস অবশ্য এই দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ, তাদের পরিকল্পনার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ-সম্পর্কিত নয়।

প্রোগ্রাম ইয়ারো এমন একটি পরিস্থিতির জন্য তৈরি করা, যখন প্রচণ্ড শীতে কোনো সতর্কতা ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ব্যাকআপ জেনারেটরও কাজ করবে না। প্রোগ্রামটি বলছে, বিদ্যুতের চাহিদার ৬০ ভাগ ব্ল্যাকাউটের ‘২ এবং ৭ দিনের মধ্যে’ মেটানো হবে। এই দুই দিন পরিবার এবং ব্যবসায়ীরা রেশন সুবিধা পাবেন।

জ্বালানি নিয়ন্ত্রক অফগেম এবং ন্যাশনাল গ্রিডের মধ্যে একটি চুক্তিতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ পর বিদ্যুতের চাহিদার শতভাগ পুনরুদ্ধার করতে হবে। সরকার আশা করছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও সেই লক্ষ্য পূরণ হবে।

নথিতে বলা হয়, ‘যোগাযোগ, পরিবহন নেটওয়ার্ক, জ্বালানি সরবরাহ, খাদ্য, পানি সরবরাহসহ সব খাত এই বিপর্যয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

ইয়ারো পরিকল্পনাগুলো গত মাসে ন্যাশনাল গ্রিডের গত মাসের রূপরেখার চেয়ে আরও গুরুতর পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা। যেখানে সতর্ক করা হয়, তাপমাত্রা যদি দ্রুত কমে যায় এবং রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে ব্রিটিশরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে তিন ঘণ্টা রোলিং ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হতে পারে।

বিদ্যুৎ সরবরাহের জরুরি নীতির অধীনে, পরিবার এবং ব্যবসায়ীদের একটি পরিকল্পিত বিভ্রাটের ২৪ ঘণ্টার নোটিশ দেয়া হবে। পরিকল্পনাটি রোলিং ভিত্তিতে এক সপ্তাহ আগে প্রকাশ হতে পারে।

‘নিয়ম করে সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা’ সারা দেশে সমানভাবে প্রয়োগের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। শুরুতে দিনে একবার তিন ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা উচিত। কারণ, পুনরায় দিতে এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আসলে এটা জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতির তীব্রতার ওপর নির্ভর করবে।’

এনার্জি থিঙ্কট্যাঙ্কের রেগুলেটরি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্টের ইউরোপ ডিরেক্টর জ্যান রোসেনো বলেন, ‘একসঙ্গে অনেকগুলো হুমকি আসছে। গ্যাসের ঘাটতি, উচ্চ দাম, ফ্রান্সের পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা... এগুলো সরকারের উদ্বেগের কারণ। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিকল্পনা করা বিচক্ষণতার লক্ষণ। তবে এটা লজ্জাজনক, সংকট না এলে এসব তৈরি হয় না।’

সরকারি এক মুখপাত্র বলেন, ‘দায়িত্বশীল সরকার হিসেবে আমরা সব ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিই। অল্প সময়ে একটি টেকসই পরিকল্পনা প্রস্তুত ও তা প্রয়োগে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করি। এটি ধারাবাহিকভাবে চলছে। আসলে এটা আমাদের জাতীয় স্থিতিস্থাপকতা পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

আরও পড়ুন:
শহীদদের স্মরণে এক মিনিটের অন্ধকার
প্রোফাইল ছবি মুছে প্রতিবাদ, ফেসবুকে আলোচনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Three killed in knife attack at festival in Germany

জার্মানিতে উৎসবে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত

জার্মানিতে উৎসবে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোলিনজেনে শুক্রবার উৎসবে ছুরি হামলার পর সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: এপি
নেদারল্যান্ডস সীমান্তবর্তী জার্মানির সবচেযে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়ার সোলিনজেনের ৬৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবারের হামলাটি হয়।

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোলিনজেনে শুক্রবার উৎসবে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, অজ্ঞাত হামলাকারীকে খুঁজছে পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি শনিবার প্রথম প্রহরে দেয়া বিবৃতিতে জানায়, হামলায় আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। এর আগে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

‘ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সবাইকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে বড় দল নিয়ে অপরাধ সংঘটনকারীকে খুঁজছে পুলিশ’, বলা হয় বিবৃতিতে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে একজন ব্যক্তি ছুরি নিয়ে কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় বলে জানায় পুলিশ।

জার্মানিতে প্রাণঘাতী ছুরিকাঘাত ও বন্দুক হামলা তুলনামূলকভাবে কম। দেশটির সরকার প্রকাশ্যে বহনযোগ্য ছুরির ক্ষেত্রে আইন কড়াকড়ি করতে চায়।

গত জুনে ম্যানহেইম অঞ্চলে ডানপন্থিদের বিক্ষোভের সময় ছুরিকাঘাতে নিহত হন ২৯ বছর বয়সী এক পুলিশ সদস্য। এর আগে ২০২১ সালে ট্রেনে ছুরি হামলায় কয়েকজন আহত হন।

নেদারল্যান্ডস সীমান্তবর্তী জার্মানির সবচেযে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফ্যালিয়ার সোলিনজেনের ৬৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবারের হামলাটি হয়।

আরও পড়ুন:
মধ্যরাতে কাউন্সিলরের বাসায় ‘প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীদের’ হামলা, চারজন আহত
পাবনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ.লীগকর্মীর মৃত্যু
রাশিয়ায় সিনাগগ গির্জায় বন্দুক হামলা, নিহত ১৫
পাবনায় সংবাদ সংগ্রহের পথে সাংবাদিকের ওপর হামলা
হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কার্গো জাহাজের নাবিক আহত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Türkiye wants to enter Israel with the help of Palestinians Erdogan

ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে চায় তুরস্ক: এরদোয়ান

ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে চায় তুরস্ক: এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ফাইল ছবি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হবে, যাতে করে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে এমন হাস্যকর বিষয়গুলো করতে না পারে ইসরায়েল। যেভাবে আমরা কারাবাখে প্রবেশ করেছিলাম, যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলাম, তাদের ক্ষেত্রেও আমরা একই কাজ করতে পারি।’

ফিলিস্তিনিদের সহায়তার লক্ষ্যে তুরস্ক ইসরায়েলে প্রবেশ করতে চায় বলে রোববার জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

নিজ এলাকা রিজেতে ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক বৈঠকে এরদোয়ান এ কথা জানান বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়া ও নাগোরনো-কারাবাখের সংঘাতে তুরস্ক যেভাবে প্রবেশ করেছিল, ইসরায়েলেও সেভাবে ঢুকতে চান বলে জানান এরদোয়ান, তবে দেশটিতে কী ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চান, সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি তিনি।

গাজায় ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলের হামলার কট্টর সমালোচক এরদোয়ান।

নিজ দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি গাজায় যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হবে, যাতে করে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে এমন হাস্যকর বিষয়গুলো করতে না পারে ইসরায়েল। যেভাবে আমরা কারাবাখে প্রবেশ করেছিলাম, যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলাম, তাদের ক্ষেত্রেও আমরা একই কাজ করতে পারি।’

টেলিভিশনে দেয়া ওই বক্তব্যে এরদোয়ান আরও বলেন, ‘আমাদের এমনটা (ইসরায়েলে প্রবেশ) করতে না পারার কোনো কারণ নেই…আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে, যাতে করে আমরা এসব পদক্ষেপ নিতে পারি।’

আরও পড়ুন:
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের সময় এসেছে: বাইডেন
যুদ্ধবিরতির চেষ্টার মধ্যে গাজায় এক দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৭
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭
ইসরায়েলের সেনা অবস্থানে ২০০ রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ
যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তির ‘দ্বারপ্রান্তে’ ইসরায়েল ও হামাস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Left on top in Frances hung parliament vote

ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, ভোটে শীর্ষে বামপন্থিরা

ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, ভোটে শীর্ষে বামপন্থিরা ফ্রান্সে রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটের আংশিক ফল ঘোষণার পর প্যারিসের প্লেস দে লা রিপাবলিকে জড়ো হয়ে হাত উচ্চকিত করেন লোকজন। ছবি: রয়টার্স
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে মারি লো পেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচক দল ন্যাশনাল র‌্যালিকে (আরএন) বড় ধাক্কা দিয়েছেন ভোটাররা। ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোতে আরএনের শীর্ষে থাকার ইঙ্গিত মিললেও বুথ পরবর্তী পূর্বাভাসগুলোতে দলটির অবস্থান তৃতীয়।

ফ্রান্সের সাধারণ নির্বাচনে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে বামপন্থি জোট শীর্ষস্থান দখল করলেও কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পেয়েছেন ফরাসিরা।

এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে মারি লো পেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচক দল ন্যাশনাল র‌্যালিকে (আরএন) বড় ধাক্কা দিয়েছেন ভোটাররা। ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোতে আরএনের শীর্ষে থাকার ইঙ্গিত মিললেও বুথ পরবর্তী পূর্বাভাসগুলোতে দলটির অবস্থান তৃতীয়।

নির্বাচনের এ ফল মধ্যমপন্থি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর জন্যও বড় ধরনের ধাক্কা, যিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আরএনের বিপরীতে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর গত মাসে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আগাম ভোটের পর বড় ধরনের বিভক্ত পার্লামেন্ট পেয়েছেন মাখোঁ, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফান্সের ভূমিকাকে দুর্বল করে দেবে।

এ ভোটের মধ্য দিয়ে তিনটি বড় গ্রুপে (বামপন্থি, মধ্যমপন্থি ও কট্টর ডানপন্থি) বিভক্ত হলো ফ্রান্সের পার্লামেন্টে। এ পক্ষগুলোর একত্রে কাজ করার নজির নেই। এর ফলে অনিশ্চয়তা অপেক্ষা করছে ফ্রান্সের জন্য।

আরও পড়ুন:
ফ্রান্সে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ও জলিলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
যুক্তরাষ্ট্রে এবারের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক যে পাঁচ কারণে গুরুত্বপূর্ণ
ঝালকাঠির দুই উপজেলায় জয়ী বাচ্চু ও মনির
আনসার সদস্যকে মারধর, চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীর কারাদণ্ড

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
UKs new Prime Minister pledges to rebuild the country

দেশ পুনর্গঠনের অঙ্গীকার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর

দেশ পুনর্গঠনের অঙ্গীকার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে কার্যালয় ও বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুক্রবার লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করেন স্টারমার। ছবি: পিএ ওয়্যার
বিরোধীদের উদ্দেশে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি লেবারকে ভোট দিয়েছেন কিংবা দেননি, বিশেষ করে আপনি যদি (ভোট) না দেন, আপনার উদ্দেশে সরাসরি বলছি, আমার সরকার আপনাকে সেবা দেবে। রাজনীতি কল্যাণের শক্তি হতে পারে। আমরা তা দেখাব।’

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বিশাল জয়কে কাজে লাগিয়ে দেশ পুনর্গঠনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

স্থানীয় সময় শুক্রবার তিনি এ অঙ্গীকার করেন বলে জানায় রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে কার্যালয় ও বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করেন স্টারমার।

যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবারদের জয়ের মধ্য দিয়ে প্রায়ই টালমাটাল অবস্থায় পড়া কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনের অবসান হয়।

স্টারমার সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতির যেকোনো ধরনের উন্নতির জন্য দরকার সময়। সর্বপ্রথম তাকে রাজনীতির ওপর আস্থা ফেরাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আস্থার এ ঘাটতি কেবল কাজের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব; কথার মধ্য দিয়ে নয়। আমি এটি জানি।’

বিরোধীদের উদ্দেশে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি লেবারকে ভোট দিয়েছেন কিংবা দেননি, বিশেষ করে আপনি যদি (ভোট) না দেন, আপনার উদ্দেশে সরাসরি বলছি, আমার সরকার আপনাকে সেবা দেবে। রাজনীতি কল্যাণের শক্তি হতে পারে। আমরা তা দেখাব।’

যুক্তরাজ্যে গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার পার্টি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের ৬৫০ আসনের মধ্যে জয়ী হয় ৪১২টিতে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পায় ১২১টি আসন।

দেশটির পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ৩২৬ আসন।

আরও পড়ুন:
এবার হুতিদের ১৮টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের
এবার হুতিদের ওপর হামলা যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের
ইইউ-যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত পণ্যের কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং চায় বাংলাদেশ
ইয়েমেনে হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের হামলা
বাংলাদেশিদের ভোট দেয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না: যুক্তরাজ্য

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Sunak concedes Labor Party defeat en route to huge UK victory

যুক্তরাজ্যে বিশাল জয়ের পথে লেবার পার্টি, পরাজয় স্বীকার সুনাকের

যুক্তরাজ্যে বিশাল জয়ের পথে লেবার পার্টি, পরাজয় স্বীকার সুনাকের নির্বাচনে লেবারদের জয়ের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন দলটির প্রধান কির স্টারমার (মাঝে হাস্যোজ্জ্বল)। ছবি: এপি
নির্বাচনে লেবার পার্টি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১০টিতে জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ১৪৪টি আসন।

যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী লেবার পার্টি বিশাল জয়ের পথে রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে বিবিসি।

ভোটের পরের দিন শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নির্বাচনে লেবারদের জয়ের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন দলটির প্রধান কির স্টারমার।

বিবিসির খবরে বলা হয়, নির্বাচনে লেবার পার্টি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১০টিতে জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ১৪৪টি আসন।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৩২৬টি আসন।

এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, কল করে স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে হলবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্র্যাস আসনে জয়ী হওয়ার পর স্টারমার বলেন, এখানে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।

কনজারভেটিভদের বিশাল পরাজয়ের দিনে লেবার পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস ও আলোচিত নেতা পেনি মরডন্ট।

এবারের নির্বাচনে ডানপন্থি দল রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজ জিতেছেন ক্ল্যাকটন আসনে, যার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো এমপি হতে যাচ্ছেন তিনি। তার দলের প্রার্থী রিচার্ড টাইস ও লি অ্যান্ডারসনও জয়ী হয়েছেন।

লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন ইসলিংটন নর্থ আসনে। আর লেবার পার্টির জন অ্যাশওর্থ হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যে ১৯৪৫ সালের পর ফের জুলাইয়ের নির্বাচনে ভোট শুরু
ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয় দফায় উগ্র ডানপন্থীদের পরাজিত করতে চান
ফ্রান্সে নির্বাচন: বুথফেরত জরিপে এগিয়ে কট্টর ডানপন্থিরা
ফ্রান্সে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেজেশকিয়ান ও জলিলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
After 1945 in the United Kingdom voting began again in the July election

যুক্তরাজ্যে ১৯৪৫ সালের পর ফের জুলাইয়ের নির্বাচনে ভোট শুরু

যুক্তরাজ্যে ১৯৪৫ সালের পর ফের জুলাইয়ের নির্বাচনে ভোট শুরু যুক্তরাজ্যের ভোটকেন্দ্র নির্দেশক তীর। ছবি: বিবিসি
নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ ভোটার। তারা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের ৬৫০ জন আইপ্রণেতা নির্বাচন করবেন।

যুক্তরাজ্যে ১৯৪৫ সালের পর দ্বিতীয়বার জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) এ ভোট শুরু হয় জানিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটগ্রহণ চলবে ব্রিটেনের মান সময় রাত ১০টা নাগাদ।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে উল্লেখ করা হয়, ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে স্থানীয় স্কুল কিংবা কমিউনিটি হলের মতো ভবনগুলোতে।

নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ ভোটার। তারা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের ৬৫০ জন আইপ্রণেতা নির্বাচন করবেন।

প্রতিটি আসনের ফল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার রাত কিংবা শুক্রবার সকালে।

নির্বাচনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনো রাজনৈতিক দলের একক বা জোটগতভাবে দরকার ৩২৬টি আসন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চলতি বছরের মে মাসে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের কারণে এবারের নির্বাচন হচ্ছে বিভিন্ন আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে।

ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে নতুন সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে এবার ইংল্যান্ডে আসন বেড়েছে ১০টি। সেখানে এবার মোট আসন ৫৪৩টি।

অন্যদিকে ওয়েলসে আসন আটটি কমে ৩২টি এবং স্কটল্যান্ডে আসন দুটি কমে ৫৯টি থেকে ৫৭টি হয়েছে, তবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে আসন আগের মতো ১৮টিই রয়েছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে এবারের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক যে পাঁচ কারণে গুরুত্বপূর্ণ
ঝালকাঠির দুই উপজেলায় জয়ী বাচ্চু ও মনির
আনসার সদস্যকে মারধর, চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীর কারাদণ্ড
‘জীব‌নে আর ভোট দি‌তে পা‌রি কি না জা‌নি না’
মোদির তৃতীয় মেয়াদে কারা থাকছেন মন্ত্রিসভায়

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
France election Hard right leads in polls

ফ্রান্সে নির্বাচন: বুথফেরত জরিপে এগিয়ে কট্টর ডানপন্থিরা

ফ্রান্সে নির্বাচন: বুথফেরত জরিপে এগিয়ে কট্টর ডানপন্থিরা ফ্রান্সে রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের আংশিক ফল পাওয়ার পর হেনিন-বিউমন্ট এলাকায় মঞ্চে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন কট্টর ডানপন্থি দল আরএনের নেতা মারি লো পেন। ছবি: রয়টার্স
ফ্রান্সে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ হবে।

ফ্রান্সে রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে এগিয়ে রয়েছে মারি লো পেনের নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএল)।

বার্তা রয়টার্স জানায়, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ হবে।

ইপসস, আইফপ, অপিনিয়নওয়ে ও এলাবের বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, প্রথম রাউন্ডে পড়া ভোটের প্রায় ৩৪ শতাংশ পায় আরএন, যেটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর জন্য বড় ধাক্কা। চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরএনের কাছে হোঁচট খাওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাখোঁর জোট টুগেদারসহ বামপন্থি ও মধ্যমপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল আরএন।

বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচনে মাখোঁর জোট পায় ২০ দশমিক ৫ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বামপন্থিদের জোট দ্য নিউ পপুলার ফ্রন্ট পায় প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট।

আগামী রোববার দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপের শিল্প-সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্রে।

আরও পড়ুন:
‘জীব‌নে আর ভোট দি‌তে পা‌রি কি না জা‌নি না’
মোদির তৃতীয় মেয়াদে কারা থাকছেন মন্ত্রিসভায়
১৯ উপজেলায় ভোট চলছে
স্থগিত ১৯ উপজেলায় ভোট কাল
লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন রাহুল গান্ধী

মন্তব্য

p
উপরে