এক সময়ের নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বনে গেছেন তিনি। বাকি এখন আনুষ্ঠানিকতা।
ঋষি সুনাক প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে আধুনিক ইতিহাসে ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর তকমা জুটেছে ৪২ বছরের ঋষির কপালে।
যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনে একটি ভারতীয় পরিবারে ১৯৮০ সালের ১২ মে ঋষি সুনাকের জন্ম। মা ফার্মাসিস্ট, বাবা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কাজ করতেন।
রিচমন্ডের এমপি ঋষি ডেভিড ক্যামেরন থেকে এক বছরের ছোট। ক্যামেরন যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তখন তার বয়স ছিল ৪৩ বছর। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় টনি ব্লেয়ারও ছিলেন ৪৩ বছরের।
প্রাক আধুনিক যুগে ঋষির চেয়ে কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আরও একজন। ১৭৮৩ সালে উইলিয়াম পিট যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তার বয়স ছিল কেবল ২৪।
ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি বিল পাস করেছে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট।
বিভিন্ন সময় কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আল জাজিরার শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার এই আইনের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে পড়ে ৭৭ ভোট।
এ আইন পাসের পর কেউ পবিত্র কোরআন পোড়ালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং অপরাধীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি জরিমানাও করা হবে।
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, এ আইন পাসের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ডেনমার্কে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করা।
ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড ও কোরআন অবমানাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছে।
এর আগে গত আগস্টে ডেনমার্কের সরকার জানায়, আগুনে পুড়িয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে কেউ যেন পবিত্র কোরআন অবমাননা না করতে পারেন সে জন্য একটি আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন:যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রবার্ট জেনরিক।
দেশটির নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের করা চুক্তিতে মতানৈক্য থাকায় তিনি বুধবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
রবার্ট জেনরিক বলেন, ‘অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারের নীতির নির্দেশনার সঙ্গে মতানৈক্য থাকলে তিনি তার অবস্থানে থাকতে পারবেন না।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি এমন একজন রাজনীতিবিদ হতে অস্বীকার করি, যে ব্রিটিশ জনসাধারণের কাছে অভিবাসনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেগুলো পালন করতে পারেন না।’
এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসীপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজ দেশের অভিবাসী কেন্দ্রগুলো থেকে সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রুয়ান্ডা পাঠাবে ব্রিটেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন থেকে যাওয়া অভিবাসীদের অন্য কোনো দেশে পাঠানো যাবে না বলে রুয়ান্ডারকে শর্ত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:প্রিন্সেস ডায়ানার পরিহিত একটি ব্লাউজ নিলামে উঠছে।
ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ১৯৮১ সালে প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়ানার বাগদানের ঘোষণা দিয়ে তার একটি ছবি প্রকাশ করে। ওই ছবিতে ডায়ানাকে গোলাপি রঙের সিল্ক শিফনের ব্লাউজটি পরা দেখা যায়।
জুলিয়ান্স অকশনস অফ বেভারলি হিলস প্রতিষ্ঠানটি ব্লাউজটি বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে।
জুলিয়ান নিলামের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এটির মূল্য দুই লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। ব্লাউজটি প্রিন্সের ডায়ানার পরা প্রথম কোনো উচ্চমানের কাস্টম তৈরি পোশাক।
ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারির তথ্য অনুযায়ী, ব্লাউজটির ডিজাইন করেছিলেন ডেভিড ও এলিজাবেথ এমানুয়েল।
২০১৯ সালে লন্ডনে কেনসিংটন প্রাসাদে ‘ডায়ানা: হার ফ্যাশন স্টোরি’ শীর্ষক এক প্রদর্শনীতেও ব্লাউজটি রাখা হয়।
আগামী ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বেভারলি হিলসে এবং অনলাইনে ‘জুলিয়েনস অকশনস অ্যান্ড টিসিএম প্রেজেন্ট: হলিউড লেজেন্ডস’ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ডায়ানার পরা আরও একটি পোশাকসহ বিভিন্ন হলিউড তারকাদের পরা পোশাকও ওই নিলামে তোলা হবে।
যুক্তরাজ্যের বিতর্কিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে সোমবার বরখাস্ত করেছেন মন্ত্রিসভায় রদবদল শুরু করা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাভারম্যানের স্থলাভিষিক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১৬ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যামেরন। তিনি পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য নন। এ কারণে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ লর্ডসে লাইফ পিরেজ দিয়ে তাকে এ পদে আসীন করা হয়।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের প্রতি লন্ডন পুলিশের পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন সদ্য বরখাস্তকৃত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাভারম্যান।
দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন ব্রাভারম্যান। আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘনের কারণে ঋষি সুনাকের পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে জমায়েতগুলোকে বারবার ‘ঘৃণার জমায়েত’ হিসেবে আখ্যা দেন ব্রাভারম্যান।
আরও পড়ুন:ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি ও বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে আল জাজিরার বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোনে ইসরায়েল ও গাজায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দুই নেতাই যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে এ যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন পুতিন।
রাশিয়ায় সফররত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানির সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় পুতিন এ কথা বলেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়।
পুতিন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিষয়ে এ প্রথম কোনো মন্তব্য করলেন। তিনি এ যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা হিসেবে দাবি করেন।
পুতিন বলেন, ‘অনেকে আমার সঙ্গে একমত হবেন যে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ব্যর্থতার একটি স্পষ্ট উদাহরণ।’
আলোচনায় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতকে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল, কিন্তু দুঃখজনকভাবে সমঝোতার বিষয়ে তারা এমন কিছু করতে পারেনি, যা দুই পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।’
ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুতিন।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৯০০ ফিলিস্তিনি ও এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন:নাগরিকদের স্বার্থে ভারত স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছে মন্তব্য করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে পশ্চিমা দেশগুলোর যেকোনো চেষ্টা অর্থহীন।
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় অবকাশের শহর সোচিতে এক অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে পুতিন এ কথা বলেন বলে এনডিটিভির শুক্রবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমাদের উদ্দেশে রুশ বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব তাদের একাধিপত্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী প্রত্যেকের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, প্রত্যেকেই ঝুঁকিতে আছে। এমনকি ভারতও, তবে ভারতের নেতারা জাতির স্বার্থে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতকে দূরে সরানোর চেষ্টা অর্থহীন। ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র।’
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটি থেকে ছাড়কৃত মূল্যে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর তেল আমদানি নিয়ে সমালোচনার মধ্যে উল্লিখিত কথাগুলো বললেন পুতিন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ২৭ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে পুতিন বলেন, মোদির নেতৃত্বে ভারত উত্তরোত্তর শক্তিশালী হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামের ক্যাফে ও মুদি দোকানে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রাণ হারানো ইউক্রেনীয় এক সেনার স্মরণসভায় ওই হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ঘটনাটিকে বেসামরিক লোকজনের ওপর ‘ইচ্ছাকৃত হামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
দেশটির খারকিভ অঞ্চলের ফ্রোজা গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। হামলাস্থলে ইটের বিশাল স্তূপ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধাতু ও নির্মাণসামগ্রী দেখা যায়।
আঞ্চলিক এক কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সুসপিলনিকে বলেন, ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রুশ সামরিক অভিযানের পর খারকিভ অঞ্চলে বৃহস্পতিবারের হামলাটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী।
রাশিয়ার একক কোনো হামলায় সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও মনে করা হচ্ছে একে।
আঞ্চলিক পুলিশ জাতীয় টেলিভিশনকে জানায়, হামলায় প্রাণহানি হয় ৫১ জনের। এর বাইরে ছয়জন আহত ও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে নিহত সেনার স্মরণসভা শেষে ক্যাফেতে জড়ো হওয়া কিছু মানুষও ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য