বিশ্বের উচিত রাশিয়াকে স্পষ্ট করে দেয়া যে তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিক সামরিক হামলার মুখোমুখি হতে হবে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিবিসি ও সিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
এই সাক্ষাৎকারে রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মস্কো শুধু শক্তির ভাষা বোঝে।
জেলেনস্কি বারবার অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্রে (প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে) বারবার আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে রাশিয়া, এর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকিও রয়েছে। বিশ্বের উচিত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন একটি ন্যাটো সদস্য বা নন-ন্যাটো দেশ কি না তা বিবেচ্য নয়। কাউকেই সন্ত্রাসীর মতো (অন্য দেশগুলোকে) ব্ল্যাকমেইল করতে দেয়া উচিত নয়।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বের উচিত রাশিয়াকে বলা, আপনি যদি ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে(ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) আক্রমণ করেন আপনি যেখানে থাকবেন, সেখানেই প্রতিক্রিয়া হবে।’
জেলেনস্কির মতে, এই ধরনের বৈশ্বিক অবস্থান কোনো ব্ল্যাকমেইল নয়, বরং এটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যা হুমকি দেয়াদের (রাশিয়াকে) পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করতে বাধা দেবে।
তিনি বলেন, ‘যে কেউ দীর্ঘ সময় মানবতাবাদের কথা বলতে পারে। কিন্তু তার জাতি এমন একটি পরিস্থিতিতে বাস করে, যেখানে তার একটি প্রতিবেশী (রাশিয়া) শক্তি ছাড়া কিছুই বোঝে না।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবারের সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনে হামলার জন্য সব রুশ নাগরিকের ওপরই দোষ চাপিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের সমাজকে অবশ্যই জানতে হবে যে তারা আমাদের (ইউক্রেনীয়) সমাজকে আক্রমণ করেছে। তিনি বলেন, রাশিয়ানরা সন্ত্রাসী কর্তৃপক্ষকে সমর্থন করে। যদি আপনারা (রাশিয়ানরা) প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চাপ না দেন, বিশ্ব আপনাদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবে।’
এ সময় রাশিয়ার সব নাগরিককে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই ধরনের আবেদন প্রথমবার করেননি। এর আগে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করতে ন্যাটোকে রাশিয়ার ওপর প্রতিরোধমূলক হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
সেই সময়ে তার কথাগুলো মস্কো থেকে একটি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় এবং ক্রেমলিন জেলেনস্কিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করে।
জেলেনস্কি পরে তার মন্তব্য ফিরিয়ে নেন ও বিবৃতি থেকে সরে আসেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে এটি আসলে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি প্রতিরোধের কথা বলেছেন। রাশিয়ায় আক্রমণের বিষয়ে কিছু বলেননি। নিষেধাজ্ঞার কথা বুঝিয়েছিলেন।
এর আগে সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে রাশিয়ার হাতে থাকা সব উপায় (পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত) ব্যবহার করে তার অঞ্চল রক্ষা করবে এবং তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করবে।
একই সময়ে পুতিন আরও বলেন যে মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং সে সময় ইউক্রেনকে তিনি সব শত্রুতা বন্ধ করতে এবং আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন সংকট নিরসনের যৌক্তিক পথ খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান সহজ হবে না।
সোমবার রাশিয়ার মস্কোতে পা রাখার আগে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত রুশ সংবাদপত্র রশিসকায়া গ্যাজেটায় লেখা নিবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।
শিকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলার পর সৃষ্ট সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের আলোচনার ভিত্তি হতে পারে গত মাসে প্রকাশিত চীনের ১২ দফা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত দফাগুলোতে সব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পরিহার, যুদ্ধবিরতি, শান্তি আলোচনা শুরু, মানবিক সংকট নিরসনসহ বিভিন্ন আহ্বান জানানো হয়।
শি বলেন, ‘(ইউক্রেন) সংকটের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো ও এর রাজনৈতিক সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে এই নথি (১২ দফা প্রস্তাব) ইতিবাচক বিষয় হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জটিল সমস্যার সহজ কোনো সমাধান নেই।’
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটির ১২ দফায় যতটা সম্ভব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন শি চিনপিং।
ইউরোপের দুই প্রতিবেশীর সংঘাতে চীন নিজেকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে, তবে দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও বজায় রেখেছে।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রথম কোনো বিশ্বনেতা হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শি চিনপিং।
আরও পড়ুন:কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির চুক্তির মেয়াদ আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিশ্ববাজারে শস্যের সরবরাহ কমায় দাম বেড়ে যায়। সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম এ চুক্তি হয়। ওই সময় চুক্তির মেয়াদ ছিল ১২০ দিন।
মাঝে চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় রাশিয়া। তবে অনেক আলোচনার পর নভেম্বরেও আবারও চুক্তি নবায়ন করা হয়। যেটির মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ শেষ হয়।
রাশিয়া বলেছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হলে কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কমাতে হবে।
শনিবার জাতিসংঘ ও তুরস্ক চুক্তি নবায়নের কথা জানালেও মেয়াদ কতদিন বাড়ল তা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববাজারে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য এবং সারের প্রসারের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি দ্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামের চুক্তিটি বিশ্বের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সরবরাহকারী দেশ। আবার রাশিয়া শীর্ষস্থানীয় সার রপ্তানিকারক দেশও।
ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মিকোলা সোলস্কি জানিয়ুএছেন, জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মসূচির জন্য তার দেশ প্রায় ৫ লাখ টন গম সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অনেকেরই প্রশ্ন এ পরোয়ানা বাস্তবায়ন হবে কি না আর হলেও তা কীভাবে সম্ভব?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ দেশে থাকতে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নেই। যদি ক্রেমলিন তাকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করে তবে পুতিনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। তবে রাশিয়ায় এ মুহূর্তে পুতিনের তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সেই হিসেবে পুতিনকে রাশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা আইসিসির পক্ষে অসম্ভব।
তবে রাশিয়ার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার হতে পারেন পুতিন। সে জন্য তাকে দেশের বাইরে যেতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোতে সফরে যাবেন না পুতিন। সুতরাং এসব মিলিয়ে বলা যেতে পারে রুশ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা প্রায় অসম্ভব।
পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো ‘তাৎপর্য নেই’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের কোনো অর্থ আমাদের কাছে নেই। আইনগত দিক দিয়েও এর কোনো অর্থ নেই।’
ইউক্রেনে এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে রুশ সেনারা। এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠলেও মস্কো তা অস্বীকার করেছে।
শিশুদের বেআইনি নির্বাসন এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে লোকজনকে রাশিয়ায় বেআইনিভাবে স্থানান্তরের অভিযোগে পুতিনের গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক এ আদালত একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
শুক্রবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো ‘তাৎপর্য নেই’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের কোনো অর্থ আমাদের কাছে নেই। আইনগত দিক দিয়েও এর কোনো অর্থ নেই।’
ইউক্রেনে এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে রুশ সেনারা। এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠলেও মস্কো তা অস্বীকার করেছে।
শিশুদের বেআইনি নির্বাসন এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে লোকজনকে রাশিয়ায় বেআইনিভাবে স্থানান্তরের অভিযোগে পুতিনের গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক এ আদালত একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের ধাক্কায় নজরদারি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়ে কৃষ্ণসাগরে পড়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তবে এ দাবি অস্বীকার করে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড্রোনটিকে আটকাতে তড়িঘড়ি করছিল রুশ বিমান। যদিও অস্ত্র ব্যবহার কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মনুষ্যবিহীন যানটির সঙ্গে রুশ বিমানের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ওড়ার সময় আমেরিকার ড্রোনটিকে বেপরোয়াভাবে আটকে দেয় রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, এমকিউ-৯ ড্রোনটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো এর ওপর জ্বালানি ফেলে এবং অনিরাপদভাবে এর সামনে দিয়ে চক্কর দেয়। এর ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধায়, যাতে মনুষ্যবিহীন যানটি বিধ্বস্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন বলেছে, রাশিয়া ড্রোনটিকে উদ্ধার করেনি এবং এটি সম্ভবত অকেজো হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ড্রোন বিধ্বস্তের অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়ার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মনুষ্যবিহীন যানটির সঙ্গে তাদের বিমানের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ক্ষিপ্র গতিতে চলার কারণে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে ড্রোনটি শনাক্ত হয়। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়ার দখল নেয়।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কৃষ্ণসাগরে ঘটা এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
আরও পড়ুন:ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানান হয়।
এতে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছিলেন।
ইতালির সংবাদ সংস্থা এএনএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদেরকে সিসিলিয়ান শহর পোজালোতে নেয়া হয়েছে।
ইতালির কোস্টগার্ডের ভাষ্য, লিবিয়া থেকে ৩০ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা নৌকাটি গত রোববার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে উল্টে যায়।
দাতব্য সংস্থা অ্যালার্ম ফোনের দাবি, শনিবার ডুবে যাওয়া নৌকাটি থেকে সংকেত আসলেও ইতালি কর্তৃপক্ষ সময়মতো সেখানে তাদের কোস্টগার্ডকে পাঠায়নি।
তারা চাইছিল লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ যেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির ক্যালাব্রিয়া অঞ্চলে নৌকাডুবিতে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন:জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর হামবুর্গে ‘জিহোভা’স উইটনেস’ নামের একটি গোষ্ঠীর গির্জায় বৃহস্পতিবার রাতে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ওই হামলা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে এখন পর্যন্ত কী কী বিষয় জানানো হয়েছে, তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।
রয়টার্স
পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গির্জায় বন্দুক হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন। হামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হামলাকারীদের একজন থাকতে পারে।
পুলিশ হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে, তবে ঠিক কতজন এ হামলায় নিহত হয়েছেন, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাহিনীটি।
জার্মানির বৃহত্তম বন্দরের শহর হামবুর্গের মেয়র হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হল নামের শহরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরে সিনাগগে বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত হয়েছিলেন।
বিল্ড
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, হামবুর্গের আলসতেরদরফ এলাকায় গির্জায় ‘রক্তগঙ্গা’য় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পরপরই গির্জার প্রার্থনা ভবন কিংডম হলে প্রাণঘাতী হামলা শুরু হয়।
বিল্ডের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, হামলায় সাতজন নিহত ও কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশের বরাত দিয়ে বিল্ডের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বড় পরিসরে হামলা হয়েছে। দুর্যোগ সতর্কীকরণ অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘চরম বিপদের’ কথা জানানো হয়েছে।
হামবুর্গার অ্যাবেন্ডব্লাট
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দিলবুজ সড়কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গির্জার কমিউনিটি রুমগুলোতে হামলায় কয়েকজন হতাহত হন।
হামলায় অংশ নেন বেশ কয়েকজন, যেটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। দুই ঘণ্টা পর ৯টা ৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ হামলার খবর পায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চারবার গুলি চালানো হয়েছে, যাতে বেশ কিছু গুলি ছোড়া হয়।
বিবিসি
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, গির্জার মিটিং হলে বন্দুক হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন।
পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একজন বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে জার্মানির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রাণ হারানো ছয় বা সাতজনের মধ্যে হামলাকারী রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
পুলিশের মুখপাত্র হোলগার ভেহরেন বিবিসিকে জানান, পুলিশ ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করতে পারেনি। ক্রাইম সিনে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি, তা হলো এখানে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, হামলার কারণ ‘এখনও সম্পূর্ণ অজানা’।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য