× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Cholera 6 deaths in Lebanon after 29 years
google_news print-icon

২৯ বছর পর লেবাননে কলেরা, ৬ মৃত্যু

২৯-বছর-পর-লেবাননে-কলেরা-৬-মৃত্যু
লেবাননের সিরীয় শরণার্থী শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৩ সালের পর প্রথমবার লেবাননে কলেরা শনাক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে দেশটিতে ১৬৯ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৬ জন। লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন, যা দেশটির নাগরিকদের দরিদ্র করেছে এবং বাজে স্যানিটেশন অবকাঠামোতে নিয়ে গেছে।

অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের একসময়ের ধনী দেশ লেবাননে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া থেকে এই ভাইরাসজনিত রোগ লেবাননে এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, লেবাননে প্রথম কলেরা শনাক্ত হয় গত ৫ অক্টোবর দেশটির উত্তরের গ্রামীণ অঞ্চল আক্কারে। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন সিরীয় নাগরিক। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে ৬ অক্টোবর থেকে লেবাননে ১৬৯ জন কলেরা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক শনাক্ত হয়েছে গত দুই দিনে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সিরীয় শরণার্থী।

এরই মধ্যে দেশটিতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সবশেষ ১৯৯৩ সালে দেশটিতে কলেরা শনাক্ত হয়।

লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন, যা দেশটির নাগরিকদের দরিদ্র করেছে এবং বাজে স্যানিটেশন অবকাঠামোতে নিয়ে গেছে।

এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ১০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে লেবাননে এসে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশটিকে শরণার্থী পরিস্থিতিও সামাল দিতে হচ্ছে। ফলে সিরীয় শরণার্থীদের এমন স্থানে থাকতে হচ্ছে, যেখানে বিশুদ্ধ পানি ও মানসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই।

লেবাননের আক্কার থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেইনা খোদর বলেন, ‘স্যানিটেশনের অভাব জনাকীর্ণ শিবিরগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করে। শনাক্তের ঘটনা শুধু সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শিবিরগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়, লেবাননের দরিদ্র অঞ্চলগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।’

আরও পড়ুন:
বিদ্যুৎ সংকটে অন্ধকারে লেবানন
লেবাননে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২০
ইসরায়েলের হামলার ‘কড়া জবাব দেবে’ হিজবুল্লাহ
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগ
বৈরুত বিস্ফোরণে অভিযুক্ত লেবাননের প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
63 journalists killed in Hamas Israel war CPJ

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ৬৩ সাংবাদিক নিহত: সিপিজে

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ৬৩ সাংবাদিক নিহত: সিপিজে গাজায় নিহত সাংবাদিকের পাশে স্বজনের আহাজারি। ফাইল ছবি
আল-কুদস টিভির হাসান ফারাজাল্লাহ ও আল মাজেদাদ নেটওয়ার্কের শিমা আল গাজ্জার রোববার গাজায় চালানো ইসরায়েলের বোমা হামলায় পরিবারের সকলের সঙ্গে নিহত হন।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সোমবার পর্যন্ত ৬৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

আল-কুদস টিভির হাসান ফারাজাল্লাহ ও আল মাজেদাদ নেটওয়ার্কের শিমা আল গাজ্জার রোববার গাজায় চালানো ইসরায়েলের বোমা হামলায় পরিবারের সকলের সঙ্গে নিহত হন।

এ দুজন নিহতের আগে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি শনিবার আল-জাজিরাকে মোট ৬১ জন সংবাদকর্মী নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল।

সিপিজের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৬ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।

সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শেরিফ মনসুর বলেন, ‘যে সাংবাদিকরা সঙ্কটের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন তাদের সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেয় সিপিজে। সাংবাদিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের যুদ্ধরত পক্ষের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।’

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গাজার ওপর ইসরায়েলের এ হৃদয় বিদারক সংঘাত কভার করার জন্য এ অঞ্চলের সাংবাদিকরা মহান ত্যাগ স্বীকার করছেন। বিশেষ করে যারা গাজায় সংবাদ কাভার করেন তারা আগেও খুব বেশি আত্মত্যাগ করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। তাদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হওয়ার পরও তা করে চলেছেন।’

ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
61 journalists killed in Israel Hamas war CPJ

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ৬১ সাংবাদিক: সিপিজে

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ৬১ সাংবাদিক: সিপিজে গাজায় নিহত সাংবাদিকের পাশে স্বজনের আহাজারি। ছবি: সিপিজে
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৪ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।

ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৪ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।

সিপিজের ভাষ্য, যুদ্ধে ১১ জন সাংবাদিক আহত ও তিনজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ সাংবাদিক।

সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক সাংবাদিক নিহত, নিখোঁজ কিংবা হুমকির শিকার হওয়ার অসমর্থিত খবর পাওয়া গেছে, যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।

আরও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির পাঁচ দিনে মুক্ত ১৮০ ফিলিস্তিনি, হামাস ছাড়ল ৮১ জনকে
ইসরায়েল থেকে মুক্ত ৩৩ ফিলিস্তিনি, হামাস ছাড়ল ১১ জনকে
গাজায় যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন
গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চুক্তির কাছাকাছি মিসর কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষ হচ্ছে সোমবার, মেয়াদ বাড়াতে চায় সব পক্ষই

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Seventh day of prisoner exchange 30 Palestinians and 8 Israelis freed

বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিন: ৩০ ফিলিস্তিনি ও ৮ ইসরায়েলি মুক্ত

বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিন: ৩০ ফিলিস্তিনি ও ৮ ইসরায়েলি মুক্ত মুক্তিপ্রাপ্ত একজন ফিলিস্তিনি বন্দি। ছবি: আল জাজিরা
এর আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিনে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে উপত্যকার শাসক দল হামাস ছেড়ে দিয়েছে আটজন ইসরায়েলি জিম্মিকে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সপ্তম দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।

অবশ্য এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো কথা জানালেও, ঠিক কতদিন তা বাড়বে তা জানায়নি।

দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।

সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

আরও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চুক্তির কাছাকাছি মিসর কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষ হচ্ছে সোমবার, মেয়াদ বাড়াতে চায় সব পক্ষই
৫২ বন্দি বিনিময়, গাজায় ত্রাণের ১২০ ট্রাক
আরও ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
‘চুক্তি লঙ্ঘনে’ বেঁকে বসল হামাস, বন্দিবিনিময়ে অনিশ্চয়তা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Saudi wants a long term ceasefire in Gaza

গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চায় সৌদি

গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চায় সৌদি সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখানে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে এসেছি যে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়। দরকার যুদ্ধবিরতি।’

গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয় জানিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে এ আহ্বান জানান বলে বুধবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সৌদির সর্বোচ্চ কূটনীতিক বলেন, বর্তমানে গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী যাচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।

তিনি বলেন, ‘বিপদের বিষয় হলো যদি এই…যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমরা ফের আগের দেখা হত্যাযজ্ঞে ফিরব, যা অসহনীয়।’

সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এখানে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে এসেছি যে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়। দরকার যুদ্ধবিরতি।’

দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ। সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন:
৫২ বন্দি বিনিময়, গাজায় ত্রাণের ১২০ ট্রাক
আরও ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
‘চুক্তি লঙ্ঘনে’ বেঁকে বসল হামাস, বন্দিবিনিময়ে অনিশ্চয়তা
ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের কারাগার থেকে শুক্রবার মুক্ত ফিলিস্তিনি কারা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
180 Palestinians freed in five days of ceasefire Hamas released 81

যুদ্ধবিরতির পাঁচ দিনে মুক্ত ১৮০ ফিলিস্তিনি, হামাস ছাড়ল ৮১ জনকে

যুদ্ধবিরতির পাঁচ দিনে মুক্ত ১৮০ ফিলিস্তিনি, হামাস ছাড়ল ৮১ জনকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মাকে জড়িয়ে ধরেন ওমর আতশান। ছবি: এএফপি
আল জাজিরার বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাঁচ দিনের এই বন্দি বিনিময়ে ইসরায়েল নারী ও শিশুসহ মোট ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাস মুক্তি দিয়েছে ৮১ জিম্মিকে, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস এবং ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় শুরু হয় শুক্রবার। এর পর সোমবার এ কার্যক্রম বাড়ানো হয় আরও দুই দিন, অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত।

হামাস সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, কাতার ও মিসরের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।

বন্দি বিনিময় শুরু হওয়ার পঞ্চম দিন মঙ্গলবার ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। হামাস মুক্তি দিয়েছে ১০ জিম্মিকে।

আল জাজিরার বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাঁচ দিনের এই বন্দি বিনিময়ে ইসরায়েল নারী ও শিশুসহ মোট ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

হামাস মুক্তি দিয়েছে ৮১ জিম্মিকে, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক।

ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির।

দু্ই পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শুক্রবার থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।

আরও পড়ুন:
আরও ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
‘চুক্তি লঙ্ঘনে’ বেঁকে বসল হামাস, বন্দিবিনিময়ে অনিশ্চয়তা
ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের কারাগার থেকে শুক্রবার মুক্ত ফিলিস্তিনি কারা
গাজায় ‘পূর্ণ’ যুদ্ধবিরতি চান মালালা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Gaza ceasefire extends for two more days

গাজায় যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন

গাজায় যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণের দিকে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। অন্যদিকে ত্রাণসামগ্রী ও জ্বালানিবাহী ট্রাক যাচ্ছে উত্তর গাজায়। ছবি: ইব্রাহিম আবু মুস্তাফা/রয়টার্স
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে চুক্তি হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে ‍চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে মাজেদ বলেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে চুক্তি হয়েছে।

গাজার শাসক দল হামাস বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতার ও মিসরের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ মিসর ও কাতার চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছিলেন মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান।

যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিন সোমবার রাশওয়ানের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।

এসআইএসের প্রধান বলেন, সোমবার ১১ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ৩৩ ফিলিস্তিনিকে কারামুক্তির বিষয়ে সমঝোতা আলোচনা চলছে।

ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির।

দু্ই পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শুক্রবার থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। সেই যুদ্ধবিরতি আরও বাড়াতে দুই পক্ষকেই চাপ দেয় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের কারাগার থেকে শুক্রবার মুক্ত ফিলিস্তিনি কারা
গাজায় ‘পূর্ণ’ যুদ্ধবিরতি চান মালালা
২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস, স্বজনদের অপেক্ষায় ফিলিস্তিনিরা
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Egypt Qatar close to deal to extend Gaza ceasefire

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চুক্তির কাছাকাছি মিসর কাতার

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চুক্তির কাছাকাছি মিসর কাতার সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণের দিকে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। অন্যদিকে ত্রাণসামগ্রী ও জ্বালানিবাহী ট্রাক যাচ্ছে উত্তর গাজায়। ছবি: ইব্রাহিম আবু মুস্তাফা/রয়টার্স
মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের প্রধান দিয়া রাশওয়ানের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।

ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ মিসর ও কাতার চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান।

যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিন সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

রাশওয়ানের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।

এসআইএসের প্রধান বলেন, সোমবার ১১ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ৩৩ ফিলিস্তিনিকে কারামুক্তির বিষয়ে সমঝোতা আলোচনা চলছে।

ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির।

দু্ই পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শুক্রবার থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। সেই যুদ্ধবিরতি আরও বাড়াতে দুই পক্ষকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন:
‘চুক্তি লঙ্ঘনে’ বেঁকে বসল হামাস, বন্দিবিনিময়ে অনিশ্চয়তা
ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের কারাগার থেকে শুক্রবার মুক্ত ফিলিস্তিনি কারা
গাজায় ‘পূর্ণ’ যুদ্ধবিরতি চান মালালা
২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস, স্বজনদের অপেক্ষায় ফিলিস্তিনিরা

মন্তব্য

p
উপরে