× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Irans political circles are worried about youth protests
google_news print-icon

তরুণদের বিক্ষোভে চিন্তিত ইরানের রাজনৈতিক মহল

তরুণদের-বিক্ষোভে-চিন্তিত-ইরানের-রাজনৈতিক-মহল
ইরানের তেহরানে জাতীয় পতাকার ম্যুরালের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক নারী। ছবি: এএফপি
চলমান বিক্ষোভ ঘিরে অনিশ্চয়তার অন্যতম কারণ হলো ইরান সরকার বিশ্বাস করে, নেতৃত্বহীন এসব বিক্ষোভ মিইয়ে যাবে। সরকারের দাবি, মাত্র ৮০ হাজার লোক রাস্তায় নেমেছে এবং প্রতিবাদকারীদের বিপ্লব সংঘটন বা নেতা তৈরির সামর্থ্যের অভাব রয়েছে।

পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র করে ইরানে ব্যাপক জনবিক্ষোভ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে দেশটির অভিজাত রাজনীতিকদের কপালে দেশকাঁপানো এই বিক্ষোভ বিদেশি গোয়েন্দা ষড়যন্ত্রের ফসল, নাকি পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেটের প্রভাব তা নিয়ে বিতর্ক চলছে বিশ্লেষকদের মধ্যে তরুণ প্রজন্ম ইসলামি বিপ্লবের মূল্যবোধ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কি না, তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধ ভাষান্তর করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকের জন্য

নানা বিতর্কে ঘেরা এই আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে নির্ধারিত হবে ইরানের রাজনৈতিক ওপরমহল এখন কী করবে। তারা বিক্ষোভকারী ও বাইরের শক্তির ওপর ক্র্যাকডাউন চালিয়ে প্রতিশোধের পথ বেছে নেবে, নাকি নেতৃত্বহীন তরুণদের সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপে বসবে।

প্রথম পদক্ষেপটি নিলে এবং তারপরও বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার পশ্চিমা দাবি আরও সংকুচিত হয়ে আসবে। ইরানের চলতি সরকার সংস্কারে সক্ষম কি না, সেটিরও পরীক্ষা হবে।

ইরান সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন এমন কয়েকজন পর্যবেক্ষক বর্তমানে দেশটির নৃশংসতার মাত্রায় নমনীয়তা দেখছেন। তারা বলেছেন, চলমান বিক্ষোভে ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারালেও এই সংখ্যা ২০০৯ সালের বিক্ষোভে কয়েক দিনের মধ্যে ৪০০ জন নিহত হওয়ার তুলনায় কম। তারা এটাও মনে করাচ্ছেন, ২০০৯ সালের বিক্ষোভের পর শত শত মানুষকে কাহরিজাক কারাগারে নির্যাতন করা হয়।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস যে অঞ্চলকে বিচ্ছিন্নতাবাদীপ্রবণ বলে মনে করে সেই কুর্দিস্তান মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কাজে লাগাচ্ছে। গত মাসে নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাহসা মারা যান। এরপর ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ।

চলমান বিক্ষোভ ঘিরে অনিশ্চয়তার অন্যতম কারণ হলো ইরান সরকার বিশ্বাস করে, নেতৃত্বহীন এসব বিক্ষোভ মিইয়ে যাবে। সরকারের দাবি, মাত্র ৮০ হাজার লোক রাস্তায় নেমেছে এবং প্রতিবাদকারীদের বিপ্লব সংঘটন বা নেতা তৈরির সামর্থ্যের অভাব রয়েছে।

এই দাবির সঙ্গে বেশির ভাগ পশ্চিমা দেশ একমত। তবে পশ্চিমাদের অধিকাংশই নারীর বৃহত্তর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। একজন পশ্চিমা পর্যবেক্ষক এমন মন্তব্যও করেছেন, তাদের (বিক্ষোভকারী) ‘কোনো ম্যান্ডেলা নেই, অং সান সু চি নেই’।

রেভল্যুশনারি গার্ডরা এ বিক্ষোভকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখতে চাইছেন না। তাদের মতে, এটি পশ্চিমা ও সৌদি মদতে চলা ইরান ইন্টারন্যাশনাল চ্যানেলের ষড়যন্ত্র।

রেভল্যুশনারি গার্ডকে সমর্থনকারী সংবাদপত্র জাভান বলছে, এ ষড়যন্ত্রের হোতা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের সাবেক প্রধান স্টেফানি আল-কাক।

পত্রিকাটির দাবি, আল-কাক দাঙ্গা শুরুর কয়েক দিন আগে ইরানে আসেন ও পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। রয়টার্স ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন কর্মী হিসেবে তার অতীতের রেকর্ডের দিকে ইঙ্গিত করে পত্রিকাটি বলেছে, আল-কাক ‘একজন সংযোগকারী ও দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি সাম্প্রতিক গোলমালের নির্দেশনা দিয়েছেন ও মিডিয়ার ফিল্ড অপারেশন নির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’

তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন শেরক্লিফ অবশ্য এ দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার হোসেন সালামিও দাবি করছেন, বিক্ষোভের পেছনে উসকানিদাতাদের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের রাস্তা থেকে সাম্প্রতিক অস্থিরতার শিকড় ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লন্ডন, তেল আবিব ও রিয়াদের কেন্দ্রে নিয়ে যাব।’

তার যুক্তি হলো, এই সংঘাতকে একটি সফল ইসলামি বিপ্লব ও ঈর্ষান্বিত পতনশীল পশ্চিমের মধ্যে লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বিক্ষোভকারীদের প্রতিটি মোলোটভ ককটেলের জন্য ৫০ হাজার তোমান (দেড় ডলার বা প্রায় ১৬০ টাকা) দেয়া হয়েছে।

৮৩ বছর বয়সী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, আলি খামেনি সংলাপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং বিক্ষোভকে ‘ছোট ঘটনা’ ও ‘বিচ্ছিন্ন দাঙ্গা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

তিন দশক ধরে খামেনির বৈধতা ও উত্তরাধিকারকে চ্যালেঞ্জ করা যাচ্ছে না। তারা মাহসার মৃত্যুকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং সরকারি তদন্তে দাবি করা হয়েছে মাহসার মৃত্যু স্বাভাবিক। তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ইরান ধর্মনিরপেক্ষকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার রাস্তা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। প্রায় ৩০ লাখ ইরানি বার্ষিক আরবাইন তীর্থযাত্রায় ইরাকে গেছেন। এর আনুষ্ঠানিকতা ইমাম হুসেইনের হত্যাকে স্মরণ করে ৪০ দিনের শোকের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। এই ধর্মানুরাগ দেখে ইরানের আলেমরা আনন্দিত।

চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স প্রায় ২০-এর আশপাশে। এ নিয়ে আলেমদের বক্তব্য হলো, কীভাবে তারা দেশের তরুণদের একটি অংশকে হারিয়েছেন সে সম্বন্ধে আত্ম-অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।

ইরানে ইন্টারনেট নিয়ে বিবাদ অনেক দিনের। পশ্চিমা ইন্টারনেটের অনুপ্রবেশকে ঐতিহ্যগত ইসলামি মূল্যবোধে আঘাত ও ব্যবহারকারীদের মনস্তত্ত্বে পরিবর্তনের জন্য দায়ী করছেন দেশটির অনেক রক্ষণশীল। এই সপ্তাহে একজন আলেম দাবি করেছেন, ইন্টারনেট ক্রমশ ন্যাটো সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।

জাভান দাবি করেছে, কোভিড লকডাউনের সময় ‘কিছুসংখ্যক হাই স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসায় যুক্ত হন। তাদের পেজগুলো জনপ্রিয় হওয়ার কারণে প্রচুর বিজ্ঞাপন পান এবং আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করেন। তারা তাদের পরিবারের আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন তারা আরও কর্তৃত্ব নিয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন এবং আরও স্বাধীন হয়ে উঠেছেন।’

রক্ষণশীলদের মতে, পশ্চিমা ইন্টারনেট ইরানের যুবাদের নৈতিকতাকে বিপথে চালিত করছে। ইরানওয়্যারের কাছে ইমাম সাদিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাদেগ কুশাকি দাবি করেন, ‘বিক্ষোভকারীদের একমাত্র দাবি ছিল সুইমিং পুল, হিজাব অপসারণ ও ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পার্টির স্বাধীনতা।’

পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য হামিদ রাসাই সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, “গুটিকয়েক ব্যক্তি রাস্তায় মাথার স্কার্ফ নেড়েছে তাদের চাওয়া কী বলে আপনাদের মনে হয়? তারা একমাত্র যে ‘স্বাধীনতা’ চায় তা হলো প্রতি রাতে ভিন্ন কারও সঙ্গে কাটানো ও পশুর মতো আচরণ করা।”

শাসকদের কট্টর বিরোধী পক্ষ ও আবেগপ্রবণ আন্দোলনকারীদের মধ্যে দেশটির বিচার বিভাগ একটি ভ্রান্তিকর পার্থক্য তৈরি করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শিক্ষামন্ত্রী ইউসেফ নুরি নিশ্চিত করেছেন, কিছু স্কুলছাত্রকে সত্যিই আটক করা হয়েছে এবং তাদের ‘মনস্তাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠানে’ রাখা হয়েছে।

নুরি বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ‘অসামাজিক’ আচরণ প্রতিরোধ করে তাদের মন সংস্কার ও পুনর্শিক্ষিত করা।”

এ সমাধান আদতে নৈতিকতা পুলিশের পুনর্শিক্ষা কর্যক্রম থেকে আলাদা কিছু নয়।

গ্রেপ্তার শিশুদের বাবা-মাকেও আটক করা হচ্ছে। অনেককে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ‘যথাযথ’ আচরণের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয়া হচ্ছে।

ইরানে নির্বাচনে টানা হার ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু চুক্তি-সংক্রান্ত বিশ্বাসঘাতকতার কারণে দেশটির সংস্কারপন্থিরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। তাদের অভিযোগ, রক্ষণশীলরা এখন তাদের বোনা তিক্ততার ফসল কাটছে।

পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, মিডিয়াকে শৃঙ্খলিত করা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বন্দি করার পর তরুণ ইরানিদের নিজেদের মুক্তির জন্য অন্য পথ খুঁজতে হয়েছে।

সংস্কারপন্থি পত্রিকা ইতেমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস হজরাতি ১৩ অক্টোবর এক খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘বিবিসি ও ইরান ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রতিটি ইরানি ... ইরানের রাষ্ট্রীয় সেন্সরের কারণে যুক্ত হয়েছেন।’

ইন্টারনেট যেভাবে ইরানি যুবাদের পালটে ফেলছে ও একটি অপূরণীয় জেনারেশন গ্যাপ তৈরি করছে তা উল্লেখ করে পত্রিকাটি একটি সতর্কতা বার্তা আবার ছাপিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘তাদের মা-বাবার ভূমিকা খুবই দুর্বল। শিক্ষক ও মা-বাবার মতো ঐতিহ্যগত শিক্ষাব্যবস্থা, হাই স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি তাদের আনুগত্য দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।’

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ঘিরে রয়েছে মশাদ শহরের রাজনৈতিক গোষ্ঠী, যাদের মধ্যে আছেন তার শ্বশুর আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমদ আলামলহোদা।

তারাই মূলত নৈতিকতা পুলিশকে হিজাব পরানোর জন্য চাপ বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণি যে আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে তাতে সাড়া দেয়ার দক্ষতা তাদের আছে কি না, তা পরিষ্কার নয়। তবে এ মুহূর্তের জন্য, প্রমাণ ও অতীতের ঘটনাবলির বিবেচনায় বলা যায়, যারা বহিরাগতদের দোষারোপ ও দমন-পীড়নের পক্ষে তারাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
‘চুল না ঢাকলে নারীদের ৭৪টি বেত্রাঘাত করা উচিত’
‘খোমেনির বাণী সত্য, আমেরিকা বড় শয়তান’
ইরানের লড়াকুদের পাশে বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Russia hopes to progress on ceasefire at a meeting in Saudi

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার সুউচ্চ দুই ভবনের মাঝে সৌদি আরবের পতাকা। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা সংঘাত বন্ধে সৌদি আরবে সোমবার অনুষ্ঠেয় আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রাশিয়ার একজন আলোচক।

তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র পৃথকভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার উভয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

মস্কো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। এর পরিবর্তে রাশিয়া শুধু জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।

সেই প্রস্তাব সত্ত্বেও উভয় পক্ষই আলোচনার আগে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রাশিয়ার হামলায় একটি পরিবারের তিনজন নিহত হয়, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা রবিবার ভোরে জানায়, রাশিয়া কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এগুলো ভবনগুলোতে আঘাত করেছে এবং আগুন লেগে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শত্রুদের বিশাল আক্রমণে শহরের বেশ কয়েকটি জেলায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন।

সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন রাশিয়ার সিনেটর গ্রেগরি কারাসিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত কিছুটা অগ্রগতি আশা করছি।"

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Netanyahu dismisses the chief of Israeli intelligence agency Shin Bette

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু


ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের বরখাস্তকৃত প্রধান রোনেন বার। ছবি: এএফপি
বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত করার কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ঘিরে রোনেন বারের ব্যর্থতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, তাকে আর বিশ্বাস করা যায় না।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরায়েল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইএসএ পরিচালক রোনেন বারকে বরখাস্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোনেন বারের উত্তরসূরি নিযুক্ত হওয়ার পর অথবা ১০ এপ্রিলের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন।

এর আগে গত রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, তার ওপর আস্থার অভাব রয়েছে। তাকে এ পদে রাখা যাবে না। তাই বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বার ১৯৯৩ সালে শিন বেতে যোগ দিয়েছিলেন।

বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।

ইসরায়েলে হামাসের হামলা চালানোর আগে থেকেই রোনেন বারের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। গত ৪ মার্চ হামাসের হামলার ওপর শিন বেতের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।

আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
ইসরায়েলি হামলায়, গাজায় নারী-শিশুসহ নিহত ৪ শতাধিক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩২৬
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Former President of the Philippines Duterte arrested at the ICC warrant

আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার

আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: ইউএনবি
ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফিলিপাইন সরকার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হংকং থেকে দেশে আসার পর আইসিসির নির্দেশে পুলিশ দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের চালানো অভিযানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে।

আইসিসি দুতার্তের শাসনামলে মাদক নির্মূলের নামে চালানো অভিযানে হত্যাকাণ্ডগুলোকে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাওয়ের মেয়র থাকার সময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে ২০১৯ সালে ফিলিপাইনকে রোম সংবিধি থেকে প্রত্যাহার করে নেন দুতার্তে।

দুতার্তে প্রশাসন ২০২১ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত স্থগিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। আইসিসির আদালত হলো সর্বশেষ অবলম্বন।

আইসিসির আর বিচার করার এখতিয়ার নেই—এমন যুক্তি দিয়ে সে সময় তার প্রশাসন বলেছিল, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে একই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে মৃত ৪, আহত ৬০
ফিলিপাইনে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অক্সফোর্ড জালিয়াতের
ফিলিপাইনে নোবেলজয়ী সাংবাদিকের সাইট বন্ধের নির্দেশ
ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন প্রেসিডেন্টকন্যা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Attack at Trumps Golf Resort

ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। ছবি: ইউএনবি
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।

স্কটল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংগঠনটি।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এ হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা।

টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।

সংগঠনটির কর্মীরা জানান, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না। তারই প্রতিবাদ এটা।

তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’

ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘শিশুসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের নিন্দা সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধানদের
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায়, ধারণা ট্রাম্পের
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps proposal to discuss Khamenei on the nuclear program

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খামেনিকে আলোচনার প্রস্তাব ট্রাম্পের

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খামেনিকে আলোচনার প্রস্তাব ট্রাম্পের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোলাজ: বাসস
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ ঢেলে সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ উদ্যোগ পৌঁছেছে ইরানের দ্বারপ্রান্তেও।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উদ্দেশে বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’

একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে।

যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানিয়েছে, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নয় তারা।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ট্রাম্পের চিটি পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তিনি শুক্রবার এএফপিকে বলেন, শক্তি প্রয়োগ করলে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।

আরও পড়ুন:
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
China will increase fuel oil imports from Iran

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন জ্বালানি তেলের স্থাপনার পাশে ইরানের পতাকা। ছবি: বাসস
কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে।

ইরান ও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন।

নতুন টার্মিনাল ও জাহাজ চালু হওয়ায় মার্চ থেকে চীন তেল আমদানি বৃদ্ধি করবে বলে খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি সত্ত্বেও চীন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ‘অয়েল প্রাইস’ নামের ওয়েবসাইট।

অয়েল প্রাইসের তথ্য অনুযায়ী, ইরান ও রাশিয়া থেকে চীনের তেল আমদানি দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওয়েবসাইটটির উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শনিবার এ খবর জানায়।

কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে। এ আমদানি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।

নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা চীনা তেল ট্যাংকারগুলো এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
চীনে ভূমিধস: নিখোঁজ ২৯
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি চীনের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের: প্রতিবেদন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Pakistan based terrorist group

ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর

ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ছবি: বাসস
গত বছরের ২৬ অক্টোবর সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের তাফতান কাউন্টির গোহার কুহ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য নিহত হন। ওই হামলারও দায় এ সংগঠন স্বীকার করে।

ইরানের সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের চবাহার কাউন্টিতে ইসলামি বিপ্লবী হাউজিং ফাউন্ডেশনের সদরদপ্তরে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জয়শুল আজল।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী হাউজিং ফাউন্ডেশন সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আবাসন তৈরি এবং হাউজিং ইউনিট নির্মাণ করে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসলামি বিপ্লবী হাউজিং ফাউন্ডেশনের দপ্তরে সাউন্ড বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে।

প্রাদেশিক প্রসিকিউটর মেহদি শামসাবাদি জানান, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

তিনি জানান, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীগুলো এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

বিস্ফোরণে ভবনটির একাংশের ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশে বিগত বছরগুলোতে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় অনেকবার সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। যেসব গোষ্ঠী এসব হামলা চালিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্পর্ক রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের তাফতান কাউন্টির গোহার কুহ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য নিহত হন। ওই হামলারও দায় এ সংগঠন স্বীকার করে।

আরও পড়ুন:
জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের বিবৃতি
পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের: প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
বাগেরহাটে মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে আহত ২০

মন্তব্য

p
উপরে